কোনো রোযাদার বিমানে দূরদেশে সফর করল। গন্তব্যে পৌঁছে দেখল, যে দেশ থেকে সফর করেছে তার তুলনায় বেশ আগে বা পরে প্রায় এক-দু’ঘন্টা ব্যবধানে ইফতারের সময় হয়। এখন তার করণীয় কী?
কোনো রোযাদার বিমানে দূরদেশে সফর করল। গন্তব্যে পৌঁছে দেখল, যে দেশ থেকে সফর করেছে তার তুলনায় বেশ আগে বা পরে প্রায় এক-দু’ঘন্টা ব্যবধানে ইফতারের সময় হয়। এখন তার করণীয় কী?
যে দেশ বা যেখানে অবস্থান করবে সেখানের সূর্যাস্তের হিসেবেই ইফতার করতে হবে।
শেয়ার লিংক-রদ্দুল মুহতার ২/৩৭১
জনৈকা মহিলার রমযান মাসের দিনের বেলায় স্রাব বন্ধ হয়েছে। দয়া করে বলবেন, বাকি সময় সে খাবার-দাবার করতে পারবে কি না?
রমযান মাসের দিনের বেলায় স্রাব বন্ধ হওয়ার পর অবশিষ্ট সময় রমযানের সম্মানার্থে পানাহার থেকে বিরত থাকা জরুরি। অবশ্য ঐ দিনটি রোযার অন্তর্ভুক্ত হবে না। পরবর্তীতে ঐদিনের রোযাও কাযা করতে হবে।
শেয়ার লিংক-মাবসূতে সারাখসী ৩/৫৭; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৬৩; ফাতহুল কাদীর ২/২৮২; আলবাহরুর রায়েক ২/২৯১
এক ব্যক্তি অন্যান্য লোকদের সামনে তার স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেছে, ‘তুই আমার উপর হারাম, হারাম, হারাম।’ ‘হারাম’ শব্দ তিনবার বলেছে। এভাবে বলার দ্বারা কয় তালাক পতিত হয়েছে। উল্লেখ্য যে, তালাকের কোনো সংখ্যা তার নিয়তে ছিল না।
যদি প্রশ্নের বর্ণনা সত্য হয় তাহলে ঐ কথার কারণে স্ত্রীর উপর এক তালাকে বায়েন পতিত হয়েছে। এতে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে। স্বামী যদি ইতোপূর্বে এই স্ত্রীকে দুই তালাক না দিয়ে থাকে তাহলে বিবাহ দোহরানোর অবকাশ রয়েছে। তাই স্বামী-স্ত্রী উভয়ে সুষ্ঠুরূপে পুনরায় দাম্পত্য জীবন গড়তে চাইলে পুনরায় মোহর ধার্য করে কমপক্ষে দুইজন সাক্ষীর সামনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে। এতে করে তারা একে অপরের জন্য হালাল হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য যে, তালাক খুবই নিন্দনীয় বিষয় এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেক ক্ষেত্রে তা স্ত্রীর উপর যুলুমও বটে। আর তালাক এমন স্পর্শকাতর বিষয় যা ইচ্ছা-অনিচ্ছায়, রাগ বা স্বাভাবিক অবস্থায় এমনকি ঠাট্টাচ্ছলে দিলেও কার্যকর হয়ে যায়। তাই এ ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। যেন কিছুতেই এর অপব্যবহার না হয়। আরো উল্লেখ্য যে, এটিই যদি প্রথম বা দ্বিতীয় তালাক হয়ে থাকে তাহলে পর্যায়ক্রমে ভবিষ্যতে দুই বা এক তালাক দিলেই স্ত্রী সম্পূর্ণরূপে হারাম হয়ে যাবে। তখন আর বিবাহ দোহরানোরও কোনো সুযোগ থাকবে না।
শেয়ার লিংক-আলবাহরুর রায়েক ৩/৩০০; আদ্দুররুল মুখতার ৩/৩০৮; রদ্দুল মুহতার ৩/২৯৯; ইমদাদুল মুফতীন ৬২৬
আমি একটি হাউজিং সোসাইটিকে একটি জমি কেনা বাবদ কিছু টাকা পরিশোধ করেছিলাম। কিন্তু কোম্পানীটি বর্তমানে আমাকে জমি দিতে পারছে না বিধায় আমার প্রদত্ত টাকা আমাকে ফেরত দিয়েছে। চেকের মাধ্যমে টাকা ফেরত দিয়েছে। জুন ও জুলাই ২০০৮ এর চেক বিধায়, এখনও চেক ভাঙ্গানো সম্ভব হয়নি।
আমার প্রশ্ন হল যে, ফেরত দেওয়া এই টাকার উপর কি আমাকে বিগত বৎসরগুলোর জন্য যাকাত আদায় করতে হবে কি না? কোম্পানিকে গত সাত/আট বৎসর আগ থেকে কিস্তিতে টাকা দেওয়া হয়েছিল। এ জমিটিতেও বাসস্থান তৈরি করার নিয়ত ছিল।
কোম্পানি থেকে ফেরত দেয়া এ টাকার উপর আপনাকে বিগত বছরসমূহের যাকাত আদায় করতে হবে না; বরং তা হাতে পাওয়ার পর থেকেই যাকাতের হিসাব ধর্তব্য হবে।
শেয়ার লিংক-আলবাহরুর রায়েক ২/২০৯; আদ্দুররুল মুখতার ২/২৭২
হাদীস বলার ক্ষেত্রে তাহকীক করা কি রকম ফরয?
হাদীস বর্ণনা করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা ফরযে আইন। যে কেউ হাদীস বর্ণনা করার আগ্রহ পোষণ করবে তার উপর প্রথম ফরয হল সে শুরুতেই যারা জানে তাদের থেকে নিশ্চিত হয়ে নেবে যে, যে বিষয়টি সে হাদীস হিসাবে বর্ণনা করতে চাচ্ছে তা বাস্তবেই হাদীস কি না; যদি হাদীস হয় তবে তা পূর্ণ সতর্কতার সাথে বর্ণনা করবে যাতে নিজের পক্ষ থেকে তাতে কোনো বৃদ্ধি না ঘটে।
শেয়ার লিংক
মাওলানা আবদুল মালেক সাহেব প্রণীত প্রচলিত জাল হাদীস কিতাব পাঠ করে দেখতে এবং বুঝতে পারলাম যে, আমরা যারা তাবলীগে গিয়ে বয়ান করি ঐ বয়ানে অনেক জাল হাদীস বলে থাকি। এর থেকে বাঁচার উপায় বাতলে দিবেন।
এ থেকে বাঁচার উপায় এটিই যে, কোনো বর্ণনার ব্যাপারে হাদীস বিশেষজ্ঞ থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত সহীহ বলে জানা না যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত মনে যতই আগ্রহ সৃষ্টি হোক না কেন তা বর্ণনা না করা।
ধরুন! আপনি নিজের ব্যাপারে এরূপ অপরিহার্য করে নিতে পারেন যে, আমি ‘রিয়াযুস সালেহীন বা মুন্তাখাব আহাদীস (হযরতজী মাওলানা ইউসুফ রাহ. কৃত)-এর বাইরের কোনো হাদীস বলব না।
ভালোভাবে বুঝে নিন, যদি কোনো রেওয়ায়েতের ব্যাপারে তা সহীহ বলে জানা না থাকা সত্ত্বেও অতি আগ্রহের কারণে তা আপনি বর্ণনা করেন, তবে ঘটনাক্রমে তা সহীহ হলেও আপনি গুনাহগার হবেন। কেননা আপনি তো তা না জেনে বর্ণনা করেছেন।
হাদীস শোনানোর ছওয়াব অর্জনের আগে ‘তাহকীক’ ছাড়া তা শোনানোর গুনাহ থেকে বাঁচার ব্যাপারে যত্নবান হওয়া জরুরি। শরীয়ত ও সুস্থবিবেকের দাবি হল, উপকার লাভের চেয়ে ক্ষতি থেকে বাঁচা অগ্রগণ্য।
শেয়ার লিংক
কোন উদ্দেশ্যে, কখন, কোথায়, কোন বাহানায় কতটুকু যোগ্যতাসম্পন্ন লোক/আলেম হলে জাল হাদীস বর্ণনা করতে পারে? একজন বড় মাপের আলেম বললেন, মানুষকে হেদায়েতের উদ্দেশ্যে ঘটনা হিসাবে জাল হাদীস/ইসরাঈলিয়্যাত বর্ণনা করা যায়। অথচ উপরোক্ত কিতাবে দেখতে পেলাম কোনো বাহানায় জাল হাদীস বলা যাবে না। এ ব্যাপারে বিস্তারিত উত্তর দিয়ে শংকামুক্ত করবেন।
কারো জন্য কোনো বাহানা বা নেক নিয়তেও মওযু ও ভিত্তিহীন রেওয়ায়েত বর্ণনা করা জায়েয নয়। হ্যাঁ, বর্ণনাটি যে মওযু ও ভিত্তিহীন তা বলার জন্য তা আলোচনায় আনা জায়েয। এ ছাড়া বলায় বা লেখায় সেগুলো আনা কখনোই জায়েয নয়।
এ কথা ঠিক নয় যে, কাউকে হেদায়েত করার উদ্দেশ্যে মওযু ও জাল রেওয়ায়েত, কিচ্ছা-কাহিনী আকারে বর্ণনা করা যায়। যা জাল তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বরাতে বর্ণনা করাই হারাম। নবীজির পবিত্র সত্তাকে কিচ্ছা-কাহিনীর বিষয়বস্ত্ত বানানো কত বড় ভয়াবহ ব্যাপার এবং কত জঘণ্য অপরাধ,তা কোনো মুমিনকে বুঝিয়ে বলার দরকার নেই।
তবে যে সব ইসরাঈলী রেওয়ায়েত বা কাহিনী যাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বরাতে বা তাঁর সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি যদি সেগুলো উপদেশমূলক হয় এবং কুরআন-হাদীস পরিপন্থী না হয় সেগুলো বর্ণনা করার অবকাশ রয়েছে। এতটুকু সুযোগের কথা হাদীসদ্বারা প্রমাণিত।
শেয়ার লিংক
পুরুষের জন্য রূপা ছাড়া অন্যান্য ধাতু যথা : লোহা, তামা, পিতল ও অষ্টধাতুর আংটি ব্যবহার করার হুকুম কী? এবং এ ক্ষেত্রে মহিলাদের হুকুম কি পুরুষদের থেকে স্বতন্ত্র নাকি একই?
পুরুষের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ (এক মিছকাল, যা প্রায় সাড়ে চার গ্রাম) রূপার আংটি ব্যবহার করা জায়েয। আর স্বর্ণের ব্যবহার একেবারে নাজায়েয। এছাড়া অন্যান্য ধাতুর আংটি পুরুষ মহিলা উভয়ের জন্যই মাকরূহ। মহিলার জন্য স্বর্ণ-রূপার অলংকার ব্যবহার করা জায়েয। তাদের জন্য এক্ষেত্রে কোনে বিশেষ পরিমাণ নির্ধারিত নেই।
শেয়ার লিংক-সুনানে আবু দাউদ ২/৫৮০; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৮, ৪৯; বাদায়েউস সানায়ে ৪/৩১৭; আল বাহরুর রায়েক ৮/১৯৯
একটি কবর দেখাশুনার দায়িত্ব আমার উপর ন্যস্ত। আমি কবরের উপর থেকে ঘাস কেটে এনে গরুকে খাওয়াই। জনৈক আলেম বললেন, তা থেকে ঘাস কাটা ঠিক নয়। আমি তাকে বললাম, এগুলো না কাটলে এখানে হিংস্র প্রাণীর আস্তানা হয়ে যাবে। তিনি বললেন, তারপরও কাটা ঠিক নয়। এ ব্যাপারে সঠিক সামাধান চাই।
কবরের উপরের গাছপালা বা ঘাসলতা একেবারে সমূলে উৎপাটন না করা ভালো। এসব কিছু আল্লাহর যিকর করে এবং যিকরের দ্বারা মৃত মানুষ উপকৃত হয়। তবে কবরস্থান যেন জঙ্গলে পরিণত না হয়ে যায় সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কাটাকাটি করতে বাধা নেই।
শেয়ার লিংক-সহীহ বুখারী ১/১৮২; ইলাউস সুনান ৮/৩৪৪; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/১৭৩; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২২৭
আমি দাওরা হাদীস পড়ার পর সালে বের হয়েছি। তাবলীগ জামাতের সাথীদের সাথে বিভিন্ন সময় মাসআলা-মাসায়িল মুযাকারা করি। একপর্যায়ে আমি বলেছি যে, বিতর নামাযে দুআয়ে কুনুত পড়া ওয়াজিব কিন্তু তাকবীর বলা ও হাত উঠানো সুন্নত। এক লোক বললেন যে, আমি বড়দের সাথে অনেক সময় লাগিয়েছি। তাদের থেকে শুনেছি যে, দুআয়ে কুনুত পড়া, তাকবীর বলা এবং হাত উঠানো সবই ওয়াজিব। এ ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত জানতে চাই।
লোকটির কথা ঠিক নয়। বিতর নামাযে দুআয়ে কুনুত পড়া ওয়াজিব। কুনূতের সময় তাকবীর বলা নির্ভরযোগ্য মতানুযায়ী সুন্নত। ভুলবশত তা ছুটে গেলে সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে না। আর কুনূতের তাকবীর বলার সময় হাত উঠানোও সুন্নত।
শেয়ার লিংক-আলবাহরুর রায়েক ২/৯৬; রদ্দুল মুহতার ১/৪৬৮; তাহতাবী আলাদ্দুর ১/২২৪
আমি একজন শিক্ষিকা। কুরআন শরীফ পড়াই। তাই জানতে চাই, মেয়েদের মাসিক চলাকালীন কুরআন শরীফ পড়ানোর পদ্ধতি কী?
ঋতুমতী মহিলার জন্য কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করা নিষিদ্ধ। এ সময়ে কাউকে শিখানোর উদ্দেশ্যেও তা পড়া যাবে না। এক্ষেত্রে শেখানোর জন্য অন্য কোনো ব্যবস্থা রাখা উচিত। অবশ্য ভিন্ন ব্যবস্থা না থাকলে একটি করে শব্দ বলে দিবে এবং প্রত্যেক শব্দের পর ওয়াকফ করবে। এছাড়া বানান করেও পড়া বলে দিতে পারবে।
উল্লেখ্য, ঋতুমতী মহিলার জন্য কুরআন শ্রবণ করা জায়েয, তাই এ অবস্থায় ছাত্রীদের পড়া শুনতে কোনো অসুবিধা নেই।
শেয়ার লিংক-জামে তিরমিযী ১/৩৪; আলমুহীতুল বুরহানী ১/৪০৩; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৩০; আদ্দুররুল মুখতার ১/২৯৩
আমরা জানি, মাহরামের সম্মুখে মহিলাদের পূর্ণ শরীর ঢেকে রাখা জরুরি নয়। কিন্তু ঘরে মাহরাম থাকাকালীন নামায পড়লে পূর্ণ শরীর ঢাকা জরুরি কি না? জানিয়ে বাধিত করবেন।
নামাযে শরীর ঢাকার মাসআলা ভিন্ন। অন্য কেউ সামনে থাকা না থাকার সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। এক্ষেত্রে মাসআলা হল, মহিলাদের জন্য নামাযের সময় চেহারা, কব্জি পর্যন্ত উভয় হাত এবং উভয় পা টাখনু গিরা পর্যন্ত খুলে রাখা জায়েয। এছাড়া অবশিষ্ট পুরো শরীর ঢেকে রাখা জরুরি। আর পায়ের পাতা ঢেকে রাখা উত্তম।
নামায অবস্থায় উপরোক্ত নিয়মে শরীর ঢেকে রাখা মহিলাদের জন্য সর্বদা পালনীয় বিষয়। চাই নামায নির্জনে পড়া হোক বা মাহরামের সামনে পড়া হোক।
শেয়ার লিংক-আলমুহীতুল বুরহানী ২/১৪; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/৪১৪; আদ্দুররুল মুখতার ১/৪০৪-৪০৫
ভুলবশত বিতর নামাযে দুআয়ে কুনূত জোরে পড়ার দ্বারা সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে কি না? আমাদের মহল্লার ইমাম সাহেব বলেছেন, সাহু সিজদা করতে হবে না। উক্ত ইমাম সাহেবের কথা কতটুকু সঠিক জানালে উপকৃত হব।
দুআ কুনূত আস্তে পড়া মুস্তাহাব। জোরে পড়লে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।
শেয়ার লিংক-আলবাহরুর রায়েক ২/৯৭; তাহতাবী আলাল মারাকী ২৫১; রদ্দুল মুহতার ২/৮২
আমাদের গ্রামের এক কৃষক আমার আববার কাছ থেকে কৃষিকাজের জন্য ষোল হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। যখন ফসল হয় তখন তিনি ফোন করে জানান যে, আমার কাছে নগদ টাকা নেই, আপনি ইচ্ছা করলে বর্তমান বাজার দরে ষোল হাজার টাকার ধান নিয়ে যান। এখন জানার বিষয় হল, আমার আববার জন্য টাকা না নিয়ে ধান নেওয়া জায়েয হবে কি না?
হ্যাঁ, প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী যেহেতু ঋণ গ্রহণের সময় উভয় পক্ষের ‘কর্যে হাসানা’ আদান-প্রদানই উদ্দেশ্য ছিল, পরবর্তীতে টাকার পরিবর্তে ধান নেয়ার শর্ত ছিলনা; বরং টাকাই নেয়ার কথা ছিল তাই এখন আপনার আববা পাওনা টাকার পরিবর্তে ধান গ্রহণ করতে পারবেন।
শেয়ার লিংক-বাদায়েউস সানায়ে ৪/৩৯৯; আদ্দুররুল মুখতার ৪/৫১৭
আমার বিবাহের সময় স্বামীর পক্ষ থেকে আমাকে স্বর্ণালংকার ও হীরার অলংকার দেওয়া হয়। এগুলো আমি ব্যবহার করে থাকি। স্বর্ণালংকারের যাকাত আদায় করি। প্রশ্ন হল, হীরার অলংকারের যাকাত দিতে হবে কি না?
হীরার উক্ত অলংকারের উপর যাকাত ফরয নয়। তবে হীরার অলংকারে স্বর্ণ-রূপা থাকলে সেই সোনা-রূপার যাকাত দিতে হবে।
শেয়ার লিংক-আলবাহরুর রায়েক ২/২২৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৭২; আদ্দুররুল মুখতার ২/২৭৩
জনৈক ব্যক্তি রমযান মাসে দিনের বেলায় রোযা অবস্থায় সফরে বের হয়। সফরের একপর্যায়ে এই ভেবে সে রোযা ভেঙ্গে ফেলে যে, সফরে তো রোযা না রাখার সুযোগ আছে। এখন আমার জানার বিষয় হল, এই ব্যক্তির রোযা ভেঙ্গে ফেলা কি ঠিক হয়েছে? আর পরবর্তীতে তাকে কি শুধু উক্ত রোযাটি কাযা করতে হবে? নাকি কাযা কাফফারা উভয়টিই ওয়াজিব হবে?
ঐ ব্যক্তির রোযা ভেঙ্গে ফেলা নাজায়েয হয়েছে। এ রোযা পূর্ণ করা জরুরি ছিল। সফরের কারণে রোযা ভাঙ্গা যায় না। সফর অবস্থায় দিনের শুরু থেকে রোযা না রাখার সুযোগ আছে। রোযা রেখে বিনা ওযরে ভেঙ্গে ফেলার সুযোগ নেই। অবশ্য এ ক্ষেত্রে রোযা ভেঙ্গে ফেলার দরুণ তার উপর শুধু কাযা ওয়াজিব হবে। কাফফারা ওয়াজিব হবে না।
শেয়ার লিংক-মাবসূতে সারাখসী ৩/৬৮; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৫৮; তাহতাবী আলাল মারাকী ৩৭৪; আলবাহরুর রায়েক ২/২৯০; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪৩১
জনৈক ব্যক্তি রমযান মাসে দিনের বেলায় সফর করার ইচ্ছা করে। তাই সে সফরে রোযা রাখলে কষ্ট হবে ভেবে এবং সফরকালে রোযা না রাখার সুযোগ আছে বলে ঐ দিনের রোযার নিয়ত না করে সকাল বেলায় পানাহার করে সফরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। এখন আমার প্রশ্ন হল, এভাবে সফর শুরুর পূর্ব থেকে রোযা না রাখা তার জন্য বৈধ হয়েছে কি না? আর এ অবস্থায় তার উপর কাযা, কাফফারা উভয়টিই ওয়াজিব হবে নাকি শুধু কাযা করা ওয়াজিব হবে?
প্রশ্নোক্ত ব্যক্তির রোযা না রাখাটা বৈধ হয়নি। এজন্য তাকে ইস্তিগফার করতে হবে। কেননা সফরের কারণে রোযা না রাখার সুযোগ ঐ সময় প্রযোজ্য হবে যখন দিনের শুরু অর্থাৎ সুবহে সাদিকের শুরুতেই মুসাফির থাকে। আর এক্ষেত্রে যেহেতু সে রোযার নিয়তই করেনি তাই রোযাটি না রাখার কারণে তার উপর কাফফারা আসবে না। শুধু কাযা করতে হবে।
শেয়ার লিংক-আলবাহরুর রায়েক ২/২৯১; আননাহরুল ফায়েক ২/২৭; হেদায়া-ফাতহুল কাদীর ২/২৮৮
আমি রমযান মাসের এক রাত্রে সাহরীর শেষ সময়ের পাঁচ মিনিট আগে ঘুম থেকে জেগেছি। অল্প সময় বাকি থাকায় খানা খাওয়ার পরিবর্তে তিন গ্লাস পানি পান করি। জানতে চাই, সাহরী খাওয়ার সুন্নত আদায় হয়েছে কি না?
হ্যাঁ, সাহরীর সুন্নত আদায় হয়েছে। শুধু পানি পান করলেও সাহরীর সুন্নত আদায় হয়। হাদীস শরীফে এসেছে, ‘সাহরী বরকতময় খানা। এক ঢোক পানি পান করে হলেও তা গ্রহণ কর। কেননা যারা সাহরী খায় তাদের উপর আল্লাহর রহমত নাযিল হয় এবং ফেরেশতাগণ তাদের জন্য দুআ করেন।’
শেয়ার লিংক-মুসনাদে আহমদ ৩/১২; আলবাহরুর রায়েক ২/২৯২
রোযা অবস্থায় মুনাজাতের সময় চোখ থেকে এক ফোঁটা অশ্রু ঝরে পড়ে। মুখ খোলা থাকায় তা মুখে চলে যায়। প্রশ্ন হল, এতে আমার রোযা ভঙ্গ হয়েছে কি?
