রবিউল আউয়াল ১৪৪২ || নভেম্বর ২০২০

যায়েদ আহমাদ - আমেরিকা

৫২২৭. প্রশ্ন

আমি আমেরিকার যে অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা সেখান পুরো দুইশ কিলোমিটারের মধ্যে মাত্র একটি মসজিদ। দূর-দূরান্ত থেকে লোক এখানে নামায পড়তে আসে। রমযান মাসে কোনো হাফেয না পাওয়াতে সূরা তারাবীহ পড়তে হয়। সেখানকার কিছু মুসল্লীর পীড়াপীড়িউৎসাহ প্রদান  ও সাহস যোগানোর কারণে আমি এ বৎসর আল্লাহ্র উপর ভরসা করে কুরআন হেফজ করা শুরু করেছি। আলহামদু লিল্লাহ প্রায় আঠারো পারা মুখস্থ করা শেষ হয়েছে। আমার ইচ্ছা হল, এবারের রমযানে এ আঠারো পারা দিয়ে নামায পড়াব। কিন্তু কিছু লোকের অনুরোধ হচ্ছে, অবশিষ্ট বারো পারা কুরআন শরীফ যেন দেখে পড়ে নিই। যাতে খতম পূর্ণ হয়। প্রশ্ন হল, দেখে দেখে নামাযে এভাবে কুরআন পড়া জায়েয হবে কি না? বিশেষত এক্ষেত্রে হানাফী মাযহাবের মতামত কী?

উত্তর

হানাফী মাযহাবের মুফতাবিহি (যার উপর ফতওয়া প্রদান করা হয়) মত হচ্ছে, নামাযে দেখে দেখে তিলাওয়াত করলে নামায ফাসিদ হয়ে যায়। সুতরাং কুরআনের যে জায়গাগুলো আপনি হেফজ করেছেন নামাযে কেবল সেগুলো থেকেই পড়বেন। মুখস্থ অংশগুলো একবার পড়ে ফেললে অবশিষ্ট দিনগুলোতে সেখান থেকেই আবার পড়ে নেবেন। দেখে দেখে কুরআন পড়া ঠিক হবে না।

উল্লেখ্য, হানাফী মাযহাবের বিশিষ্ট ফকীহদ্বয়-ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদ রাহ. যদিও দেখে কুরআন পড়লে নামায ফাসেদ হবে না- বলেন তবে তাদের মতেও এমনটি করা মাকরূহ। তাই এ থেকে বেঁচে থাকা দরকার।

-কিতাবুল আছল ১/১৭৭; আলমাবসূত, সারাখসী ১/২০১; বাদায়েউস সানায়ে ১/৫৪৩; ফাতহুল কাদীর ১/৩৫১; আলমুহীতুল বুরহানী ২/১৫৭; হালবাতুল মুজাল্লী ২/৪১৮; আলবাহরুর রায়েক২/১০; রদ্দুল মুহতার ১/৬২৩

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন