রজব ১৪৩৭ || এপ্রিল ২০১৬

শুআইব - টঙ্গি, গাজিপুর

৩৬৬২. প্রশ্ন

গত ঈদুল আযহার দিন ঈদের নামাযের আগে এক ব্যক্তিকে মসজিদে নামায পড়তে দেখলাম। নামায শেষে তাকে বললাম, আপনি কি নফল নামায পড়লেন? সে বলল, হাঁ। আমি বললাম, ঈদের দিন ঈদের নামাযের আগে কোনো নফল নামায পড়া যায় না। তখন সে বলল, ঈদের দিন ঈদগাহে নফল পড়া নিষেধ। কিন্তু অন্য যে কোনো জায়গায় নফল পড়া যায়। প্রশ্ন হল, ঐ ব্যক্তির কথা কি সঠিক?

 

 

উত্তর

নালোকটির বক্তব্য ঠিক নয়। ঈদের নামাযের পূর্বে যে কোনো স্থানে নফল নামায পড়া মাকরূহ তাহরীমী। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিততিনি বলেনঈদুল ফিতরের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই রাকাত ঈদের নামায পড়লেন। ঈদের নামাযের আগে এবং পরে কোনো নামায পড়েননি। Ñসহীহ বুখারীহাদীস ৯৬৪

ইবনে সিরীন রাহ. থেকে বর্ণিত আছেআবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ ও হুযাইফা রা. ঈদের নামাযের পূর্বে যাদেরকে নফল পড়তে দেখতেনতাদেরকে নামায পড়তে নিষেধ করতেন। Ñআল মুজামুল কাবীর তবারানীহাদীস ৯৫২৪

আর ঈদের নামাযের পর শুধু ঈদগাহে নফল পড়া মাকরূহ। ঈদগাহ ছাড়া অন্যত্র নফল পড়া জায়েয। ইমাম শাবী রাহ. বলেনইবনে মাসউদ রা. ঈদের নামাযের পর বাড়িতে এসে চার রাকাত নামায পড়তেন।

Ñমুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৮৫০২; মুআত্তা, ইমাম মুহাম্মাদ ১/৬১১; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১২৯৩; ফাতহুল কাদীর ২/৪২; আলবাহরুর রায়েক ২/১৬০; আদ্দুররুল মুখতার ২/১৬৯-১০৩

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন