শায়খুল হাদীস রাহ. : অনন্য গুণ-বৈশিষ্ট্য
(‘ফযলুল বারী’র ৩য় খন্ডের শুরুতে কালিমাতুশ শুকর শিরোনামে লিখিত আরবী প্রবন্ধ থেকে গৃহিত ও অনূদিত।)
***
শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক রাহ.-এর মতো ব্যক্তি ও ব্যক্তিত্ব গোটা মুসলিম উম্মাহর জন্য, বিশেষত এই দেশের জন্য এক মহা নেয়ামত।
তিনি ছিলেন ঐ সকল মহামনীষীদের মাঝে উজ্জ্বল নক্ষত্র, যাদেরকে আল্লাহ তাআলা অনন্য গুণ-বৈশিষ্ট্যের অধিকারী করে বানিয়েছেন।
আল্লাহ তাআলা তাঁর মাঝে বহু গুণের সমাবেশ ঘটিয়েছেন। বিশেষত তাঁর নিম্নোক্ত গুণাবলি আমাকে মুগ্ধ করেছে
১. উলূমে আলিয়্যাহ ও উলূমে আ’লিয়ার কিতাবসমূহ বোঝা এবং উচ্চস্তরের গবেষণামূলক বিষয়াদি অনুধাবনে তাঁর অসাধারণ যোগ্যতা
২. তীক্ষ্ম মেধা ও স্মরণশক্তি।
৩. মদীনা ও ছাহেবে মদীনা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি তাঁর অগাধ ভালবাসা।
নবীজীর শানে তাঁর রচিত কাছিদাই (প্রশংসাগাথা) হৃদয়ে লালিত এ ভালবাসার প্রতিচ্ছবি।
৪. উস্তায ও মাশায়েখের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা ও ভক্তি
এটি তাঁর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য। তাঁর কোনো শায়েখের আলোচনা এলেই তিনি আবেগ-আপ্লুত হয়ে যেতেন, অশ্রুসিক্ত হতেন। আল্লাহ তাঁকে বড় বড় শায়েখদের সান্নিধ্যে ধন্য করেছেন, যাঁরা ছিলেন যুগের ইমাম। হিন্দুস্তানে তাঁর শায়খদের মধ্যে রয়েছেন : শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাববীর আহমদ উসমানী রাহ. (মৃত্যু : ১৩৬৯ হি.), আল্লামা ইদরীস কান্ধলভী রাহ. (মৃত্যু : ১৩৯৪ হি.), ইলাউস সুনানের মুসান্নিফ আল্লামা শায়েখ যফর আহমদ উসমানী রাহ. (মৃত্যু : ১৩৯৪ হি.) তবে তাঁর সান্নিধ্য পেয়েছেন ঢাকায়। ‘শায়েখ বদরে আলম মিরাঠী রাহ., যিনি কাশ্মিরী রাহ.-এর দরসে বুখারী লিপিবদ্ধ করেছেন, যা ফয়যুল বারী নামে প্রকাশিত হয়েছে।
আর হিন্দুস্তানে যারা তাঁকে হাদীসের ইজাযত দিয়েছেন তাদের অন্যতম হলেন, শায়েখ আসআদুল্লাহ রামপুরী যিনি মাযাহিরুল উলূম, সাহারানপুর-এর সে সময়ের প্রথম সারির উস্তায ছিলেন। তিনি শায়খুল হাদীস রাহ.কে বযলুল মাজহুদ-এর মুসান্নিফ খলীল আহমদ সাহারানপুরীর (রাহ.) সূত্রে শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভীর মুসালসালাতের ইজাযত দিয়েছেন।
আর এদেশের যে সকল মাশায়েখের সান্নিধ্য তিনি লাভ করেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, শামসুল উম্মাহ শায়েখ শামসুল হক ফরিদপুরী রাহ. (মৃত্যু : ১৩৮৮ হি.), মুরশিদুল উম্মাহ শায়েখ মুহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর রাহ. (মৃত্যু : ১৪০৭ হি.), মুহাদ্দিসে কাবীর শায়েখ হেদায়াতুল্লাহ ছাহেব রাহ. (মৃত্যু : ১৪১৬ হি.), শায়েখ রাহ. তাঁর কাছে আশরাফুল উলূম বড় কাটারা মাদরাসায় সহীহ মুসলিম পড়েছেন।
তাঁর সকল উস্তায তাঁকে ভালবাসতেন এবং বিশেষভাবে মূল্যায়ন করতেন। আর শায়েখও (রাহ.) তাদের ভালবাসাকে আল্লাহর পক্ষ থেকে মহা নেয়ামত ও দুনিয়া-আখেরাতের পাথেয় মনে করতেন।
৫. ইলম ও তালিবুল ইলম ছিল তাঁর জীবন-সাধনা
তার দ্বীনী খেদমত ও নুসরতে দ্বীনের একটি বড় দিক ছিল, ইলম ও তালিবুল ইলমের খেদমত। এ কাজে তিনি জীবন ওয়াকফ করেছিলেন। এক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অনন্য বে-নজীর।
যৌবনের শুরু থেকে যতদিন বোধ-বুদ্ধি ও যবান সতেজ ছিল ততদিন একনিষ্ঠতার সাথে পূর্ণ হিম্মত ও উদ্যম নিয়ে এ ময়দানে শ্রম ও মেধা ব্যয় করেছেন।
তাদরীস ও অধ্যাপনার ক্ষেত্রে তার ত্যাগ ও কুরবানী ছিল অতুলনীয়। তার তাদরীস ছিল-
لفظ را تحقيق خوانى
এর উজ্জ্বল নমুনা। আলেম ও তালিবুল ইলমমাত্রই জানেন, তিনি কঠিন কঠিন ইলমী বিষয় এত সহজভাবে উপস্থাপন করতেন ও বোঝাতে সক্ষম হতেন যে, তার ব্যাপারেই বলা যায়-
إن من البيان لسحرا
৬. সাধারণ মুসলমানদের কল্যাণে তাঁর বিভিন্ন খেদমত
এটি প্রত্যেক যুগে প্রতিটি এলাকার দায়ীদের বৈশিষ্ট্য। আর এ প্রেরণা থেকেই তিনি সহীহ বুখারীর জনসাধারণের উপযোগী তরজমা করেছেন। এবং সহীহ বুখারী ছাড়া কুতুবে সিত্তার (ছয় কিতাব) অবশিষ্ট পাঁচ কিতাবের যে হাদীসগুলো সহীহ বুখারীতে আসেনি এবং মেশকাত শরীফের যে হাদীসগুলো কুতুবে সিত্তায় আসেনি ‘হাদীসের ছয় কিতাব’ নামে সে হাদীসগুলোর বাংলা তরজমা শুরু করেছিলেন। জীবদ্দশায় এর দুই খন্ডের কাজ করে প্রকাশ করতে পেরেছেন।
অনুরূপভাবে সর্বসাধারণের জন্য জালালুদ্দীন রূমী রাহ.-এর মছনবীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অনুবাদ করেছেন।
তেমনিভাবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে ওয়াজ-নছীহত, সভা-সেমিনার, কনফারেন্স, জুমার পূর্বের বয়ান ইত্যাদির মাধ্যমেও জনসাধারণকে আল্লাহর পথে ডেকেছেন। তিনি একসময় আলকুরআনুল কারীমের একটি মূল্যবান ধারাবাহিক দরসের খেদমতও আঞ্জাম দিয়েছেন। তার এ সকল খেদমতের মাধ্যমে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছে।
আর জনসাধারণের জন্য তিনি যে কাজগুলো করেছেন তা এমন মানসম্পন্ন ছিল যে, আলেম-উলামা, ছাত্র-শিক্ষক মহলেও তা ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। তারাও তাঁর এ সকল খেদমত থেকে উপকৃত হয়েছেন।
৭. শাসকশ্রেণী নিয়ে তাঁর ভাবনা-পরিকল্পনা
এটি একজন দায়ী ও মুজাহিদের বৈশিষ্ট্য।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সর্বোত্তম জিহাদ হল, জালেম বাদশাহর সামনে হক কথা বলা। এই হাদীসটি মুসনাদে আহমাদ (খ:৩, পৃ:১৯) ও হাদীসের আরো গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে।
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন, শ্রেষ্ঠ শহীদ হল হামযা। তারপর ঐ ব্যক্তি যে জালিম বাদশাহকে সৎকাজের আদেশ করেছে এবং অন্যায় থেকে বাধা দিয়েছে। ফলে সে তাঁকে হত্যা করেছে (শহীদ করে দিয়েছে)-হাকেম, আলমুসতাদরাক খ:৩, পৃ: ১৯৫, ইমাম আবু হানীফা রাহ.-এর সূত্রেও এ হাদীসটি বর্ণিত। দেখুন, জাসসাস, আহকামুল কুরআন, খ : ১, পৃ: ৭০
শায়খুল হাদীস রাহ. এ গুণটি তাঁর পূর্বসূরীদের থেকে লাভ করেছেন। শামসুল উম্মাহ শায়খ শামসুল হক ফরিদপুরী রাহ. তাঁদের অন্যতম।
শাসকগোষ্ঠীর অন্যায়ের প্রতিবাদের কারণে একাধিকবার তাঁকে কারাবরণ করতে হয়েছে। কারারুদ্ধ অবস্থায় তিনি ধৈর্য্য ও সহনশীলতা এবং আল্লাহর ফয়সালার প্রতি সমর্পিত ও কৃতজ্ঞ থাকার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। যা একজন ‘সাবের’ ও ‘শাকের’ মুমিনের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ দুনিয়া-আখেরাতে তাঁর এ সকল মোজাহাদার উত্তম বিনিময় দান করুন।
আল্লাহ এ সকল পূর্বসূরীদের সুযোগ্য উত্তরসূরী তৈরি করে দিন, যারা ঈমানে আখলাকে হবে তাঁদের মত বলিয়ান, কলমে ও যবানে হবে অগুয়ান, বাতিলের মোকাবেলায় হবে বীর পাহলোয়ান।
যখন বর্বর উগ্র হিন্দুরা ভারতের ফায়যাবাদের ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ গুড়িয়ে দিল তখন শায়খুল হাদীস রাহ. বাংলাদেশের মুসলমানদের নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুললেন, যার প্রভাব সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার কিছুদিন পর শায়খুনাল উস্তায আল-ইমাম শায়খ আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ রাহ.-এর খেদমতে আমার যাওয়া হয়। শায়েখ রাহ. নিজেও ছিলেন বড় মর্দে মুজাহিদ। তাঁর কাছে শায়খুল হাদীস রাহ.-এর এ আন্দোলনের অনেক গুরুত্ব ছিল। আমি দেশে ফেরার সময় তিনি শায়খুল হাদীস রাহ.কে তাঁর লেখা মূল্যবান কিছু কিতাব হাদিয়া পাঠিয়েছিলেন। ‘কালিমাতুল ইহদা’ এর মধ্যে তিনি শায়েখের বিভিন্ন গুণপ্রকাশক শব্দাবলির সাথে সাথে ‘মুজাহিদ’ শব্দটি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। তাঁর তাহকীকে প্রকাশিত যফর আহমদ উসমানী রাহ.-এর ‘কাওয়াইদ ফী উলূমিল হাদীস’ কিতাবের ‘কালিমাতু ইহদা’ হুবহু উল্লেখ করছি।
هدية مقدمة إلى الأخ العلامة الجليل والمحدث النبيل والمجاهد الكبير فضيلة مولانا الأستاذ العزيز الشيخ محمد عزيز الحق الداكوي حفظه الله ونفع بعلمه ودينه وجهاده رجاء عدواته الصالحة لأخيه عبد الفتاح أبو غدة، الرياض
অনুরূপভাবে শায়খুল ইসলাম শাববীর আহমদ উসমানী রাহ.-এর মুকাদ্দিমাতু ফাতহিল মুলহিমের ভূমিকায় (যা শায়খ আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ রাহ.-এর তাহকীকে ‘মাবাদিউ ইলমিল হাদীস ওয়া উসূলিহী’ নামে প্রকাশিত হয়েছে) শায়খুল হাদীস রাহ.-এর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
৮. হাদীসের সকল কিতাবের
প্রতি তাঁর ভালবাসা বিশেষত সহীহ বুখারীর প্রতি হাদীস শরীফের প্রতি ভালবাসা প্রতিটি মুমিনেরই স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। কিন্তু এমন কিছু আল্লাহর বান্দা আছেন হাদীসের প্রতি ভালবাসা যাদের রক্তে মাংসে মিশে যায়। ফলে হাদীসই হয় তাদের জীবন, জীবনের সান্ত্বনা, নির্জনতার সঙ্গী। জনতার মাঝে একান্ত আপন। হাদীসের প্রতি শায়েখের ভালবাসাও ছিল এ পর্যায়ের। আর সহীহ বুখারীর প্রতি তার ভালবাসা ছিল অতুলনীয়। যে কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে বুখারীর দরসের জন্য আবেদন করলেই তিনি রাজি হয়ে যেতেন। ফলে দেখা গেছে একই শিক্ষা-বছরে তিনি প্রায় দশ প্রতিষ্ঠানে বুখারীর দরস দিয়েছেন।
আর বুখারীর প্রতি তার এ ভালবাসার প্রধান প্রেরণা হল তাঁর প্রাণপ্রিয় শায়েখ শামসুল হক ফরিদপুরী রাহ.। পরবর্তীতে সহীহ বুখারীই হয়ে গেছে তার নামের অংশ, জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
৯. তার ছাত্র ও শাগরিদের আধিক্য
এটা শায়েখের প্রতি আল্লাহ তাআলার এক বিশেষ নেয়ামত। তাঁর কাছে সহীহ বুখারী পড়েছে এমন ছাত্রের সংখ্যা চার হাজারেরও বেশি। আর সাধারণ বিবেচনায় তাঁর ছাত্রসংখ্যা এর চেয়ে অনেক অনেক বেশি। একদিকে তাঁর অধ্যাপনার সময়কাল অনেক দীর্ঘ অপরদিকে তিনি শায়খুল হিন্দ রাহ.-এর শাগরিদদের পেয়েছেন এবং তাঁদের সাহচর্য লাভ করেছেন। ফলে তিনি ছিলেন কয়েক প্রজন্মের উস্তায-
ملحق الأحفاد بالأجداد
এবং সত্যিকার অর্থেই তিনি ছিলেন, উস্তাযুল আসাতিযা, শায়খুল মাশায়েখ।
১০. নিজেকে দ্বীনের জন্য
ওয়াকফ করা
শায়েখ রাহ. নিজের জীবন ওয়াকফ করেছিলেন আল্লাহর জন্য, তাঁর কিতাবের জন্য, আল্লাহর দ্বীন ও রসূলের সুন্নাহর জন্য। তিনি আখেরাতকে প্রাধান্য দিতেন এবং আল্লাহর সাওয়াবেরই আশা রাখতেন।
১১. আল্লাহ তাঁকে দান করেছেন এক উত্তম বংশধর
আর আল্লাহ তাআলা তাঁকে একটি উত্তম বংশধর দান করেছেন। তারাও নিজেদেরকে ইলমে দ্বীনের জন্য ওয়াকফ করে রেখেছে। তাঁর বংশধরের মাঝে ছেলেমেয়ে মিলিয়ে সত্তরেরও বেশি হাফেযে কুরআন রয়েছে। এটা তার বংশের পরিচয়।
আল্লাহ শায়খুল হাদীস রাহ.কে মৃত্যুর পরও নেকআমল জারি থাকার তিনটি পথই দান করেছেন :
১। সদাকায়ে জারিয়াহ : তাঁর গুণমুগ্ধ সহকর্মীদের নিয়ে জামিআ রাহমানিয়া প্রতিষ্ঠা এবং অসুস্থতার কিছুদিন পূর্বে জামিআতুল আজিজ প্রতিষ্ঠা। আল্লাহ উভয় প্রতিষ্ঠানকে চিরকাল টিকিয়ে রাখুন।
২। ইলমে নাফে : তার হাজার হাজার ছাত্র, তাদের ছাত্র এভাবে কিয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকা তাঁর ইলমী সন্তান। এর সাথে সাথে তাঁর তাসনীফ ও রচনা, যার আলোচনা আগে করেছি।
৩। দ্বীন ও কুরআনের ধারক নেক
সন্তান। হাদীসের ভাষায়-
أو ولد صالح يدعو له
আর তার ইলমী সদাকায়ে জারিয়ার অন্যতম হল ‘‘ফযলুল বারী’’ কিতাব : ফযলুল বারী কিতাবটি হল সদাকায়ে জারিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তা শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাবীবর আহমদ উসমানী রাহ.-এর বুখারীর দরসের লিপিবদ্ধ সংকলন। যে দরস দিয়েছিলেন তিনি ১৩৬২-৬৩ হিজরী শিক্ষাবর্ষে জামিআ ইসলামিয়া ডাভেলে।
যৌবনের শুরুতে মাত্র বাইশ বছরেরও কম বয়সে করা তার এ কাজই এ কথার প্রমাণ বহন করে যে, তিনি তার শায়েখ থেকে কত মনোযোগের সাথে দরস গ্রহণ করেছেন ও আত্মস্থ করেছেন। এবং কত ধৈর্য্য ও নিপুনতার সাথে তা লিপিবদ্ধ করেছেন।
শায়খুল হাদীস রাহ.-এর দৌহিত্র মাওলানা সাঈদ আহমাদ তার তাহকীকে প্রকাশিত ফযলুল বারীর ৩য় খন্ডের ভূমিকায় এ সংকলনের ইতিহাস বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
আমি মনে করি, ফযলুল বারী কিতাবটি বারী তাআলার পক্ষ থেকে সর্বপ্রথম শায়েখের উপর ‘ফযলে আযীম’। এরপর সকল তালিবুল ইলমের উপর। খাছ করে মাশায়িখুল হাদীস ও উস্তাযুল হাদীসগণের উপর।
আর এ কিতাবের ইলমী বৈশিষ্ট্যাদির বিষয়ে কথা বলা অনেক বড় ব্যাপার। আমার মুখে তা সাজে না, আর আমি এর যোগ্যও নই। বর্তমান সময়ের বড় বড় মাশায়েখ কিতাবের বিষয়ে তাদের আলোচনায় এ কিতাবের বৈশিষ্ট্যের উপর আলোকপাত করেছেন। আল্লাহ তাআলা শায়েখ রাহ.কে জান্নাতুল ফিরদাউসে আ’লা মাকাম নসীব করুন। আমীন।
(ভাষান্তর : ফজলুল বারী)