মুহাম্মাদ যুবায়ের আহমদ - ধানুয়া, শিবপুর, নরসিংদী
২৯৩০. প্রশ্ন
আমার নানা ও নানী দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ইন্তিকাল করেন। তাদের নামায ও রোযার কাফফারা বাবদ প্রায় ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা কাফফারা আসে। এখন তাদের সন্তানরা পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেয় যে, আমরা কাফফারা বাবদ পাঁচ লক্ষ টাকা সমমূল্যের এক খন্ড জমি মাদরাসার নামে ওয়াকফ করে দিব। আর সেই জমিটি আমরা আবাদ করে তার ফসল মাদরাসায় জমা দিব।
এখন প্রশ্ন হল, নামায-রোযার কাফফারা হিসেবে মাদরাসার নামে জমি ওয়াকফ করার দ্বারা কাফফারা আদায় সঠিক হবে কি না এবং সেই ওয়াকফকৃত জমি ওয়াকফকারীদের নিয়ন্ত্রনে রাখা সঠিক হবে কি না? বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ হব।
উল্লেখ্য যে, আমার নানা-নানী তাদের কাফফারা আদায়ের জন্য অসিয়ত করে যাননি।
উত্তর
কাফফারা বা ফিদয়া আদায়ের জন্য ফকীর-মিসকীনকে মালিক বানিয় দিতে হয়। কিন্তু যেহেতু উনারা কাফফারার জন্য অসিয়ত করে যাননি সেজন্য প্রশ্নোক্ত প্রস্তাবটি গ্রহণযোগ্য হতে পারে। এতে ব্যয়কৃত অর্থ কাফফারা হিসেবে ধর্তব্য না হলেও মৃতদ্বয়ের জন্য সদকায়ে জারিয়া বিবেচিত হবে।
আর মাদরাসার নামে ওয়াকফ করে দিতে চাইলে তাতে মাদরাসার পূর্ণ কর্তৃত্ব ও ভোগদখলের পূর্ণ স্বাধীনতার সাথে দিয়ে দেওয়া উচিত।
উল্লেখ্য যে, ব্যয়কৃত অর্থ-সম্পদ যদি আপনার নানা-নানীর মীরাসের অংশ হয়ে থাকে তাহলে তা ব্যয় করার জন্য সকল ওয়ারিশদের স্বতঃস্ফূর্ত অনুমতি জরুরি এবং কোনো ওয়ারিশ নাবালেগ থাকলে তার অংশ থেকে কিছু নেওয়া যাবে না।
-রদ্দুল মুহতার ২/৩৩৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৯৫; কিফায়াতুল মুফতী ৬/৩৮৯