উম্মে আবদুর রহমান - বসিলা, ঢাকা
৫১৯৫. প্রশ্ন
আল্লাহর রহমতে আমার মেয়ে এ বছর হিফয শেষ করেছে। আমরা ঘরের মহিলারা এবং ওর কয়েকজন চাচি নিয়ত করেছে, আমার মেয়ের পেছনে খতম তারাবীহ পড়বে। যাতে ওর হিফ্জ মজবুত হয়ে যায় এবং আমাদেরও খতম হয়ে যায়। কিন্তু আমার এক ভাশুর বলেছেন, মহিলাদের পেছনে তারাবীহ পড়া যায় না। এ বিষয়ে সঠিক মাসআলাটি জানালে উপকৃত হতাম।
উত্তর
মহিলার ইমামতি মাকরূহে তাহরীমী তথা নাজায়েয। তারাবীর নামাযের জামাতেরও একই হুকুম। মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বার এক বর্ণনায় এসেছে, হযরত আলী রা. বলেন-
لاَ تَؤُمّ الْمَرْأَةُ.
কোনো মহিলা যেন ইমামতি না করে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, বর্ণনা ৪৯৯৪)
অন্য এক বর্ণনায় এসেছে ইবনে আউন রাহ. বলেন-
كَتَبْتُ إلَى نَافِعٍ أَسْأَلُهُ، أَتَؤُمّ الْمَرْأَةُ النِّسَاءَ؟ فَقَالَ : لاَ أَعْلَمُ الْمَرْأَةَ تَؤُمّ النِّسَاءَ.
আমি নাফে রাহ.-কে পত্রলিখে জিজ্ঞেস করলাম- কোনো মহিলা কি অন্য মহিলাদের ইমামতি করতে পারবে? (উত্তরে) নাফে রাহ. বললেন, ‘আমার জানামতে কোনো মহিলা অন্য মহিলাদের ইমামতি করতে পারবে না। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, বর্ণনা ৪৯৯৫)
তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার মেয়ের ইমামতিতে ঐ তারাবীহের জামাতের আয়োজন করা ঠিক হবে না।
প্রকাশ থাকে যে, হাফেযা মহিলা কুরআনুল কারীম ইয়াদ রাখার জন্য নিয়মিত তিলাওয়াত করবে, অন্য হাফেযার সাথে দাওর করবে এবং তারাবীতে একাকী খতম করবে।
-কিতাবুল আছার, ইমাম মুহাম্মাদ, বর্ণনা ২১৭; তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/৩৪৮; ফাতহুল কাদীর ১/৩০৬; বাদায়েউস সানায়ে ১/৩৮৭; আলইখতিয়ার ১/২১০; আলবাহরুর রায়েক ১/৩৫১; আদ্দুররুল মুখতার ১/৫৬৫