যিলক্বদ ১৪৩৪   ||   সেপ্টেম্বর ২০১৩

কন্যার হাতে মা-বাবা খুন কখন আমাদের বোধোদয় হবে?

শাহেদা বিনতে নূর

সুজলা-সুফলা শস্য শ্যামলা আমাদের এই বাংলাদেশ। বড় নরম এ দেশের মাটি। নরম মানুষের মন। গভীর মমতায় সন্তান মানুষ করে বাংলার মা। সন্তান ও বাবা-মায়ের সম্পর্ক এখানে অনেক নিবিড়।

সন্তানের বিরহে যেমন মাতৃহৃদয় কেঁদে ব্যাকুল হয় তেমনি সন্তানও অকুল হয় মাতৃস্নেহের পিপাসায়। এ দেশের কবি মাতৃভক্তি প্রকাশ করে কবিতা লেখেন, ‘‘মা কথাটি ছোট্ট অতি কিন্তু জেনো ভাই, তাহার চেয়ে নাম যে মধুর ত্রিভুবনে নাই।’’ গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে অডিও ক্যাসেটে শোনা যেত, ‘‘মায়ের একধার দুধের দাম কাটিয়া গায়ের চাম, পাপোশ বানাইলেও ঋণ শোধ হবে না।’’ অথবা ‘‘মাগো, তোর কান্না আমি সইতে পারি না। দোহাই মা আমার লাগি আর কাঁদিস না।’’ ... এসব গান গেয়ে বা শুনে আবেগে জড়াতো মা অথবা সন্তানের হৃদয়। মা-বাবা সন্তানের সবচেয়ে বড় আশ্রয়স্থল আর সন্তান মা-বাবার সবচেয়ে বড় আকাঙ্খার স্থান।

অথচ এই বাংলা একদিন কলঙ্কিত হবে মা-বাবা হত্যার ইতিহাস ধারণ করে তা হয়ত এই মাতৃভূমি কখনো কল্পনাও করেনি। আর আমরা তো নারীকে জানি নম্রতা ও কোমলতার প্রতীক হিসেবে। আজ হত্যাকারী হয়েছে একজন নারী যে এখনো হয়ত কৈশোরের গন্ডিই পেরোয়নি। এ ঘটনাকে আমরা লোমহর্ষক বা চাঞ্চল্যকর যাই বলি না কেন কদিন পরেই তা হয়ত আমাদের স্মৃতিতে ঝাপসা হয়ে যাবে। যেমনটি প্রথম যখন ইয়াবার নাম শোনা গিয়েছিল এক হোটেল মালিক ও মডেলকন্যাকে ঘিরে, তখনও তা খুব চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে তা অনেকটা গা-সওয়া হয়ে গিয়েছে। তেমনি যখন শিক্ষকের হাতে ছাত্রী ধর্ষিতা হল বা দিল্লীর বাসে মেডিকেল ছাত্রী ধর্ষিতা হয়ে মারা গেল তখনো এসব খুব আলোচিত বিষয় ছিল। এরপর ধীরে ধীরে তা সহনীয় হয়ে গেছে। এখন এসব ঘটনা মানুষকে চঞ্চল করে না। কিন্তু প্রশ্ন হল, এর শেষ কোথায়? এসব ঘটনা এবং সর্বশেষ কন্যার হাতে বাবা-মা নিহত হওয়ার ঘটনা কি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে না যে, আমরা কোন নষ্ট সমাজ, পঙ্কিল সভ্যতার মধ্যে বসবাস করছি আমাদের কি চিন্তা করা উচিত নয় যে, এর থেকে উত্তরণের পথ কী? কোনো শিশু পৃথিবীতে পাপী হয়ে জন্ম নেয় না। জন্ম নেয় ফুলের মতো পবিত্র হয়ে, চাঁদের মতো হাসি আর নির্ঝরের মতো কান্না নিয়ে। তাকে পাপিষ্ঠ করে তার পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র।

এ দুজন বাবা মা নষ্টের বটবৃক্ষ উপড়াতে গিয়েছিলেন। যার শেকড়ের গভীরতা বিরাট গর্তের সৃষ্টি করে। আর এই অতলস্পর্শী গর্তের ভিতর চিরসমাহিত হয় তাঁরা। অথচ এখানে প্রয়োজন ছিল মাটি, বীজ, অঙ্কুর থেকেই যত্নশীল হওয়ার। আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘প্রত্যেক শিশু স্বভাবজাত সুন্দর মানসিকতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, কিন্তু পরে তার বাবা-মা তাকে খ্রিষ্টান, অগ্নিপূজক বা ইহুদি বানায়।’’-সহীহ মুসলিম, হাদীস : ২৬৫৮

একটি সন্তান যখন গর্ভে আসে তখন থেকেই (বরং আগে পরে সবসময়) মায়ের প্রয়োজন হালাল খাদ্যের। বাবার প্রয়োজন হালাল উপার্জনের। কিন্তু আমাদের প্রশাসন সেক্টরগুলোর যে পরিস্থিতি সেখানে হালাল উপার্জন সম্পর্কে মানুষ সন্দিহান। ২৬শে আগষ্ট দৈনিক ইনকিলাবে ‘‘ঘুষের সেবা আর কতদিন?’’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ‘‘ক্রিমিনাল এ্যান্ড ক্রিমিনাল জাষ্টিস প্রোগ্রাম’’ সম্প্রতি ঢাকার পুলিশের সেবা নিয়ে একটি জরিপ করেছে। অধ্যাপক ড. এ. আই মাহবুব উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ জরিপে বলা হয়েছে ‘‘পুলিশকে ঘুষ দেয়া ছাড়া থানায় মামলা পর্যন্ত করা যায় না। পুলিশকে ঘুষ দিয়ে সেবা পাওয়াতেই মানুষ খুশি’’ এখানে প্রতিবেদক প্রশ্ন করেন, ‘‘ঘুষ নিয়ে সেবা দেয়া কোন ধরনের নৈতিকতা?’’ এই নৈতিকতা কি ঐশীদের সৃষ্টির জন্য দায়ী নয়? আমাদের চিন্তা করা উচিত, আমরা সন্তান মানুষ করছি কোন্ ধরনের আয় দিয়ে? তার খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা-সামগ্রী, বিনোদনের উপকরণ কোথা থেকে আসছে, কীভাবে আসছে। আমাদের উপার্জিত আয় কারও হৃৎপিন্ডের গভীরে ক্ষতের সৃষ্টি করছে কি না বা কলিজায় অদৃশ্য ছুরির আঘাতে রক্ত ঝরাচ্ছে কি না?

বেশ কয়েক বছর আগে মাসিক আল কাউসারে একজন লেখিকা, তার নাম আমার মনে নেই তবুও মনে হচ্ছে হতে পারে মাহমুদাতুর রহমান একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন। লেখাটার বিষয়বস্ত্ত এরকম, তিনি তার ছোট বাচ্চাকে পরিপূরক খাবার হিসেবে সেরেলাক খাওয়ান। একবার এই সেরেলাক আনাতে তাকে অনেক বেগ পেতে হয়। যখন প্যাকের মুখ কাটলেন তখন তার মনে পড়ল এই খাবার সুইজারল্যান্ডের তৈরী। আর যেহেতু চিকেনের তাই তার মনে প্রশ্ন জাগল, বিধর্মী রাষ্ট্র কি মুরগী হালালভাবে জবাই করেছে? আমার সন্তানকে কি আমি পরিপূরক হিসেবে হারাম খাওয়াব? তখন তিনি প্যাক থেকে তা আর ঢাললেন না। তার তাকওয়া আমাকে আলোড়িত করেছিল। আমার মেঝ মেয়েও তখন সেরেলাক খায়। আমি সেই সেরেলাক ফেলে দিলাম। তারপর থেকে খাবারে আমার যথেষ্ট যাচাই-বাছাই এসে গিয়েছে। আমার এই অন্তরচক্ষু খুলে দেয়ার জন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।

 নেক সন্তান তো আল্লাহর দান। সুতরাং নেক সন্তানের জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করতে হবে। নবী অলীগণ সব সময় নেক সন্তানের জন্য  দুআ করতেন। ইব্রাহিম (আঃ) দোয়া করেছেন-

رب هب لى من الصالحين

অর্থ : হে আল্লাহ ! তুমি আমাকে নেক সন্তান দান কর।

কুরআনে পাকেও নেক সন্তানের জন্য দুআ করতে বলা হয়েছে।

বাচ্চার প্রথম কথা এবং শেষ কথা যেন কলেমা হয় এজন্য পিতামাতাকে সচেষ্ট থাকতে বলা হয়েছে। প্রথম কথা কলেমা আনতেও আমাদের মায়েদের যথেষ্ট মেহনত করতে হবে। আর শেষ কথা কলেমা হবে তার সারাজীবনের কর্মের উপর। এক ব্যক্তির নাকি মৃত্যুর সময় মুখে কলেমা আসছিল না তখন অনুসন্ধান করে জানা গেল যে, তার প্রতি তার মায়ের মনে কষ্ট ছিল। যখন মা তাকে ক্ষমা করে দিলেন, তিনি কলেমা পড়তে পেরেছেন।

তারপর আসে তরবিয়তের বিষয়গুলো। যে বাচ্চাকে ৭ বছরে নামায শিক্ষা দেয়া হয় এবং সে নামায পড়ে দুহাত তুলে প্রভুর কাছে দুআ করে -

رب ارحمهما كما ربيانى صغيرا

সে বাচ্চা কখনো বাবা-মা হত্যা তো দূরে থাক বাবা মায়ের সামান্য কষ্টের কথাও চিন্তা করতে পারবে? কিন্তু আমরা তো এখন ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুয়েই মেকআপ নেই এরপর বাচ্চা নিয়ে কোনমতে দৌড় কিন্ডারগার্ডেনের দিকে। বাচ্চার নামায তো দূরের কথা, নিজেরও নামায পড়ার হুঁশ থাকে না। বাচ্চা থাকে স্কুল, কোচিং, প্রাইভেট পড়ায় ব্যস্ত, আমরা থাকি টিভির বিভিন্ন চ্যানেল, শপিং আর পার্লারের বেড়াজালে। এ যদি হয় আমাদের জীবন, তাহলে অবনতি আসছে, আরো আসবে। তা রোধ করার

উপায় থাকবে না। আখিরাতে তো

বটেই দুনিয়াতেই এর পরিণতি ভোগ করতে হবে।

বাচ্চাদের জাগতিক পড়ালেখাও করাতে হবে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নৈতিকতার প্রতিও লক্ষ্য রাখতে হবে। কিছুদিন আগে একজন মহিলা গাইনী বিশেষজ্ঞের  কাছে গিয়েছিলাম। তিনি কথাপ্রসঙ্গে বলেছিলেন, তার মেয়েদের ঢাকার সবচেয়ে নামকরা মহিলা স্কুলে দিয়েছেন। সেখানে মাথায় কাপড় দিতে দিবে না। তখন তিনি ফোন করে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বললেন, আপনারা যদি প্রগতিশীল হন তাহলে প্রত্যেককে যার যার মতো চলতে দিতে হবে। আমার বাচ্চা যদি ধর্মীয় অনুশাসন মানতে চায় তাহলে কেন তা আপনারা মানতে দিবেন না? আপনারাই তো দেখা যায় ধর্মবিরোধী জঙ্গী!! তখন তারা কিছুটা নরম হলেন। এ তো গেল মহিলা বিদ্যালয়ের কথা, কিন্তু যেখানে সহশিক্ষা কার্যক্রম চলছে, সেখানে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। যে সহশিক্ষার পঙ্কিল সাহচর্যে ভয়ংকর খুনী হল কিশোরী মেয়েটি, যার কিনা লাজুকতা নিয়ে, নম্রতা নিয়ে সুবাশিত ফুলের মতো প্রস্ফুটিত হওয়ার কথা ছিল, আমাদের শিক্ষা-ব্যবস্থা ও সমাজব্যবস্থা তাকে তা হতে দিল না। তার দুহাত কলঙ্কিত করল বাবা-মায়ের রক্তে; যাদের রক্তে মাংসে তার জন্ম,

তার অস্তিত্ব।

এখন ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন সবকিছুতেই বন্ধুত্বের ছড়াছড়ি, যেন বন্ধুরাই জীবন, বন্ধুরাই সবকিছু। পত্রিকা, এফ.এম রেডিও  এতে খুব ভূমিকা রাখছে। আরো ভূমিকা রাখছে জাতির বিবেক নামে পরিচিত কিছু অধ্যাপক, কবি-সাহিত্যিক। এই যে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার ভয়াবহ পরিণতি আজ জাতি দেখতে পেল এখন কিন্তু তারা নিশ্চুপ। ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য তারা উঠেপড়ে লেগেছে। তাকে যেন অপরাধী বলা না হয়, খুনী বলা না হয়, আরো বিভিন্ন কথা। কিন্তু তার যদি সঠিক বিচার না হয় তাহলে ভবিষ্যতে কিশোরসমাজ আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে।

আমরা যতই আধুনিক হই, যতই শিক্ষিত হই, যতদিন ইসলামী অনুশাসন মেনে চলব না ততদিন আমাদের মাঝে শান্তি আসবে না। বয়ঃসন্ধির সময় থেকে একটি মেয়ের উপর পর্দা ফরয। ছেলেদের বলা হয়েছে দৃষ্টির পর্দা করতে, দৃষ্টিকে সংযত রাখতে। আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যেখানে দুজন বেগানা নারী-পুরুষ নির্জনে একত্র হয় সেখানে তৃতীয়জন হয় শয়তান।-জামে তিরমিযী, হাদীস : ১১৭১

যেখানে আল্লাহর নবী ভয় করছেন সেখানে আমরা ভয় করছি না। কারণ আমাদের কথা, আমরা প্রায় চৌদ্দশত বছর অগ্রসর হয়ে গেছি। আমাদের আর পিছনে ফেরার সময় নেই। তাই আমাদের এই ভায়াবহতা থেকেও পরিত্রাণের

উপায় নেই।

 

২০শে আগষ্ট ‘‘প্রথম আলো’’ পত্রিকায় কিছু একটা করেন। শিরোনামে আনিসুল হক একটি কলাম লিখেছিলেন। তার সাথে ক্লাস এইটে পড়া একটা বাচ্চা ছেলের সখ্য হয়। তার সাথে গল্পগুজবের কথা তিনি ঐ লেখায় উল্লেখ করেছেন। ছেলেটার ভাষায় আমাদের ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ৩ ভাগের ১ ভাগ নিয়মিত নেশা করে, ৩ ভাগের ১ ভাগ মাঝে মধ্যে নেয় আর ৩ ভাগের ১ ভাগ আনস্মার্ট, ওরা কখনো নেয় না। ভাল ছাত্র। আমরা ওদের পাত্তা দেই না। ঐ একই কলামে উনি লিখেছেন, চিত্রপরিচালক মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী টেলিফোনে আকুতি জানাচ্ছিলেন, আপনারা করছেনটা কী? আপনি জানেন, আজ থেকে ১০/২০ বছর পরে এই ছেলে-মেয়েগুলোর কী দশা হবে? তখন পুরো দেশটার কী হবে?

আর কী হবে? কী হতেই বা বাকী আছে? আর কে ওদের বাধা দেবে? জাগরণমঞ্চের আশেপাশে যা হয়েছে তা নিয়ে গল্প লিখলেন বলে তো লেখক, প্রকাশককে ক্ষমা পর্যন্ত চাইতে হল। তো কিছু একটা করবে কে? ইসলাম মদকে হারাম করেছে। মদ হারাম হওয়ার ব্যাপারে যখন আয়াত নাযিল হয় তখন মুসলমানদের কারো কারো মদের পাত্র ঠোটে ছিল। তারা সেখান থেকে তা নামিয়ে রেখেছেন চিরতরে। কারও ঘরে জমা ছিল তা ঢেলে দিয়েছেন। মদ-ব্যবসায়ীদের বাহনে মদ ছিল। লাভ লোকসানের হিসাব করেননি। সেখানে ঢেলে দিয়েছেন। মদীনার পথে পথে মদের স্রোত বয়ে গেছে। এ হল সোনালী দিনের ইতিহাস।

এখন যেখানে একটি ক্লাসের দুই তৃতীয়াংশ ছেলে নেশাগ্রস্ত সেখানে রাষ্ট্র, পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেউ এর দায় থেকে মুক্ত নয়। এত প্রশাসনিক ব্যবস্থা থাকতে এই বাচ্চারা এত সহজে কীভাবে মাদক হাতে পাচ্ছে? শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কতটুকু খেয়াল রাখছে? কতটুকু খেয়াল রাখছেন অভিভাবক? তার বিপরীতে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে কওমী মাদরাসার শিক্ষার্থীরা মাদক ব্যবহার করে এমন কথা কখনো শোনা যায় নি। কারণ তারা ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলে। মদ হারাম, যিনা হারাম, নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা হারাম তা তাদের অন্তরে বাল্যকাল থেকেই গেঁথে দেয়া হয়। তারপরও সরকারের শ্যানদৃষ্টি কওমী মাদরাসার প্রতি। প্রগতিশীলরাও বলে, মাদরাসার ছাত্ররা চৌদ্দশত বছর পেছনে পড়ে আছে। আর এক ঐশী প্রমাণ করে ছাড়ল আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিতরা বর্বরতার নিষ্ঠুরতার কী অকল্পনীয় ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারে। এ ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত, আমরা কোন্ পথে যাব-আলোয় ভরা শান্তির পথে, নাকি অন্ধকারের কানাগলিতে। ষ

 

 

advertisement