আবুল কালাম আজাদ - মংলিপাড়া, সিলেট
৩৯৯২ . প্রশ্ন
আমার বড় ভাইজান ভালো আলেম ও বুযুর্গ ছিলেন। সমাজে তার বেশ সুনাম-সুখ্যাতি ছিল। বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে তিনি বাতিলের বিরুদ্ধে সাহসী বয়ান করতেন। এভাবে তার কিছু শত্রুও গড়ে ওঠেছিল। ভাইজান সিলেট শহরেই থাকতেন। একবার তিনি সীমান্ত পার্শ্ববর্তী গোয়াইঘাটে একটি দ্বীনী প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার জন্য সফর করছিলেন। গাড়ি কোম্পানিগঞ্জ পার হয়ে সামনে এগুলে এক জনমানবহীন সড়কে পৌঁছলে একদল দুর্বৃত্ত ভাইজানের ওপর সশস্ত্র হামলা করে বসে। তারা বুলেটের আঘাতে ভাইজানের দেহ ঝাঁজরা করে দেয়। এম্বুলেন্সে করে লাশ এলাকায় আনা হলে ভাইজানকে গোসল দেওয়া হবে কি না এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক মতানৈক্য দেখা দেয়। অবশেষে ইমাম সাহেবের ফয়সালাক্রমে গোসল করিয়ে ভাইজানকে আলাদা কাফন পরানো হয়। এরপর জানাযা শেষে তাকে দাফন করা হয়। কিন্তু তারপরও গোসলের বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে কানাঘুষা চলতে থাকে। তাদের বক্তব্য, শহীদকে গোসল দেওয়ার কোনো বিধান নেই। তাকে তার রক্ত মাখা কাপড়ই দাফন করা নিয়ম। এখন মাননীয় মুফতী সাহেবের কাছে বিষয়টির প্রকৃত সমাধান জানতে চাচ্ছি। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
উত্তর
প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী আপনার ভাই শহীদের অন্তর্ভুক্ত। কেননা ডাকাত ও দুর্বৃত্তদের হাতে নিহতব্যক্তি শহীদের হুকুমে। তাকে গোসল দিতে হয় না। তাই তাকে গোসল না দিয়ে পরিহিত পোশাকেদাফন করাই উচিত ছিল। ভুল হলেও যেহেতু দাফন হয়ে গেছে তাই এখন বিষয়টি নিয়ে বিতর্কেলিপ্ত হওয়া ঠিক হবে না।
عَنِ الشَّعْبِيِّ قَالَ: سُئِلَ عَنْ رَجُلٍ قَتَلَهُ اللُّصُوصُ فَقَالَ: لَا يُغَسَّلُ
শাবী রাহ.-কে এমন ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল, যে চোরদের হাতে নিহত হয়েছে। তিনিবললেন, তাকে গোসল দেওয়া হবে না।
-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস ৬৬৪৮, ৯৫৯৪; কিতাবুল আছল ১/৩৩৯; আলজামিউস সগীর ১১৮-১১৯; শরহুয যিয়াদাত ১/১৮৬-১৮৭; আদ্দুররুল মুখতার ২/২৪৭-২৫০