মক্কা-মদীনার গ্রন্থাগার : ইতিহাস ও পরিচিতি-২
মাকতাবাতুল মালিক আব্দুল আজিজ
এক সমৃদ্ধ পান্ডুলিপি সংগ্রহশালা
জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চার ধারা অব্যাহত থাকবে চিরকাল। ইসলাম সে চর্চার ধারাবাহিকতাকে করেছে আরো শক্তিশালী। উদ্বুদ্ধ করেছে নর-নারী সকলকে জ্ঞান অজর্নের প্রতি। আর সেই চর্চাকে জোরালো করতেই রচিত হয়েছে অসংখ্য গ্রন্থ। গ্রন্থ সংগ্রহ আর জ্ঞানচর্চার সুবিধার জন্য যুগে যুগে নির্মিত হয়েছে অসংখ্য গ্রন্থাগার।
মদিনা মুনাওয়ারার মালিক আব্দুল আজীজ গ্রন্থাগার এর অন্যতম। এ গ্রন্থাগারের রয়েছে বিরাট ঐতিহ্য আর অনেক বৈশিষ্ট্য। গ্রন্থাগারটি মূলত সাউদী আরবের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত। এর অন্যতম বৈশিষ্ট্যগুলো হচ্ছে, এটি একটি ইসলামী পাঠাগার, যা সকলের জন্য উন্মুক্ত; তাই বলা যায় গণ-গ্রন্থাগার বা পাবলিক লাইব্রেরী। আর এতে পান্ডুলিপির সংগ্রহের আধিক্যের কারণে বলা যায় পান্ডুলিপিকেন্দ্র।
গ্রন্থাগারটির মূল লক্ষ্য কিতাব ওয়াকফের সুন্নতকে পুনরুজ্জীবিত করার সাথে সাথে অধিক পরিমাণে তথ্যসূত্র জমা করা। পাঠকসহ গবেষক, ছাত্র শিক্ষকদের গবেষণাকার্যে সহযোগিতা করা এবং সামাজিক সাংস্কৃতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করা। মালিক আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে এবং মদীনার আমীর আব্দুল আজীজ বিন মাজেদ বিন আব্দুল আজীজ-এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই গ্রন্থাগারটি তার লক্ষ্য বাস্তবায়নে সফল। বর্তমানে গ্রন্থাগারটি উত্তরোত্তর উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রকাশনার মাধ্যমে এর কার্যক্রম আরো বিস্তৃত হচ্ছে। মদীনা মুনাওয়ারায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী এই গ্রন্থাগারটির একটি সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও ইতিহাস নিম্নে তুলে ধরা হল।
১৩৯৩ হি. মুহাররমের তিন তারিখ মোতাবেক ১৯৭৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি এই গ্রন্থাগারটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মালিক ফয়সাল বিন আব্দুল আজীজ রহ.। এবং ১৪০৩ হি. ১৬ মুহাররম মোতাবেক ১৯৮২ সালের ২রা নভেম্বর এর উদ্ভোধন করেন মালিক ফাহাদ বিন আব্দুল আজীজ রহ.।
গ্রন্থাগারটি মসজিদে নববীর সাহান (বারান্দা) সংলগ্ন পশ্চিমে অবস্থিত। আরো সহজ করে বলতে গেলে মসজিদে নববীর ৭নং কার পার্কিংয়ের সোজা বের হয়ে একটু হাঁটলেই চোখে পড়বে সবুজ নেমপ্লেটে লেখা ‘মাকতাবাতুল মালিক আব্দুল আজীজ’। চারতলা বিশিষ্টি এই ভবনটিতে রয়েছে বিশেষ অধ্যয়ন কক্ষ, পান্ডুলিপির জন্য বিশেষ হল, নতুন প্রকাশনা প্রর্দশনী কক্ষ, গবেষণাগার, মহিলা পাঠকক্ষ, শিশু পাঠাগার, সাধারণ আলোচনা হলসহ অনেক কিছু।
গ্রন্থাগারের বিভিন্ন বিভাগ
১. মুসহাফগার : এই বিভাগটিতে রয়েছে কুরআনে কারীমের পান্ডুলিপির এক বিশাল সংগ্রহ, যার সংখ্যা প্রায় ১৮৭৮টি। এর সাথে রয়েছে ৮৪টি
হস্তলিখিত কুরআনে কারীমের বিশেষ অংশ। এসব কিছুই মুসলিম ওলামায়ে কেরামের কুরআনে কারীম পঠন-পাঠন, অনুবাদ, মুখস্থ করাসহ সার্বিক অবদানের সাক্ষ্য বহন করে। বর্তমানে এ সংগ্রহটি ইসলামী জ্ঞানভান্ডারের এক বিশাল সম্পদ। এর মাধ্যমে যুগে যুগে আরবী হস্তলিপির বিকাশ ও উন্নতি সম্পর্কে অবগত হওয়া যাবে।
অত্র মাকতাবায় সবচেয়ে প্রাচীন হস্তলিখিত কুরআনটির তারিখ লেখা আছে ৪৮৮হি.। হরিণের চামড়ার মধ্যে এটি লিখেছেন আলী বিন মোহাম্মাদ আল বাতলিওসী। এর নিকটবর্তী কালের কুরআনটি ৫৪৯ হিজরীর, যা লিখেছেন আবু সা’দ মোহাম্মাদ ইসমাইল বিন মোহাম্মাদ। এই কুরআনটি গ্রন্থাগারে উপহার হিসেবে দেয়া হয়েছে ১২৫৩ হি. সালে। গোলাম মহিউদ্দীন-এর হাতে লিখিত কুরআনটি অত্র গ্রন্থাগারের সবচেয়ে বৃহদাকারের, যার লেখার তারিখ ১২৪০ হি.। এই হস্তলিখিত কুরআনটির ওজন ১৫৮ কি.গ্রা.।
২. পান্ডুলিপি বিভাগ : যেহেতু এই গ্রন্থাগারটি পান্ডুলিপি বা মাখতুতাতের ব্যাপারে অধিক যত্নশীল, তাই এর সংখ্যাও অনেক। যার সংখ্যা প্রায় ১৭,৭২২। এর সব কটিই মূল পান্ডুলিপি, ফটোকপি নয়। সমস্ত পান্ডুলিপি সংরক্ষণ, বাধাই ও পরিচর্যার জন্য বিশেষ বিভাগ রয়েছে। এই মূল পান্ডুলিপি যেন কোনো ভাবেই নষ্ট না হয় সে জন্য এই সমস্ত পান্ডুলিপিকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কম্পিউটারে সংরক্ষণ করা হয়েছে। তাই গবেষকদেরকে এ সমস্ত পান্ডুলিপি সরাসরি না দিয়ে কম্পিউটারে অধ্যয়ন ও দেখার সুযোগ করে দেয়া হয়। এর জন্য গবেষককে ক্যাটালগ দেখে কাঙ্খিত মাখতুতের নাম্বার, এর নাম ও লেখকের নাম গ্রন্থাগার থেকে সংগৃহিত বিশেষ কার্ডে লিখে ‘আমিনুল মাকতাবা’ বা লাইব্রেরিয়ান-এর নিকট দিলেই সঙ্গে সঙ্গে আভ্যন্তরীণ বিশেষ নেটওর্য়াকের মাধ্যমে তা কম্পিউটারে পাঠিয়ে দিবে। গবেষক সেই কম্পিউটারে বসে নিজ ইচ্ছামত তা দেখতে পারবে। এই প্রক্রিয়ার একটি বিশেষ সুবিধা হলো পান্ডুলিপিকে ছোট-বড় করে দেখা যায়। আর মূল কপিটি হাতের স্পর্শে নষ্ট হওয়া থেকে বেঁচে যায়।
৩. দুর্লভ গ্রন্থ বিভাগ : অত্র গ্রন্থাগারটিতে দুর্লভ কিতাব সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য একটি বিশেষ বিভাগ রয়েছে। এ সমস্ত কিতাবের সংখ্যা প্রায় (২৫,০০০) পচিশ হাজার।
৪. উন্মুক্ত পাঠাগার : দ্বিতীয় তলায় পুরো স্থান জুড়েই রয়েছে বিশালাকারের পাঠাগার। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে এতে প্রায় এক লাখ গ্রন্থ রয়েছে। সাধারণ পাঠকের সুবিধার জন্য গ্রন্থগুলোকে আধুনিক নিয়মানুযায়ী সাজানো রয়েছে। এসমস্ত গ্রন্থ সহজে খুঁজে পাওয়ার জন্য ডিজিটাল ক্যাটালগও তৈরি করা হয়েছে।
৫. গবেষণাসংগ্রহশালা : বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল ও পিএইচডি গবেষণা গ্রন্থগুলোর বিশেষ গুরুত্ব এ বিভাগে রয়েছে। অত্র গ্রন্থাগার এ ধরনের প্রচুর গবেষণাগ্রন্থ সংগ্রহ করে এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি বিশেষ সংগ্রহশালা তৈরি করেছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়মিত এধরনের গবেষণাগ্রন্থ সংগ্রহ অব্যাহত রয়েছে।
৬. সাময়িকী সংগ্রহশালা : বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, বিভিন্ন উপলক্ষে আবার কখনো মাসিক, ত্রৈমাসিক, বার্ষিক সাময়িকী প্রকাশ করে থাকে। জ্ঞান বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে এতে আলোকপাত করা হয়ে থাকে। তাই গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ সব সময় এধরনের সাময়িকী সংগ্রহের চেষ্টা অব্যাহত রাখে। এগুলো সাজানো রয়েছে পরিকল্পিতভাবে।
৭. ওয়াকফকৃত মাকতাবাসমূহ : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হিজরতের পর থেকে মদীনা মুনাওয়ারা ছিল ধর্মীয় সামাজিক সাংস্কৃতিক সকল কিছুর কেন্দ্রবিন্দু। জ্ঞান-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়। তাই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির উদ্যোগে আবার কখনো সামষ্টিক উদ্যোগে গড়ে উঠেছিল অসংখ্য মাকতাবা বা গ্রন্থাগার। কাল পরিক্রমায় যখন সরকারি উদ্যোগে মালিক আব্দুল আজীজ গ্রন্থাগার নির্মিত হয় তখন সংরক্ষণ ও সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের প্রত্যাশায় ব্যক্তিগত সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক বহু গ্রন্থাগার এই গ্রন্থাগারে ওয়াকফ করে দেয়া হয়, যার সংখ্যা প্রায় (৩৪) চৌত্রিশ।
ক. সামাজিক গ্রন্থাগারসমূহ :
১. মাকতাবাতুল মুসহাফ আশশরিফ।
২. মাকতাবা আলমাহমুদিয়া।
৩. মাকতাবাতুল মদীনা আলমুনাওয়ারা।
খ. প্রাতিষ্ঠানিক বা মাদ্রাসাকেন্দ্রিক মাকতাবাসমূহ : আল ইহছানিয়া আস সাকজিলি, আশ শিফা, আল-ইরফানিয়া, আল-কাজনিয়া কিলি নাজিরি।
গ. ব্যক্তিকেন্দ্রিক মাকতাবাসমুহ : শায়েখ আরেফ হিকমত, রিবাত আল-জিবরত, রিবাত সায়্যিদিনা উসমান, রিবাত কুববাত বাশ, রিবাত বশির আগা, এছাড়াও আছে মদীনার বিশিষ্ট আলেমদের ব্যক্তিগত গ্রন্থাগারসমূহ। যেমন : শায়খ মোহাম্মাদ ইব্রাহীম আল-খাতবী, শায়খ ওমর হামদান, শায়খ আব্দুল কাদের জাজায়েরী। প্রফেসর ড. আব্দুলাহ বিন মো. হাম্মাদ ছা’দ আল হুজাইলী।
৮. মহিলা পাঠকক্ষ : নিচতলায় দক্ষিণ দিকে রয়েছে মহিলাদের জন্য বিশেষ পাঠকক্ষ। এতে মূল মাকতাবার সমস্ত কিছুই রয়েছে। রয়েছে কম্পিউটারসহ আধুনিক সকল সুবিধা। রয়েছে মূল গ্রন্থাগারের বিশাল পান্ডুলিপিগুলোর ক্যাটালগ, আর এ সবকিছু পরিচালনা, পর্যবেক্ষণ ও মহিলা গবেষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য রয়েছে দক্ষ পারর্দশী ও গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে বিশেষজ্ঞ এক দল মহিলা কর্মী। মহিলাদের এই বিভাগটি অথবা এই পাঠকক্ষটি বিকাল চারটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকে।
৯. শিশু গ্রন্থাগার : শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ। আজকের শিশু আগামী দিনের উজ্জ্বল নক্ষত্র। সেই দিকে লক্ষ্য রেখে অত্র গ্রন্থাগারে রাখা হয়েছে শিশুদের জন্য একটি বিশেষ বিভাগ। এতে রয়েছে শিশুদের উপযোগী গ্রন্থসমূহ, গল্প, কবিতা, ছন্দ, ছোটদের জন্য ইসলামী ইতিহাস, জ্ঞান-বিজ্ঞানের আরো অন্যান্য গ্রন্থ। সাথে রয়েছে তাদের উপযোগী করে সাজানো কম্পিউটারসহ আধুনিক অন্য যন্ত্রপাতি।
১০. ব্যবহারকারীদের জন্য বিভিন্ন সেবাসমূহ : মালিক আব্দুল আজিজ গ্রন্থাগারটি বর্তমানে আধুনিক সুযোগ সুবিধায় ভরপুর। গবেষক ও পাঠকদের চাহিদার দিকে লক্ষ্য করে গ্রন্থাগার কতৃপক্ষ দু’বেলা (সকাল-বিকাল)
বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদানের দিকে বিশেষ নজর দিয়েছেন।
ক. গ্রন্থাগারের আভ্যন্তরীণ খেদমতসমুহ : গ্রন্থাগারের ভেতরেই কতৃপক্ষ গবেষকদের সুবিধার জন্য ফটোকপি, দিক নির্দেশনা ও প্রয়োজনীয় কিতাব সরবরাহ করাসহ আরো অনেক সেবা দিয়ে থাকেন।
খ. বহির্মুখী সেবাসমুহ : গবেষক ও পাঠকদের প্রয়োজনানুসারে তাদের নিজস্ব ঠিকানায় কিতাব বা পান্ডুলিপির ফটোকপিসহ বিভিন্ন তথ্য ও কাগজপত্র ডাকযোগে প্রেরণ করা হয়।
*টেলিফোনে তথ্য সরবরাহসহ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার সুব্যবস্থা
* সকলের সুবিধার কথা লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়ছে গ্রন্থাগারের নিজস্ব ওয়েব সাইট। এতে রয়েছে বিভিন্ন তথ্য, গ্রন্থ, প্রয়োজনীয় সংবাদ সরবরাহ, পান্ডুলিপি ও তথ্য গ্রন্থসমূহের ক্যাটালগসহ আরো অনেক কিছু। ওয়েব সাইটটির ঠিকানা হচ্ছে www.kal.gov.sa এই গ্রন্থাগারের কর্তৃপক্ষের সাথে অন্যান্য যোগাযোগের ঠিকানাগুলো হচ্ছে : ইমেইল : info@kal.gov.sa পোষ্ট বক্স নং ৬৪৩৪
১১. বাঁধাই প্রকল্প : পুরাতন ছুটে যাওয়া কিতাব, পান্ডুলিপিসহ নতুন সরবরাহকৃত কিতাব, পান্ডুলিপিগুলো সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রয়েছে নিজস্ব বাধাই প্রকল্প। এতে রয়েছে অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত বাঁধাই শিল্পী, যারা নিখুঁতভাবে বাঁধাই কার্য সম্পাদন করে এবং সাথে সাথে এ সমস্ত মূল্যবান কিতাব ও পান্ডুলিপিসমূহ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে।
১২. শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড : মদীনা মুনাওয়ারায় অবস্থিত মালিক আব্দুল আজীজ গ্রন্থাগারটি তথ্যগ্রন্থ, পান্ডুলিপি, বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক অভিসন্দর্ভ ও বিভিন্ন ক্যাটালগের মাধ্যমেই শুধু গবেষণা ও পাঠকের সেবা দেওয়ায় ক্ষান্ত থাকে না; বরং সমাজের সাধারণ মানুষের প্রতি খেয়াল করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রোগামও হাতে নেয়। ব্যবস্থা করে বিষয় ও দিবস কেন্দ্রিক সেমিনার সিম্পোজিয়ামসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানের। অংশগ্রহণ করে দেশ-বিদেশের বই মেলাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজনে।
১৩. নিজস্ব প্রকাশনা বিভাগ : অত্র গ্রন্থাগারে রয়েছে নিজস্ব প্রকাশনা বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং সামাজিক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গের লিখিত বই, গবেষণাপ্রবন্ধ এ বিভাগটি প্রকাশ করে থাকে। সাথে সাথে প্রকাশ করে গ্রন্থাগারের নিজস্ব গবেষকদের গ্রন্থসমূহও। ওইসব গ্রন্থের কয়েকটি হল, ফাহরাসু মাখতুতাতিল হাদিছিশ শরিফ ওয়া উলূমিহি, মাকতাবাতুল মালিক আব্দুল আজীজ বাইনাল মাদী ওয়াল হাদির, আল-মাকতাবাত আল- ওয়াকফিয়্যাহ ফিল মামলাকাতিল আরাবিয়্যাহ আস সাউদীয়্যাহ।
মূলত মালিক আব্দুল আজীজ গ্রন্থাগারটির অবস্থান মদীনার মুবারক স্থানে হওয়ার পাশাপাশি রয়েছে পান্ডুলিপির সংগ্রহ ও সংরক্ষণের অনন্য বৈশিষ্ট্য। গবেষকদের নিকট রয়েছে এর সম্মানজনক অবস্থান। এ সমস্ত পান্ডুলিপি পাঠোদ্ধারের মাধ্যমে সঠিকভাবে মুদ্রিত হয়ে সাধারণ পাঠকমহলে প্রকাশিত হলে ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞানে এক বিরাট সংযোজন হবে। জ্ঞান-বিজ্ঞানে মুসলমানরা এগিয়ে যাবে আরো অনেক দূর।
[লেখক : মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা-বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়নরত]