মারূফ হুসাইন - টঙ্গী, ঢাকা
৩৫৬৬. প্রশ্ন
ক) হাঁচি দেওয়ার পর হাঁচিদাতার জন্য আলহামদুলিল্লাহ বলার হুকুম কী? মুস্তাহাব, সুন্নত নাকি ওয়াজিব? যদি আলহামদুলিল্লাাহ না বলে তাহলে কি গুনাহ হবে?
(খ) হাঁচিদাতা আলহামদু লিল্লাহ উচ্চস্বরে বলবে, নাকি আস্তে বলবে?
-জামে মা‘মার ইবনে রাশেদ (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক-এর শেষে সংযুক্ত), হাদীস ১৯৬৮০; আলআযকার, নববী ৪৪১; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/২২; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৮/৮৭; তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম ৪/২৪৭; রদ্দুল মুহতার ৬/১১৪
উত্তর
(ক ও খ) হাঁচি দেওয়ার পর হাঁচিদাতার জন্য الحمد لله বলা মুস্তাহাব। কোনো ওজর ছাড়া তা ছেড়ে দেওয়া অনুচিত। কেউ ছেড়ে দিলে যদিও গুনাহ হবে না, তবে এর ফযিলত থেকে মাহরূম হবে। হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত আছে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাাম ইরশাদ করেছেন, হাঁচিদাতা যেন الحمد لله বলে। আর তার (মুসলিম) ভাই জবাবে যেন يرحمك الله বলে। তখন হাঁচিদাতা যেন প্রত্যুত্তরে বলে يهديكم الله ويصلح بالكم। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬২২৪
আর হাঁচিদাতা আলহামদু লিল্লাহ উচ্চস্বরে বলবে। এক বর্ণনায় এসেছে যে, ইয়াহইয়া ইবনু আবী কাসীর বর্ণনা করেন, হাঁচিদাতার জন্য উচ্চস্বরে الحمد لله বলা উচিত। যাতে করে তার আশপাশের লোকেরা শুনতে পায়। আর হাঁচিদাতা যখন الحمد لله বলবে তখন শ্রোতাদের করণীয় হল তার জবাবে يرحمك الله বলা।-জামে মা‘মার ইবনে রাশেদ (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক-এর শেষে সংযুক্ত), হাদীস ১৯৬৮০; আলআযকার, নববী ৪৪১; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/২২; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৮/৮৭; তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম ৪/২৪৭; রদ্দুল মুহতার ৬/১১৪