মুহাররম ১৪৪০ || অক্টোবর ২০১৮

আবদুল মাজীদ - আকুয়া, মোমেনশাহী

৪৫৬৯. প্রশ্ন

আল্লাহর রহমতে আমি এ বছর আমার স্ত্রীসহ হজ্ব করেছি। হজে¦ যাওয়ার কিছুদিন আগে হজ্ব প্রশিক্ষণে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদেরকে বলা হয়েছে যে, উমরার সমস্ত কাজ শেষ করার পর এবং ১০ যিলহজ্ব কুরবানী করার পর হালাল হওয়ার জন্য প্রথমে কাফেলার একজন কোনো নাপিত বা হালাল ব্যক্তির কাছে মাথা মুণ্ডিয়ে হালাল হবেন। তারপর সেই ব্যক্তি অন্যদের মাথা মুণ্ডন করতে পারবেন। এভাবে যারা হালাল হয়ে গেছেন শুধু তারাই অন্যদের মাথা মুণ্ডন করবেন। আর হালাল হয়েছেন এমন কোনো পুরুষ তার স্ত্রী বা মাহরামের চুল কেটে দেবেন। তারপর সেই মহিলা অন্য মহিলাদের চুল কেটে দিতে পারবেন। মোটকথা প্রশিক্ষণে বলা হয়েছে, কেউ নিজে হালাল না হয়ে নিজের বা অন্য কারো চুল কাটতে পারবে না। এ কথা কি ঠিক? কেউ যদি হালাল না হয়ে নিজের বা অন্য কারো চুল কেটে দেয় তাহলে এর ফলে কি দম বা সদকা ওয়াজিব হবে? জানিয়ে বাধিত করবেন।

উত্তর

কথাটি সঠিক নয়। উমরাকারী উমরার সকল কাজ শেষ করার পর এবং কিরান ও তামাত্তু হজ্ব আদায়কারী  হজ্বের কুরবানী করার পর আর ইফরাদ হজ্ব আদায়কারী জামরা আকাবায় কংকর মারার পর নিজে হলক বা কছর করার পূর্বেও অন্যের চুল কেটে দিতে পারবেন। এটি নাজায়েয নয়। এর ফলে কারো উপর দম বা সদকা কিছুই ওয়াজিব হবে না।

-সহীহ বুখারী, হাদীস ২৭৩১; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ১৬১৩৯; মানাসিক, মোল্লা আলী কারী, পৃ. ২৩০; গুনয়াতুন নাসিক পৃ. ২৫৮

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন