নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে নারীর জিজ্ঞাসা ও নারীর বিষয়ে জিজ্ঞাসা
অজ্ঞতাই হল মানুষের মূল অবস্থা, মানব শিশু যখন পৃথিবীতে আসে তখন সম্পূর্ণ অজ্ঞ থাকে। এরপর ধীরে ধীরে সে শেখে। কৌতুহলী হয় এবং উত্তর খোঁজে। একসময় সে বিজ্ঞ হয়ে ওঠে। তো অজ্ঞতা থেকে বিজ্ঞতায় পৌঁছার প্রধান সূত্র জিজ্ঞাসা।
আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘অজ্ঞতা-ব্যধির উপশম হল জিজ্ঞাসা।’
দ্বীনের বিষয় সাহাবায়ে কেরামের জ্ঞান ও প্রজ্ঞা এবং বিশিষ্টতা ও অগ্রগামিতার প্রধান কারণ ছিল আল্লাহর নবীর সোহবত ও সাহচর্য। তাঁরা ছিলেন শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের শ্রেষ্ঠ ছাত্র। দ্বীনের বিভিন্ন বিষয়ে তাঁরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেছেন এবং জবাব নিয়েছেন, সমস্যা পেশ করেছেন এবং সমাধান নিয়েছেন। আর এ বিষয়ে নারীরাও পিছিয়ে ছিলেন না। ঈমান-আকাইদ, তাফসীরুল কুরআন, তাফসীরুল হাদীস, ইবাদত-বন্দেগী, দাম্পত্য ও সামাজিকতা, কারবার ও লেনদেন, আদব ও শিষ্টাচার, আখলাক ও নৈতিকতা, পারস্পরিক দায়িত্ব ও অধিকার ইত্যাদি বহু প্রসঙ্গে তাঁরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করেছেন এবং জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় সমৃদ্ধ হয়েছেন।
পারিভাষিক শব্দে বললে এই জিজ্ঞাসা ও জবাবের একটি বড় অংশ ছিল ‘ইসতিফতা’ ও ‘ইফতা’ তথা শরীয়তের বিধান জানার জন্য প্রশ্ন এবং প্রশ্নের উত্তরে শরীয়তের বিধান বর্ণনা। আর যে বিধানটি বর্ণিত হয়েছে তাকেই বলা হয় ফতোয়া।
সুতরাং নারীরা আল্লাহর নবীর কাছে ফতোয়া জিজ্ঞাসা করেছেন এবং স্বয়ং আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফতোয়া প্রদান করেছেন। এর দ্বারা শুধু নারীদের অধিকারই সংরক্ষিত হয়নি, তাঁরা জ্ঞান ও প্রজ্ঞা এবং তাকওয়া ও দ্বীনদারির অধিকারী হয়েছেন। ইসলামের সোনালী যুগের এই উজ্জ্বল বৈশিষ্ট তুলে ধরার জন্যই এই নিবন্ধের অবতারণা। হাদীসের কিতাব থেকে এখানে শুধু ঐসব জিজ্ঞাসাই তুলে ধরা হয়েছে যেগুলো আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে করেছেন নারী সাহাবীরা কিংবা যা করা হয়েছে নারীদের সম্পর্কে। প্রশ্নের বৈচিত্র থেকে যেমন ফতোয়ার বিষয়বস্ত্ত ও তার বিস্তৃতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে তেমনি ইতিহাসের এই সত্যও অনুমান করা যাবে যে, ইলমে দ্বীনের চর্চা ও বিস্তার এবং দ্বীনের অনুসরণ ও প্রচারের উজ্জ্বল ইতিহাসে আমাদের পূর্বসূরী নারীদের অবদান ও অংশগ্রহণ মোটেই অনুজ্জ্বল ছিল না। আজকের যুগের মুসলিম নারী ও তাদের অভিভাবকদের জন্য এতে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা, যা অনুসরণ করা নারী-পুরুষ সকলের জন্য অপরিহার্য, নিজেদের দ্বীনী ও ঈমানী অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে। আল্লাহ আমাদের তাওফীক দান করুন। আমীন।
কাফির কি জনসেবার দ্বারা আখিরাতে মুক্তি পাবে
১. হযরত উম্মে সালামা রা. আরজ করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার চাচা হিশাম ইবনুল মুগীরা মেহমানদারি করতেন, আত্মীয়তা বজায় রাখতেন এবং আরো অনেক ভালো কাজ করতেন। আপনার যামানা পর্যন্ত বেঁচে থাকলে তাঁর (হয়তো) ইসলাম গ্রহণের তাওফীক হত। তাঁর ঐসব ভালো কাজ কি (আখিরাতে) কোনো উপকারে আসবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে তো দান করত খ্যাতির জন্য। সে তো কোনো দিন বলেনি, হে আল্লাহ! কিয়ামতের দিন আমাকে ক্ষমা করে দিও। (মাজমাউয যাওয়ায়েদ ১/৩১৬)
২. হযরত সালামা ইবনে ইয়াযীদ রা. বলেন, ‘আমি, আমার আববা ও আমার ভাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খেদমতে হাজির হলাম। আমরা দুই ভাই তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের আম্মা মুলাইকা ইসলামের আবির্ভাবের আগেই মারা গেছেন। তিনি যখন জীবিত ছিলেন তখন স্বজনের হক আদায় করতেন, মেহমানদারি করতেন, আরো অনেক ভালো কাজ করতেন। এগুলো কি তাকে উপকৃত করবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘না।’ তখন আমরা বললাম, তিনি তার এক বোনকে জীবন্ত কবর দিয়েছেন? এটি কি তার উপকারে আসবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (ঐ যুগে) যে জীবন্ত কবর দিয়েছে এবং যাকে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছে উভয়ের ঠিকানা জাহান্নাম। তবে যে কবর দিয়েছে (যেহেতু সে বেঁচে ছিল তাই) সে ইসলামের যমানা পেলে এবং ইসলাম) গ্রহণ করলে (মুসলমান হওয়ার কারণে) আল্লাহ তাকে ক্ষমা করতে পারেন। (মাজমাউয যাওয়াইদ ১/৩১৭)
ফায়েদা : আপন বোনকে জীবন্ত কবর দেওয়ার কারণে আখিরাতে মুক্তি হবে কি না-এ প্রশ্ন সম্ভবত এজন্য করা হয়েছে যে, আগের উত্তর থেকে তারা বুঝতে পেরেছেন, কুফর অনেক বড় অপরাধ এবং কাফির অনেক বড় অপরাধী। তো এত বড় অপরাধীকে যদি হত্যা করা হয় তাহলে কোনো পুরস্কারের আশা আছে কি না-এ প্রশ্ন সম্ভবত তাদের মনে উদয় হয়েছিল। তো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন যে, মুক্তির একমাত্র উপায় ঈমান, যদি এটা নসীব হয় তাহলেই শুধু আখিরাতে মুক্তির আশা করা যায়।
ঈমানদার নারী
হযরত মুআবিয়া ইবনুল হাকাম আস-সুলামী রা. তাঁর এক দাসীকে চড় মেরেছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা জানতে পেরে তাকে তাম্বীহ করলেন। ফলে তিনি অনুতপ্ত হয়ে বললেন, ‘আমি কি তাকে আযাদ করে দিব?’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তাকে আমার কাছে নিয়ে এস।’ মুআবিয়া রা. দাসীটিকে নিয়ে এলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে প্রশ্ন করলেন, ‘আল্লাহ কোথায়?’ সে বলল, ‘আসমানে।’ তিনি বললেন, ‘আমি কে?’ সে বলল, ‘আপনি আল্লাহর রাসূল।’ তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুআবিয়া রা.কে বললেন, ‘তুমি একে আযাদ করে দাও। কারণ সে ঈমানদার।’ (সুনানে আবু দাউদ ১/১৩৪)
যে নারীর দুই সন্তান মারা যায়
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা. বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদেরকে নসীহত করে বললেন, ‘যে নারীর তিনটি সন্তান মারা যায় আখিরাতে তারা হবে মায়ের জাহান্নাম থেকে মুক্তির উপায়।’ একজন নারী জিজ্ঞাসা করলেন, ‘দুটি সন্তান মারা গেলে?’ রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (দুটি
সন্তান মারা গেলেও) সে এই প্রতিদিন পাবে।’ (সহীহ বুখারী ১/১৬৭)
মহিলাদের গুনাহের কাফফারা
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদের উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘হে নারীরা! তোমরা দান-সদকা কর। কারণ আমি অধিকাংশ জাহান্নামি দেখেছি তোমাদের নারীদেরকে।’ তখন তারা জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কী কারণে (অধিকাংশ জাহান্নামি হবে নারী)? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা বেশি বেশি অভিশাপ কর এবং স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। (সহীহ বুখারী ১/৪৪)
তাফসীর-প্রসঙ্গ
১. হযরত হাফছা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, ‘আমি আশা করি, বদরের যুদ্ধে ও হুদাইবিয়ার সন্ধিতে যারা উপস্থিত ছিল ইনশাআল্লাহ তাদের কেউ জাহান্নামে যাবে না।’ আমি আরজ করলাম, ‘আল্লাহ তাআলা তো বলেছেন,
وان منكم الا واردها
উত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘আমি আল্লাহকে এ কথাও বলতে শুনেছি যে,
ثم ننجى الذين اتقوا ونذر الظالمين فيها جثيا
(মুসনাদে আহমদ ৬/২৮৫)
ফায়েদা : এই হাদীস থেকে উম্মুল
মুমিনীনের কুরআনী ইলম সম্পর্কে অনুমান করা যায়। কারণ একে তো তিনি তৎক্ষণাৎ প্রশ্নটি করেছেন আর প্রশ্নটিও ছিল একটি ‘ইলমী সুয়াল’ বা শাস্ত্রীয় প্রশ্ন। তাঁর প্রশ্নের কারণে দু’টো আয়াতেরই ব্যাখ্যা স্বয়ং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট থেকে পাওয়া গেল।
২. বিখ্যাত তাবেয়ী মাসরূক রাহ.-এর এক প্রশ্নের উত্তরে উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. বলেন, আমিই সর্বপ্রথম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহর বাণী
ولقد رآه بالافق المبين
(তিনি তাকে দেখেছেন প্রকাশ্যে দিগন্তে)
ولقد رآه نزلة اخرى
(তিনি তাকে আরো একবার দেখেছেন) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি (যে, তিনি আসলে কাকে দেখেছেন।) উত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তিনি তো ছিলেন জিবরীল আ.। তাঁর আসল আকৃতিতে মাত্র দু’বার তাঁকে দেখার সুযোগ হয়েছে। তিনি আসমান থেকে যমীনে অবতরণ করছিলেন। তাঁর বিশাল দেহ আসমান-যমীনের মাঝের স্থান ঢেকে ফেলেছিল।’ (মুসনাদে আহমদ ৬/২৫৯, হাদীস : ২৫৯১৭)
৩. হযরত আয়েশা রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ তাআলার বাণী
وان تبدوا ما فى انفسكم او تخفوه يحاسبكم به الله
তোমরা তোমাদের অন্তরের বিষয়াদি প্রকাশ কর অথবা গোপন কর আল্লাহ সেসব সম্পর্কে তোমাদের হিসাব নিবেন।
من يعمل سوء يجز به
(যে ব্যক্তি কোনোরূপ মন্দ কাজ করবে তাকে এর শাস্তি দেওয়া হবে।) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ আমাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেনি। এরপর তিনি বলেন, (দ্বিতীয় আয়াত সম্পর্কে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বান্দাকে জ্বর ও রোগ-ব্যধিতে আক্রান্ত করে এবং বিপদাপদ দিয়ে আল্লাহ তাআলা তাম্বীহ করেন। এমনকি কোনো কিছু জামার
আস্তীনে রেখে ভুলে যাওয়া এবং এ কারণে পেরেশান হওয়া, এটাও ঐ তাম্বীহের অন্তর্ভুক্ত। (এসব ছোটখাটো শাস্তির) ফলে বান্দা গুনাহ থেকে এমনভাবে পবিত্র হয় যেভাবে কামারের হাপর থেকে লাল লোহা জংমুক্ত হয়ে বের হয়ে আসে। (জামে তিরমিযী ২/১২৩)
৪. ইবনে আবী মুলাইকা রাহ. বলেন, উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা.-এর বৈশিষ্ট্য ছিল, কোনো কথায় তাঁর প্রশ্ন হলে জিজ্ঞাসা করতেন এবং ভালোভাবে বুঝে নিতেন। তো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বললেন যে, ‘কিয়ামতের দিন যার হিসাব নেওয়া হবে তার শাস্তি অবধারিত।’ তখন আয়েশা রা. আরজ করলেন, ‘আল্লাহ তাআলা কি বলেননি-
فسوف يحاسب حسابا يسيرا
‘অচিরেই তার সহজ হিসাব নেওয়া হবে।’ তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘এই হিসাব তো শুধু জানিয়ে দেওয়া। কিন্তু প্রকৃতপক্ষেই যার কাছে হিসাব চাওয়া হবে সে নিশ্চিত ধ্বংস হবে।’ (সহীহ বুখারী ১/২১)
ফায়েদা : আল্লাহ তাআলা যে বান্দার প্রতি প্রসন্ন থাকবেন তার হিসাব হবে অতি সহজ, প্রকৃতপক্ষে তা হিসাব নয়, শুধু জানিয়ে দেওয়া যে, বান্দা! এই এই কাজ তুমি করেছিলে। একেই কুরআন মজীদে ‘হিসাব’ বলা হয়েছে। আর এজন্যই উম্মুল মুমিনীনের প্রশ্ন হয়েছে এবং তিনি জিজ্ঞাসা করেছেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মূল বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন। এ থেকে যেমন আয়াতের অর্থ বোঝা গেল তেমনি হিসাব-কিতাবের ভয়াবহতাও জানা গেল।
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এই আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম-
والذين يؤتون ما اتوا وقلوبهم وجلة
এখানে কি ওইসব লোক সম্পর্কে বলা হয়েছে, যারা মদ পান করে এবং চুরি করে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, না হে সিদ্দীক কন্যা। তারা ঐসব লোক, যারা রোযা রাখে, নামায পড়ে এবং দান-সদকা করে আর এই ভয়ে ভীত থাকে যে, তাদের আমল (আল্লাহর দরবারে) কবুল হবে কি না? (সুনানে তিরমিযী ২/২৪৭)
কুরআন মজীদে নারীদের কথা
হযরত উম্মে সালামা রা. বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আল্লাহ তাআলাকে (কুরআনে) নারীদের হিজরত সম্পর্কে কিছু বলতে শুনিনি। তখন এই আয়াত নাযিল হয়-
اننى لا اضيع عمل عامل منكم من ذكر او انثى
(জামে তিরমিযী ২/১২৭)
অন্য হাদীসে আছে, হযরত উম্মে উমারা রা. আরজ করলেন, আল্লাহর রাসূল! আমি তো সব কিছু শুধু পুরুষদের জন্যই দেখতে পাচ্ছি, নারীদের সম্পর্কে তো কিছুই বলা হচ্ছে না! তখন এই আয়াত নাযিল হয়-
ان المسلمين والمسلمات ...
-জামে তিরমিযী ২/১৫২)
(চলবে ইনশাআল্লাহ)