আলমগীর হুসাইন - বাকৃবি, ময়মনসিংহ
৪২৭১. প্রশ্ন
১. আমি একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একাউন্ট বিভাগে কর্মরত। এ বছর ব্যাংকের কিছু জটিলতার কারণে সকল কর্মকর্তার জুন মাসের সেলারি রমযানের পূর্বেই (মে মাসের শেষে) একসাথে ব্যাংক থেকে উঠিয়ে আমার কাছে রাখা হয়। এর মধ্যে আমার সেলারিও ছিল। এমডি স্যারের নির্দেশ ছিল, নির্ধারিত সময়ে (জুনের ২০ তারিখে) সকল কর্মকর্তার সেলারি পরিশোধ করা হবে। এর পূর্বে কারো সেলারি দেওয়া যাবে না। সে হিসেবে ২০ তারিখেই সকলের সেলারি দেয়া হয়। আমার সেলারিও ২০ তারিখেই নিয়েছি। এর পূর্বে প্রায় একমাস টাকাটা আমার কাছেই ছিল। তবে এমডি স্যারের নির্দেশ অনুযায়ী আমি তা ২০ তারিখের পূর্বে ব্যবহার করিনি।
আমি যাকাতের হিসাব করি রমযানের ১ তারিখে। রমযানের ১ তারিখে (২৮শে মে) জুন মাসের সেলারি আমার কাছেই ছিল। তবে ২০শে জুনের পূর্বে তা ব্যবহারের অনুমতি ছিল না।
এখন আমার প্রশ্ন হল, গত বছরের যাকাতের হিসাবে জুন মাসের সেলারি হিসাব হবে কি না?
২. কয়েকজনর কাছে আমার বেশকিছু টাকা পাওনা আছে। এর মধ্যে কিছু টাকা ফেরৎ পাওয়া নিশ্চিত। আর কিছু টাকা ফেরৎ পাওয়া না পাওয়া উভয় সম্ভবনা আছে। কিছু টাকা ফেরৎ না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
যাকাতের হিসাব করার সময় পাওনা টাকাগুলোর হিসাব করতে হবে কি না? যে টাকাগুলো ফেরত না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি সেগুলোরও কি হিসাব করতে হবে? বিস্তারিত জানানোর সবিনয় অনুরোধ করছি।
উত্তর
না, গত বছরের যাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে জুন মাসের বেতন হিসাব করতে হবে না। কেননা রমযানের ১ম তারিখ (২৮শে মে) আপনারসহ সকল কর্মকর্তার জুন মাসের বেতনের টাকা আপনার কাছে আমানত হিসেবে ছিল। কর্তৃপক্ষ যেহেতু ২০ই জুনের পূর্বে তা ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি তাই ঐ টাকাগুলো কর্তৃপক্ষের মালিকানাতেই ছিল। ঐ টাকার যাকাত তাদেরকেই আদায় করতে হবে, আপনাকে নয়।
২. যাকাতের হিসাবের ক্ষেত্রে মানুষের কাছে পাওনা টাকা-পয়সারও হিসাব করতে হয়। তবে কোনো পাওনা টাকা যদি এমন হয়, যা ফেরৎ না পাওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল হয়ে যায় তাহলে সে টাকার যাকাত আদায় করতে হবে না। এই ঋণ পরে কখনো যদি হস্তগত হয় তাহলে সে সময় থেকে এর যাকাত দিবে। বিগত বছরের যাকাত আদায় করতে হবে না। -বাদায়েউস সনায়ে ২/৮৮; ফাতাওয়া কাযীখান ১/২৫২; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/২৫৩; আদ্দুররুল মুখতার ২/২৬৬