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে রোযাটি নষ্ট হয়নি। কেননা এক-দুই ফোঁটা অশ্রু মুখে গেলে রোযা নষ্ট হয় না।
উল্লেখ্য যে, যদি মুখে এত বেশি পরিমাণ অশ্রু গড়িয়ে পড়ে যে, পুরো মুখে অশ্রুর লবণাক্ততা অনুভূত হয় এবং রোযাদার তা গিলে ফেলে তাহলে সেক্ষেত্রে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
শেয়ার লিংক-আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৪৯-৩৫০; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/৩৬৯; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৫৩; রদ্দুল মুহতার ২/৪০৩-৪০৪
জনৈক ব্যক্তি তার ছেলের কল্যাণের জন্য মান্নত করল এই বলে যে, ‘আমি আল্লাহর জন্য একটি গরু জবাই করব।’ জানতে চাই, এই কথা বলার দ্বারা তার উপর গরু জবাই করা ওয়াজিব হবে কি?
‘আল্লাহর জন্য গরু জবাই করব’ এ কথার দ্বারা যেহেতু সাধারণত জবাইকৃত গরুর গোশত সদকা করাই উদ্দেশ্য হয়ে থাকে তাই এ কথা বললে তা মান্নত হয়ে যায়। অতএব উক্ত মান্নত পুরা করা জরুরি।
শেয়ার লিংক-ফাতহুল কাদীর ৪/৩৭৫; রদ্দুল মুহতার ৩/৭৪০; ইমদাদুল ফাতাওয়া ২/৫৫৭
এক ব্যক্তি জামাতের নামাযে রুকুতে এমন সময় শামিল হয় যে, সে একবারও পূর্ণভাবে রুকুর তাসবীহ পড়তে পারেনি। তাহলে এ অবস্থায় রুকু ও রাকাত পেয়েছে বলে ধরা হবে কি? নাকি একবার পূর্ণ তাসবীহ পড়ার সুযোগ পেলে রাকাত পাওয়া গণ্য করা হবে? কেননা কোনো কোনো সময় এরূপ হয়ে থাকে যে, আগন্তুক তাকবীর বলে রুকুতে যাচ্ছে আর ইমাম সাহেব ‘সামিআল্লাহু বলে রুকু থেকে উঠছেন।
রাকাত পাওয়ার জন্য রুকু পাওয়া জরুরি। আর রুকু পাওয়ার জন্য ইমামকে রুকু অবস্থায় পেতে হবে। সামান্য সময়ের জন্য হলেও ইমামের সাথে রুকুতে শরীক হতে হবে। তবেই রুকু পেয়েছে বলে গণ্য হবে। ইমামের সাথে রুকুর তাসবীহ পড়া জরুরি নয়, কিন্তু যদি ইমামকে রুকু অবস্থায় পাওয়া না যায় অর্থাৎ মুক্তাদী যখন রুকুতে পৌঁছেছে তখন ইমাম রুকু অবস্থায় নেই তাহলে এ রাকাত পায়নি বলে বিবেচিত হবে।
শেয়ার লিংক-মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ২/৪৩৩; শরহুল মুনিয়া ৩০৫; ফাতহুল কাদীর ১/৪২০; আদ্দুররুল মুখতার ২/৬০
এক ব্যক্তির পিতা উপার্জনে অক্ষম হয়ে গেছে। সে তার একমাত্র ছেলেকে সমুদয় সম্পদের মালিক বানিয়ে দিয়েছে। এই ছেলে ব্যতিত তার অন্য কোনো সন্তানও নাই। এখন সে সম্পূর্ণরূপে ছেলের উপর নির্ভরশীল।
এখন প্রশ্ন হল, এমতাবস্থায় ছেলের উপর পিতার সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হবে কি না?
পিতা ছেলের উপর নির্ভরশীল হলেও ছেলের সম্পদ থেকে পিতার সদকায়ে ফিতর আদায় করা ওয়াজিব হবে না। বরং পিতার মালিকানায় নেসাব পরিমাণ প্রয়োজন অতিরিক্ত সম্পদ থাকলে পিতার উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হবে। অন্যথায় নয়।
শেয়ার লিংক-আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৮৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৯৩; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২২৮; আল এখতিয়ার ১/১৩১; রদ্দুল মুহতার ২/৩৬৩
আমাদের এলাকার এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে একটি বায়েন তালাক দিয়েছে সে এর আগে একে কোনো তালাক দেয়নি, এটিই প্রথম। এখন তারা দুজনেই অনুতপ্ত। তারা আবার একসাথে থাকতে চায়। এখন প্রশ্ন হল, তারা কি ইদ্দতের ভিতরেই বিয়ে করতে পারবে? নাকি ইদ্দতের পর বিয়ে করতে হবে? দ্বিতীয়ত বিবাহের পরে কি নতুন করে মহর দিতে হবে নাকি পূর্বের মহরই যথেষ্ট হবে?
