ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে হামলা ॥
বিচারহীনতার প্রতিক্রিয়া নয়তো?!
মাসিক আলকাউসারের গত নভেম্বর ২০২৪ সংখ্যায় আমার একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল। শিরোনাম ছিল, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অগ্রাধিকার সংস্কার না ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার : কোন্টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ?’ সেখানে আরয করতে চেষ্টা করা হয়েছিল, এ সরকার যেহেতু স্থায়ী কোনো সরকার নয়, তারা দীর্ঘ মেয়াদে থাকার মতো সরকার নয়, নিজেরাও ঘোষণা দিয়েছেন, তারা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকবেন না, তাই তাদের কাজের অগ্রাধিকার বিবেচনা করা উচিত।
তারা নিজেরাও অগ্রাধিকার বিবেচনা করেছেন। সংস্কারের জন্য বিভিন্ন কমিটি করেছেন। ইতিমধ্যেই কমিটিগুলো রিপোর্ট জমাও দিয়েছেন। সেই নিবন্ধে বলা হয়েছিল, সংস্কার একটি চলমান বিষয়। সংস্কার যে প্রয়োজন– এতে কোনো সন্দেহ নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কারের যে উদ্যোগ নিয়েছেন তাতে সফল হলে নিশ্চিত একটি বড় কাজ হবে। কিন্তু সেগুলো তো রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতি ছাড়া সম্ভব নয়। সে সংস্কারের জন্য প্রয়োজন সাংবিধানিক পরিবর্তন অথবা সংবিধান সংশোধন এবং ভবিষ্যতে যারা ক্ষমতায় আসবে, সেই রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতি ও ভবিষ্যতে ওয়াদা রক্ষা। এসবকিছুই নির্ভর করে সংস্কার কার্যক্রমের সফলতার ওপর।
এজন্য সংস্কার প্রক্রিয়া তো চলমান থাকবেই, সেইসাথে সবচেয়ে বড় যে কাজের প্রতি আমরা গুরুত্বারোপ করেছিলাম তা হল, বিগত সময়ের ফ্যাসিবাদী সরকার ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের আইনের আওতায় আনা। এক বা একাধিক বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া। যারা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক তথা বিভিন্ন দিক থেকে বাংলাদেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের বিচারের আওতায় আনা হলে এবং তাদের অধিকাংশের বিচার করা গেলে এই সরকারের আর কোনো সাফল্য খোঁজার দরকার হবে না। আমরা তাই সেটার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছিলাম।
সময় গড়াচ্ছে। সরকার ফ্যাসিবাদের অল্প কিছু দোসরকে গ্রেফতার করেছে। কিছু লোক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়েই বেশ কিছুদিন দেশে ছিল। তারপর সুযোগ বুঝে পালিয়েছে। তাদের একজন হল পতিত সরকারি দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রাষ্ট্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত লোকদের সহায়তা ছাড়া এভাবে পালানো সম্ভব না। এর মানে, সরকারের ভেতরেই ঘাপটি মেরে আছে এমন লোক, যারা সত্যিকার অর্থেই ফ্যাসিবাদের দোসর।
কিছু লোককে সরকার গ্রেফতার করেছে ঠিকই, মাঝে মাঝে তাদেরকে বিচারালয়ে নেওয়ার দৃশ্যও দেখা যায়; কিন্তু আক্ষরিক অর্থে এই পর্যন্ত কারোরই কোনো বিচার হয়নি। কেউই কোনো শাস্তির সম্মুখীন হয়নি। শাস্তি ও বিচারের সময় কবে আসবে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। যত দিন যাচ্ছে, সেই আসামিদের দাম্ভিকতা প্রকাশ পাচ্ছে। তারা আদালতে গিয়ে নানা অঙ্গভঙ্গি ও কথাবার্তায় নিজেদের বাহাদুরির প্রকাশ করছে। আর জেলখানাতে তো ভিআইপি মর্যাদা ভোগ করছেই। এটি যে তাদের প্রতি সরকারের দুর্বলতা বা নমনীয়তার ফল– একথা বলতে কারো দ্বিমত থাকার কথা নয়।
এমতাবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই ফ্যাসিবাদীরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করেছে। তাদের দলীয় প্রধান ভারতে পালিয়ে গেলেও সেখানে বসেই বক্তব্য-বিবৃতি শুরু করেছেন। যার ফলে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে ঘটে গেছে এক বিরাট ঘটনা। বাড়িটি শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি হিসেবে পরিচিত ছিল। এই বাড়িতেই জুনিয়র সেনা কর্মকর্তাদের অভ্যুত্থানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ তিনি নিহত হয়েছিলেন। এই বাড়িটি শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ছিল।
এই লেখকের বাড়িটি দেখার সুযোগ হয় সম্ভবত ১৯৭৮/৭৯-এর দিকে। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন ১৯৭৫ সনের ৭ নভেম্বর। তিনি বাড়িটিকে সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন। পরবর্তীতে শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে হাসিনা দেশে আসলে প্রেসিডেন্ট জিয়া তাকে এ বাড়িটি বুঝিয়ে দেন।
শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামল দেখার সুযোগ আমার হয়েছিল। যদিও তখন বয়স কম। তবে পরবর্তীতে তার সম্পর্কে পড়াশোনা হয়েছিল। মনের অবস্থা তখন কেমন ছিল পুরোপুরি মনে নেই। তবে এটুকু মনে পড়ে, তখন মনে হয়েছিল, ইতিহাস এভাবেই লেখা হয়। জুলুম, নির্যাতন, দম্ভ, একনায়কত্বের শেষ এমনই নির্মম হয়।
যাইহোক, বিগত ১৫-১৬ বছর পর্যন্ত এই বাড়িকে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদীরা একটি তীর্থস্থানের মতো বানিয়েছিল। তাদের সবকিছু সূচনা হত এখান থেকে। ওখানকার বেদিতে ফুল দিয়ে এসে অন্যায়-অনাচার শুরু করত। সে কারণে এ বাড়িটি একটি বড় আতঙ্ক ও ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছিল। তার পরও ৫ আগস্ট ২০২৪ ‘জুলাই বিপ্লব’ সফল হওয়ার পর কেউ কিন্তু এই বাড়িটি দখল করতে যায়নি।
এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয়, আপনি চাইলেই কিন্তু পুরো দেশবাসীকে দোষ দিতে পারেন না। যারা বিপ্লব সংঘটিত করেছে তাদেরকে দোষী করতে পারেন না। আমরা দেখেছি, পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা কোনো বিকল্প না রেখেই পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা কাউকে না কাউকে ক্ষমতা দিয়ে যেতে পারত। সেটাও তারা করেনি। তারা পালিয়েছে ৫ আগস্ট ২০২৪। এর তিন দিন পর অর্থাৎ ৮ তারিখ রাতে ড. ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ গ্রহণ করে। এই তিন দিন দেশে কোনো সরকার ছিল না। ওবায়দুল কাদের অনেক বছর যাবৎ পতিত স্বৈরাচারের মন্ত্রী ও তার দলের সাধারণ সম্পাদক ছিল। কয়েক বছর থেকেই সে বলে আসছিল, ‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রক্তে ভাসিয়ে দেবে।’ তার এ কথা বলার কারণ, তাদের মাঝে একটা আতঙ্ক কাজ করত। বাংলায় একটা কথা আছে, ‘চোরের মন পুলিশ পুলিশ’। তাদের আতঙ্ক ছিল, যে কোনো সময় ক্ষমতা চলে যেতে পারে। এজন্য তারা দলীয় ক্যাডারদের প্রস্তুত থাকতে বলত।
