প্রফেসর হযরতের সাথে আমেরিকা সফর-২
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
২৮ এপ্রিল ২০১২। ঐদিন এ মসজিদে হযরতের প্রোগ্রাম ছিল মাগরিব থেকে এশা। মাওলানা আব্দুল্লাহ সাহেব বেশ কয়েকদিন ধরেই হযরতের প্রোগ্রামের ব্যাপারে প্রচার করে আসছিলেন। ফলে জনসমাগম ভালই হল। কোন নির্দিষ্ট বিষয় ছিল না। হযরত তার স্বভাবজাত ভঙ্গিতে বয়ান করলেন। বাঙ্গালী বেশি থাকাতে বয়ান বেশিরভাগ বাংলায় হল। মাঝে মাঝে ইংরেজীও বলেছেন। প্রোগ্রাম শেষ করে এশার নামায পড়লাম। খাবারের আয়োজন ছিল। আমরাও খেয়ে নিলাম। রাত হয়ে যাচ্ছে। বাসায় ফিরতে হবে। গাড়ি পার্ক করা ছিল একটু দূরে। মঈন শরীফ ভাই গাড়ি আনতে গেলেন। অপেক্ষা করছিলাম। পাশেই এক আমেরিকানের বাসা। সেখানে মনে হয় কোন পার্টি ছিল। সেটা শেষ হয়েছে। লোকজন বের হচ্ছে। এক ব্যক্তি রাস্তা পার হয়েই গীর্জার কাছাকাছি ওয়াকওয়েতে শুয়ে পড়লো। মনে হয় মাতাল। তাকে ঐভাবে রেখেই তার সঙ্গী পাশ দিয়ে হেঁটে গাড়ি আনতে চলে গেলো। আর রাস্তার এপার থেকে কিছু মানুষ সে দৃশ্য দেখছে। আর হো হো করে হাসছে। কারোই কোন ব্যালেন্স আছে বলে মনে হল না। এ হচ্ছে পাশ্চাত্যে সেই অন্ধকারের চিত্র যেখানে তারা বলে, খাও, পান করো আর ফুর্তি করো (Eat, Drink and be Merry)। আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে মুসলমান বানিয়ে যে নেয়ামত দিয়েছেন, তার শোকর করতে করতে আমরা সেখান থেকে চলে এলাম।
একদিনের ব্যস্ততা
নিউইয়র্কে একটা দিনের কথা আমাদের মনে থাকবে অনেকদিন। ২৯ এপ্রিল ২০১২। ফজরের পর থেকেই প্রোগ্রাম শুরু। সকালের নাস্তার দাওয়াত রকল্যান্ডে, মোহাম্মদ আখতার সাহেবের বাসায়। লং আইল্যান্ড থেকে গাড়িতে প্রায় দেড় ঘন্টার পথ। যাওয়ার পথে হাডসন নদীর উপর জর্জ ওয়াশিংটন ব্রীজ পার হলাম। ব্রীজের উপর থেকে দূরের ম্যানহ্যাটন সিটির উঁচু উঁচু বিল্ডিংগুলো চোখে পড়লো।
আমরা যোহরের নামায পড়ে অপেক্ষা করছি। দুপুর তিনটায় মুনার হেডকোয়ার্টারে প্রোগ্রাম। মুনার পরিচালনা কমিটির সাথে সাক্ষাৎ করতে হবে। গত রাতে সেটা নিশ্চিত করা হয়েছে। ফিরে এসে বিকেলে আসরের পরে লং আইল্যান্ড মসজিদে দ্বীনি মাহফিল। হযরতের আনুষ্ঠানিক বয়ান আছে। এ উপলক্ষে প্রচারপত্র ছাপানো হয়েছে। বয়ানের আলোচ্য বিষয়ও নির্দিষ্ট করা হয়েছে। মুনার প্রোগ্রামের সময় হয়ে যাওয়াতে হযরত সেটা সম্পন্ন করে ফিরে এসে দুপুরের খাবার খেতে চাইলেন। আমরা আর দেরী না করে হযরতকে নিয়ে মুনার হেডকোয়ার্টারে রওনা হয়ে গেলাম।
মঈন শরীফ ভাই গাড়ি চালাচ্ছেন। বাইশ বছর হল তিনি এদেশে। সেই যে এসেছেন, আর দেশে যাননি। ঢাকা সিটি কলেজ থেকে বিবিএ পাশ করেছেন। এখানে ব্যবসা করেন। তার বাবা হাফেজ-আলেম ছিলেন। তিনি আলেম হতে পারেননি। তবে উলামায়ে কেরামের সাথে গভীর সম্পর্ক রাখেন। এদেশে কোন আল্লাহওয়ালা এলে তার খুব খেদমত করেন। রাত-দিন তার সোহবতে পড়ে থাকেন। নিজে গাড়ি চালিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান। দারুল উলুম দেওবন্দের মাওলানা আরশাদ মাদানী সাহেব, মাওলানা মাহমুদ মাদানী সাহেব, মাওলানা সাইদ আহমাদ পালনপুরী সাহেব (দামাত বারাকাতুহুম)-এর মত বুযুর্গদের খেদমত করার সৌভাগ্য পেয়েছেন। বাংলাদেশের অনেক বুযুর্গের সোহবতে থেকেছেন। হযরতের সাথে তার আগে থেকে কোন পরিচয় ছিল না। হযরত হাফেজ্জী হুযূর (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) এবং হযরত আবরারুল হক (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)-এর খলীফা আসছেন জেনে তিনিও একইভাবে হযরতের খেদমতে হাজির হয়েছেন। কোন কিছুতেই তার কোন ক্লান্তি নেই। সারাদিন ধরে গাড়ি চালিয়েছেন। অনেক সময় গভীর রাতে আমাদের গন্তব্যে নামিয়ে দিয়ে একাই ফিরে গেছেন। কখনো খেদমতের কোন কমতি চোখে পড়েনি।
ব্রুকলিন। মুনার হেডকোয়ার্টার। মুনার ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট জনাব ড. সাইদুর রহমান চৌধুরী সাহেব তার পরিচালনা কমিটির সবাইকে নিয়ে আগেই উপস্থিত হয়েছেন। আমরা পৌঁছার পরই অনুষ্ঠান শুরু হল। প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্টসহ আরো অনেকে মুনার পক্ষে বক্তব্য দিলেন। তারা তাদের কার্যক্রমের বিবরণ দিলেন। সারা আমেরিকায় মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য, সংহতি এবং সামাজিক দৃঢ় বন্ধনের জন্য তারা কাজ করেন। তবে তাদের মতাদর্শের সাথে আমাদের বুযুর্গানে দ্বীনের হয়তো একটু দূরত্ব আছে। কিন্তু হযরতের কথা ভিন্ন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টিকে সামনে রেখে সকলের সাথে একসঙ্গে কাজ করতে রাজি আছি।’’ এটা একটা বিশাল ব্যাপার। সবাই সহজে পারে না।
সবার কথা শেষ হলে হযরতকে তার মূল্যবান অনুভূতির কথা বলার জন্য অনুরোধ করা হয়। তখন হযরত পাঁচ-সাত মিনিট কিছু কথা বললেন। শুরুতে পুরো খুতবা পড়েছেন। তরপর নিজ সম্পর্কে কিছু কথা বললেন। তিনি ইংরেজী শিক্ষিত মানুষ। তিনি আলেম নন। হযরত মাওলানা মুহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জী হুযূর (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)-এর সান্নিধ্যে দীর্ঘ তেরো বছর ছিলেন। এ উসিলায় আল্লাহ তা’আলা তার অন্তরে যে দ্বীনি অনুভূতি দিয়েছেন, তার শোকার আদায় করলেন। আমেরিকায় বাংলাদেশী মুসলমানদের মধ্যে দ্বীনের ব্যাপারে যে আগ্রহ, তার খুব প্রশংসা করলেন। কিন্তু তাদের সন্তানদের মধ্যে এ দ্বীনি অনুভূতি অনেক কম। এজন্য তাদের মধ্যে কুরআনের শিক্ষাকে আরো ব্যপকভাবে প্রচার-প্রসার করার জন্য প্রথম কাজ হিসেবে মক্তব প্রতিষ্ঠার কথা বললেন। এ জামানায় এ কাজের চেয়ে আগে বেড়ে কোন নফল ইবাদত নেই। তারপর কুরআন শরীফের একটি আয়াতের দিকে ইশারা করলেন,
وجاهدهم به جهادا كبيرا
‘‘তাদের সাথে এই কুরআন দিয়ে জেহাদ করো।’’ (২৫:৫২) উলামায়ে কেরামের মতে এখানে ‘বিহী’ মানে এই কুরআন এবং ‘‘জিহাদান কাবীরা’’ মানে অনেক বেশি পরিশ্রম। এখানে জিহাদ মানে ঢাল-তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধ না। এ আয়াতে বিরুদ্ধ পরিবেশে আল্লাহর দ্বীনের জন্য তাক্বওয়া-পরহেজগারীর সাথে কুরআন নিয়ে অনেক বেশি চেষ্টা, অনেক বেশি পরিশ্রম করার কথা বলা হয়েছে। [মাআরেফুল কুরআন (উর্দু) খন্ড : ৬, পৃ. : ৪৮৫ উর্দু] আল্লাহ তা’আলা সবাইকে সে তাওফিক নসীব করুন। তারপর দু’আ করে হযরত বয়ান শেষ করলেন।