প্রশ্নোক্ত অবস্থায় তারা ইদ্দতের ভিতরেও নতুন করে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে। আর এ বিবাহে নতুন করে মহর ধার্য করতে হবে। পূর্বের মহর যথেষ্ট হবে না।
শেয়ার লিংক-হেদায়া ২/৩৯৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৪৭২; আলবাহরুর রায়েক ৪/৫৬, আদ্দুররুল মুখতার ৩/১০২, ৪০৯
আমাদের গ্রামে মসজিদের বাইরে জানাযার জন্য ভিন্ন জায়গা আছে। কয়েকদিন আগে এক ব্যক্তির জানাযার নামাযের পর লাশ উঠানোর সময় দেখা গেল, খাটিয়ার নিচে কিছু মাটি ভেজা। পরে জানা গেছে যে, সেখানে গরু প্রস্রাব করেছিল। জানতে চাই, এ রকম ক্ষেত্রে আমাদের জানাযার নামায আদায় হয়েছে কি না?
যে খাটিয়ায় লাশ রাখা হয়েছে তা পাক থাকলে আপনাদের জানাযার নামায আদায় হয়ে গেছে। খাটিয়ার নিচের জায়গাটি নাপাক হলেও অসুবিধা নেই। এ কারণে জানাযা নামায পুনরায় পড়তে হবে না। বরং খাটিয়া পাক থাকলেই জানাযা আদায় হয়ে যাবে। তবে মৃতের সম্মানার্থে খাটিয়া রাখার স্থানও পবিত্র হওয়া চাই।
শেয়ার লিংক-আলবাহরুর রায়েক ২/১৭৯; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/১৫৬; আননাহরুল ফায়েক ১/৩৯০
আমার এক বন্ধু জন্মের তিন মাস পর তার মা অসুস্থ হওয়ার কারণে কিছু দিন তার নানীর দুধ পান করে। এখন সে তার এক মামাতো বোনকে বিবাহ করতে চাচ্ছে। কিন্তু এলাকার অনেকেই এই বলে বাধা দিচ্ছে যে, তার জন্য তার মামাতো বোনকে বিবাহ করা জায়েয নয়। আবার কেউ কেউ বলছেন যে, এই বিবাহে কোনো সমস্যা নেই। প্রশ্ন হল, কাদের বক্তব্য সঠিক? আমার বন্ধু কি তার মামাতো বোনকে বিবাহ করতে পারবে?
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার বন্ধু তার মামাতো বোনকে বিবাহ করতে পারবে না। নানীর দুধ পান করার কারণে তার মামা তার দুধ ভাই হয়ে গেছে। ফলে মামাতো বোন তার দুধ সম্পর্কীয় ভাতিজী। তাই যারা এই বিবাহ নাজায়েয বলেছে তাদের বক্তব্যই সঠিক।
শেয়ার লিংক-সহীহ বুখারী হাদীস ৫১০০; তাফসীরে কুরতুবী ৫/৫২; বাদায়েউস সানায়ে ৩/৩৯৬; আলমাবসূত সারাখসী ৫/১৩৩
আমার পিতা এক মাস বেহুশ থাকার পর ইন্তেকাল করেন। প্রশ্ন হল, বেহুশ অবস্থায় তার যে নামাযগুলো কাযা হয়েছে তার ফিদয়া দেওয়া জরুরি কি না?
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার পিতার উপর ঐ এক মাসের নামায ফরয ছিল না। কারণ ছয় ওয়াক্ত বা তার বেশি সময় বেহুশ থাকলে এ সময়ের নামায মাফ হয়ে যায়। তাই এর কাযা করা বা ফিদ্য়া দেওয়া কিছুই লাগবে না।
শেয়ার লিংক-ইবনে আবী শায়বা ৩/৪৩৫; ইলাউস সুনান ৭/২১৯; আলমুহীতুল বুরহানী ২/৩২; হেদায়া ১/১৬২
আমার একটি মূল্যবান ঘড়ি হারিয়ে যায়। এক প্রতিবেশী তা পেয়ে আমাকে ফেরৎ দেয়। আমি খুশি হয়ে তাকে একটি কলম উপহার দিয়েছি। প্রশ্ন হল, হারানো বস্ত্তর সন্ধানদাতাকে উপহার দেওয়া কি বৈধ?
