মুহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান - ত্রিশাল, ময়মনসিংহ
১৯২৭. প্রশ্ন
আমাদের দেশে কোনো কোনো পীরের সামনে সিজদা করতে দেখা যায়। পীর গদ্দীনাশীন আর মুরীদ তাকে সামনে নিয়ে যমিনের উপর সিজদাবনত। এই দৃশ্য আমাদের দেশের এক পীরের আস্তানায় দেখতে পেলাম। এটা দেখে আমার মনে খুব ঘৃণার উদ্রেক হয়েছে। তাই আমি সেখান থেকে চলে আসি। জানতে চাই, যে সিজদা করেছে তার ঈমান কি নষ্ট হয়ে গেছে?
উত্তর
আল্লাহ তাআলা আপনার ঈমানী গায়রত আরো বৃদ্ধি করে দিন। তাদের উক্ত কুফরী আচরণকে ঘৃণা করে সেখান থেকে চলে আসা আপনার ঈমানের দলীল। এরা ছোট দাজ্জাল। সুকৌশলে মানুষের ঈমানকে ধ্বংস করার জন্য প্রতারণার জাল বিছিয়ে রেখেছে। এদের ফাঁদ থেকে আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হেফাযত করুন। আমীন।
সিজদা একমাত্র আল্লাহ তাআলারই হক। কোনো মানুষকে বা কারো মাজারকে কিংবা অন্য কোনো মাখলুককে সিজদা করা সম্পূর্ণ হারাম। যদি ইবাদত-উপাসনার নিয়তে সিজদা করে তাহলে কাফের হয়ে যাবে। যদি আদব ও সম্মান প্রদর্শনের জন্য করে থাকে তাহলে শুধু এ কারণে সরাসরি কাফের না হলেও সে কুফুরির নিকটবর্তী হয়ে যায়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই কর্মের সঙ্গে এমন কিছু আকীদা-বিশ্বাসও থাকে, যা তাকে ঈমান থেকে খারিজ করে দেয়। তাই এ থেকে খালিস দিলে তওবা-ইস্তিগফার করতে হবে।
রদ্দুল মুহতার ৬/৩৮৩; ইমদাদুস সায়েল পৃ. ১২; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৬৮; ইমদাদুল মুফতীন পৃ. ১৬৭-১৭০