জুমাদাল উলা-১৪৩২   ||   এপ্রিল-২০১১

এসো বোন কুরআনের ছায়াতলে

জান্নাতুল ফেরদৌস

মেয়েরা পর্দার ভিতরে থাকুক, কেউ তাদের দেখতে না পাক এটা কিন্তু অনেক মানুষই চায় না। কেন চায় না তা কি বলার দরকার আছে? ওরা ওদের মনের কথা স্পষ্ট করে না বলে পর্দা বিধানের বিরোধিতা করে, কুরআন-সুন্নাহর বিরোধিতা করে। আসলে মেয়েরা পর্দায় থাকলে যে ওদের কামনা-বাসনা পূর্ণ হয় না। যেসব মেয়ে বেপর্দা চলাফেরা করে তাদের অবস্থা দেখলেই তো প্রকৃত সত্য স্পষ্ট হয়ে যায়। কত ধরনের হয়রানি যে তাদের পোহাতে হয় তার কোনো সীমা নেই। দৈনিক পত্রিকা খুললে কি মনে হয় না যে, দ্বীন ও ঈমানহীন এই সমাজ নারীদের জন্য বাসযোগ্য নয়? তাই আমি সকল বোনকে মুক্তকণ্ঠে ইসলামের দিকে আহবান জানাই।

 

যারা পশ্চিমাদের প্ররোচনায় অসম্মানকেই সম্মান, বঞ্চনাকেই প্রাপ্তি এবং অন্যের উপভোগের বস্ত্ত হওয়াকেই আনন্দের বিষয় মনে করছ তাদের বলব, বোন, একটু থাম। একটু চিন্তা কর। ঐ ভুলের পথে আর যেয়ো না। তুমি এসো কুরআনের ছায়াতলে।  

একমাত্র কুরআনই তোমাকে দান করবে প্রকৃত সম্মান।

শয়তানের কুমন্ত্রণার শিকার হয়ে তুমি হয়ত ভাবছ, এই যুগে কি পর্দা করা সম্ভব? কিন্তু চিন্তা করে দেখ, তা যদি সম্ভবই না হবে তাহলে তোমার মতো অসংখ্য নারী কীভাবে পর্দা বিধান মেনে চলছে? কীভাবে তারা এই অসম্ভবকে সম্ভব করছে? আল্লাহ তাআলা তো কোনো অসম্ভব বিষয় বান্দার উপর চাপিয়ে দেননি।

পক্ষান্তরে তুমি চিন্তা করে দেখ, অসংখ্য লম্পট পুরুষ তোমার দিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, তোমার উন্মুক্ত রূপ-যৌবন দর্শন করে বাসের হেলপার, কুলি-মজুর, ভদ্রবেশি কামুক পুরুষ সকলেই দর্শনসুখ চরিতার্থ করছে, তুমি কি তা মেনে নিতে পার? যদি না পার তাহলে নিজেকে আবৃত করা ছাড়া আর কী উপায় আছে? শত কামুকের লোলুপ দৃষ্টি সহ্য করার চেয়েও কি পর্দা করা কঠিন? তুমি হয়তো বলবে, আমি আমার মতো চলব। এতে অন্য পুরুষ কুচিন্তা করবে কেন? বোন! এই কেনর কোনো জবাব নেই। শুটকি মাছ খোলা পেলে বিড়ালের জিবে জল ঝরবেই। কেন ঝরবে-এই প্রশ্নের কোনো জবাব নেই।

বোন! তুমি কি দেখেছ, দৈনিক পত্রিকাগুলিতে আমরা কীভাবে শিরোনাম হই? ছয় থেকে ষাট এবং গ্রাম থেকে শহর কোথায় কোন বয়সে আমরা নিরাপদ? আসলে আমরা শুধু নিরাপদ আমাদের স্রষ্টার কাছে। আর তাঁর বিধানের ছায়ার মাঝে।

 

 

 

advertisement