হাঁ, হারানো বস্ত্তর সন্ধানদাতাকে উপহার দেওয়া জায়েয এবং শরীয়তের দৃষ্টিতে তা পছন্দনীয় কাজ।
শেয়ার লিংক-আলবাহরুর রায়েক ৫/১৫৪; মাবসূতে সারাখসী ১১/১৯; রদ্দুল মুহতার ৪/২৮০
এক ব্যক্তি মান্নত করল, আমার সন্তান সুস্থ হলে আমি আমার সম্পত্তি থেকে ত্রিশ হাজার টাকা সদকা করব। অথচ তার মালিকানাধীন সমুদয় সম্পত্তির মূল্য মাত্র বিশ হাজার টাকা। অতঃপর তার ছেলে সুস্থ হয়েছে। এমতাবস্থায় তাকে কত টাকা সদকা করতে হবে?
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তির সমুদয় সম্পদের মূল্য যা হয় সে পরিমাণই মান্নত হিসেবে সদকা করতে হবে। অর্থাৎ বিশ হাজার টাকা সদকা করতে হবে। এতেই তার মান্নত পূর্ণ হয়ে যাবে। এর বেশি অর্থাৎ পূর্ণ ত্রিশ হাজার টাকা দেওয়া জরুরি নয়। উল্লেখ্য যে, ঐ ব্যক্তি এক্ষুণি পুরো বিশ হাজার টাকা আদায় করলে যদি সংসারের খরচ চালানো কষ্টকর হয়ে যায় তবে ধীরে ধীরে আদায়ের সুযোগ আছে।
শেয়ার লিংক-জামে তিরমিযী ১/২৭৯; আল মুহীতুল বুরহানী ৬/৩৫৩; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২৪০; মাজমাউল আনহুর ২/২৭৬
আমি আমাদের বাজারের এক দোকানদার থেকে দুটি কাপড় নিয়েছি এই শর্তে যে, আমার মা দুটি থেকে যে কাপড়টি পছন্দ করবেন সেটি খরিদ করব। দোকানদার উভয়টির পৃথক পৃথক মূল্য বলে দেয়। শর্ত ছিল, ১দিনের মধ্যে তা ফেরত দিব। কিন্তু বাড়িতে আনার পর ঘরে আগুন লেগে কাপড় দুটি পুড়ে যায়। এখন দোকানদার আমার নিকট উভয়টির মূল্য দাবি করছে। এমতাবস্থায় আমার জন্য কি উভয় কাপড়ের মূল্য আদায় করতে হবে?
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে দুটি কাপড়ের মধ্যে শুধু ফেরতযোগ্য কাপড়ের মূল্য আদায় করতে হবে না। অপর কাপড়ের মূল্য আদায় করতে হবে। আর এ অবস্থায় ফেরতযোগ্য কাপড়টি যেহেতু চিহ্নিত করা যাচ্ছে না তাই উভয় কাপড়ের অর্ধেক মূল্য আদায় করতে হবে।
শেয়ার লিংক-হেদায়া ৩/১৮; তাবয়ীনুল হাকায়েক ২/২২; আলমুহীতুল বুরহানী ১০/৩৮
মসজিদের বাইরে মাদরাসার স্থায়ী ঘরের ব্যবস্থা হওয়া পর্যন্ত আবাসিক ছাত্ররা মসজিদের আদব রক্ষা করে অস্থায়ীভাবে মসজিদে পড়াশুনা করতে ও থাকতে পারবে কি না? জানিয়ে বাধিত করবেন।
দ্বীনী তা’লীমও মসজিদের আমলসমূহের অন্তর্ভুক্ত। তাই মসজিদের আদব রক্ষা করে এবং মুসল্লীদের ইবাদতে ক্ষতি না করে মসজিদে দ্বীনী তালীম দেওয়া জায়েয আছে।
এক্ষেত্রে অন্যত্র ব্যবস্থা হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য মসজিদে অস্থায়ীভাবে অবস্থান করাও জায়েয। শিক্ষকমন্ডলীর দায়িত্ব থাকবে তারা যেন মসজিদের আদব রক্ষার প্রতি যত্নবান হন। আর মাদরাসার জন্য পৃথক ঘর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রস্ত্তত করে নিতে হবে।
শেয়ার লিংক-সহীহ বুখারী ১/৬৩; উমদাতুল কারী ৪/১৯৮; শরহুল মুনিয়া পৃ.৬১১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১১০; আলবাহরুর রায়েক ২/৩৪; ফাতাওয়া সিরাজিয়া পৃ. ৭১; ই’লামুস সাজিদ বিআহকামিল মাসাজিদ পৃ. ৩০৬-৩০৭; রদ্দুল মুহতার ১/৬৬২