শিক্ষা পরামর্শ
শিক্ষা পরামর্শ সংক্রান্ত অনেকগুলো প্রশ্ন আমার কাছে জমা হয়ে গেছে। হঠাৎ মনে হল, এ সংখ্যায় নাম-ঠিকানাসহ প্রতিটি আলাদা আলাদা পৃথক উত্তর দেওয়ার পরিবর্তে প্রত্যেক প্রশ্নের বিষয়বস্ত্তর দিকে ইঙ্গিত করে উত্তর লিখে দেই। তাহেল বেশি প্রশ্নের জওয়াব দেওয়া যাবে। আল্লাহ তাআলাই উত্তম তাওফীকদাতা ও সাহায্যকারী।
১. এক সাথী জানিয়েছেন ‘হিফযুন নুসূস’ সম্পর্কিত প্রবন্ধটি পড়ে আনন্দিত হয়েছেন। এখন তিনি হিফয আরম্ভ করতে চান। এর সহায়ক মাসাদির সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রয়োজন।
* হিফযে নুসূসের প্রাথমিক রূপরেখা ও ধারণা এবং প্রাথমিক মাসাদিরের সংক্ষিপ্ত আলোচনা ঐ প্রবন্ধেই আছে। এরচেয়ে বেশি কিছু বলতে হলে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো বিশেষ বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন করতে হবে। আমি দুআ করি, আল্লাহ তাআলা আপনার জন্য হিফযে নুসূসের পথ সহজ করে দিন এবং আপনার মেধা ও স্মরণশক্তি এবং চিন্তা ও বুদ্ধিতে বরকত দান করুন। আমীন।
২. এক ভাই জানতে চেয়েছেন, হাতের লেখা সুন্দর করার উপায় কী?
* উপায় খুবই স্পষ্ট। হাতের লেখা সুন্দর এমন উস্তাদ কিংবা সহপাঠী থেকে লেখা নিয়ে সে অনুযায়ী অনুশীলন করতে থাকা এবং এই অনুশীলন অব্যাহত রাখা। ভালো হয় এমন কারো তত্ত্বাবধানে করা, যার লেখা ভাষার নিয়ম-কানুনে উত্তীর্ণ। আলকাউসারের কোনো সংখ্যায় সুন্দর হস্তলিপির কয়েকটি কিতাবেরও আলোচনা করা হয়েছিল এবং একথাটিও বার বার বলা হয়েছে যে, প্রতিটি বর্ণকে স্পষ্ট ও পরিষ্কার করে লেখার দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত। যেন তা পড়তে কারো কোনো কষ্ট না হয়। এক্ষেত্রে শুধু সুন্দর হওয়াই যথেষ্ট নয়।
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ইমলা কিংবা রসমে খত-এর নীতিমালার প্রতি গুরুত্বপ্রদান। তেমনি যতিচিহ্নের ব্যবহারও জানা প্রয়োজন। ইতিপূর্বে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে এই বিভাগে কয়েকবার লেখা হয়েছে।
বানান শুদ্ধ করার বিষয়ে আগে কোনো সংখ্যায় বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি, আপনি খুঁজে বের করার কষ্টটুকু সাদরে গ্রহণ করবেন। আর নিজের তালীমী মুরববীর সাথে তো সর্বাবস্থায় পরামর্শ করবেন।
৩. একজন তালিবে ইলম জানিয়েছেন যে, তিনি ‘আততরীক ইলাল আরাবিয়্যাহ’ সমাপ্ত করেছেন। এখন ইলমুস সরফ শুরু করবেন। প্রশ্ন হল এটি কীভাবে পড়বেন?
* আপনার নেসাবে যদি সরফের প্রথম কিতাব ‘আততরীক ইলাস সরফ’ হয় তাহলে এটিই একটি অনুশীলন ও পথ নির্দেশনামূলক কিতাব। আপনি যদি ঐ কিতাবের অনুশীলন ভালোভাবে করেন তাহলে এই সময় যতটুকু সরফ দরকার তা হাসিল হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
আর যদি প্রথম কিতাব হয় মীযান কিংবা ইলমুস সরফ তাহলে আপনি মূল ইবারত কিংবা অর্থ মুখস্থ না করে উস্তাদে মুহতারামের নিকট থেকে সীগাসমূহ নির্ণয়, আফআল বানানোর নিয়ম-কানুন শিখে প্রতিটি গরদানের প্রচুর অনুশীলন করতে থাকুন। গরদানের এই সিলসিলা (ছকসমূহ) কতই না মজাদার! এগুলো আবৃত্তি করে বলতেও আনন্দ হয়। মনে চায় আবার সরফখানায় ভর্তি হয়ে যাই!
ইনশাআল্লাহ এভাবে আপনার সরফের প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জিত হয়ে যাবে। এ সময় আপনার এতটুকুই প্রয়োজন। ভবিষ্যতে সরফের শাস্ত্রীয় বিশ্লেষণের জন্য আবার কখনো আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ।
৪. আরেক তালিবে ইলম ‘আননাহবুল মুয়াসসার’ পড়ছেন। তিনি জানতে চেয়েছেন, কীভাবে মেহনত করলে ইলমে নাহুর দক্ষতা অর্জিত হবে। তাছাড়া তারকীব বুঝতে তার একটু সমস্যা হয় তাই তারকীব বোঝার কোনো সহজ উপায় জানতে চেয়েছেন।
* কোনো শাস্ত্রে দক্ষতার বিভিন্ন স্তর আছে। ‘আননাহবুল মুয়াসসার’ কিংবা ‘নাহবেমীর’ পড়ার সময় সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য হল, এই কিতাবের মাধ্যমে তিনটি ফায়েদা অর্জন করা, যা মীর সাইয়্যেদ শরীফ রাহ. নাহবেমীর কিতাবের ভূমিকায় উল্লেখ করেছেন। যথা : ১. আমিল-মা’মুল ও মু’রাব-মাবনী চিনতে পারা। ২. আরবী ইবারত শুদ্ধভাবে অনায়াসে পড়তে পারা ও ৩. তারকীব বোঝা।
কিতাবের আলোচনাগুলো যদি উস্তাদের নিকট থেকে বুঝে বুঝে পড়েন এবং তামরীন ও ইজরায় অলসতা না করেন তাহলে এই যোগ্যতাটুকু অর্জন না হয়ে উপায় নেই।
অনেক তালিবে ইলম তারকীবকে আলাদা বিষয় মনে করে। অথচ তা ভিন্ন কিছু নয়। যখন আমিল-মামুল চেনা যাবে, জুমলার আকসাম জানা যাবে ও ইরাব-মুরাবের আকসামও বুঝে আসবে তখন তো তারকীব এমনিতেই শিখা হয়ে যাবে। তারপরও তামরীনের সময় তারকীবেরও আলোচনা করলেও তা বোঝা আরো সহজ হবে।
এখন তো নাহবেমীর জামাতের জন্য মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ দামাত বারাকাতুহুম-এর কিতাব ‘আততরীক ইলাল কুরআনিল কারীম’ প্রকাশিত হয়েছে। এতে তারকীব শেখানোর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
আমাদের মূল দুর্বলতা এই যে, আমরা তামরীন ও ইজরায় গুরুত্ব কম দেই। এর সাথে ছাত্রদের সাধারণ ব্যাধি ‘অমনোযোগিতা’ও যদি থাকে তবে তো বিষয়টি আরো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
আমি বুঝি না যে, তালিবে ইলম তো ইলমের জন্যই নিজেকে ওয়াকফ করেছে। কিন্তু এরপরও তার মন-মস্তিষ্ককে ইলমের জন্য কেন সে ফারেগ করতে পারে না? তার মন যায়ই বা কোন দিকে? শুরু থেকে শেষ তার গন্তব্য তো ইলম ও ইলমদাতাই।
নেসাবে আততরীক ইলান নাহব’ অন্তর্ভুক্ত না থাকলেও নাহুকে তামরীনী আন্দাযে পড়ার জন্য তা থেকে সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে। (আপনার তালীমী মুরববীর পক্ষ থেকে যদি কোনো বাধা না থাকে।) এর বর্তমান সংস্করণ খুবই সংক্ষিপ্ত এবং পূর্বের তুলনায় অনেক সহজ। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যত সংস্করণটি আরো সহজ ও উপকারী হবে।
৫. এক সাথী শরহে জামী পড়ছেন। তিনি জানতে চেয়েছেন, আরবী ভাষায় দক্ষতা কীভাবে অর্জন করা যায়? দাওরায়ে হাদীস সমাপ্ত করে উলূমুল হাদীস পড়তে চান তাই এখন থেকেই এ বিষয়ে কী প্রস্ত্ততি গ্রহণ করবেন জানতে চেয়েছেন।
* প্রথম প্রশ্ন সম্পর্কে বলব, এর পরামর্শ আপনার তালীমী মুরববীই দিতে পারবেন। তিনি আপনার অবস্থা সম্পর্কে অবগত আছেন। তবে ভাষার বিশুদ্ধতা, সাহিত্য ও সাবলীলতা ও কথোপকথনের জন্য প্রথম থেকেই সহজ-স্বাভাবিক আরবী ভাষা শিক্ষায় মনোযোগ দেওয়া জরুরি। আপনি যদি ইতিপূর্বে এই মেহনত না করে থাকেন তবে আপনার তালীমী মুরববীর পরামর্শক্রমে প্রতিদিন দশ/পনের মিনিট ‘আততরীক ইলাল আরাবিয়্যাহ’ ও ‘আততামরীনুল কিতাবী’ কে বুনিয়াদ বানিয়ে মেহনত করতে পারেন। এরপর কাসাসুন নাবিয়্যিন, তারপর মুখতারাত।
আর বলার দক্ষতার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল ভাষা বোঝা ও লেখার যোগ্যতা। এদিকে মনোযোগি হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনো বিষয়ে মেহনত করার আগে আমাদের লক্ষ্য ও নিয়ত যাচাই করে নেওয়া জরুরি। আর তালীমী মুরববীর পরামর্শ তো সর্বাবস্থায় অপরিহার্য।
‘উলূমুল হাদীসে’র জন্য এখন থেকেই আলাদা কোনো প্রস্ত্ততির প্রয়োজন নেই। এখন তো আপনার নেসাবের কিতাবগুলোর পরিপূর্ণ যোগ্যতা অর্জন করুন। এই যোগ্যতাটুকুই সকল তাখাসসুসের প্রধান প্রস্ত্ততি। বাংলা ও আরবী ভাষায় প্রবন্ধ লেখার অভ্যাস করুন, হাতের লেখা সুন্দর করার দিকে মনোযোগ দিন। ‘মিনসিহাহিল আহাদীসিল কিসার’ থেকে হাদীসের হিফয শুরু করুন। আল্লাহ তাআলা আপনার সহায় হোন।
৬. এক ভাই খুবই গুরত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন করেছেন। আফআল ও মাসাদিরের সিলাহ বুঝতে তার কষ্ট হয়। অর্থাৎ কোন ফে’ল মাফউলের দিকে হরফে জরের ওয়াসেতা ছাড়া মুতাআদ্দী হয় আর কোনগুলো হরফে জরের ওয়াসতায়; যেগুলো হরফে জরের ওয়াসেতায় মুতাআদ্দী হয় তার মধ্য থেকে কোন ফেল কোন হরফের ওয়াসেতা হয়।
* বাস্তবিক পক্ষেই অনারবদের আরবী থেকে সেলা সংক্রান্ত সমস্যার কারণে অনারবী ভাবটা ফুটে উঠে। তবে আপনি নিশ্চিত থাকুন যে, সেলা নির্ণয় অনেক সহজ। আপনি তেলাওয়াতের সময় লক্ষ্য রাখবেন, কুরআন মজীদে ঐ ফেল বা মাসদারের ব্যবহার কীভাবে হয়েছে। যখন আপনি কুরআন মজীদে ইবরাহীম আ.-এর এই দুআ তিলাওয়াত করবেন-
واجنبني وبني أن نعبد الأصنام
এবং এই আয়াত পড়বেন-
فاجتنبوا الرجز من الاوثان واجتنبوا قول الزرو
তখন আপনার শেখানোর প্রয়োজন হবে না যে, আপনি
اجتنب صحبة الأشرار
লিখবেন নাকি
اجتنب من صحبة الأشرار
‘আততরীক ইলাল কুরআনিল কারীমে’ও সেলার ব্যবহার গুরুত্বের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। তা থেকেও উপকৃত হতে পারেন।
আর এর মূল উৎস তো হল লুগাতের নির্ভরযোগ্য কিতাবসমূহ। ‘আলমু’জামুল ওসীত’ থেকে এ উপকারিতা আপনি সহজেই লাভ করতে পারেন।
৭. আল্লাহর এক বান্দা বলেছেন, তিনি নিজের জন্য একজন তালীমী মুরববী গ্রহণ করতে চান। তাই জানতে চেয়েছেন তালীমী মুরববীর জন্য কী কী শর্ত থাকা দরকার, যেগুলোর প্রতি লক্ষ্য রেখে নির্বাচন করা যায়।
* আমার ভাই! শর্ত শুধু তিনটি : শাফকাত, বাছীরাত ও আমানত। আপনাকে মনে করতে হবে যে, আপনার সকল উস্তাদের মধ্যেই এই শর্তগুলো আছে। তবে তাদের মধ্য থেকে যার সাথে আপনার আন্তরিকতা, মুহাববত ও স্বভাবজাত মুনাসাবাত সবচেয়ে বেশি মনে হবে এবং যিনি আপনার অবস্থা সম্পর্কে অবগত তার খেদমতে গিয়ে দরখাস্ত করুন যে, আপনার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আমি আমার ইলমী জীবন কাটাতে চাই।
৮. আকাবিরের জীবনী জানার আগ্রহ আছে এমন একজন তালিবে ইলম হাফেজ্জী হুজুর রাহ. ও হযরত মাওলানা কারী বেলায়েত হুসাইন দামাত বারাকাতুহুম-এর হালাত ও জীবনী জানতে চান। এজন্য তিনি কী করবেন ও কী পড়বেন জানতে চেয়েছেন।
* দ্বিতীয় বুযুর্গ তো আলহামদুলিল্লাহ এখনও জীবিত আছেন। আপনি কখনো তাঁর কাছ থেকে সময় নিন এবং খিদমতে হাযির হয়ে তাঁর সোহবত গ্রহণ করুন। তিনি অনুমতি দিলে তাঁর জীবনের কথা জিজ্ঞাসা করুন। তাঁর
সন্তান ও তাঁর তারবিয়তপ্রাপ্ত মুআল্লিমীনও বিদ্যমান আছেন। তাদের সাথেও দেখা করে অনেক কিছু
জানতে পারবেন।
আর হযরত হাফেজ্জী হুজুর রাহ.-এর সন্তান, রূহানী সন্তান এবং তাঁর অনেক খুলাফায়ে কেরাম বেঁচে আছেন। তাদের মধ্য থেকে যার সাথে সম্ভব হয় সাক্ষাত করে হযরত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন। কোনো ছুটির দিনে মাদরাসা নূরিয়া, আশরাফাবাদ, (কামরাঙ্গীরচর)ও ঘুরে আসুন।
হযরতের জীবনী সম্পর্কে হযরত মাওলানা আবদুল হক ছাহেব (মোমেনশাহী)-এর কিতাব প্রকাশিত হয়েছে। তাছাড়া এখন তো কয়েক শ পৃষ্ঠার স্মারক-গ্রন্থও আলহামদুলিল্লাহ পাওয়া যায়। যদিও এসব কিতাবের ভাষা ও আলোচনা থেকেও হযরতের মকাম অনেক গভীর ও বিস্তৃত। মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ দামাত বারাকাতুহুমের হজ্ব সফরনামায় এ বিষয়ে অনেক দুর্লভ তথ্য ও অনুভূতি বিদ্যমান রয়েছে। তা গভীরভাবে মুতালাআ করতে পারেন।
৯. একজন হয়তো পাঠকদের আনন্দ দেওয়ার জন্য জানতে চেয়েছেন যে, জীবিতরাও তো আল্লাহর রহমতের মুখাপেক্ষী। তাহলে তাদের জন্য ‘রাহমাতুল্লাহি আলাইহি’ না বলে শুধু মৃতদের জন্য কেন বলা হয়? আর আমি তো দেখি যে, জীবিতদের জন্যও এই দুআ করা হয়। সালামে আমরা বলি, ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ’, ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। নামাযে ডানে-বামে সালাম ফেরানোর সময় জীবিত নামাযী, ফেরেশতাকে লক্ষ্য করে বলি, ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ’।
* আরে ভাই! এটি তো একটি ওরফ বা প্রচলন। যেন বর্তমান আকাবির ও অতীত আকাবিরের মাঝে নাম বলার দ্বারাই পার্থক্য হয়ে যায়। অন্যথায় জীবিতদের জন্য আমরা ‘যীদা মাজদুহুম’, ‘মুদ্দা যিল্লুহুল আলী’, ‘দামাত বারাকাতুহুম’, ‘হাফিযাহুল্লাহু তাআলা ওয়া রাআহু’ ইত্যাদি যা কিছুই বলি সবই তো রহমতেরই দুআ। রহমতের দুআ শুধু রহমতের শব্দে হওয়া তো জরুরি নয়।
فرحمة الله عليك، أيها السائل العجيب.
আরো কিছু প্রশ্ন রয়ে গেল। ইনশাআল্লাহ আগামী সংখ্যায় সেগুলোর উত্তর দেওয়া হবে। আল্লাহ তাআলা সহজ করুন, উপকারী করুন এবং কবুল করুন। আমীন।