যিলকদ ১৪৪০ || জুলাই ২০১৯

মুহাম্মাদ আলাউদ্দীন - শার্শা, যশোর

৪৮১১. প্রশ্ন

আল্লাহ তাআলার রহমতে গত বছর হজ্বে গিয়েছিলাম। আগামীতেও যাওয়ার ইচ্ছা আছে। বাকি আল্লাহর ইচ্ছা।  তো হজ্বে গিয়ে দেখলাম, অনেক মানুষ তাওয়াফের সময় জোরে জোরে বিভিন্ন দুআ-দরূদ পড়ে। এতে অন্যের তাওয়াফে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। একবার তো তাওয়াফের সংখ্যাই ভুলে গিয়েছিলাম। পাশে এক আলেমের কাছ থেকে মাসআলা জেনে নিয়ে আমল করেছি। এ সময় আরো কিছু লোককে দেখলাম সারি বেঁধে তাওয়াফ করছে। তাদের মধ্যে একজন ছোট মাইকে দুআ পড়ছে আর অন্যরা তার অনুসরণ করেছে।

এখন মুফতী সাহেবের কাছে আমার জানার বিষয় হল, তাওয়াফের সময় এভাবে উচ্চস্বরে দুআ-দরূদ পড়ার বিধান কী? দয়া করে বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।

উত্তর

তাওয়াফ করার সময় উচ্চস্বরে দুআ-দরূদ পড়া ও যিকির-আযকার করা ঠিক নয়। এটি সুন্নাহ পরিপন্থী আমল। এছাড়া এতে তাওয়াফকারীদের একাগ্রতা নষ্ট হয় এবং অনেকের আমলে বিঘœ ঘটে। আর কারো আমলে বিঘœ ঘটানো নিষিদ্ধ।

মনে রাখা দরকার যে, তাওয়াফ গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। এ সময় খুশু-খুযু তথা একগ্রতা ও মগ্নতার সাথে থাকা উচিত। তাওয়াফসহ হজ্বের সকল আমল আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণে হওয়া উচিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-

خُذُوا عَنِّي مَنَاسِكَكُمْ.

তোমরা আমার থেকে হজ্বের বিধান ও নিয়মাবলি শিখে নাও। -সুনানে কুবরা, বাইহাকী ৫/১২৫

আর তাওয়াফের সময় এভাবে উচ্চস্বরে সকলে সমস্বরে দুআ-দরূদ ও যিকির করার কোনো প্রমাণ হাদীস-আছারে পাওয়া যায় না। এটি সুন্নাহসম্মত আমল নয়; বরং তা বিদআত। তাই এ পদ্ধতি বর্জনীয়।

-ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৪৯৯; আননাহরুল ফায়েক ২/৭৬; আলবাহরুল আমীক ২/১২১৭; মানাসিক, মোল্লা আলী আলকারী পৃ. ১৬৫; রদ্দুল মুহতার ২/৪৯৭

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন