মুহাররম ১৪৪২ || সেপ্টেম্বর ২০২০

মুস্তাফিজুর রহমান - বুয়েট, ঢাকা

৫১৭৮. প্রশ্ন

কিছুদিন আগে আমাদের সুযোগ হয়েছিল দশ দিনের জন্য তাবলীগের সফরে বের হওয়ার। আমাদের রোখ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানায় ছিল। সেখানে গিয়ে আমরা একাকী নামায পড়লে কসর করতাম এবং নামাযের আগে পরের সুন্নাতগুলোও গুরুত্বের সাথে আদায় করছিলাম। আমাদের জামাতের আমীর সাহেব ফরয নামায কসর পড়লেও নামাযের আগে-পরের সুন্নতগুলো পড়তেন না এবং অন্যদেরকেও পড়তে নিষেধ করতেন। বলতেন যে, সফরে সুন্নাত পড়তে হয় না। আমরা যারা আগে থেকেই এই ধরনের সফরে সুন্নাত পড়ে আসছি, তার এই কথা শুনে বেশ সংশয়ে পড়ে যাই। এবং আমাদের অনেক সাথিই সুন্নাত পড়া বন্ধ করে দেয়।

এখন মুফতী সাহেবের কাছে আমি বিষয়টির সঠিক সমাধান জানতে চাচ্ছি যে, সফরে নামাযের আগে-পরের সুন্নাত আদায়ের বিধান কী?

উত্তর

সফরের যাত্রাপথে যখন গন্তব্যে পৌঁছার ব্যস্ততা ও তাড়াহুড়া থাকে তখন সুন্নাত ছেড়ে দেয়াই উত্তম। এ সময় সুন্নাতের ইহতেমাম নিজের বা সফর সঙ্গীদের পেরেশানীর কারণ হয়। আর গন্তব্যে পৌঁছার পর মসজিদে অবস্থানের সময় বা কাছাকাছি স্থানে এক মসজিদ থেকে অন্য মসজিদে যাতায়াতের সময় কোনো তাড়াহুড়া বা কষ্ট-ক্লেশ না থাকলে যথাসম্ভব নামাযের আগে-পরের সুন্নাত আদায় করে নেয়া উত্তম।

উল্লেখ্য, ফজরের পূর্বের সুন্নাতের গুরুত্ব অন্যান্য সুন্নাতের চেয়ে বেশি। তাই সর্বাবস্থায় তা আদায়ের চেষ্টা করা উচিত।

-জামে তিরমিযী, হাদীস ৫৫০; বাদায়েউস সানায়ে ১/২৬০; আততাজনীস ওয়াল মাযীদ ২/১৭০; শরহুল মুনয়া, পৃ. ৫৪৫; মুখতারাতুন নাওয়াযিল ১/৩৭৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৩৯

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন