...।
...।
আপনার প্রশ্নের উত্তর সরাসরি কিংবা ফোনে জেনে নিন।
শেয়ার লিংক
আমাদের দেশে একটি কোম্পানি রয়েছে, যারা এম. এল. এল. পদ্ধতি অনুযায়ী লোক ভর্তি করার মাধ্যমে তাদের কোম্পানিকে পরিচালিত করে আসছে এবং তারা সদস্যদেরকে এই আশা দিয়ে থাকে যে, তাদের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করলে প্রতি মাসে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা অর্জন করা যাবে।
আমাদের এলাকায় এর কার্যক্রম বেশ প্রচলিত। অনেকেই সদস্য হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আমাকেও অনেকে এ কাজ করতে বলছে। আমারও মাসিক বেতন এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা হবে বলে আশা দিচ্ছে।
এখন আমার প্রশ্ন হল এই যে, উক্ত কোম্পানির সদস্য হয়ে তাদের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা উপার্জন করা বৈধ হবে কি? বিস্তারিত দলীল-প্রমাণসহ জানালে কৃতজ্ঞ হব।
এম.এল.এল. পদ্ধতি বহু কারণে শরীয়তসম্মত নয়। এ পদ্ধতির ব্যবসা শরীয়ত সমর্থন করে না। সুতরাং এ পদ্ধতি অনুসৃত সকল কোম্পানির ব্যবসা নাজায়েয।
উল্লেখ্য. দেশের বিজ্ঞ মুফতীদের সমন্বয়ে গঠিত বেফাকুল মাদারিস মুফতী বোর্ড ঢাকা দীর্ঘ গবেষণা ও পর্যালোচনার পর উক্ত এম.এল.এল কারবারকে সম্পূর্ণ শরীয়ত বিরোধী ও নাজায়েয হওয়ার ফতওয়া প্রদান করেছে। উক্ত ফতওয়া দেশের নির্ভরযোগ্য ফতওয়া বিভাগ এবং বড় বড় মাদরাসার মুফতীদের স্বাক্ষরসহ পুস্তিকা আকারে প্রকাশিত হয়েছে। যাত্রাবাড়ির কাজলায় অবস্থিত বেফাক অফিস থেকে পুস্তিকাটি সংগ্রহ করে পড়লে এ সম্পর্কিত শরয়ী দলিলাদি সহজেই জানা সম্ভব।
শেয়ার লিংক
সৎ দাদী (তথা আপনা দাদী নয়) কে যাকাত ও ফেতরা দেওয়া জায়েয হবে কি না?
হ্যাঁ, সৎ দাদীকে যাকাত-ফেৎরা দেওয়া যাবে।
-বাদায়েউস সানায়ে ২/১৬২; ফাতহুল কাদীর ২/২০৯; আলবাহরুর রায়েক ২/২৪৩; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৪২; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/২৭৩; রদ্দুল মুহতার ২/৩৪৬শেয়ার লিংক
আমার এক খালাত ভাই মুদীব্যবসায়ী। সে কিছুদিন আগে দু’ লাখ টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করার সময় আমাকে বলে, তুমি আমার দোকানে টাকা বিনিয়োগ কর। তোমার টাকার যা লাভ হবে তার পুরোটাই তুমি পাবে এবং ব্যবসায় তোমাকে কোনো শ্রমও দিতে হবে না। আমি এ শর্তে তার ব্যবসায় এক লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসার এক তৃতীয়াংশের অংশীদার হয়ে যাই।
জানার বিষয় হল, আমাদের উক্ত চুক্তি বৈধ হয়েছে কি না? আর চুক্তি অনুযায়ী লাভের এক তৃতীয়াংশ আমি নিতে পারব কি না? জানিয়ে কৃতজ্ঞ করবেন।
প্রশ্নোক্ত চুক্তিটি বৈধ হয়েছে এবং চুক্তি অনুযায়ী পুরো ব্যবসার লাভের এক তৃতীয়াংশ আপনি নিতে পারবেন। আর ব্যবসায় লোকসান হলে আপনার মূলধন অনুযায়ী ক্ষতি বহন করতে হবে।
-ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৩২০; বাদায়েউস সানায়ে ৫/৮৩; আলবাহরুর রায়েক ৫/১৭৭; মিনহাতুল খালেক ৫/১৭৫; রদ্দুল মুহতার ৪/৩১৩ ও ৫/৬৪৭শেয়ার লিংক
কামাল সাহেব তিন পুত্র রেখে ইন্তেকাল করেন। ইন্তেকালের সময় তার মালিকানায় শুধুমাত্র ১টি সাবানের ফ্যাক্টরি ছিল। তার তিন ছেলে দীর্ঘ দিন যাবৎ ফ্যাক্টরির যা আয় হত তা সমানভাগে বন্টন করে নিত। বর্তমানে এক ছেলে পারিবারিক কলহে লিপ্ত হয়ে ফ্যাক্টরিটি বন্টন করতে চাচ্ছে। কিন্তু যদি তা বন্টন করা হয় তাহলে তা থেকে কোনো আয়ের সম্ভাবনা নেই। তাই অন্য ভাইরা বন্টনে সম্মত নয়। এ অবস্থায় এক ভাইয়ের দাবি অনুযায়ী ফ্যাক্টরিটি বন্টন করা জরুরি কি না? দয়া করে জানাবেন।
প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী যেহেতু কারখানাটি উৎপাদন উপযোগী রেখে বন্টন করা সম্ভব নয় তাই এ পরিস্থিতিতে সকল মালিকের সম্মতি ছাড়া তা বন্টন করা যাবে না। শুধু একজনের দাবি মেনে তা বন্টন করা জরুরি নয়। কেউ অংশিদার না থাকতে চাইলে কারখানার ন্যায্য মূল্য হিসাব করে অন্য অংশিদারগণ তাকে তার পাওনা বুঝিয়ে দিবে। কিংবা শরীকদের সম্মতিতে অন্য কারো কাছে তার শেয়ার বিক্রিও করে দিতে পারে।
-ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২০৪; বাদায়েউস সানায়ে ৫/৪৬৬; ফাতাওয়া খানিয়া ৩/১৪৯; আদ্দুররুল মুখতার ৬/২৫৪শেয়ার লিংক
আমাদের মসজিদে তাবলীগ জামাতের গাস্তের দিন এক ব্যক্তি ঈমান-একিনের কথা শুনার জন্য এক হিন্দু ব্যক্তিকে মসজিদে নিয়ে আসে এবং সে দীর্ঘ সময় মসজিদে বসে দ্বীনী কথা শুনে। এখন আমার জানার বিষয় হল, অমুসলিম ব্যক্তির জন্য কি মসজিদে প্রবেশ করা জায়েয আছে? এবং উক্ত ব্যক্তি জেনেশুনে অমুসলিম ব্যক্তিকে মসজিদে এনে কি ঠিক কাজ করেছেন? জানিয়ে উপকৃত করবেন।
দ্বীনী উদ্দেশ্যে হিন্দু বা বিধর্মীকে মসজিদে নিয়ে আসা জায়েয। হাদীস শরীফে এসেছে,‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনু ছাকিফ গোত্রের কাফের প্রতিনিধি দলকে মসজিদে রেখেছিলেন, যাতে তারা কুরআন শুনে দ্বীনের দিকে ধাবিত হয়। অতএব ঐ হিন্দু লোকটিকে মসজিদে নিয়ে এসে সে কোনো অন্যায় করেনি।
-শরহুস সিয়ারুল কাবীর ১/৯৬; বাদায়েউস সানায়ে ৪/৩০৭; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৬৮; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩৭৭; আলজামিউস সগীর ৪৮২; আলবাহরুর রায়েক ৮/২০৩; আহকামুল কুরআন জাসসাস ৩/৮৮শেয়ার লিংক
আমাদের বাড়ির পাশে একটি বড় বাজার আছে। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এ বাজারে আসে। অনেকেই সাইকেলে করে বাজারে আসেন এবং এক ব্যক্তির দোকানে হেফাযতের জন্য রাখেন। দোকানের মালিক এর জন্য সময় অনুপাতে নির্ধারিত ফি নিয়ে থাকে। যেমন ঘন্টা প্রতি ১/২ টাকা। জানতে চাই, সাইকেল জমা রেখে এভাবে ফি গ্রহণ করা জায়েয হবে কি না?
হ্যাঁ, সাইকেল হেফাযতের জন্য ঘন্টা হিসাবে বিনিময় গ্রহণ করা বৈধ হবে।
-মাজাল্লাতুল আহকামিল আদলিয়্যাহ মাদ্দা : ৭৭৭; শরহুল মাজাল্লাহ খালিদ আতাসী ৩/২৪২; শরহুল মাজাল্লাহ, সীলম বায ১/৪৩১; আদ্দুররুল মুখতার ৫/৬৬৪শেয়ার লিংক
জনৈক ব্যক্তি রমযানের প্রথম রোযার দিন এই নিয়ত করে যে, আমি পূর্ণ এক মাসের রোযা রাখার নিয়ত করলাম। জানার বিষয় হল, উক্ত ব্যক্তির এই নিয়তের দ্বারা পূর্ণ এক মাসের রোযা আদায় হবে কি না? রমযান মাসে আমরা সেহরী খাই কিন্তু রোযার নিয়ত করি না। সেহরী খাওয়ার দ্বারাই কি রোযার নিয়ত হয়ে যাবে?
রমযান মাসের প্রত্যেক রোযার জন্য প্রতিদিন পৃথক পৃথক নিয়ত করা শর্ত। এক সাথে পুরো মাসের নিয়ত করা যথেষ্ট নয়। তবে রোযার উদ্দেশ্যে সেহরী খাওয়াও রোযার নিয়তের অন্তর্ভুক্ত। মৌখিক নিয়ত করা জরুরি নয়।
-সহীহ বুখারী ১/২; ফাতাওয়া হিন্দিয় ১/১৯৫; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২০০-২০১; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৫১; আলবাহরুর রায়েক ২/২৫৯; বাদায়েউস সানায়ে ২/২২৫; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৪৪; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/৩৫৭; আদ্দুররুল মুখতার ২/৩৭৯শেয়ার লিংক
কুরআন শরীফ পড়ার সময় যখন সিজদার আয়াত আসে তখন মাঝে মাঝে আমি তা মনে মনে পড়ি। আমার জানার বিষয় হল, মনে মনে সিজদার আয়াত পড়ার দ্বারা সিজদায়ে তেলাওয়াত ওয়াজিব হবে কি না?
আয়াতে সিজদা মুখে উচ্চারণ না করে মনে মনে জপলে সিজদায়ে তেলাওয়াত ওয়াজিব হয় না। তাই যে সকল ক্ষেত্রে সিজদার আয়াত মনে মনে পড়েছেন ঐ সকল ক্ষেত্রে সিজদা ওয়াজিব হয়নি। উল্লেখ্য, তেলাওয়াতের মাঝে সিজদার আয়াত আসলে তা স্বাভাবিকভাবে তিলাওয়াত না করে মনে মনে পড়ে নেওয়া ঠিক নয়।
-খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১৮৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৩২; হাশিয়াতুত্তাহতাবী আলাদ্দুর ১/৩২২; শরহুল মুনইয়্যাহ পৃ. ৫০০; রদ্দুল মুহতার ২/১০৪শেয়ার লিংক
আমার এক বন্ধু একটি রোপার আংটি দিয়েছে যার উপর হীরার পাথর লাগানো আছে। আমর জানার বিষয় হল, পুরুষের জন্য কি হীরার ঐ আংটি ব্যবহার করা জায়েয আছে? দয়া করে জানিয়ে উপকার করবেন।
হ্যাঁ, হীরার পাথর বিশিষ্ট রোপার আংটি ব্যবহার করা পুরুষের জন্যও জায়েয।
-জামে তিরমিযী ৪/২১৮; আলজামিউস সগীর ৪৭৭; হিদায়া (ফাতহুল কাদীর) ৮/৪৫৭; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৫০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৩৫; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩৭০; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩৬০শেয়ার লিংক
সাধারণত পুরুষদের লাশে সুগন্ধি লাগানো হয়। এখন জানার বিষয় হল, মহিলাদের লাশেও কি সুগন্ধি লাগানো যাবে?
হ্যাঁ, মহিলাদের লাশেও সুগন্ধি ব্যবহার করা মুস্তাহাব।
-মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৩/৪১৬; শরহুল মুনইয়্যাহ পৃ. ৫৭৯; হাশিয়াতুত্তাহতাবী আলাদ্দুর ১/৩৬৭; আননাহরুল ফায়েক ১/৩৮৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৬১; আলবাহরুর রায়েক ২/১৭৩শেয়ার লিংক
আমাদের মসজিদে ইমাম সাহেব তারাবীর নামাযের শেষ বৈঠকে এ পরিমাণ বসার পর সালাম ফিরিয়ে দেন যে সময়ে শুধু তাশাহহুদ পড়া যায়। দুরূদ ও দুআ পড়া যায় না। এখন আমার জানার বিষয় হল, তারাবীর নামাযে ইমামের জন্য দরূদ ও দুআ পড়ার কি হুকুম? পড়বে, না পড়বে না।
অন্য নামাযের মতো তারাবীতেও শেষ বৈঠকে দুরূদ ও দুআ পড়া সুন্নত। ইমাম-মুক্তাদী সকলের জন্যই সুন্নত। ইমামের উচিত শেষ বৈঠকে দুআ-দুরূদ এমন ধীর গতিতে পড়া যেন ঐ সময়ের মধ্যে মুক্তাদীদের দুরূদ ও দুআ পড়া সম্ভব হয়। তারাবীহ নামাযে এগুলো পড়তে হবে না এমন কোনো নিয়ম নেই। ইমাম-মুক্তাদী সকলের জন্য তা পড়া সুন্নত।
-আলবাহরুর রায়েক ২/৬৯; শরহুল মুনইয়্যাহ পৃ. ৪০৮-৪০৯; তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/১৭৯; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৬৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১১৭শেয়ার লিংক
এক ব্যক্তি বালেগ হওয়ার পর থেকে তিন বছর যাবৎ ঈদের নামায ব্যতিত অন্য কোনো নামায পড়েনি। এখন সে দ্বীনী বুঝ আসার পর নামায পড়া আরম্ভ করেছে। আর বিগত জীবনের নামাযগুলো কাযা করতে চায়। তবে কিভাবে পড়বে জানে না। অনুগ্রহ করে জানাবেন বিগত জীবনের নামায আদায় করার জন্য নিয়ত করবে কিভাবে?
ঐ ব্যক্তি বিগত দিনের কাযা নামাযগুলোর জন্য এভাবে নিয়ত করবে, আমার জীবনের অনাদায়ী প্রথম ফজর আদায় করছি। পরবর্তী ফজরও প্রথম অনাদায়ী ফজরের নিয়তে আদায় করবে। যোহর, আসর ইত্যাদি ওয়াক্তও একই নিয়মে পড়বে। অর্থাৎ অনাদায়ী প্রথম যোহর পড়ছি, অনাদায়ী প্রথম আসর পড়ছি ইত্যাদি।
-ফাতাওয়া খানিয়া ১/১১০; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১৯১; মাজমাউল আনহুর ১/২১৬; রদ্দুল মুহতার ২/৭৬শেয়ার লিংক
কোনো কোনো লোককে দেখা যায়, সালাম দিলে উত্তরে শুধু মাথা নাড়ায়। মুখে জওয়াব দেয় না। প্রশ্ন হল, শুধু মাথা নাড়ালেই সালামের জওয়াব আদায় হবে কি না? জানাবেন।
সালামদাতাকে জওয়াব শুনিয়ে দেওয়া ওয়াজিব। জওয়াব না শুনিয়ে নিম্ন স্বরে দেওয়া যথেষ্ট নয়। আর মৌখিক জওয়াব না দিয়ে শুধু মাথা নাড়ানোর দ্বারা সালামের উত্তর আদায় হয় না। উল্লেখ্য যে, যদি সালামদাতা বধির হয় কিংবা দূরে থাকে যেখানে আওয়াজ পৌঁছবে না। তাহলে মৌখিক জওয়াবের পাশাপাশি ইশারাও করবে। যেন সালামদাতা বুঝতে পারে যে, তার সালামের জওয়াব দেওয়া হয়েছে।
-সূরা নিসা : ৮৬; সহীহ বুখারী ২/৯২৪; জামে তিরমিযী ২/৯৯; উমদাতুল কারী ২২/২৩০; রদ্দুল মুহতার ৬/৪১৩; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/১৮; ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৪২৩; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৬/৩৫৫; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩৩৩শেয়ার লিংক
এক ব্যক্তি স্বপ্নে দেখে স্বীয় স্ত্রীর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়েছে এবং এক পর্যায়ে সে স্বপ্নে তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দিয়েছে। জানতে চাই, এই ব্যক্তি তার স্ত্রীকে স্বপ্নে তালাক দেওয়ার কারণে তালাক হয়েছে কি না?
ঘুমন্ত অবস্থায় বা স্বপ্নে স্ত্রীকে তালাক দিলে তা কার্যকর হয় না । অতএব প্রশ্নোক্ত ব্যক্তির স্বপ্নে দেওযা তালাকও কার্যকর হয়নি। তাদের বিবাহ পূর্বের মতো যথারীতি বহাল রয়েছে।
-সুনানে নাসায়ী ৬/১৫৬; মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৬/৪১১; আলমুহীতুল বুরহানী ৪/৩৯১; হাশিয়াতুত্তাহতাবী আলাদ্দুর ২/১১০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৫৩শেয়ার লিংক