আলী আকবার - সখীপুর, শরীয়তপুর
৫২১৬. প্রশ্ন
মুহতারাম! আমার জানার বিষয় হল, আমাদের এলাকায় প্রচলিত আছে, কাউকে ঋণ দেওয়ার সময় এভাবে চুক্তি করা হয় যে, ঋণদাতা ঋণগ্রহীতাকে বলে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে আপনার কাছ থেকে ১০ মন ধান কিনলাম। ধানের মৌসুমে ধান না দিয়ে ধানের মূল্য দিয়ে দিবেন। এক্ষেত্রে তারা ধানের পরিমাণ এমনভাবে নির্ধারণ করে, যাতে ধানের মৌসুমে ঐ পরিমাণ ধানের মূল্য ঋণের টাকার থেকে বেশি হয়। এভাবে চুক্তি করা শরীয়তসম্মত কি না?
উত্তর
না, প্রশ্নোক্ত চুক্তিটি শরীয়তসম্মত নয়। বরং এটি ঋণ প্রদান করে অতিরিক্ত গ্রহণের একটি বাহানা মাত্র। ধানের মূল্যের নামে নিলেও তা সুদি চুক্তির অন্তর্ভুক্ত। কারণ সকলেই বোঝে যে, ধানের নামে নিলেও এটি ঋণের টাকায় মুনাফা হিসাবেই নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কেউ যদি অগ্রিম মূল্য প্রদান করে পরবর্তীতে ধান নিতে চায় (ধানের মূল্য নয়) তাহলে সেটি শরীয়তের (بيع السلم) বাইয়ে সালাম বা আগাম বিক্রির পদ্ধতিতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে ঐ সংক্রান্ত যাবতীয় শর্তাবলী পালন করে তা করা যেতে পারে।
-আহকামুল কুরআন, জাস্সাস ১/৪৬৭; বাদায়েউস সানায়ে ৬/৫১৮; আলমুগনী ৬/৪৩৬, ১১৬