কয়েকদিন আগে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়ে পাঁচটি পৃথক কসম করেছিলাম। এর মধ্যে তিনটি কসম রক্ষা করতে পেরেছি। কিন্তু দুটি কসম ভঙ্গ করে ফেলেছি। এখন আমার প্রত্যেকটির জন্য কি আলাদা আলাদা কাফফারা দিতে হবে, নাকি একটি কাফফারা দিলেই হবে?
কয়েকদিন আগে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়ে পাঁচটি পৃথক কসম করেছিলাম। এর মধ্যে তিনটি কসম রক্ষা করতে পেরেছি। কিন্তু দুটি কসম ভঙ্গ করে ফেলেছি। এখন আমার প্রত্যেকটির জন্য কি আলাদা আলাদা কাফফারা দিতে হবে, নাকি একটি কাফফারা দিলেই হবে?
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনাকে প্রত্যেক কসম ভঙ্গের কারণে ভিন্ন ভিন্ন কাফফারা আদায় করতে হবে। এক্ষেত্রে একাধিক কসম ভঙ্গের জন্য একটি কাফফারা আদায় করা যথেষ্ট হবে না।
শেয়ার লিংক-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, বর্ণনা ১৬০৬৪; আলমাবসূত, সারাখসী ৮/১৫৭; আলমুহীতুল বুরহানী ৬/৭৮; আলবাহরুর রায়েক ৪/২৯১; আদ্দুররুল মুখতার ৩/৭১৪
আমি পরিচিত একটি দোকানে দেড় লক্ষ টাকা মূল্যের একটি মটরসাইকেল ক্রয় করতে যাই। দোকান মালিক আমাকে বললেন, আপনি যে মটরসাইকেল নিতে চাচ্ছেন তা এখন আমাদের স্টকে নেই। তবে আপনি চাইলে অগ্রিম মূল্য দিয়ে তা ক্রয় করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ১লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দিলেই চলবে। আর মটরসাইকেলটি দুই মাসের মধ্যে আপনি পেয়ে যাবেন। তখন আমি ১লক্ষ ৪০ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে দিই। দুই মাস পর দোকান মালিক বললেন, দুঃখিত এখন মটরসাইকেলটি দিতে পারছি না। আপনি মটরসাইকেলটি নিতে চাইলে আরো এক মাস অপেক্ষা করতে হবে। তবে আপনি চাইলে আমরা এর বাজার মূল্য দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে দেব। জানার বিষয় হল, এখন আমার জন্য কি তাদের থেকে দেড় লক্ষ টাকা নেয়া জায়েয হবে?
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার জন্য মটরসাইকেলের পরিবর্তে এর বাজার মূল্য (দেড় লক্ষ টাকা) নেয়া জায়েয হবে না। যদি টাকাই নিতে চান তাহলে আপনার দেয়া মূল টাকা ১লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ফেরত নিতে পারবেন। এর অতিরিক্ত নেয়া জায়েয হবে না।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন-
إِذَا سَلّفْتَ فِي شَيْءٍ فَلَا تَأْخُذْ إِلّا رَأْسَ مَالِكَ أَوِ الّذِي سَلّفْتَ فِيهِ.
অর্থাৎ যদি তুমি অগ্রিম মূল্যে কিছু ক্রয় কর তাহলে সে বস্তুটি গ্রহণ কর অথবা যে পরিমাণ অর্থ দিয়েছিলে তা নাও। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, বর্ণনা ১৪১০৬)অবশ্য আপনি চাইলে এক মাস বিলম্ব করে মটরসাইকেল গ্রহণ করতে পারবেন।
শেয়ার লিংক-আলমাবসূত, সারাখসী ২১/৪৭; আলহাবিল কুদসী ২/৫৩; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৪/৫১৭; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৯/৩৭৭; ফাতহুল কাদীর ৬/২৩০; আলবাহরুর রায়েক ৬/১৬৬; এলাউস সুনান ১৪/৪৩৪