তাদের কোনো কোনো নেতা বলেছেন, ‘ক্ষমতা হারালে প্রথম রাতেই আ.লীগের ৩ লাখ নেতাকর্মী মারা যাবে।’ কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ দেখেছে, এমনকি তারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে, কোনো সরকার না থাকা সত্ত্বেও তেমন কোনো ঘটনা এদেশে ঘটেনি। দেশের জনগণ তুলনামূলক শান্ত ছিল। কিছু অঘটন বিভিন্ন জায়গায় ঘটেছে, সেটা রাজনীতির চেয়ে বেশি ছিল স্থানীয় কোন্দল এবং গোষ্ঠীগত বিবাদের কারণে। অর্থাৎ তিন দিনের বেশি সময় দেশ কার্যত সরকারবিহীন ও পুলিশি ব্যবস্থাবিহীন থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মী ও তাদের বাড়িঘর নিরাপদ ছিল। অথচ অভ্যুত্থানকারীরা চাইলেই তখন এসব গুঁড়িয়ে দিতে পারত। তাদের কিছু লোকও যদি ভিন্ন রকম ইচ্ছা করত, তাহলে আওয়ামী নেতা-সমর্থক হাজার হাজার লোকের নিহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হত। কিন্তু এমনটি হয়নি। যা বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে।
সে জনগণই কেন ৫ ফেব্রুয়ারি ক্ষেপে গেল। ৩২ নম্বর বাড়িকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করল। সেইসাথে আরো কিছু বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে শোনা গিয়েছে। কেন এটা হল? দেশের নীতি নির্ধারকদের ভাবতে হবে, এই ঘটনার পেছনে দায়ী কে?
অনেকে বলছেন, শেখ হাসিনা ভাষণ দেওয়ার কারণে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আমাদের মনে হয়, এমনটি হত না, যদি আওয়ামী লীগের দোসরদের বিচার হয়ে যেত। দ্রুত বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত হত।
এটাও মনে হয়, এতদিনে বিচার হয়ে গেলে শেখ হাসিনারও কোনো ভাষণ দেওয়ার সাহস হত না। তাদের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগও হত না। তারা সাহস করত না, মিছিল নিয়ে বের হওয়ার, পোস্টার লাগানোর।
অজানা ও অনাকাক্সিক্ষত কারণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বেশ কিছু লোককে নিরপেক্ষ নিরপেক্ষ ভাব নিতে দেখা যায়। যারা নিরপেক্ষ হতে চান, তারা ফ্যাসিবাদবিরোধী গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত সরকারের সদস্য হন কীভাবে?
ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সূচিত গণঅভ্যুত্থানের ফলে যারা ক্ষমতায় বসেছেন, তারা অন্য ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ থাকতে পারেন, কিন্তু ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তো তাদের দৃঢ় থাকতে হবে। কিন্তু না; কিছু কিছু উপদেষ্টাকে দেখলে মনে হয়, তারা নিজেদের গায়ে কিছু মাখতে চান না। মনে হয় তারা চাকরি করতে এসেছেন। চাকরি শেষ হলেই চলে যাবেন। তাদেরকে কেউ যেন আওয়ামী লীগ-বিরোধী না বলে, তারা যেন সেই চেষ্টাতেই আছেন!
দেশের পুরোনো রাজনৈতিক দলও দরবেশী ভাব দেখাচ্ছে। তারা বলছে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হোক আমরা চাই না, কোনো দল নিষিদ্ধ হোক আমরা চাই না ইত্যাদি। যারা এটা চায় না, তাদেরও এদেশে রাজনীতি করার অধিকার আছে কি না– জনগণকে তা ভাবতে হবে। যারা মনে করে, ফ্যাসিবাদের এখনো থাকা উচিত, আবারো এদেশে আওয়ামী রাজনীতি চলতে পারে, তাদের আসলে বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার আছে কি না এবং জনগণ তাদের ভোট দেবে কি না– ভাবা উচিত।
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, জনগণ আগের মতো আছে বলে মনে হয় না। তারা ভোট বুঝেশুনেই দেবে। যারা দেশের কল্যাণ চান, ভালো চান এবং বিবেক-বিবেচনা করার ক্ষমতা রয়েছে, এমন লোকজনকেই মানুষ ভেবেচিন্তে সামনে ভোট দেবেন বলে মনে হয়।
সুতরাং ৩২ নম্বরের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পেছনে শুধু হাসিনা নয়, বরং পতিত স্বৈরাচারের লোকজনের প্রতি সরকার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের নমনীয়তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বলেই মনে হয়। বিচারহীনতা ও বিচার বিলম্ব হওয়ার প্রতিফলন বলেই ধরা যায়।
এ ধরনের বিস্ফোরণ সামনে আর ঘটবে না– এমনটি মনে করার কারণ নেই। আমরা একটি কথা বলে দিতে চাই, কোনো বাড়ি, অফিস, স্থাপনা ধ্বংস করা কাজের কাজ নয়। এর কোনো অর্থও হয় না। একটা বিল্ডিং তো আর দোষ করে না। তবে এটিও ঠিক যে, কোনো স্থাপনা যদি অন্যায়, জুলুম ও নির্যাতনের প্রতীক হয়ে ওঠে, তখন এর প্রতি মানুষের ক্ষোভ তৈরি হয়। এ কারণেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বড় বড় বিপ্লবীদের স্মৃতিচিহ্নগুলো প্রতিবিপ্লবের সময় অভ্যুত্থানকারী জনতা গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। গত শতকের সমাজতন্ত্র-পরবর্তী বিশ্ব যারা প্রত্যক্ষ করেছেন, তাদের এসব ভালোভাবে মনে থাকার কথা।
আমাদের কথা হল, ধ্বংসযজ্ঞ কেউ সমর্থন করে না, ইসলাম তো করেই না। কিন্তু ধ্বংসটা হচ্ছে কেন– আমরা শুধু তার ইঙ্গিত দিতে চাই। সেইসাথে আমরা সকলকে বলতে চাই, ধৈর্যের সাথে মোকাবেলা করতে হবে। উত্তেজিত হলে চলবে না। সরকার ও ক্ষমতাসীনদের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে। অন্যান্য দল ও বিভিন্ন থিঙ্কট্যাঙ্ক যারা রয়েছে, যারা বিশেষজ্ঞ বা বুদ্ধিজীবী বলে পরিচিত, তাদের ওপরও চাপ বাড়াতে হবে। তারা যেন বিবৃতি দেওয়ার চেয়ে আসল কাজের জন্য চাপ তৈরি করেন। আওয়ামী লীগ যাতে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে– সেজন্য সবাইকে চাপে রাখতে হবে। সেইসাথে তাদের নৈতিক অবস্থান যেন সুস্পষ্ট করেন যে, তারা আওয়ামী লীগের পক্ষে নন, তাদের ফিরিয়ে আনতে চান না ইত্যাদি। এছাড়া এখনো যারা মুজিব-মুজিব ও লীগ-লীগ ভাব দেখান, যাদের মনের কোণে কোনো না কোনো মতলবে এখনো এসবের প্রতি টান বিদ্যমান এবং সেগুলো তারা সময়-সুযোগে প্রকাশও করেন তাদেরকেও সামাজিকভাবে না বলতে হবে। করে দিতে হবে একঘরে।
এখন থেকে অবশ্যই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত, স্বৈরাচার-ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিশেষ ব্যবস্থায় বিচারকার্য তরিৎ এগিয়ে নেওয়া। তারা কতটুকু সংস্কার করতে পারবেন– ইতিমধ্যেই তারা বুঝতে পেরেছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর অসহযোগিতার ভাব, বিএনপিসহ কিছু দলের দ্রুত নির্বাচনের দাবি ও চাপ প্রয়োগ তারা প্রত্যক্ষ করেছেন। আসলে এখন তাদের মূল কাজের দিকে নজর দেওয়া উচিত। তাহলে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে বলে মনে হয় না।
উত্তেজিত জনতার অনেকেই যুক্তিতর্কের ভেতর থাকতে চান না। তাদের সামলানো কঠিন। কোনো দেশ বা জাতির জন্য এটি কল্যাণকর নয়। এটা তো খুব স্পষ্ট কথা। তাই সময়ের আগেই সকল পক্ষের সাবধান হওয়া দরকার এবং সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করা উচিত।