আমার ছেলে বিদেশে থাকতে তার জন্য আমার স্ত্রী এক পাত্রী দেখে রাখে। ছেলে দেশে আসার পর প্রস্তাব দেব তখন শুনি, মেয়ে পক্ষের অন্য এক পরিবারের সাথে কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়েছে। তবে এখনো আকদ হয়নি। এখন আমার পরিবারের সবাই বলছে, আমরা যেহেতু পাত্রী আগে দেখে রেখেছি এবং আমাদের বংশও উচ্চমানের, তাই এলাকার গণ্যমান্য কয়েকজনসহ গিয়ে প্রস্তাব দিলে তারা আমাদের প্রস্তাবে সাড়া দিতে পারে।
জানতে চাচ্ছি, এক্ষেত্রে আমাদের প্রস্তাব দিতে কোনো অসুবিধা আছে?
আপনারা যেহেতু এখনো পর্যন্ত পাত্রীপক্ষের কাছে প্রস্তাব দেননি; বরং শুধু মনে মনে পছন্দ করে রেখেছেন, আর আপনাদের আগেই অন্য পরিবার প্রস্তাব দিয়ে পাত্রীপক্ষের সাথে কথা-বার্তাও চূড়ান্ত করে ফেলেছে, তাই এখন আপনাদের জন্য সেখানে প্রস্তাব দেওয়া জায়েয হবে না। অবশ্য কোনো কারণে তারা যদি প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেয়, তাহলে তখন প্রস্তাব দিতে পারবেন।
হাদীস শরীফে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন–
وَلاَ يَخْطُبَ الرَّجُلُ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ، حَتَّى يَتْرُكَ الخَاطِبُ قَبْلَهُ أَوْ يَأْذَنَ لَهُ الخَاطِبُ.
কোনো (মুসলিম) ভাইয়ের বিবাহের প্রস্তাবের ওপর অন্য কেউ যেন প্রস্তাব না দেয়, যতক্ষণ না ওই প্রস্তাবকারী তার প্রস্তাব উঠিয়ে নেয় বা তাকে প্রস্তাবের অনুমতি দেয়। (সহীহ বুখারী, হাদীস ৫১৪২)
অন্য হাদীসে এসেছে, উকবা ইবনে আমের রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন–
لَا يَحِلُّ لِامْرِئٍ مُسْلِمٍ يَخْطُبُ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ حَتَّى يَتْرُكَ.
কোনো মুসলিমের জন্য অপর (মুসলিম) ভাইয়ের বিবাহের প্রস্তাবের ওপর প্রস্তাব দেওয়া বৈধ নয়, যতক্ষণ না সে তার প্রস্তাব উঠিয়ে নেয়। (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৭৩২৮)