অনেক সময় আমরা বাসায় দুই-তিনজন মিলে জামাত করি। মাঝেমধ্যে মাহরাম নারী জামাতে শরীক হয়। এক্ষেত্রে কাতারে দাঁড়ানোর সঠিক পদ্ধতি কী?
ইমামের সাথে একজন পুরুষ মুক্তাদী থাকলে সে ইমামের ডানপাশে দাঁড়াবে। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনÑ
بِتُّ عِنْدَ خَالَتِي، فَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ، فَقُمْتُ أُصَلِّي مَعَهُ، فَقُمْتُ عَنْ يَسَارِهِ، فَأَخَذَ بِرَأْسِي، فَأَقَامَنِي عَنْ يَمِينِهِ.
একবার আমি আমার খালার (উম্মুল মুমিনীন মায়মুনা রা.) ঘরে রাতযাপন করলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে নামাযে দাঁড়ালেন। আমিও তাঁর সঙ্গে নামাযে দাঁড়ালাম। আমি তাঁর বামপাশে দাঁড়ালাম। তিনি আমার মাথা ধরে তাঁর ডানপাশে দাঁড় করালেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৯৯)
এক্ষেত্রে নিয়ম হল, ঐ মুসল্লি ইমামের ডানদিকে তার বরাবর দাঁড়াবে। অবশ্য ঠিক বরাবর দাঁড়ালে যেহেতু কখনো মুক্তাদী ইমামের সামনে চলে যাওয়ার আশংকা থাকে; তাই কোনো কোনো ফকীহ ইমাম বলেছেন, মুক্তাদী এভাবে দাঁড়াবে যে, তার পায়ের আঙ্গুল ইমামের পায়ের গোড়ালী বরাবর থাকবে।
আর মুক্তাদী একাধিক পুরুষ হলে তারা ইমামের পেছনে কাতার করবে। পক্ষান্তরে নারীদের কাতার সর্বাবস্থায় পুরুষদের কাতারের পেছনে হবে। এমনকি নারী মুক্তাদী একজন হলেও এবং মাহরাম হলেও সে পেছনে দাঁড়াবে। হাদীস শরীফে এসেছে। আনাস রা. বলেনÑ
صَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَيْتِ أُمِّ سُلَيْمٍ، فَقُمْتُ وَيَتِيمٌ خَلْفَهُ وَأُمّ سُلَيْمٍ خَلْفَنَا.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মে সুলাইম রা.-এর ঘরে নামায আদায় করেন। (তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাহরাম ছিলেন) আমি ও একজন বালক তাঁর পেছনে দাঁড়ালাম। আর উম্মে সুলাইম রা. আমাদের পেছনে দাঁড়ালেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস ৮৭১)
উল্লেখ্য, পুরুষের জন্য মসজিদে গিয়ে জামাতের সাথে নামায আদায় করা গুরুত্বপূর্ণ বিধান। ইচ্ছাকৃত মসজিদের জামাত তরককারীর ব্যাপারে হাদীস শরীফে কঠোর সতর্কবার্তা এসেছে। তাই মসজিদে জামাতে নামায পড়ার ব্যাপারে অধিক যত্নবান হওয়া কর্তব্য।