মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ - রূপনগর, মিরপুর, ঢাকা
৪৪২৪. প্রশ্ন
আমাদের মাদরাসায় ক’দিন আগে এক লোক অনেকগুলো ব্রয়লার মুরগী দিয়েছে। সে এগুলো বাজার থেকে ড্রেসিং করে এনেছে। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। কেউ বলছে, এগুলো খাওয়া যাবে। কিন্তু আবার অনেকে বলছে ড্রেসিং করা জায়েয নেই। এগুলো খাওয়া মাকরূহে তাহরীমী। এ নিয়ে বেশ মতভেদ চলছে। আপাতত এগুলো ফ্রিজে রেখে দেয়া হয়েছে।
এখন আপনার কাছে জানতে চাই, বর্তমানে আমাদের দেশে প্রচলিত মুরগী ড্রেসিং করার পদ্ধতিটি কি শরীয়তসম্মত? ড্রেসিং করা মুরগী খাওয়া যাবে কি? দ্রুত উত্তর জানালে উপকৃত হব। আল্লাহ তাআলা আপনাদের উত্তম বিনিময় দান করুন- আমীন।
উত্তর
দোকানগুলোতে সাধারণত যে পদ্ধতিতে মুরগী ড্রেসিং করা হয় তাতে ঐ মুরগীর গোশত খাওয়া নাজায়েয বা মাকরূহ হয়ে যায় না। কারণ, এক্ষেত্রে মুরগী গরম পানিতে যতটুকু সময় চুবিয়ে রাখা হয় এতে মুরগীর ভেতরের নাপাকীর প্রভাব গোশতে পৌঁছে না। বরং এর দ্বারা শুধু লোমকূপগুলো ঢিলা ও নরম হয়ে যায়। অবশ্য যদি এত বেশি সময় তপ্ত গরম পানিতে মুরগী চুবিয়ে রাখা হয়, যার ফলে নাপাকীর প্রভাব ও গন্ধ গোশতের ভেতর চলে যায় তাহলে সেক্ষেত্রে ঐ মুরগীর গোশত খাওয়া নাজায়েয হয়ে যাবে। আর যেসব মুরগী সাধারণ নিয়মে ড্রেসিং করা হয় (অর্থাৎ অধিক সময় ফুটন্ত পানিতে চুবিয়ে রাখা হয় না) সেগুলোও রান্না করার পূর্বে ভালোভাবে ধুয়ে পাক করে নেওয়া জরুরি।
উল্লেখ্য, ড্রেসিংয়ের প্রচলিত পদ্ধতি কিছুটা সংশোধনযোগ্য। এতে আপত্তিকর বিষয় রয়েছে।
-ফাতহুল কাদীর ১/১৮৬; আলবাহরুর রায়েক ১/২৩৯; মাজমাউল আনহুর ১/৯১; রদ্দুল মুহতার ১/৩৩৪