শাবান-রমযান ১৪৩২   ||   জুলাই-আগস্ট ২০১১

কাছরাতে যিকির

হযরত মাওলানা আবদুল হাই পাহাড়পুরী

হযরত হাফেজ্জী হুজুর রাহ. আমার শায়খ। কেউ যখন তাঁর সামনে তারীফ করতেন তখন আস্তে করে মাথাটা নিচু করে ফেলতেন। আর বলতেন, তোমরা যে এগুলা বল আমার তো লজ্জা লাগে। আমি তো অনেক নিচা, অনেক নিচা। সবসময় আল্লাহর যিকির করতেন। আমার একটি মেয়ে ছিল। পাঁচ বছর বয়সে মারা গেছে। হাফেজ্জী হুজুর সকাল দশটায় মাদরাসায়ে নূরিয়ায় আসতেন। আমার মেয়েটাও দশটা বাজতেই দৌড়ে মাদরাসায় চলে আসত। এসে দরজায় দাঁড়িয়ে বলত, নানা! আমার পায়ের নিচে মাটি নাই। মানে পা পরিষ্কার। আসতে পারি? হুজুর বলতেন, আস আস। সে গিয়েই হযরতের কোলে বসে পড়ত। আর মাথা উঁচু করে হযরতের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকত। হযরত বলতেন, তুমি আমার মুখের দিকে তাকিয়ে কী দেখ? আমার ঠোঁট নড়া দেখ? মেয়েটা ইশারায় বলত, জ্বী। হাফেজ্জী হুজুর সব সময় আল্লাহর যিকির করতেন। কুরআন মজীদে আল্লাহ তাআলা কোনো আমলকে বেশি বেশি করতে বলেননি। কিন্তু একটা কাজ আল্লাহ বেশি বেশি করার আদেশ করেছেন। সেটা হল আল্লাহর যিকির।

আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবসময় আল্লাহর যিকির করতেন। আল্লাহ ওয়ালারাও বেশি বেশি আল্লাহর যিকির করতেন।

হাফেজ্জী হুজুর রাহ. তালিবে ইলমদেরকে বলতেন, তোমাদের পড়াটাই তোমাদের জন্য যিকির। যে আল্লাহর দ্বীন শিখার জন্য যারাবা, যারাবা মুখস্থ করছে সেও আল্লাহর যিকিরে আছে। কিয়ামতের দিন দেখা যাবে, ঐ বান্দা কাছীরুয যিকর। খোঁজ নিয়ে দেখা যাবে, এই বান্দা সুবহানাল্লাহ-আলহামদুলিল্লাহর যিকির বেশি বেশি করে নাই, সে যারাবা যারাবাতেই সময় ব্যয় করেছে। কিন্তু আল্লাহ তাআলা এগুলোকে তার জন্য যিকির বানিয়ে দিয়েছেন।

আল্লাহ তাআলা আমাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো দুটি দুটি করে দিয়েছেন। হাত দুটি দিয়েছেন, পা দুটি দিয়েছেন, চোখ দুটি দিয়েছেন। নাকের ছিদ্র দুটি দিয়েছেন, কান দুটি দিয়েছেন। কারণ এদের কাজ বেশি। কিন্তু যবান দিয়েছেন একটা। বান্দাকে আল্লাহ বুঝিয়েছেন, তোমার চোখ দুটি, কান দুটি, হাত দুটি, পা দুটি সবকিছু দুটি দুটি দিয়েছি। কারণ এগুলোর কাজ বেশি। কিন্তু যবান দিয়েছি মাত্র একটি। কারণ এর কাজ হল একটি। আর তা হল আল্লাহর যিকির।

আমি আঠারো বছর ছিলাম হযরতের খেদমতে। আহ! সব সময় আল্লাহর যিকির করনেওয়ালা এই একজন মানুষ আমি দেখেছি।

হাফেজ্জী হুজুরের কুরআন তিলাওয়াত

হযরত মাগরিবের পর আওয়াবিনে তিন পারা কুরআন তিলাওয়াত করতেন, তাহাজ্জুদে তিন পারা, আর হাঁটা-চলার মধ্যে তিন পারা-এই ৯ পারা হুজুর প্রতিদিন তিলাওয়াত করতেন। এরপরও কুরআন মজীদ দেখে দেখে তিলাওয়াত করতেন। হুজুরের বড় এক জিলদ কুরআন মজীদ ছিল। সেটা খুলে দেখে দেখে পড়তেন। হাফেযদেরকে বলতেন, হাফেয সাহেবরা! মুখস্থ পড়বা না, দেখে দেখে পড়। হেফযখানার তালিবে ইলমদের বলতেন, কুরআন দেখে দেখে পড়। যত দেখে দেখে পড়বা ছওয়াবও বেশি হবে, ইয়াদও পাক্কা হবে ইনশাআল্লাহ। আমিও বলি। হেফযখানার ছাত্রদের সাথে দেখা হলে বলি কুরআন মজীদ দেখে দেখে পড়।

মাদরাসার তালিবুল ইলমদের কাছীরুয যিকর হওয়া দরকার। আমরা এখানে যারা আছি সবাই তালিবুল ইলম। যে পড়ে সেও তালিবুল ইলম, যে পড়ায় সেও তালিবুল ইলম, তালিবুল ইলমের সাথে যে চলে সে-ও তালিবুল ইলম।

হযরত মাওলানা আনওয়ার শাহ কাশ্মীরী রাহ. যিনি দেওবন্দের সদরুল মুদাররিসীন ছিলেন, কেউ যদি তাকে জিজ্ঞাসা করত-হযরত আপকা তাআরুফ ক্যায়া হ্যায়? তিনি উত্তরে বলতেন, ম্যায় দারুল উলূম কা এক তালিবুল ইলম হুঁ। আমি দেওবন্দ মাদরাসার একজন তালিবুল ইলম।

তালিবুল ইলমদের কাছীরুয যিকর হওয়া দরকার। হাফেজ্জী হুজুর বলতেন-

جز ذكر خدا هر جه كنى عمر ضائع +

جز حرف عشق هر جه خوانى بطالت است

আল্লাহর যিকির বাদ দিয়ে যা কিছুই তুমি কর, তোমার জীবনটা বরবাদ। আর আল্লাহর মুহববতের সবক ছাড়া আর যা কিছুই পড় সব বেহুদা-বেকার।

সব কাজে আল্লাহর যিকির, সব কাজ আল্লাহর মুহববতে হওয়া চাই।

কাছরাতে যিকিরের ফায়েদা

কাছরাতে যিকিরের ফায়েদা কী? যিকির করলে অবশ্যই দুটি ফায়েদা হবে। এক সঙ্গে দুই ফায়েদা। এক. আল্লাহর মুহাববত বাড়বে দুই. আল্লাহর ভয় বাড়বে। কাছরাতে যিকিরের এই দুটি ফায়েদা হবে একসঙ্গে। যিকিরের সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর মুহাববত যেমন আসে আল্লাহর ভয়ও আসে। মনে হয়, চোখের সামনে আগুন, চোখের সামনে সাপ, চোখের সামনে বাঘ, চোখের সামনে এমন অবস্থা হয়ে যায় যে, তখন আর গুনাহ করতে পারে না। যিকির দ্বারা আল্লাহর মুহাববত বাড়ে, সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর ভয়ও বাড়ে। আল্লাহর ভয় বাড়লে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা যায়। আর মুহাববত বাড়লে নেক কাজ বেশি বেশি করা যায়। বোঝা গেল, নেক কাজ বেশি বেশি হওয়া আর গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা এই দুইটা হল কাছরাতে যিকিরের ফায়েদা।

১৯৭৫ সালে হাফেজ্জী হুজুরের সাথে এই গুনাহগারেরও হজ্বের সফর নসীব হয়েছিল। হজ্বের সফরে মক্কা-মদীনা, কোবার মসজিদে হুজুরের কাছে বুখারী শরীফ পড়তাম। ৬ মাসে হুজুরের কাছে ৩০ পারা বুখারী শরীফ শেষ করেছি। মসজিদে নববীতে সকাল ১০ টায় হুজুর পড়াতেন। আমিও যেতাম, গিয়ে মসজিদে বসতাম। মসজিদের পশ্চিম মাথায় একেবারে প্রথম কাতারে একজন মানুষ নফল নামায পড়ছেন আরেকদিকে একেবারে পূর্ব মাথায় হাফেজ্জী হুজুর নফল নামায পড়ছেন। দেখে মনে হত আপন দুই ভাই, একজন হযরত কারী হাসান মুহাম্মাদ রাহ., আরেকজন হাফেজ্জী হুজুর রাহ.।  দুজনই থানভী রাহ.-এর খলীফা। দুই মাথায় দুজন। কারো খবর কারো কাছে নেই। হাফেজ্জী হুজুর জানেন না হাসান মুহাম্মাদ ছাহেবের কথা, আবার হাসান মুহাম্মাদ ছাহেবও জানেন না হাফেজ্জী হুজুরের কথা। আমি ভেতরে বসে বসে তাদেরকে দেখতাম। একেবারে মেশিনের মতো করে সমান সমান নামায পড়তেন। রুকু করার সময় মনে হত যেন তারা আল্লাহকে দেখে আল্লাহর সামনে ঝুঁকে পড়েছেন। হাদীসে আছে, আল্লাহর ইবাদত কর এমনভাবে যেন তুমি আল্লাহকে দেখতে পাচ্ছ। হযরত হাফেজ্জী হুজুর, হযরত হাসান মুহাম্মাদ মসজিদে নববীতে এমনভাবে নামায পড়ছেন যেন মনে হত তারা আল্লাহকে দেখে আল্লাহর সামনে সিজদা করছেন। সেই সফরে জিদ্দা থেকে যাওয়ার সময় আমরা দশজন একটি গাড়ি ভাড়া করলাম। হুজুরের বরাবর পিছনের সিটে আমি বসলাম। যেন কখনো কোনো জরুরত হলে করতে পারি। আহ! খেদমত আর কী করব? সারা পথ তাঁর চোখ থেকে পানি ঝরেছে। তখন সঙ্গে সঙ্গে তো জিজ্ঞাসা করিনি। পরবর্তীতে হেরেম শরীফের ভেতরে হযরত যখন আমাকে পড়াচ্ছেন তখন জিজ্ঞাসা করলাম, হযরত আপনি সেদিন আসার সময় সারা রাস্তায় এমন কাঁদলেন কেন? হযরত বললেন, তুমি দেখ্ছ? আমি বললাম, জ্বী হযরত, আমি দেখেছি। তিনি তখন বললেন, এখানে যে পাহাড়-পর্বত আছে। আমার মনে একথা আসল যে, হায়রে এই পাহাড়! এই মুহাম্মাদুল্লাহ চোখ দিয়া এগুলো দেখতেছে। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  তো এই পাহাড়গুলোই দেখেছেন। তিনি তো এই পাহাড়টাই দেখেছেন যে পাহাড়টা আমি দেখতেছি। এই কথা মনে হয়ে আমার কান্না আসা  শুরু করল। কান্না আসতেই থাকল। আমি কান্না বন্ধ করতে পারি না।

হযরতের সঙ্গে চট্টগ্রাম সফর করেছি, কুমিল্লা-নোয়াখালি সফর করেছি। রেলে সফর করেছি। রেলে দুই সিটের মাঝখানে বসে বসে নামায পড়তে হয়। দাঁড়িয়ে নামায পড়া যায় না। হযরত বসে শুরু করতেন কিছুটা পড়ার পর দাঁড়িয়ে যেতেন। রুকু-সেজদা করার পর আবার দাঁড়িয়ে যেতেন। হযরত নফল নামায পড়তেন বেশি বেশি। ময়মনসিংহের হযরত মাওলানা আতহার আলী রাহ. বলতেন, আমি আতহার আলী হাফেজ্জীর সঙ্গে অন্যান্য আমলে টক্কর দিতে পারি, কিন্তু দুইটা আমলে তাঁর সঙ্গে টক্কর দেওয়ার হিম্মত করতে পারি না। একটা হল কাছরাতে যিকির। আরেকটা হল কাছরাতে নামায। বেশি বেশি যিকির ও বেশি বেশি নামায এই দুইটা আমলের ব্যাপারে হাফেজ্জী এমন ট্রেনিং নিয়েছে, আমি আতহার আলী তার চেয়ে আগে বাড়তে পারব না।

হুজুর যখন অসুস্থ হয়ে পিজি হাসপাতালে ভর্তি। মওতের আর অল্প কয়েকদিন বাকি। আমাকে একটি লেখা দিয়ে বললেন, আমার লেখাটা পরিষ্কার করে লেখে আমাকে দিও। আমি একটা নতুন কাগজে সুন্দর করে লিখে পর দিন হযরতের কাছে নিয়ে গেলাম। হযরত লেখাটা দেখে খুব খুশি হলেন। মাওলানা মুহিববুল্লাহ সাহেবকে বললেন, মাওলানা মুহিববুল্লাহ! দেখছেন, মাওলানা আবদুল হাই আমার লেখাটা কত সুন্দর করে লিখেছে। আমার মনের কথাটা কেমন সুন্দর করে সাজিয়ে লিখেছে। একেবারে আমি যা বলেছি তাই সে লিখেছে। হযরত খুব খুশি হয়েছেন। পড়া শেষ হলে দস্তখত দিবেন। আমার জেব থেকে কলম বের করে দিলাম হযরতকে। আমার কলম দিয়েই হযরত সর্বশেষ দস্তখত দিলেন। এরপর আর হযরত কোনো লেখা লেখেননি, কলম হাতে নেননি। দস্তখত শেষ করার কিছুক্ষণ পর উঠলেন। আমিও হযরতের সঙ্গে ছিলাম। আমাকে বললেন, মাওলানা আবদুল হাই! দুনিয়াতে আর বেঁচে থেকে কী হবে? বললাম, কেন হুজুর? বললেন, আমাকে নাকি শুয়ে শুয়ে নামায পড়তে হবে। ডাক্তাররা নাকি আমাকে শোয়ায়ে রাখবে। দাঁড়িয়ে নামায পড়তে দিবে না। আমি দুনিয়ায় থেকে আর কী করব?

হযরত মাওলানা আবরারুল হক রাহ. বাংলাদেশ সফরে এলেন। হযরত মাওলানা ইফহামুল্লাহ সাহেব, আবরারুল হক সাহেবের বিয়াই তিনিও এলেন হাফেজ্জী হুজুরের দাওয়াতে। সফর শেষে দেশে ফিরে গিয়ে তিনি চিঠি লিখলেন। চিঠিতে কী লিখেছেন? চিঠিতে লিখেছেন, জীবনে অনেক বুযুর্গের নাম শুনেছি।

আমাদের বড়রা কেমন ছিলেন ইতিহাসের পাতায় আমরা পড়েছি। আলহামদুলিল্লাহ বাংলাদেশে গিয়ে হাফেজ্জী হুজুরকে স্বচক্ষে দেখে বুঝতে পেরেছি যে, আমাদের বড়রা এমন ছিলেন। হাফেজ্জী হুজুর যেমন ঠিক তেমন ছিলেন আমাদের বড়রা।

হযরত হাফেজ্জী হুজুর আমাকে বড় মুহাববত করতেন। অনেক মুহাববত করতেন। হযরতের খাদেম আবদুল মান্নান হুইল চেয়ারে করে হযরতকে লালবাগে নিয়ে যাচ্ছেন। পেছনে আমিও যাচ্ছি। কেমনে যেন দেখলেন আমাকে। হুজুরের চেহারা তো সামনে। কিভাবে যেন টের পেয়ে গেছেন। বললেন, মাওলানা আবদুল মান্নান! চেয়ারটা রাখ। চেয়ারটা রাখল সে। বললেন, মৌলভী আবদুল হাই! আমি বললাম, হুজুর! আমি আসি পিছনে। তিনি বললেন, না আপনি সামনে আসেন। আমি সামনে আসলাম। হুইল চেয়ার থামিয়েছে। হযরত বললেন, বসেন। আমি বুঝতে পারছি না। কেন আমাকে বসতে বললেন। আমি হযরতের সামনে মাটিতে বসলাম। হযরত আমাকে চুমু দিলেন।

যে মানুষের শোকর করে না আল্লাহর শোকরিয়া তার দ্বারা আদায় হয় না।

মরহুম ভাই ওবায়দ হযরতের ছেলে। হযরত তাঁকে বলতেন, ওবায়দ তোমরা কয় ভাই? তিনি বললেন, আমরা চার ভাই। হুজুর বললেন, না, তোমরা পাঁচ ভাই। তিনি তো চমকে গেছেন। পাঁচ ভাই  হল কেমনে, চার ভাই? হযরত বললেন, আবদুল হাইও তোমার এক ভাই। তোমরা চার ভাই না, পাঁচ ভাই। আমি সেই হযরতের আদনা খাদেম। আমি আঠারো বছর ছিলাম হযরতের কাছে। আমার আফসোস লাগে, এত নেয়ামত পেয়েও আমি কী অর্জন করলাম? কিছুই তো অর্জন করতে পারলাম না। আপনারা আমার জন্য দুআ করবেন হযরতের লাজ যেন রক্ষা পায়।

মাদরাসা নূরিয়ার খানকায় থাকতাম। হযরত যে খানকা বানিয়েছেন। সেখানে উত্তরদিকের খানকায় বসে বায়যাবী শরীফ মুতালাআ করছি। দেখছি দরজার সামনে কে যেন দাঁড়িয়ে আছে। আমি মাথা উঠালাম না। মনে করলাম, কেউ দরকারে এসেছে সে চলে যাবে। আমি মুতালাআ করতেই থাকলাম। মুতালআতেই থাকলাম। হযরত তখন আমার পাশে এসে দাঁড়ালেন। তখন বুঝেছি, আমার পাশে কেউ এসেছে। আমি মাথা তুলে দেখি হযরত। আমি বলে উঠলাম, হযরত! তখন হযরত বললেন, আমি তো তোমাকে বলেছিলাম, ২৪ হাজার বার আল্লাহ আল্লাহ যিকির কর। তুমি তো বেশি মুতালাআ কর, আমি জানতে পারছি তুমি বেশি মুতলাআ কর, আর এখন এসে দেখলাম, আমি অনেক্ষণ দাঁড়িয়ে আছি তুমি মুতালাআই করতেছ। তাই আমি তোমাকে তাখফীফ করে দিলাম। ২৪ হাজারের বদলে তিন হাজার বার আল্লাহ আল্লাহ যিকির করবা।

তো আপনারা দুআ করবেন আমি যেন হযরতের অসিয়ত-নসীহত রক্ষা করতে পারি। ষ

 

 

[৮ জুমাদাল উখরা রোজ জুমাবার মারকাযুদ দাওয়াহ আলইসলামিয়ায় বাদ আসর পাহাড়পুরী হুজুরের বয়ান থেকে। পত্রস্থকরণ : আবদুল্লাহ ফাহাদ]

 

advertisement