আমাদের এলাকায় এক ব্যক্তির বিবাহে যে দুইজন সাক্ষী ছিল তাদের মধ্যে একজন অন্ধ ছিল। এখানে আমার জানার বিষয় হল, উক্ত বিবাহ সহীহ হয়েছে কি না?
আমাদের এলাকায় এক ব্যক্তির বিবাহে যে দুইজন সাক্ষী ছিল তাদের মধ্যে একজন অন্ধ ছিল। এখানে আমার জানার বিষয় হল, উক্ত বিবাহ সহীহ হয়েছে কি না?
হাঁ, উক্ত বিবাহ সহীহ। কিন্তু যেহেতু অন্ধের সাক্ষ্য আদালতে গ্রহণযোগ্য নয়, তাই দৃষ্টিবান ব্যক্তিকেই সাক্ষী বানানো উচিত। যেন পরবর্তীতে কোনো প্রকার জটিলতায় পড়তে না হয়।
শেয়ার লিংক-বাদায়েউস সানায়ে ৩/৪০৪; আলবাহরুর রায়েক ৩/১৫৪; ফাতাওয়া খনিয়া ১/৩৩১; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ২/১৪; রদ্দুল মুহতার ৩/২১-২৪
আমরা নাবালেগ অবস্থায় অনেক সময় রোযা রেখেছি। আবার মাঝে মধ্যে রোযা রেখে পরে ভেঙ্গে ফেলেছি। এখানে আমার জানার বিষয় হল, যে সমস্ত রোযা আমরা নাবালেগ অবস্থায় রেখে পরে ভেঙ্গে ফেলেছি এগুলোর কাযা করা লাগবে কি না? জানালে উপকৃত হব।
নাবালেগ অবস্থায় যে রোযা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে বালেগ হওয়ার পর তার কাযা করা লাগবে না।
শেয়ার লিংক-জামিউ আহকামিস সিগার ১/৫৯; রদ্দুল মুহতার ২/৪০৯
অনেককে দেখা যায় যে, তারা মসজিদে গিয়ে ইমামকে সিজদা অবস্থায় দেখলে সে অবস্থায় ইমামের সাথে নামাযে শরীক হয় না; বরং ইমামের দাঁড়ানোর অপেক্ষা করে এবং ইমাম সাহেব দাঁড়ালে তারপর নামাযে শরীক হয়। শরীয়তের দৃষ্টিতে তাদের একাজটি কেমন? জানালে উপকৃত হব।
নিয়ম হল, মাসবুক ব্যক্তি ইমামকে যে অবস্থাতেই পাবে তাকবীরে তাহরীমা বলে তৎক্ষণাত ইমামের সাথে নামাযে শরীক হয়ে যাবে। হাদীসে এসেছে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা মসজিদে এসে যদি আমাদেরকে সিজদা অবস্থায় দেখ তাহলে তোমরাও সিজদা করবে তবে একে রাকাত গণ্য করবে না। (আবু দাউদ ১/১২৯) তাই মসজিদে এসে ইমামকে সিজদা অবস্থায় দেখে সিজদায় শরীক না হয়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকা ঠিক নয়।
শেয়ার লিংক-সুনানে আবু দাউদ ১/১২৯; জামে তিরমিযী ১/১৩০; ইলাউস সুনান ৪/৩৩৮-৩৪৯; ফাতহুল বারী ২/১৪০; বাযলুল মাজহুদ ২/৮৪