জুমাদাল আখিরাহ ১৪৪১ || ফেব্রুয়ারি ২০২০

আনোয়ার - মিরপুর, ঢাকা

৫০৩০. প্রশ্ন

একটি সেবা সংস্থার পক্ষ থেকে ১০০০ ও ৫০০ টাকা মূল্যমানের দুটি প্রাইজবন্ড প্রকাশ করা হয়েছে। ঋণ প্রার্থী ব্যক্তিদর কাছে এই বন্ডগুলো ফেসভ্যালুর (গায়ের দাম) চেয়ে অধিক মূল্যে যেমন ১০০০ টাকা মূল্যমানের বন্ড ১১০০ টাকায় এবং ৫০০ টাকা মূল্যমানের বন্ড ৫৫০ টাকায় ছয়মাস বা একবছর মেয়াদে বাকিতে বিক্রি করা হয়। বন্ডবাহক সেবা সংস্থার সাথে চুক্তিবদ্ধ এজেন্ট বা শপিং সেন্টার থেকে বন্ডের বিনিময়ে নির্ধারিত নগদ অর্থ অথবা তৎমূল্যের পণ্য সামগ্রী সংগ্রহ করে নিজের প্রয়োজন পূরণ করে। অপর দিকে বন্ডের দ্বিতীয় ক্রেতা (এজেন্ট বা দোকানদার) বন্ডটি সেবা সংস্থার অফিসে জমা দিয়ে যথার্থ মূল্য নগদ উঠিয়ে নেয়। উক্ত পদ্ধতিতে ঋণ গ্রহীতাকে ছয়মাস বা একবছর পর তার সংগৃহীত নগদ অর্থ (১০০০ বা ৫০০) অথবা তৎমূল্যে পণ্য সামগ্রীর চেয়ে অধিক (১১০০ বা ৫৫০) পরিশোধ করতে হয়। এখন জানার বিষয় হল, উক্ত পদ্ধতির শরয়ী বিধান কী? জানিয়ে উপকৃত করবেন।

উত্তর

প্রশ্নোক্ত পন্থায় বন্ডের লেনদেন সম্পূর্ণ সুদী কারবার। আর ইসলামে সুদ নিকৃষ্টতম হারাম। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেন-

وَ اَحَلَّ اللهُ الْبَیْعَ وَ حَرَّمَ الرِّبٰوا

আল্লাহ তাআলা কেনা-বেচাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। -সূরা বাকারা (২) : ২৭৫

জাবের রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-

لَعَنَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ آكِلَ الرِّبَا وَمُؤْكِلَهُ وَكَاتِبَهُ وَشَاهِدَيْهِ.

সুদ গ্রহণকারী, এর দাতা, এর হিসাব লেখক এবং যারা এর সাক্ষী থাকে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের সকলের উপর লা‘নত করেছেন। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৯৮

তাই মুসলামনদের কর্তব্য, এ ধরনের লেনদেন থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা।

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন