প্রফেসর হযরতের সাথে আমেরিকা সফর-৫
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
নায়াগ্রায় শুক্রবার
নিউইয়র্কের পরে আমরা দ্বিতীয় শুক্রবার পেলাম নায়াগ্রায়। ফজর তো বাফেলোর মারকায মসজিদে পড়ে এসেছি। নায়াগ্রা শহরে সম্ভবত একটাই মসজিদ। আমরা সেখানে জুমু’আর নামায পড়তে গেলাম। মিশরী খতীব সাহেব নামায পড়ালেন। আরবদের মুখে আরবী শুনতে ভালো লাগে। অনেকটা কবির মুখে কবিতার মত। আবৃত্তি যেমনই হোক, ভাব ও লয় একটু বেশিই থাকে। নামাযের পর ইমাম সাহেবের সাথে কথা বলে ড. মুজিব স্যার হযরতের জন্য কিছু সময় চেয়ে নিলেন। হযরত ঘড়ি ধরে দশ মিনিট কথা বললেন।
ছোট মসজিদ। মুসল্লীও কম। নামায শেষে কয়েকজন মজলিসে বসল। বেশিরভাগ পাকিস্তানী। বয়ান শেষ হবার পর তাদের মধ্যে একজন হযরতের কাছে আসলেন। মুসাফাহা করলেন। তারপর তিনি বললেন যে, আপনারা আসবেন আমি জানতে পেরেছিলাম আগেই। মাওলানা আব্দুল মুকীত সাহেব ফোন করে আমাকে বলেছিলেন। কিন্তু আমি আশা করছিলাম, আপনারা এসে আমাকে ফোন করবেন। সারা সকাল অপেক্ষা করে যখন কোন ফোন পেলাম না, তখন ভাবলাম আপনারা হয়তো আসেননি। এখন আমার বাসায় চলুন। আমার সাথে দুপুরের খাবার খাবেন। আমার কোনো প্রস্ত্ততি নেই। যা আছে সবাই শেয়ার করব। হযরত তার কথা না রেখে পারলেন না।
ভদ্রলোক টেক্সি ড্রাইভার। তাবলীগের সাথে খুব মেলামেশা করেন। আমরা যখন খেতে বসলাম, তখন ব্যাপারটা সাহাবীদের মেহমানদারীর মত মনে হচ্ছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এক সাহাবীর ঘটনা। তার বাসায় মেহমান এল। তখন রাত হয়ে গেছে। বাসায় সামান্য কিছু খাবার ছিল। স্ত্রীকে বললেন, সব খাবার মেহমানের সামনে হাজির কর। খাওয়ার শুরুতে এক উসিলায় ঘরের বাতি নিভিয়ে দিবে। আমিও দস্তরখানে বসব। খাওয়ার অভিনয় করব। এ সুযোগে মেহমান তৃপ্তির সাথে খাবে। ঠিক তাই হল। মেহমান কিছু টের পেল না।
আমি জানি না, আমাদের জন্য তিনি সব কিছুই হাজির করেছিলেন কি না। দিনের আলোয় তিনিও আমাদের সাথে খেয়েছেন। তবে আমরা খুব তৃপ্তি সহকারে সেদিন দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম।
নায়াগ্রা জলপ্রপাত
নায়াগ্রা জলপ্রপাত মানুষের জন্য আল্লাহ তা’আলার কুদরতের এক নিদর্শন। পৃথিবীর সবচেয়ে প্রশস্ত জলপ্রপাত। নায়াগ্রা মূলত একটি নদী। আমেরিকার পৃথক পৃথক চারটি প্রাকৃতিক ঝিলের সমন্বয়ে এ নদী তৈরী হয়েছে। এই নদী আমেরিকা ও কানাডাকে আলাদা করে রেখেছে। নদীর পানি যে খাদে পড়ে এই জলপ্রপাতের সৃষ্টি, সেই খাদের একটু উত্তর দিকে নদীর উপর দিয়ে একটা ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। রেইনবো ব্রিজ (জধরহনড়ইিৎরফমব)। ব্রিজের মাঝামাঝি ইমিগ্রেশন পোষ্ট। পর্যটকরা সহজেই এক দেশ থেকে আরেক দেশে যেতে পারে। এখানে টাকায় কাজ হয় না। পেপার ঠিক থাকলে কোনো ঝামেলা ছাড়াই যাতায়াত করা যায়। আমাদের কানাডায় যাওয়ার সুযোগ নেই।
জলপ্রপাতের দু’টি অংশ। কানাডা অংশকে বলে অশ্ব খুরাকৃতির জলপ্রপাত (ঐড়ৎংব ঝযড়ব ঋধষষং)। আর আমেরিকার অংশকে বলে আমেরিকান জলপ্রপাত (অসবৎরপধহ ঋধষষং)। আমরা ছিলাম আমেরিকান অংশে। বিশ্বের সুন্দরতম বিনোদনকেন্দ্র। এ বিনোদন উপভোগ করার জন্য এখানে সুন্দর পার্ক, হোটেল, রেস্তোরাঁ ও বিনোদনমূলক অনেক কিছুই হয়েছে। তাই ভিড় লেগেই থাকে। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা যখন গেলাম, অবিশ্বাস্যভাবে তখন জনসমাগম অনেক কম ছিল। মনে হচ্ছিল আমেরিকার ইকোনমির মতই ট্যুরিজমেরও দুর্দশা চলছে। সেটা আমাদের জন্য ভালোই হল।
হযরতকে বিভিন্ন জায়গা ঘুরিয়ে দেখালাম। হযরতের বয়স এখন তিয়াত্তর। হাঁটতে যে কষ্ট, তার চেয়ে কোথাও দাঁড়িয়ে থাকতে আরও বেশি কষ্ট। তারপরেও তিনি আমাদের সাথে ছিলেন। আল্লাহর এ কুদরত দেখেছেন। একটা টাওয়ার আছে সেখানে। অবজারভেশন টাওয়ার। দুইশ বিরাশি ফুট উঁচু। উপরের প্লাটফর্মটা নদীর দিকে এক্সটেন্ড করে নির্মাণ করা হয়েছে। লিফ্ট দিয়ে হযরতকে নিয়ে সেখানে উঠেছি আমরা। টপ ভিউ দেখার জন্য এ এক অপূর্ব জায়গা। এখান থেকে পুরো জলপ্রপাতের দৃশ্য নজরে পড়ে। কানাডার কিছু অংশও পরিষ্কার দেখা যায়। অবিশ্বাস্য দ্রুততায় কী বিপুল পরিমাণ পানি ক্রমাগত পড়েই যাচ্ছে। প্রতি সেকেন্ডে ১৮৩৪ ঘনমিটার পানি পড়ছে। বছরের পর বছর। যুগের পর যুগ। সুবহানাল্লাহ। হযরত দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সে দৃশ্য কিছুক্ষণ দেখলেন।
অবজারভেশন টাওয়ার থেকে নেমে আমরা গাড়িতে করে কাছেই একটা দ্বীপে (এড়ধঃ ওংষধহফ) গেলাম। দ্বীপটা নায়াগ্রা নদীর মাঝখানে। এটি নায়াগ্রা নদীকে দু’ভাগ করেছে। আয়তন প্রায় সত্তর একর। নদীর উপর একটা ছোট ব্রীজ পার হয়ে যেতে হয়। দ্বীপের এক জায়গায় কেইভ অব দি উইন্ডস নামে একটা কমপ্লেক্স আছে। সেখানে আমাদের গাড়ি পার্ক করা হল। হযরত গাড়িতে বসে থাকলেন। ড. মুজিব স্যারও হযরতের সাথে রয়ে গেলেন। আমরা কেইভ অব দি উইন্ডস (ঈধাব ড়ভঃযব ডরহফং) দেখতে গেলাম।
কেইভ অব দি উইন্ডস সম্পর্কে আগে থেকে আমাদের কোনো ধারণা ছিল না। এ এক অদ্ভূত অভিজ্ঞতা! প্রথমে লিফ্টে করে গ্রাউন্ড লেভেল থেকে অনেক নিচে (১৭৫ ফিট) নামতে হয়। লিফ্ট থেকে বের হয়ে একটা সুড়ঙ্গ পথ ধরে হাঁটতে হয়। জলপ্রপাতের পানি যেখানে পড়ছে, সেখানে গিয়ে শেষ হয়েছে পথটা। সুড়ঙ্গের শেষে পথটা খুব পিচ্ছিল। সাবধানে হাঁটতে হয়। সেখান থেকে উপরের দিকে তাকালে দেখা যায়, মাথার অনেক উপর থেকে পানি পড়ছে। এই উচ্চতা প্রায় একান্ন মিটার। সে এক অবিশ্বাস্য দৃশ্য! জলপ্রপাতের পানি বড় বড় পাথরের উপর আছড়ে পড়ছে। তারপর সেটা হালকা বৃষ্টির মত চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। পাথরের আড়ালে পাথর। এরকম আড়াল করেই সেখানে কাঠের অনেকগুলো সিঁড়ি দিয়ে বিভিন্ন লেভেলে ছোট ছোট প্লাটফর্ম বানানো হয়েছে। উপরের প্লাটফর্মে দাঁড়ালে পানির বড় বড় ঝাপটা এসে গায়ে লাগে। সে পানিতে প্রায় গোসল করা যাবে। এজন্য তারা আবার একটা বিশেষ স্যুট দিয়েছে। সেটা প্লাষ্টিকের রেইনকোটের মত। সঙ্গে এক জোড়া চপ্পল। চপ্পলে এই রাইডের লোগো ছাপানো। অনেকে এটাকে স্যুভেনির হিসেবে রেখে দেয়। আমরা সেখান থেকে জামা-কাপড় ভিজিয়ে গাড়ির কাছে ফিরে এলাম। । আমরা হোটেলে ফিরে এসে আসরের নামায পড়েছি। রাতে জলপ্রপাতের উপর বিভিন্ন রঙের আলো ফেলা হয়। এটাকে ফায়ার ওয়ার্কস বলে। তখন নদী, জলপ্রপাত এবং আশেপাশের এলাকাগুলো রঙিন আলোয় আরও মোহনীয় হয়ে ওঠে। কিন্তু সেটা দেখার কোনো আগ্রহ হযরতের ছিল না। আমি চাইলেও যেতে পারিনি। পরদিন সকালে আমরা মিশিগান রওনা হই।
মিশিগানে এক রাত
মিশিগান আমেরিকার পঞ্চাশটি স্টেটের মধ্যে অষ্টম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। ১৮৩৭ সালে ছাবিবশতম স্টেট হিসেবে এর আবির্ভাব। মিশিগানের ফ্রেশ ওয়াটার কোস্টলাইন পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ। জেনারেল মোটরস্ করপোরেশন, ফোর্ড মোটর কোম্পানিসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি বানানোর কারখানা আছে এখানে। বাংলাদেশী ইঞ্জিনিয়ারদের প্রিয় স্টেট। অন্যান্য শহর থেকে এখানে চাকুরির সুযোগ বেশি।
মিশিগানের সবচেয়ে বড় শহর ডেট্রয়েট। আমাদের গন্তব্য ট্রয় শহর। এটি ডেট্রয়টের একটা উপশহর। চারিদিকে লেক দিয়ে ঘেরা এ অপূর্ব সুন্দর শহরের কিছুই দেখা হয়নি আমাদের। গাড়িতে বসে থেকে আশপাশের দৃশ্য দেখা ছাড়া বিশেষ কোনো জায়গায় যাওয়ার সুযোগ ছিল না। আমরা যখন ট্রয় শহরে পৌঁছলাম, তখন বিকেল হয়ে গেছে।
মিশিগানে আমাদের মেজবান ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ হোসেন। তিনি বুয়েট থেকে পাশ করেছেন। আমার কয়েক ব্যাচ সিনিয়র।
এমডা (অগউঅ) মসজিদ, স্টারলিং হাইটস
মাগরিবের নামায পড়তে হবে এমডা (অগউঅ) মসজিদে। এমডা মানে আমেরিকান মুসলিম ডাইভার্সিটি এসোসিয়েশন। এটা স্টারলিং হাইটস শহরের একটা মসজিদ। সেখানে বিভিন্ন এথনিক গ্রুপের মুসলিমদের বসবাস। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, আলজেরিয়া, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের মুসলমান এ মসজিদে নামায পড়ে। এজন্য তারা এরকম একটা নাম দিয়েছে। এখনো মসজিদের জায়গাটা ভাড়া করা। এ বছরই নিজস্ব প্লটে মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু হবে। ট্রয় শহরের পাশেই স্টারলিং হাইটস। গাড়ি ছাড়া যাওয়ার উপায় নেই। দশ-পনেরো মিনিট লাগবে। আযানের আগেই আমাদের বের হতে হবে। হযরত বিশ্রামের জন্য বেশি সময় পেলেন না।
নামাযের পর মসজিদে হযরত বয়ান করলেন। সেখানে বুয়েটের অনেক পরিচিত ছাত্র আর শিক্ষকদের সাথে দেখা হল। বয়ান শেষে হযরত তাদেরকে কিছুক্ষণ সময় দিলেন। কুশল বিনিময় করলেন। হযরতের সাথে অনেকের অনেক স্মৃতি। সেসব স্মৃতির কথা শোনার সময় নেই। রাত বেড়ে যাচ্ছে। সবাই আরও কয়েকদিন থাকার জন্য অনুরোধ করল। এ অনুরোধ রাখা সম্ভব হল না। পরদিনই সকালের ফ্লাইটে আমাদের আটলান্টা যেতে হবে। সেখানে প্রোগ্রাম ঠিক করা আছে। কোনো কিছু পরিবর্তন করা যাবে না।
মসজিদ থেকে বের হয়ে আমরা আশরাফ ভাইয়ের বাসায় ফিরে এলাম। হযরতের পরিচিত কিছু আত্মীয়-স্বজন দেখা করতে আসবেন। ফোনে যোগাযোগ হয়েছে। তারা এলেন। সবাই পার্টির ফরমাল ড্রেস পরা। ডেট্রয়ট শহরে একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছেন। বিয়ে হয়ে গেছে। একজন মুসলমান মেয়ের সাথে এক খ্রিস্টানের বিয়ে হল। দুই পক্ষের আত্মীয়রা এসেছে। তারা মেয়ে পক্ষের আত্মীয়। সবাইকে বেশ খুশি মনে হল। এখন আমেরিকার সমাজে এটা কোন ব্যাপার না। মুসলিমদের সাথে অমুসলিমদের অহরহ বিয়ে হচ্ছে। বিয়ের পর যে যার ধর্ম পালন করছে। ধর্ম কি আর! তাদের ধর্মের সবকিছুই সামাজিকতার জন্য বিসর্জন দেয়া যায়। শুরুতে খোলস, তারপর ধীরে ধীরে মন-মগজ সব। কি ভয়ানক অবস্থা! আল্লাহ আমাদেরকে হেফাযত করুন।
হযরত অনেকদিন পর তার এ আত্মীয়দের দেখলেন। তারা নিজেরা খুব চেষ্টা-সংগ্রাম করে আমেরিকায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। ছেলে-মেয়ে মানুষ করেছেন। কিন্তু মুসলমান বানাতে পারেননি। হয়তো তাদের মনেও কষ্ট আছে। সে কষ্ট নিয়েই এই খ্রিস্টান-মুসলমানের বিয়ের দাওয়াত খেতে এসেছেন। সেটা কেবলই কষ্ট! এ কষ্টের কী দাম আছে শরীয়তে? হযরত এ ব্যাপারে কিছু বললেন না। তাদের সাথে আবার কবে দেখা হবে, কে জানে!
ডিনারের দাওয়াত ছিল আমার এক বন্ধুর বাসায়। কলেজ বন্ধু। পরে বুয়েটে একসাথে একই ডিপার্টমেন্টে পড়েছি। নামাযী। এখানে একটা মোটর কোম্পানিতে কাজ করে। তার এক ছেলে, এক মেয়ে। নিজের মাকে দেশ থেকে নিয়ে এসেছে। একবার তার মায়ের সাথে আমার কথা হয়েছে। মা ছেলের খেদমতে খুব খুশি। ট্রয় শহরের আরেক এলাকায় তার বাড়ি। বাড়ির গেইটে সে আর তার স্ত্রী দাঁড়িয়ে আছে। আমাদেরকে রিসিভ করবে। আমি কাছে যেতেই সে তার স্ত্রীকে দেখিয়ে বলল, এই যে আমার স্ত্রী। ‘‘আসসালামু আলাইকুম ভাই’’ কথাটা কানে এল। আমি আর কী করব! এমন ঘটনার জন্য প্রস্ত্তত ছিলাম না। যারা উলামাদেরকে মহববত করে, তারা এ কাজটা কখনো করে না। মহিলাদেরকে যথাসম্ভব পর্দার আড়ালেই রাখে। আমার বন্ধু সেটা করার প্রয়োজন মনে করল না। আমি মাথা নিচু করে সালামের জবাব দিয়ে ঘরে প্রবেশ করলাম।
এদেশে যারা ধার্মিক, তারা অনেকে নামায পড়ে ঠিকই। কিন্তু মেয়েদের শরয়ী পর্দা আর ছেলেদের সুন্নাতী দাঁড়ির ব্যাপারটা সহজে মানতে চায় না। তারা বলে, ‘‘ঘরের স্ত্রী সারাদিন ধরে মেহমানদের জন্য রান্না করেছে। সব পরিপাটি করে সাজিয়ে রেখেছে। এখন মেহমানরা তার সাথে দেখা করে
সামনাসামনি একটু থ্যাংকসও দিবে না?’’ থ্যাংকস তো অবশ্যই দিবে। হযরত সেটা দিতে কখনো ভুল করেন না। কিন্তু এ কাজটা সামনাসামনি করতে হবে, এটা ঠিক না।
এমনিতে প্রচলিত থ্যাংকস আখিরাতে কোনো কাজে আসবে না। ‘থ্যাংক ইউ’ এর বাংলা করা হয় ‘ধন্যবাদ’। আপনি এটা শুনে ধন্য হতে পারেন, কিন্তু আখিরাতে এটা বাদ। ইসলামের বিধান হল, মেহমানরা তোমার জন্য পর্দার আড়াল থেকে দু’আ করবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শেখানো দু’আ। যেগুলো তোমার জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যান বয়ে আনবে। ইসলাম পর্দার বিধান দিয়ে নারীকে সম্মানিত করেছে। এটা আমাদের বুঝে আসে না। হযরত খুব ক্লান্ত। আমাদের খাওয়ার মত অবস্থা নেই। বন্ধুর আগ্রহে কিছু খেলাম। হযরতও সামান্য কিছু খেলেন। সেখান থেকে ফিরে রাতে ঘুমাতে অনেক দেরী হয়ে গেল। ষ
(চলবে ইনশাআল্লাহ)