মুহাররম ১৪৩১   ||   জানুয়ারী ২০১০

একটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজছি

মুহাম্মাদ লুতফে রাব্বী

কয়েকদিন আগের কথা। এয়ারপোর্ট থেকে আজিমপুরগামী একটি বাসে উঠলাম। আসনসংখ্যার দ্বিগুণ যাত্রী ধারণের ফলে এমনিতেই বাসের অবস্থা করুণ। তার উপর মহাখালী রিংরোডের অনিঃশেষ জ্যাম পরিবেশটাকে রীতিমতো বিষিয়ে তুলেছে। এরই মাঝে বাসে দাঁড়িয়ে বিগত দু’বছরের নানা কথা ভাবছিলাম। হঠাৎ চালকের মাথার উপর একটি বিশাল বিজ্ঞাপনের উপর দৃষ্টি আটকে গেল। তাতে লেখা রয়েছে-‘আপনি শিক্ষিত, আপনার বিবেক কি শিক্ষিত?-বিবেক।’ বিবেকের অভাবনীয় এ প্রশ্নে কিছুটা অবাক হলাম। সত্যিই তো আমরা যারা শিক্ষিত তাদের বিবেক আসলে কতটা শিক্ষিত এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আজকের কলম ধরা। শুনেছি, সফরে মানুষের অভিজ্ঞতা বাড়ে। সেই অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে কয়েকটা ঘটনা পাঠকদের শোনাব। বলে রাখা ভালো, এসবই আমার অভিজ্ঞতা-অনুভূতির সংক্ষিপ্ত আলোকপাত। অনেকে হয়তো এসবের ব্যতিক্রম পেয়ে থাকবেন। এটাই স্বাভাবিক। ১৭ অক্টোবর ২০০৭ ভোর পাঁচটায় বিমানের ফ্লাইট। তাই রাত দু’ টায় বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা হলাম। সফর মানেই অজানা এক আতংক। তার উপর আমার মতো ব্যক্তি যে কি না ঢাকা শহরই ঠিকমতো চিনে না তার জন্য বিদেশযাত্রা যেন এই পাড় থেকে ওই পাড়ের উদ্দেশে যাত্রা। তবুও উচ্চশিক্ষা অর্জনের এক বুক আশা নিয়ে যাত্রা করেছি সহস্রাধিক বছরের পুরাতন বিদ্যাপিঠ জামিয়াতুল আযহারের উদ্দেশে। যাকে বক্ষে ধারণ করে আজো গৌরববোধ করে প্রাচীন সভ্যতার দেশ মিসর। পরিচিতজনদের থেকে বিদায়পর্ব সেরে বিমানবন্দরের ভিতরে ঢুকতেই একটা ধাক্কা খেলাম। নিরাপত্তাকর্মীদের রূঢ় ব্যবহার মানুষকে শুধু কষ্টই দেয় না, তাদের অসহযোগিতার দরুণ অনেক বিড়ম্বনারও শিকার হতে হয়। বিশেষত বিদেশে কর্মরত বাঙ্গালী শ্রমিকরা, যাদের অনেকেই শিক্ষাদৈন্যের কারণে অফিসিয়াল কাজগুলো সঠিকভাবে করতে পারে না, তারা এসকল নিরাপত্তাকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের শরণাপন্ন হলে সাহায্যের পরিবর্তে যে আচরণ পায় তা সত্যিই দুঃখজনক। এরকম এক লোককেই কোনো এক সফরের প্রাক্কালে আমার বড় মামা বলেছিলেন, ‘এই অশিক্ষিত লোকদের ঘামঝরা কামাইয়ের টাকা থেকেই সরকার আপনাদের বেতন দিয়ে থাকে। কারণে-অকারণে যারা দেশের টাকা বাইরে নিয়ে খরচ করে তাদের সমাদরের তো কোনো কমতি হয় না, তাহলে যারা দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ডটাকে সোজা রাখে তাদের ব্যাপারে এই অবহেলা কেন?’ অবশ্য এই ব্যবহারের পরও তাদের আমি ক্ষমা করব। কারণ এরপরই আমরা সাক্ষাত পেয়েছিলাম বিমানের দায়িত্বশীল এক ভদ্রমহিলার। যিনি বোর্ডিং পাস গ্রহণ থেকে নিয়ে বিমানে ওঠা পর্যন- প্রতিটি পদক্ষেপে আমাদের সহযোগিতা করেছেন। প্রচণ্ড ভিড় ঠেলে তিনি যখন আমাদের তিনজনকে বিমানের দরজা পাড় করিয়ে দিলেন তখন ধন্যবাদ দেওয়ার সুযোগটুকুও পেলাম না। দুআ করি, আল্লাহ তাকে ভালো রাখুন। দুই সাড়ে নয় ঘণ্টার লম্বা সফর শেষে আমরা কায়রো বিমানবন্দরে নামলাম। নতুন দেশ, নতুন মানুষ, নতুন পরিবেশ। অনেক কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। আধো ইংরেজিতে এক পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞাসা করলাম, লাগেজ কোথায় পাব? সে বুঝল না। পরে আরবীতে বলে বুঝালাম। এরপর বহুবার দেখেছি, মিসরীয়রা এবং সম্ভবত অন্যান্য আরবরাও ইংরেজি শব্দের পরিবর্তে আরবী উচ্চারণ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। প্রতিটি ইংরেজি নাম বা বস্তুর প্রতিশব্দ আরবী ব্যবহারে পাওয়া যায়। মুক্তবাজার অর্থনীতির কল্যাণে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো যেখানে বিভিন্ন দেশের শিল্প-সংস্কৃতি নিয়ন্ত্রণ করছে সেখানে তাদের ব্যবসা সফল করতে আরবীয় এই স্বকীয়তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সকল পণ্যের নামকরণ আরবী করেই বাজারজাত করতে হচ্ছে। মাতৃভাষার প্রতি আরবদের এই ভক্তি আরবী ভাষার প্রাচুর্যের অন্যতম কারণ। দু’বছর পর ঢাকা ফেরার পথে শারজা বিমানবন্দরে দেখলাম এর উল্টো চিত্র। আবুধাবীর ধনাঢ্য সরকার বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনা হয়ত বেসরকারী খাতে ছেড়ে দিয়েছে। ফলে সেখানকার অফিসার থেকে ঝাড়-দার সবাই বিদেশী। কোনো কারণবশত ঢাকাগামী ফ্লইট মিস করায় চরম বিড়ম্বনায় পড়েছিলাম আমরা চারজন। সাহায্যের জন্য ‘ট্রান্সফার ডেস্ক’-এ কর্মরত এক উর্দুভাষী কর্মকর্তার কাছে গেলাম। আমি যতই বিশুদ্ধ ভাষায় উর্দু বলি, তিনি ততই কঠিন ইংরেজিতে আমাকে জবাব দেন। তার এই ইংরেজিপ্রীতি আমাদের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিয়েছিল বহুগুণে। (পকেটও হালকা হয়েছিল কিছুটা।) আমার নিজের ইংরেজি জ্ঞানস্বল্পতার জন্য যতটা না দুঃখ হয়েছিল তার চেয়ে অনেক বেশি হয়েছিল মাতৃভাষার প্রতি তার ঔদাসিন্য দেখে। পুরো বিশ ঘণ্টা বিমান বন্দরের বিশ্রামকক্ষে বসে বিভিন্ন দেশের মানুষের আনাগোনা দেখেছি আর ভেবেছি, আমরা উন্নত বিশ্বে যাই শুধুই টাকা উপার্জনের জন্য। তাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি দেখে কোনো সুশিক্ষা নেই না। (কুশিক্ষাটা অবশ্য অনেকে ভালোভাবেই রপ্ত করে) এতে আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হয়তো কিছুটা অর্জিত হয়েছে কিন্তু সামগ্রিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে রয়েছি। একটি জাতির উন্নতির জন্য আর্থিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি নিজ ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি গভীর ভালবাসা থাকা প্রয়োজন। এর উদাহরণ আমরা ফ্রান্স, জার্মানি প্রভৃতি দেশে দেখতে পাই। বিশ্বময় ইংরেজির ব্যাপক প্রচলন সত্ত্বেও তাদের দাপ্তরিক কাগজপত্র থেকে ভিসা ফরম সবই নিজস্ব ভাষায় রচিত। যারা তাদের দেশে যাবে তাদের সেই ভাষাতেই সকল কাজ সমাধা করতে হবে। প্রাচীন আরবদের মধ্যেও এ নীতির প্রয়োগ দেখতে পাওয়া যায়। কবিলায়ে হিময়ারের জনৈক নেতা কোনো এক প্রসঙ্গে একবার বলেছিলেন, ‘যে হিময়ারীদের সীমারেখায় প্রবেশ করতে চায় সে যেন হিময়ারী ভাষা শিখে আসে।’ মাতৃভাষার জন্য রক্তদানকারী পৃথিবীর একমাত্র দেশের নাগরিক হয়ে আমরা কি পারি না বাংলা চর্চাকে আরো ব্যাপক করে তুলতে? আমাদের শিক্ষা, প্রশাসন ও অন্যন্য বিভাগে বাংলা ভাষা তার উপযুক্ত মর্যাদা কি পেতে পারে না? তিন শারজা বিমানবন্দরের কথা মনে পড়লেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে এমন কিছু করুণ মুখ, যা এখনো আমাকে পীড়া দেয়। আদমবেপারিদের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খোয়ানো হতভাগাদের বিভিন্ন ঘটনা পত্রপত্রিকায় পড়েছি, সেদিন দেখেছিলাম তার বাস্তব চিত্র। আমার সাথে মিসর থেকে যে তিনজন এসেছেন তারাও এই প্রতারণার শিকার। টুরিস্ট ভিসায় নিয়ে চাকুরির যোগান দিতে না পেরে দালালরা তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। ফেরার পথে বিমানবন্দরে তাদের সাথে আমার পরিচয়। বিশ্রামকক্ষে বসে তাদের কাহিনী শোনার ফাঁকে এক যুবক এসে উপস্থিত হয়। কান্নাজড়ানো কণ্ঠে সে যা বলল তার মর্মার্থ এ রকম-‘আড়াই লাখ টাকার বিনিময়ে শারজার এক কোম্পানিতে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে আমার মামাতো ভাই ভিসা বের করে দিয়েছে। কিন্তু আজ এগারো দিন হতে চলল সে আমাকে নিতে আসছে না। ফোন করলে সে বলে-‘তোমার জায়গায় অন্য লোকের চাকুরি হয়ে গেছে। তুমি দেশে ফিরে যাও। পকেটে বেশি টাকাও নেই যে, দু’ বেলা খাবার কিনে খাব। দিনের পর দিন পানি খেয়ে পার করছি। এক কাপড়ে দিন কাটানো তার জীর্ণ দেহ দেখে সবার চোখে পানি চলে আসে। প্রতারণার শিকার এরকম অনেক নারী-পুরুষ মানবেতর দিন কাটাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের প্রসিদ্ধ এই বিমানবন্দরে। আমাদের চারজনকে বিমান কর্তৃপক্ষের দেওয়া খাবারের টিকেট এমনই চারজনের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। বিনিময়ে কৃতজ্ঞতার যে হাসি তারা উপহার দিয়েছিল তা অনেকদিন স্মৃতিপটে জাগ্রত থাকবে। এই চারজনের মধ্যে ছিলেন ত্রিশোর্ধ্ব দুই নারী। যাদের স্বামীরা দ্বিতীয় বিয়ে করে তাদের তুলে দিয়েছে লেবাননে জনশক্তি রপ্তানীকারক দালালদের হাতে। দেশে আসার দিন কয়েক পরেই দৈনিক পত্রিকায় ফলাও করে ছাপা হয়েছে লেবাননে নারীশ্রমিকদের উপর নির্যাতনের করুণ কাহিনী। জানি না, সেই নারীদ্বয়ের ভাগ্যে কী ঘটেছে? বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রকল্পের শিরোনামে সরকারের কোটি কোটি টাকা যারা ভোগ করছেন এসব ভাগ্যাহতদের জন্য তাদের কি কিছুই করার নেই? পাঠকের হাতে যখন লেখাটি পৌঁছবে তখন রমযান মাস থাকবে না। তবুও আমার দেখা একটি রমযানের কিছু চিত্র শোনাতে চাই। বছরের অন্যান্য নিয়মিত আমলের মতো রোযার ব্যাপারেও বেশ যত্নবান মিসরীয় জনগণ। প্রতি সপ্তাহের সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোযা, আইয়্যামে বীযের রোযা (চান্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ) যিলহজ্বের প্রথম দশ দিনের রোযা খুব ইহতিমাম ও আড়ম্বরের সাথে পালন করা হয়। ফযীলতপূর্ণ এ সকল দিনে বিভিন্ন মসজিদে ইফতারের আয়োজনও হয়ে থাকে। রমযান মাস আসলে রোযার এই ইহতিমাম শতগুণ বৃদ্ধি পায়। রমযানকে স্বাগত জানানোর জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে পৃথিবীর সবদেশেরই ধর্মপ্রাণ মুসলমান। তবে আমাদের দেশের তুলনায় সেখানকার চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। বাংলাদেশে তো রমযান মাস অনেকের জন্য অর্থ উপার্জনের ভরমৌসুম। এক শ্রেণীর অর্থলিপ্সু অসাধু ব্যবসায়ী এ মাসকে বেছে নেয় সারা বছরের কামাইয়ের মৌসুম হিসেবে। তাদের এই লোভের আগুনে ঘি ঢালে কতিপয় সাংবাদিক। দ্রব্যমূল্য ইস্যুটি জনগণের কাছে সহনীয় করে তুলতে তাদের ভুমিকা অনেক। ওদিকে জনগণের সেবক নেতা-নেত্রীগণ মুখে দু’ চারটি কথা বললেও এক্ষেত্রে কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকাই পালন করেন। আর এসবের মাশুল গুণতে হয়ে সাধারণ জনগণকে। পক্ষান-রে মিসরের মানুষ রমযানকে সহমর্মিতার মাস হিসেবেই নেয়। হাদীসের এই মর্মবাণীর বাস্তব প্রতিফলন চোখে পড়ে সমাজের সর্বত্র। রমযানকে কেন্দ্র করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা মিসরে নেই বললেই চলে। শহরের বিভিন্ন স্থানে শামিয়ানা টানিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করা হয়। কুরআনভক্তির ক্ষেত্রে মিসরীয়রা বরাবরই অনন্য। জগতবিখ্যাত বড় বড় কারীদের এই দেশে ঘরে-মসজিদে তো আছেই, যাত্রাপথেও অনেককে ছোট কুরআন মজীদ হাতে নিয়ে পড়তে দেখা যায়। গাড়ি চালকরাও তাদের ক্যাসেট প্লেয়ারে কুরআন তেলাওয়াত চালিয়ে রাখে। শুধু গাড়িতেই নয়, অফিস-আদালত, শপিংমল, দোকানপাট সর্বত্র কুরআন তেলাওয়াতের ক্যাসেট বাজতে শোনা যায়। জানি না, বাংলাদেশের কোথাও এমন চিত্র কখনো দেখতে পাওয়া যাবে কি না। রমযান এলে তেলাওয়াতের পরিমাণ বেড়ে যায় বহুগুণ। একটি ঘটনা থেকে এ বিষয়ে কিছুটা আঁচ করা যায়। জামিয়াতুল আযহারের স্বনামধন্য একজন উস্তাদ হলেন শায়খ উসামা আবদুল্লাহ আযীম। ফিকহে ইসলামীর অগাধ জ্ঞানের পাশাপাশি তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি (প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী) দীর্ঘ ছাব্বিশ বছর যাবত প্রতিদিন নামাযে কুরআন মজীদ খতম করে আসছেন। মাগরিব, ইশা, ফজরের নামাযে দশ পারা তেলাওয়াত তার দৈনন্দিনের আমল। পবিত্র রমযানে এর সাথে যুক্ত হয় তারাবীর খতম। অর্ধরাতের বেশি এই নামাযের জামাতে শরিক হওয়ার জন্য দূর দূর থেকে মুসল্লীদের আগমন ঘটে। বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের পাশাপাশি শিশুরাও তখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তেলাওয়াতের সুধা পান করে। আমাদের উস্তাদ মুহতারাম আদীব হুজুর দা.বা. তাঁর এক সফরনামায় বলেছেন, আরবী ভাষা আরবদের যবানেই শুনতে ভালো লাগে। আমরা শুধু তাদের সুন্দর অনুকরণ করতে পারি। হুজুরের কথার রেশ ধরেই বলি-আরবদের মধ্যে অনেকেই তাদের ভাষা-সাহিত্য, কৃষ্টি-সংস্কৃতির রক্ষা ও পরিপালনে সব দিক থেকেই অনন্য। জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা যদি তাদের সুন্দর অনুকরণ করি তাহলে হয়তো বিবেকের সেই প্রশ্নের উত্তর অনেকটা পেয়ে যাব।

 

advertisement