মুনার হেডকোয়ার্টার থেকে ফিরে আর দুপুরের খাওয়ার সময় পাওয়া গেলো না। হযরত সোজা মসজিদে চলে গেলেন। লং আইল্যান্ড মসজিদ। সেখানে আসরের পরে ইংরেজীতে বয়ান করলেন। কথায় ক্লান্তির ছাপ ছিল। খুব কষ্ট করেই বয়ান করলেন। মাগরিবের পর আবার প্রশ্নোত্তর পর্ব। এভাবে এশার নামাযের সময় হল। আমরা যখন বাসায় ফিরলাম তখন রাত প্রায় এগারোটা। হযরত প্রচন্ড ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে গেলেন। খাবার? সকালে হযরতের কাছে শুনেছি যে, তিনি পরে গভীর রাতে উঠে একা একা কিচেন থেকে হালকা কিছু খেয়েছিলেন। সব কিছু থেকেও এ কেমন দিন কাটালেন তিনি? কোথাও কিছুর কম্তি ছিল না। চাইলেই খুব করে খেয়ে নিতে পারতেন। কিন্তু তাতে প্রোগ্রামের ক্ষতি হবে এটা তিনি চাননি। কেউ তার এ চেষ্টা বুঝতে পেরেছে কিনা, কি যায় আসে? তিনি তো আর কাউকে খুশি করার জন্য কাজ করেন না। কেবলই আল্লাহর সন্তুষ্টি সামনে না থাকলে এভাবে নিঃস্বার্থভাবে দ্বীনের মেহনত করা যায় না।
স্নেহের ভাই
হযরতের এক ভাই হাওয়াইতে থাকেন। তার নাম মুহাম্মাদ শহীদুর রহমান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারী পাশ করেছেন। ১৯৭৫ সালে আমেরিকা এসেছেন। এখানে এসে কয়েক বছর মেডিক্যাল সাইন্সে পড়ালেখা করেছেন। তারপর আমেরিকান আর্মিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি সেখান থেকে কর্ণেল হিসেবে রিটায়ার করেছেন বেশি দিন হয়নি। বাংলাদেশ থেকে বড় ভাই আসছেন জেনে সুদূর হাওয়াই থেকে নিউইয়র্কে এসেছেন দেখা করতে। হাওয়াই থেকে নিউইয়র্কে প্লেনে করে আসতেই লাগে প্রায় বারো-তেরো ঘন্টা। হযরতের বাবা ইন্তেকাল করেছেন অনেক আগে। ১৯৫৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে। তখন হযরত ইন্টারমিডিয়েট প্রথম বর্ষের ছাত্র। আর তার দুই ভাই অনেক ছোট। একজনের বয়স নয় বছর, আর একজনের বয়স সাত বছর। হযরত কি যে ভালবাসা-মমতা দিয়ে তার ছোট ভাই দুটিকে বাবার ছায়ায় বড় করেছেন, তা তো তারাই জানে! আমরা যারা সে ঘটনা শুনেছি, সেগুলো আমাদের কাছে কল্প-কাহিনী মনে হয়।
হযরতের বাবার নাম মুহাম্মাদ ইয়াসিন (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)। ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেছিলেন। সরকারী চাকুরি করতেন। তিনি ছিলেন রেলওয়ে মেইল সর্টার।
হযরতের বাবা খুব নেককার ছিলেন। যখনই সময় পেতেন, তখনই কুরআন শরীফ পড়তেন। অফিসে যাওয়ার আগে কুরআন পড়তেন। ফিরে এসেও কুরআন পড়তেন। মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন সাহেবদের খুব খেদমত করতেন। বাসা থেকে তাদের জন্য নিয়মিত খাবার পাঠাতেন। তাদের সাথে সময় কাটাতেন। জীবনের শেষ দিকে সূরা দোখান খুব পড়তেন। কলেরা অসুখ হয়েছিল তার। সে অসুখেই ইন্তেকাল করেছেন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র চল্লিশ।
বাবার ইন্তেকালের পর হযরতেরও একই পদে চাকুরি করার কথা। তখন রেলওয়ে বিভাগে বাবা মারা গেলে ছেলেকে একই পদে চাকুরির সুযোগ দেয়া হত। হযরতের নানা খুব বিচক্ষণ ছিলেন। এটা নিয়ে তিনি মুন্সিগঞ্জের দেশের বাড়িতে পরিবারের সবার সাথে মিটিং করেছেন। বেশিরভাগ মত ছিল চাকুরি করার পক্ষে। কিন্তু নানার দৃঢ়তার জন্য হযরত চাকুরী না করে পড়ালেখা করবেন বলে স্থির হয়। হযরতের এক মামা ছিলেন। নাম আবুল হোসেন। বিমান বাহিনীতে নন-কমিশন র্যাংকে চাকুরী করতেন। পরে সার্জেন্ট হিসেবে রিটায়ার করেছেন। তিনি এগিয়ে আসেন। সংসারের খরচ চালানোর জন্য প্রতি মাসে তিনি হযরতের মাকে তিরিশ টাকা করে দিতেন।
বছর খানেক পরে বাবার চাকুরির সুবাদে এতিমদের জন্য সরকারী ফ্যামিলি পেনশন হিসেবে মাসিক আরো চৌদ্দ টাকা বার আনা পেতেন। হযরতের মায়ের এই হল মোট আয়, চৌচল্লিশ টাকা বার আনা। এই টাকা দিয়েই তিনি সংসার চালাতেন। হযরত বুয়েট থেকে পাস করা পর্যন্ত ছয় বছর এভাবেই চলেছেন। টাকার অংকটা বুঝানোর জন্য একটা উদাহরণ দেয়া যায়। তখনকার আমলে বুয়েটের আবাসিক হলগুলোতে মাসিক ডাইনিং চার্জ ছিল চল্লিশ টাকা! কি কষ্টই না করতে হয়েছে সবাইকে। হযরত বুয়েট থেকে পাশ করেই সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনে চাকুরি নেন। আর তখন থেকেই সংসারের সব দায়িত্ব একাই বহন করতে থাকেন। দুই ভাইকে নিজের কাছে রেখে পড়িয়েছেন। একজন ডাক্তার হয়েছেন। আর একজন বুয়েট থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হয়েছেন। তাদেরকে নিজে বিয়ে দিয়েছেন। দুজনেরই প্রথম সন্তান হয়েছে হযরতের বুয়েট কোয়ার্টারের বাসায়। কত ভালবাসলে এভাবে ভাইদের জন্য করা যায়? তার কোন প্রতিদান কখনো তিনি চাননি। আশাও করেন না। সেই ভাই এসেছেন জেনে কে না এসে পারবে? তা সে যত দূর থেকেই হোক। ==
কর্ণেল ভাই এলেন। হযরতসহ আমরা তাকে এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করে আমাদের হোষ্টের বাসায় নিয়ে এলাম। কেবল একদিন থাকবেন। আবার কালই চলে যাবেন। ঐদিনের সবগুলো প্রোগ্রামে তিনি আমাদের সাথে থাকলেন। ভাই ভাইয়ের সোহবত পেলেন অনেক দিন পর। হোষ্ট আমাদের থাকার জন্য দুটো রুম বরাদ্দ করেছেন। হযরতকে একটা সিঙ্গেল রুম দেয়া হয়েছে। ডাবল খাট। চাইলে একাই থাকতে পারতেন। থাকেননি। ড. মুজিবুর রহমান স্যারকে নিয়ে থেকেছেন। ড. মুজিবুর রহমান স্যার কানাডায় থাকেন। দীর্ঘদিন বুয়েটের শিক্ষক ছিলেন। তিনিও হযরতের জন্য এমন পাগল যে, কানাডা থেকে হযরতের সোহবতে থাকার জন্য এসেছেন। হযরতের মিশিগান সফর পর্যন্ত সাথে থাকবেন। আমরা কয়েকজন ছিলাম পাশের রুমে। ফোরে ঢালাও বিছানা। কিন্তু সেদিন রাতে ঘুমানোর সময় ঘটল ভিন্ন ঘটনা। হযরত ছোট ভাইয়ের জন্য তার রুম ছেড়ে দিলেন। ড্রইং রুমের ফোরে একটা বিছানা ছিল। সেখানে কেউ থাকতো না। তিনি একা সেখানে গিয়ে থাকলেন। আমাদের সাথেও থাকলেন না। কর্ণেল ভাই আমাদেরকে পরে বলেছেন, ‘‘ভাইজান জানেন আমি একটু আরামপ্রিয়!’’ আহা! এই বয়সেও ভাইয়ের আরামের দিকে কি খেয়াল! এই ঘটনার স্বাক্ষী হওয়া ছাড়া আমাদের আর কোন কিছু করার ছিল না।
(চলবে ইনশাআল্লাহ)