যিলক্বদ ১৪৩০ || নভেম্বর ২০০৯

মুসল্লী ও মসজিদ কমিটি - চুড়িহাট্টা

১৭৭২. প্রশ্ন

আমাদের মসজিদের প্রধান গেটের বাইরে রাস্তার অপর পার্শ্বে আনুমানিক ২৫ হাত দূরে অবসি'ত মসজিদের ওয়াকফকৃত একটি চার তলা বিল্ডিং রয়েছে। যার ৩য় তলায় একটি হেফযখানা মাদরাসা রয়েছে। উক্ত মসজিদের ওয়াকফকৃত বিল্ডিংয়ের নিচ তলায় একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। উক্ত হোটেল রমযান মাসে দিনের বেলা খোলা রাখা হয়। উল্লেখ্য চুড়িহাট্টা মহল্লার সবাই মুসলমান। আমাদের জানার বিষয় হল, মসজিদের উক্ত বিল্ডিংয়ে রোযার মাসে দিনের বেলা প্রকাশ্যে হোটেল খোলা রেখে খাওয়া দাওয়া করানো জায়েয হবে কি না? রোযার মাসে দিনের বেলা হোটেল খোলা রাখতে নিষেধ না করা ও প্রকাশ্যে আল্লাহর নাফরমানি প্রতিরোধ না করার কারণে মসজিদ কমিটি গুনাহগার হবে কি না?

উত্তর

রোযা ইসলামের পাঁচটি রোকনের অন্যতম। ইসলামের মৌলিক ফরযের অন-র্ভুক্ত। বিনা ওজরে রোযা না রাখা কবীরা গুনাহ। আখেরাতে এর জন্য কঠিন শাসি- রয়েছে। আর রমযান মাসে রোযা না রেখে প্রকাশ্যে পানাহার করা আরো ভয়াবহ গুনাহ। এটা আল্লাহ তাআলার সুস্পষ্ট হুকুমের প্রতি ধৃষ্টতা প্রদর্শন, যা মূলত কুফরীতুল্য গুনাহ। তাই রমযানে দিনের বেলা হোটেল খোলা রাখা এবং পানাহার করানো সম্পূর্ণ হারাম।

উপরন্তু মসজিদ হল আল্লাহর ঘর, শেয়ারে ইসলাম ও ইসলামের হুকুম আহকাম হেফাযত ও সংরক্ষণের পবিত্র কেন্দ্র। তাই মসজিদের ওয়াকফিয়া ভবনে এরূপ শরীয়ত বিরোধী কর্মকাণ্ড হওয়া আরো কঠিন গুনাহ। সুতরাং এ নিয়ম বন্ধ করা জরুরি। অন্যথায় মসজিদ কমিটি ও সংশ্লিষ্ট সবাই গুনাহগার হবে। এলাকাবাসীরও দায়িত্ব তা বন্ধ করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা।

সূরা বাকারা : ১৮৩; সূরা আলইমরান : ১০৪; সূরা মায়েদা : ২; সূরা হজ্ব : ৩২; আহকামুল কুরআন জাসসাস ২/২৯৯; সহীহ মুসলিম হাদীস : ৭৮; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৭; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৪/১০১; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪১৩

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন