যিলকদ ১৪৩৬ || সেপ্টেম্বর ২০১৫

ফয়সাল আহমদ - কামরাঙ্গিরচর, ঢাকা

৩৪৫৬ . প্রশ্ন

 

আমরা হজ্বের বিভিন্ন বইয়ে পড়েছি, ইহরাম করার আগে দুই রাকাত নফল নামায পড়া সুন্নাত। কিন্তু কিছুদিন আগে এক ভাই থেকে শুনলাম, ইহরামের আগে কোনো নামায নেই। বরং তা বিদআত। কথাটি শোনার পর বিভ্রান্তিতে পড়ে যাই। এক্ষেত্রে সঠিক মাসআলা কী? দলীল প্রমাণসহ জানতে চাই।


 

উত্তর

একাধিক হাদীসে নামাযের পর ইহরাম করার কথা এসেছে। অতএব ফরয নামায আদায় করলে এরপর ইহরাম করবে নতুবা ইহরামের উদ্দেশ্যে দুই রাকাত নফল নামায পড়ে এরপর ইহরাম করবে। এটিই সুন্নত। সহীহ বুখারীতে আছেউমর রা. বলেনআকীক নামক স্থানে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিআজ রাতে আমার রবের পক্ষ থেকে আগমনকারী (অর্থাৎ জিবরীল আলাইহিস সালাম) এসেছিলেন। তিনি আমাকে বললেনএই বরকতময় স্থানে নামায পড়ুন এবং বলুনআমি হজ্বের সাথে উমরার ইহরাম করলাম। Ñসহীহ বুখারীহাদীস ১৫৩৪

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হজ্বের বিবরণ সম্বলিত হাদীসগুলোতেও আছে,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুলহুলাইফাতে দুই রাকাত নামায পড়ার পর ইহরাম করেছিলেন। Ñদেখুন সহীহ মুসলিমহাদীস ১১৮৪জামে তিরমিযীহাদীস ৮১৯

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে এক বর্ণনায় স্পষ্টভাবে এসেছেতিনি বলেনরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুলহুলাইফার মসজিদে দুই রাকাত নামায পড়ার পর ঐ মজলিসেই হজ্বের ইহরাম করেছিলেন। Ñসুনানে আবু দাউদহাদীস ১৭৭০মুসতাদরাকে হাকেমহাদীস ১৬৯৯

প্রকাশ থাকে যেএই মাসআলায় চার মাযহাবের সিদ্ধান্ত এক ও অভিন্ন। ইমাম নববী রাহ.আল মাজমূ শরহুল মুহাযযাব” লিখেছেনইহরাম করার সময় দুই রাকাত নামায পড়া উত্তম। এ ব্যাপারে সবার ঐকমত্য রয়েছে। Ñআলমাজমূ ৭/২৩২

সুতরাং ইহরামের পূর্বের নামাযকে বিদআত বলা সম্পূর্ণ ভুল ও মনগড়া কথা। 

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন