সত্যের সূর্য মিথ্যার মেঘ
রাহু গ্রাস করে সূর্যের আলোকে, চাঁদের আলোকে; কিন্তু চিরকালের জন্য নয়। চাঁদ এবং সূর্য একসময় অবশ্যই রাহুমুক্ত হয়। কালো মেঘের পর্দা দিয়ে সূর্যের আলোকে এবং চাঁদের আলোকে ঢেকে রাখা যায় না। হয়ত সামান্য সময়, তারপর সূর্যেরআলো ঠিকই বের হয়ে আসে মেঘের বাধা অতিক্রম করে। চাঁদের জোসনা ঠিকই পৃথিবীকে স্নাত করে মেঘের আড়াল থেকে বের হয়ে এসে। রাহুর গ্রাস কিছুক্ষণের জন্য, মেঘের আড়াল সামান্য সময়ের জন্য; সূর্যের আলো এবং চাঁদের জোসনা চিরকালের জন্য। অন্ধকার থাবা বিস্তার করে, কিন্তু আলো বিজয়ী হয়। কারণ অন্ধকার মিথ্যা, আলোই সত্য।
মিথ্যা বারবার সত্যকে পরাস্ত করতে চায়। কিছু সময়ের জন্য হয়ত সত্যকে আড়াল করেও ফেলে, কালো মেঘ যেমন সূর্যের আলোকে ঢেকে ফেলে। কিন্তু সত্য শেষ পর্যন্ত জমাট কুয়াশা ভেদ করে বের হয়ে আসে এবং আপন মহিমায় ভাস্বর হয়ে ওঠে। বিজয় চিরকাল সত্যের। মিথ্যাকে ভয় পেয়ো না, মিথ্যার সামনে মাথা নত করো না। মিথ্যার প্রতাপ দেখতে দেখতে বিলীন হয়ে যায়। মিথ্যার বিনাশ অবশ্যম্ভাবী। সুতরাং যারা মিথ্যার কাছে আত্মসমর্পণ করে মিথ্যার সঙ্গে তাদেরও ধ্বংস অনিবার্য।
ঘোর অন্ধকারের মাঝেও সত্যের আলো, যত ক্ষীণ হোক তা অনুসরণ করো। সত্যের প্রতি অনুগত ও বিশ্বস্ত থেকো। তুমি সত্যকে রক্ষা করো, সত্য তোমাকে রক্ষা করবে। যখন সময় আসে তখন প্রকৃতিও সত্যের জন্য এগিয়ে আসে। নদীর পানি ভাগ হয়ে সত্যকে পথ করে দেয়, আর মিথ্যাকে ডুবিয়ে মারে। জীবনে অনেক দুর্যোগ আসবে, চলার পথে হিংস্র শ্বাপদেরা তোমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইবে। তুমি যদি অবিচল থাকো সত্যের পথে তাহলে দুর্যোগ অবশ্যই কেটে যাবে, হিংস্র শ্বাপদেরা তোমার পথ ছেড়ে সরে দাঁড়াবে এবং সত্যকে অনুসরণ করে তুমি এগিয়ে যাবে। মনে রেখো, শেষ হাসি হলো সত্যের জন্য এবং সত্যকে যারা বরণ করে তাদের জন্য। ষ
সৌজন্যে : মাসিক আল-কলম-পুষ্প
রজব ১৪২৯ হিজরী
বি.দ্র. : শিরোণামটি আমাদের দেয়া