রবিউল আখির ১৪৩৯ || জানুয়ারি ২০১৮

মুরতাযা আবরার রাফি - মোমেনশাহী

৪৩১৯. প্রশ্ন

আমরা ছয় ভাই দুই বোন। বোনদের বিবাহ হয়ে গেছে। তিন ভাইয়ের আলাদা সংসারও আছে। আমরা দুই ভাই আলেম ও হাফেজ। আমরা তিন ভাই আব্বা-আম্মার সাথে আছি। আমাদের মধ্যে বড় ভাইয়ের আমল ভাল। তাই আব্বা-আম্মা তাকে নিয়ে হজে¦ গেছেন। আর তাকে ও ভাবিকে আর্থিক সহযোগিতাও করেন। আমাদের ভাইদের আবদারে আব্বা হজ¦ থেকে এসে আমাদের ৬ ভাইয়ের জন্য জমি ক্রয় করেছেন। তাতেও বড় ভাইকে অন্যদের থেকে বেশি দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, এগুলো ওয়ারিস সম্পত্তি হিসেবে নয়, যা মৃত্যুর পর সন্তানরা পায়। এখন জানার বিষয় হল, আব্বার শুধু বড় ভাইকে নিয়ে হজে¦ যাওয়া এবং তারা স্বচ্ছল হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতা করা ও বিষয়-সম্পত্তি বেশি দেওয়া ঠিক হয়েছে কি না?

নতুন জমিতে আমাদের বোনেরা অংশিদার হবে কি না? যদি হয় তাহলে কীভাবে হবে? অনুগ্রহ করে শরয়ী সমাধান দিয়ে উপকৃত করবেন।

উত্তর

আপনার পিতার জন্য আমলদার ছেলেকে সফরসঙ্গী হিসেবে হজে¦ নিয়ে যাওয়া দোষের কিছু হয়নি। বাবা তার সন্তানদের যে কাউকে ইচ্ছা নিজের সঙ্গে হজে¦ নিয়ে যেতে পারেন। এতে অন্যদের আপত্তি করার কোনো অধিকার নেই। এ নিয়ে আপত্তি করা বা বাবাকে দোষারোপ করা অন্যায়। তবে আপনার পিতা যেভাবে আপনাদের জন্য পৃথক পৃথক নামে জমি কিনেছেন তেমনিভাবে আপনাদের বোনদেরকেও জমি দেওয়া কর্তব্য ছিল। মেয়েদেরকে না দিয়ে শুধু ছেলেদের দেওয়া অন্যায় হয়েছে। অবশ্য এখনো আনুপাতিক হারে মেয়েদের জন্য আলাদা জমি কিনে দিয়ে সে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আপনার পিতার জন্য সেটিই এখন করণীয়। কারণ হাদীসে সন্তানদেরকে দান করার ক্ষেত্রে সমতা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আর আপনার বড় ভাইকে যদি তার আমল-আখলাকের কারণে সম্পদ কিছু বেশি দেয়া হয়ে থাকে তবে তাতে দোষের কিছু হয়নি। বিশেষ কারণে কিছু কম-বেশি দেওয়ার অধিকার পিতার রয়েছে।

-সহীহ মুসলিম, হাদীস ৪০৫৬; বাদায়েউস সানায়ে ৫/১৮২; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৪/৪৬২; আলবাহরুর রায়েক ৭/২৮৮; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৪০০; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৬/২৩৭

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন