রমযান ১৪৪৬   ||   মার্চ ২০২৫

খবর... অতঃপর...

জাতীয়

r দুর্বল ব্যাংকের গ্রাহকরা যেকোনো উপায়ে টাকা পাবেন : গভর্নর

দৈনিক ইনকিলাব, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫

l বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর যতই নিশ্চয়তা দেন, বাস্তব কথা হচ্ছে, মানুষ বিভিন্ন ব্যাংকে গিয়ে চেক নিয়ে ফেরত আসছেন। সে ব্যাংকগুলোর অনেকের অনলাইন ট্রান্সফারও বন্ধ রয়েছে। তাদের কোনো কোনো ব্যাংকের অ্যাপ থেকে ১০০০ টাকাও এখন আর ট্রান্সফার করা যাচ্ছে না। গভর্নর সাহেব কীসের ভিত্তিতে এই আশ্বাস দিচ্ছেন। সরকারের কি দুর্বল ব্যাংককে টাকা দেওয়ার জন্য বরাদ্দ আছে, নাকি তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে পর্যাপ্ত আমানত রেখেছে, যা দিয়ে তারা পরিশোধ করতে পারবে? এসব ব্যাংক যেকোনো মূল্যে বন্ধ করে দেওয়ার চিন্তা করাই ভালো। প্রয়োজনে এ ধরনের ব্যাংককে দেউলিয়া ঘোষণা করে তাদের সম্পদের একটা মূল্য হিসাব করে আনুপাতিক হারে গ্রাহকদের দিয়ে দেওয়া এবং দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা।

 

r কারাগারে বসেই ঝাড়-ফুঁক দিচ্ছেন দরবেশ : রিজভী

আমার দেশ, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫

নেত্রীর বার্তা অনুযায়ী প্রস্তুত থাকুন: সালমান এফ রহমান

সরকার উৎখাতে চক্রান্ত! কারাগারে বসেই চলছে নানা তৎপরতা

কারাগারে থেকেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাতের চক্রান্ত করছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ বিভিন্ন মন্ত্রী। আদালতে এসে সরকারের বিরুদ্ধে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বার্তানুসারে সবাইকে ‘প্রস্তুত’ থাকতে নির্দেশনা দেন সালমান এফ রহমান। অন্যদিকে কারাগার থেকে টিস্যু পেপারে লিখে আইনজীবীর মাধ্যমে ‘গোপন বার্তা’ দেন পলক।

যুগান্তর, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫

l দেবেই তো। দরবেশদের যে শ্বশুর আদরে রাখা হচ্ছে এখন! রাজনৈতিক দলের বন্দিদের আগের সরকার কীভাবে রেখেছে আর এখন কীভাবে আদরযত্ন করে রাখা হচ্ছে! অথচ প্রশাসনের সর্বস্তরেই ঘাপটি মেরে আছে তাদেরই রেখে যাওয়া লোকজন। সুতরাং ঝাড়ফুঁক করার সুযোগ পেলে তো ঝাড়ফুঁক করবেই। আর এখন যে দলটি হাঁকডাক দিচ্ছে নির্বাচন দিয়ে নগদে ক্ষমতায় বসার জন্য, বাস্তবতা হল এই দরবেশ সাহেবের সাথে তাদের দলের খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তাই ওই দল ক্ষমতায় এলে দরবেশদের সুরক্ষা দেয়। মনে রাখা উচিত, যতক্ষণ পর্যন্ত এ ধরনের সহায়তাকারীদের হাত ভেঙে না দেওয়া হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত দরবেশরা সুযোগ পেয়েই যাবে এবং বাংলাদেশও অস্থিতিশীল হবে। সেইসাথে এ দেশের অর্থকড়িও পাচার হতে থাকবে।

 

r তালিকাভুক্ত ঠিকানায় গিয়ে সায়মা ওয়াজেদের সূচনা ফাউন্ডেশনের অস্তিত্ব পায়নি দুদক

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জানিয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের প্রতিষ্ঠিত সূচনা ফাউন্ডেশনের কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি।

আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের অংশ হিসেবে দুদক বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের দেওয়া ঠিকানাগুলোতে ফাউন্ডেশনটির খোঁজ চালায়। তবে এর অস্তিত্বের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫

‘বিনিময়’ প্লাটফর্ম ছিল শেখ হাসিনার ছেলের শেল কোম্পানি : গভর্নর

মানবজমিন, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫

l এমন অনেক ফাউন্ডেশনেরই অস্তিত্ব পাওয়া যাবে, যেগুলো নামেমাত্র করা হয়েছে। শুধু সায়মা বা জয় নয়, তাদের মা-খালা এবং চৌদ্দগোষ্ঠীসহ বহু লোক পাওয়া যাবে, যারা এ ধরনের অনেক ভুঁইফোঁড় প্রতিষ্ঠান বানিয়ে অর্থকড়ি হাতিয়ে নেওয়ার বন্দোবস্ত করেছে। তারাই তদবীর করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদ হাতিয়ে নিয়েছে।

 

r সরকারের কাছে এমন কোনো মেকানিজম নেই, জাদুবলে পরিবর্তন করতে পারব : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

প্রথম আলো, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫

l জনগণও মনে করে না যে, সরকারের কাছে আলাদিনের চেরাগ আছে, মেকানিজম আছে। কিন্তু ভালো উদ্যোগ, ভালো কিছুর নজির রেখে তো যেতে পারে। সেটাও যদি সরকার করতে না পারে, তাহলে একটা অন্তর্বর্তী সরকার থেকে লাভ কী, সে প্রশ্ন মানুষ করবে। মেকানিজম না থাকলেও ভালো উদ্যোগ তো নেওয়া যায়, স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার তারা করতে পারে। স্বাস্থ্য খাতের যে অনিয়ম বিগত সরকারের সময় দেখা গিয়েছে, স্বাস্থ্য খাতের ডিজি, অফিসার ও মন্ত্রীরা অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির মাধ্যমে জনজীবনে যে দুর্বিষহ যন্ত্রণার সৃষ্টি করেছিলেন, অন্তত সেটি তো দূর করতে পারেন। স্বাস্থ্য খাত যেখানে জনগণকে জানমালের নিরাপত্তা দেবে, সেখানে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা যদি এমন কথা বলেন তাহলে সেটা দুঃখজনক। তারা আশার বাণী দিতে পারেন। বাস্তব কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন। দুর্নীতিবাজ ডাক্তারদের অপসারণের মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারেন। তারপর যারা সরকারি হাসপাতালগুলোতে ঠিকমতো ডিউটি করে না, বরং প্রাইভেট চেম্বারে বেশি সময় দেয়, তাদের জন্য কঠোর নীতি আনতে পারে। সরকার তো শুধু বিভিন্ন জনের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পূরণ করতে ব্যস্ত এবং চাপের মুখে দাবি মানতে বাধ্য হচ্ছেন। এমনটি না করে উল্টো সরকার যদি কঠোর হয় এবং চাপ সৃষ্টি করে, তাহলেই তো সংস্কার সম্ভব হবে। সরকারের যেহেতু পেছনে শক্তি আছে, সশস্ত্র বাহিনীও সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে, তাই আমরা মনে করি, কিছু সংস্কার সরকার নিজ থেকেই করতে পারে।

 

r ফেব্রুয়ারিতে মাঠে নামছে বিএনপি

ঢাকাসহ সারা দেশে দুই ধাপে সমাবেশ করার পরিকল্পনা

* শিগগিরই কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হবে

* যত দ্রুত সম্ভব সরকার ও জনগণকে নির্বাচনমুখী করা

যুগান্তর, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫

l নির্বাচন ও নির্বাচিত সরকার উভয়টিই প্রয়োজন। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে কী করবে এবং কী পরিবর্তন আনবে সেই প্রতিশ্রুতি ও পরিকল্পনা বিএনপি এখনো দিতে পারেনি। বিএনপি মনে করছে, ভোট হলে তারা নিশ্চিতভাবে নির্বাচিত হয়ে যাবে। এ স্বপ্ন তাদের পুনর্বিবেচনা করা দরকার। বিশেষত ফ্যাসিবাদের পতনের পর তাদের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন অঞ্চলে কী ঘটাচ্ছে, মানুষের সাথে তাদের আচার-আচরণ কেমন, এগুলো বিএনপি খবর নিয়ে দেখুক। এগুলো খতিয়ে দেখলে বিএনপি আবার ভাববে তারা কি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্বাচিত হবে, নাকি মানুষ ভেবে দেখবে তাদের ভোট দেবে কি না। এটা হল প্রথম কথা।

দ্বিতীয় কথা হল, মানুষ কেন ভোট দেবে বিএনপিকে। ফ্যাসিবাদের পতনের পর থেকে অপরাধীদের বিচারে নিজেদের স্পষ্ট অবস্থান এবং কীভাবে ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে ভালো রাখবে ইত্যাদি সার্বিক পরিকল্পনা বিএনপি এখনো উপস্থাপন করতে পারেনি। সুতরাং নির্বাচন নির্বাচন করে শুধু চিৎকার করলেই তো হবে না! এগুলোও ভাবতে হবে।

 

r হাফ ভাড়া নিয়ে জটিলতা বরিশালে সংঘর্ষ, ভাঙচুর

যুগান্তর, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫

l হাফ ভাড়া রাষ্ট্রের আইনে আছে কি না? যে সমস্ত গাড়িতে ছাত্রদের জন্য হাফ ভাড়ার আইন আছে, সেগুলোতে তো ঠিক আছে। যে শর্ত পূরণ করবে, সে হাফ ভাড়া দেবে। কিন্তু অনেক সময় শোনা যায়, হাফ ভাড়া দিতে চায়, কিন্তু কার্ড দেখাতে রাজি হয় না এটা তো অন্যায়। হাফ ভাড়া দিতে হলে ছাত্রকার্ডও দেখাবে। আর যদি নিয়ম না থাকে, তাহলে জোর করে হাফ ভাড়া দেওয়া ধর্ম ও নৈতিকতার দৃষ্টিতে বৈধ কি না চাপপ্রয়োগকারীদের ভাবা দরকার। বাসে চলাচলকারীরা এসমস্ত তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন ব্যাপকভাবে হয়। প্রায় সময় শোনা যায়, হাফ ভাড়া নিয়ে যাত্রী ও কন্ডাক্টরের বাক-বিতণ্ডা চলছে। জাতি হিসেবে আমাদের এগুলো নিয়ে ভাবা উচিত। এসব বিষয়ে আরো বেশি সতর্ক, সচেতন ও ভদ্রোচিত আচরণের পরিচয় দেওয়া দরকার।

 

r প্রেসসচিব জানালেন

রাজনীতিতে ফিরতে ক্ষমা চাইতে হবে আ. লীগকে, নেতৃত্ব হতে হবে ‘ক্লিন’

কালের কণ্ঠ, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫

l এটা তো ভালো কথা। তবে কয়লা ধুইলে ময়লা যায় কি না সেটাই দেখার বিষয়। এমন দৃষ্টান্ত কি আছে?

 

r দেশের গণমাধ্যম এখন নজিরবিহীন স্বাধীনতা ভোগ করছে : প্রধান উপদেষ্টা

যুগান্তর, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫

l স্বাধীনতা ভালো, তবে অতি স্বাধীনতা ভালো নয়!

 

r করদাতাদের জবাই করবেন না, সরকারের খরচ কমান : নাসিম মঞ্জুর

আমাদের সময়, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫

l কথাটি বাস্তবেই অতি উত্তম এবং সেটাই হওয়া উচিত। বিশেষত এই সরকার করের যে উদ্যোগ নিয়েছে, এটা জনগণ কিছুতেই তাদের কাছে আশা করেনি। কর বাড়ানোর প্রয়োজন হলে সেটা একান্তই অতি উচ্চবিত্তের ওপর বৃদ্ধি করা যেত। এতই প্রয়োজন হলে তাদের ওপর এক্সট্রা কোনো চার্জ আরোপ করত। কিন্তু সেটা না করে সাধারণ জনগণ পর্যায়ে কর বাড়িয়ে দিয়েছে। যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে কর প্রত্যাহার করেছে বা কমিয়েছে। এটা অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। কোনো অবস্থাতেই কর বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল না। একে তো সরকার সংস্কারের কথা বলছে। কর ব্যবস্থায়ও তো সংস্কার করতে পারত। সরকার চাইলেই অন্য অনেক পর্যায়ে খরচ কমাতে পারত।

এই যে প্রসিদ্ধ আছে, একেক জন সচিবের কাছে কয়েকটা করে গাড়ি থাকে, বিভিন্ন নামে গাড়ি রাখেন তাঁরা। একজন মেয়রের খাবার আনতে হত গুলশান থেকে। নগর ভবনে সেটার জন্য গাড়ি বরাদ্দ ছিল। এজন্য লাখ লাখ টাকার তেল খরচ তো ছিলই। এছাড়া কত অহেতুক খরচ আছে!

সরকারের নিয়মিত খরচের ব্যাপারেও অনেক কাটছাঁট করার আছে। সরকারের খরচ কমানো জটিল কিছু ছিল না। গত সরকারের আমলে শেষের দিকে রিজার্ভের টান পড়াতে সরকারি লোকদের বিদেশ যাওয়া সীমিত করা হয়েছিল। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, বর্তমানে এগুলো পরিপূর্ণ খুলে গেছে। এগুলো সীমিত করা দরকার ছিল। অতি প্রয়োজন ছাড়া বিদেশ সফর করতে না দেওয়ার বিষয়গুলোতে সরকার মনোযোগ দিতে পারত।

দুটো ছবি পত্রিকায় এসেছে। একটি হল, পদ্মা ব্রিজের পাশের সেভেন স্টার গেস্ট হাউস। ওখানে শত শত কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। আরেকটি কর্ণফুলি টানেলের ওপারে ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রেস্ট হাউস। এ দুটিই নাকি তৈরি হয়েছে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করতে গেলে তার আপ্যায়নের জন্য। দুটো মিলে খরচ করা হয়েছে হাজার কোটি টাকা। বর্তমান সরকার এগুলো বেসরকারি খাতে বিক্রি করে দিতে পারে। বিক্রি করলে অনেক টাকা আসবে। অথবা এগুলো ভাড়া দেওয়া যায়। উভয়টি নদীর তীরে হওয়ায় রিসোর্ট হিসেবে ভাড়া দিলে সরকারের অনেক আয় হবে। এমন বহু খাত পাওয়া যাবে, যেগুলো অপচয় ও অযথা খরচ করা হয়েছে। সরকারের এ ধরনের সংস্কার করা দরকার। সরকার রাজনৈতিক সংস্কার করে যাবে ভালো কথা, সেটা করুক, কিন্তু তার আগে নিজেদের দিয়ে সংস্কার শুরু করতে পারে। যেমন : প্রধান উপদেষ্টার টেবিলে আমরা মিনারেল ওয়াটার বোতল রাখতে দেখি না। জগ ও মগ ব্যবহার করেন। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। এ ধরনের আরো উদ্যোগ নেওয়া হোক এবং তা ছড়িয়ে দেওয়া হোক অন্যান্য উপদেষ্টাদের দপ্তরে এবং সচিবলায়সহ তৃণমূল পর্যায়ের সরকারী দপ্তরগুলোতেও। এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হলে সরকারের কোটি কোটি টাকা বাঁচবে। জনগণকেও করের বোঝা থেকে রক্ষা করা যাবে।

 

প্রতিবেশী রাষ্ট্র

 

r বাংলাদেশকে বাদ রেখে শুরু হল আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা

মানবজমিন, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫

l বাংলাদেশ এখন উনাদের কাছে অচ্ছুত হয়ে গেছে! কারণ বাংলাদেশ উনাদের আগের মতো দুহাত ভরে আর দেয় না। একতরফাভাবে দেশকে বিকিয়ে দেয় না তাদের কাছে। এখন তো ভারতের কাছে বাংলাদেশ অচ্ছুত হবেই। আন্তর্জাতিক বইমেলা হচ্ছে বাংলাকে ঘিরে। সেখানেই বাংলাদেশকে রাখা হচ্ছে না। সেই বইমেলাই কি না আন্তর্জাতিক মানের হবে! বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে সবচেয়ে বড় অবদান বাংলাদেশ অঞ্চলের। এই অবদান ও ভূমিকার বিষয় এড়িয়ে গিয়ে বঙ্গদেশের বইমেলাকে আন্তর্জাতিক নাম দেওয়া কতটা মানানসই এবং কতটা বাস্তবসম্মত তা তো জ্ঞানী মাত্রই বুঝতে পারবেন। এতে আসলে বাংলাদেশের কোনো কিছু আসে যায় না। এটা বরং তাদের হীনম্মন্যতা ও সংকীর্ণতার বহিঃপ্রকাশ।

 

r মোদিকে ফোনে অস্ত্র কেনার চাপ ট্রাম্পের

বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫

l ভারতের বিজেপি সরকার তো খুব হাঁকডাক দেওয়া শুরু করেছিল যে, ট্রাম্প আসছে তাদের দরজা খুলে যাচ্ছে। ট্রাম্প আসলে পাকিস্তান, বাংলাদেশে যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা জারি হবে এবং ভারতের জন্য সব সুযোগ খুলে যাবে। এখন দেখা যাক ভারতীয়দের কী অবস্থা হয়! বলা হচ্ছে, ট্রাম্পের নীতিগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করবে ভারতীয়দের! তো হিন্দুত্ববাদী বিজেপির লাফালাফির বিপরীতে দেখা যাক ট্রাম্প কী দিয়ে মোদিজীকে খুশি করেন!

 

আন্তর্জাতিক

r সিরিয়ার মাউন্ট হারমন অনির্দিষ্টকাল দখল করে রাখবে ইসরাইল

মানবজমিন, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫

l অনির্দিষ্টকাল তো অনির্দিষ্টকালই হয়। একদিনকেও অনির্দিষ্টকাল বলা হয় আবার অনন্তকালকেও অনির্দিষ্টকাল বলা হয়। ইসরাইলের নিজের অস্তিত্ব কত কাল থাকবে, সেটাও তাকে ভেবে দেখতে হবে এখন। একথা শুধু মুসলিমরাই বলছে না বা আবেগের বশে বলা হচ্ছে না; বরং অনেকেই বলছেন। বিগত দেড় বছরে তারা নারী, শিশু ও নিরীহ মানুষ হত্যার মাধ্যমে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েও হামাসকে কিছু করতে পারেনি, অথচ হামাস তো বলতে গেলে ছোটখাটো একটি সংগঠন। এ থেকেই প্রমাণিত হয়, তাদের দৌড় আসলে কতটুকু! খোদ ইসরাইলের কাছেও বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে এখন। আবার বিদেশি মিডিয়া ও পত্রিকাগুলোতেও নিউজ হচ্ছে। ইসরাইলের মিডিয়া ও পত্রপত্রিকাও এসব প্রকাশ করছে। তারা শক্তি সামর্থ্য ও যুদ্ধের বিজয় নিয়ে ব্যাপক মিথ্যাচার করছে। ইসরাইল দখল করছে, ভয় দেখাচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্য থেকে স্বীকৃতি নিতে চাচ্ছে। কিন্তু একসময় হয়তো দেখা যাবে, ইসরাইল টুকরো কাগজেই সীমাবদ্ধ থাকবে। ইসরাইলের ধ্বংস অনিবার্যের ব্যাপারে অনেকেই বলছেন, এমনকি অমুসলিমরাও বলছেন। সুতরাং অনির্দিষ্টকালের জন্য গোলান মালভূমি দখল করে রাখার হুমকিতে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। 

 

 

advertisement