২১/০৫/৩৪ হি., ০৩/০৪/১৩ ঈ., বুধবার
প্রতি মাসের ন্যায় আজও মারকাযের প্রধান দফতর ৩০/১২ পল্লবীতে ‘মাসিক দ্বীনী মাহফিল’ অনুষ্ঠিত হয়। আজকের মাহফিলে আসরের পর আলোচনা করেছেন মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল মাজীদ। তিনি বলেন, আল্লাহ তাআল আমাদের দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন পরীক্ষা করার জন্য। আমাদের মধ্যে কে আমলে উত্তম হয় এবং কে শয়তান, নফস ইত্যাদি শত্রুর মোকাবেলা করে আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিল করতে পারে।
হযরত আবুল ওয়ালীদ বাজী রহ. বলেন, আমাদের শত্রু তিনটি, ১. দুনিয়া ২. শয়তান ৩. আমাদের নফ্স।
প্রথম শত্রু দুনিয়া। দুনিয়ার মোকাবেলা করতে হবে যুহ্দ ও তাকওয়া বা খোদাভীতি ও দুনিয়াবিমুখ হওয়ার মাধ্যমে। দুনিয়াকে আমরা গ্রহণ করব তবে তার সাথে মন লাগাবো না। মনে থাকবে শুধু আল্লাহর ভয় ও দুনিয়ার প্রতি বিরাগ।
দ্বিতীয় শত্রু হল শয়তান। এর মোকাবেলা করতে হবে তার বিরোধিতার মাধ্যমে। আল্লাহর হুকুমের বিপরীতে যেই কাজের ইচ্ছা জাগবে তা থেকে বিরত থাকলেই শয়তানের বিরোধিতা করা হবে।
আর সবচে বড় শত্রু হল মানুষের নফ্স। তা মানুষকে মন্দের প্ররোচনা দেয়। তা থেকে বেঁচে থাকতে পারলে আমরা সফল হতে পারব। আল্লাহ তাআলা আলকুরআনুল কারীমে বলেন, (অর্থ) সে-ই সফলকাম যে নিজের নফ্সকে পবিত্র করল। এবং সে-ই ব্যর্থ যে নিজের নফ্সকে (নিজেকে) কলুষাচ্ছন্ন করল। (সূরা শাম্স, ৯১: ৯-১০)
বাদ মাগরিব আলোচনা করেছেন মাওলানা মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া ছাহেব। তিনি বলেন, হাদীস শরীফে এসেছে, এ সকল মজলিসগুলোকে ফেরেস্তারা বেষ্টন করে রাখে, আল্লাহর রহমত তাদের ঢেকে রাখে, তাদের উপর ‘সাকিনা’ নাযিল হতে থাকে।
হাদীস শরীফে আরো এসেছে, তোমরা জান্নাতের বাগান থেকে বেশি বেশি উপকৃত হও। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! জান্নাতের বাগান কী? তিনি বললেন, ‘হিলাকুজ যিক্র’ যিকিরের মজলিস।
যিকিরের বিভিন্ন প্রকার আছে। এক. যবানে আল্লাহ তাআলার নামের যিকির করা। তাঁর ছিফাতী (গুণবাচক) নামের যিকির করা। দুই. রাত দিনের বিভিন্ন কাজের আগে পরে, নামাযের আগে পরে প্রিয় নবীর শেখানো দুআর মাধ্যমে তাঁর স্বরণ। আল্লাহ আমাদের কবুল করুন।তিন. জীবনের সব ক্ষেত্রে আল্লাহর বিধান পালনের মাধ্যমে ও নাফরমানী থেকে বেঁচে থাকার মাধ্যমে তাঁর স্বরণ।