শাবান ১৪৪৬   ||   ফেব্রুয়ারি ২০২৫

খবর... অতঃপর...

মন্তব্য : আবুন নূর

 

r বিশ্বে এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী, মসজিদের ইমাম একসঙ্গে পালিয়েছেন : দুদক চেয়ারম্যান

ইত্তেফাক, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

l কথাটি সত্য, তবে বিষয়টির বাস্তবতা হল, ফ্যাসিবাদ নিজেকে রক্ষা করার জন্য প্রশাসন থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রতিরক্ষা বিভাগ, দুদকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহার করে থাকে। একইভাবে তারা দেশে দেশে কিছু সুবিধাভোগী ও লোভী ধর্মীয় ব্যক্তিকেও ব্যবহার করে নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম ছিল না। দুর্নীতি দমন কমিশন, সংবাদ মাধ্যম ইত্যাদি এসবের পাশাপাশি তারা একশ্রেণির লোভী ও পার্থিব সুবিধাভোগী কিছু ধর্মীয় ব্যক্তিকে ব্যবহার করেছে। এভাবে যারা ব্যবহৃত হয়, পরবর্তীতে তাদেরকে কোণঠাসা হয়ে থাকতে হবে এটাই তো স্বাভাবিক। এখানে আসলে মূল ভূমিকাটা ফ্যাসিবাদেরই। তারা কলা-কৌশলে সমাজের হরেক শ্রেণিকে কলুষিত করেছে। সমাজের একশ্রেণির ধর্মীয় ব্যক্তিরাও এর শিকার হয়েছেন।

অন্য একটি বিষয়ও এখানে লক্ষণীয়, এটি তো মুদ্রার এক পিঠ তিনি সামনে এনেছেন। ইমামের কথা বলে দুদক চেয়ারম্যান হয়তো বোঝাতে চেয়েছেন, ইমাম ও ধর্মীয় লোকেরা থাকবে সৎ ও নির্ভিক; তারাও হকের পথে না থাকার কারণে পালাতে হয়েছে। তিনি যদি সাথে এটাও বলতেন, অল্প কিছু লোক এর দৃষ্টান্ত। বিগত ফ্যাসিবাদের আমলে যারা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে, তাদের মধ্যে উপরের দিকে নাম আসে বৃহত্তর ধর্মীয় গোষ্ঠীর লোকদের। মসজিদের ইমাম-খতীবদেরকে কুরআন-সুন্নাহর সঠিক কথা বলতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তাদের খেদমত চলে গেছে, বন্দি হতে হয়েছে, গোয়েন্দা নজরদারিতে থাকতে হয়েছে। খুতবা দিয়ে মসজিদ থেকে বের হতেই উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। মাদরাসাগুলো নিয়ন্ত্রণ করা, ইচ্ছে মাফিক মাদরাসার কমিটি গঠন করে দেওয়া, শিক্ষাবোর্ডগুলোতে নিজেদের মনমতো লোক বসানোর মতো ঘটনাগুলো ব্যাপকভাবে ঘটেছে। ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলো সবচেয়ে নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্তদের সামনের সারিতে ছিল। দুদক চেয়ারম্যান তার কথায় এটুকু যোগ করলে তাঁর কথা পূর্ণতা পেত।

 

r কেম্যান আইল্যান্ড ও হংকং হয়ে টাকা যায় যুক্তরাষ্ট্রে

হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের প্রমাণ পেয়েছে এফবিআই

ইত্তেফাক, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

l এগুলো নিয়ে আর বলার কী আছে! পুরো বিশ্বের কত জায়গায় কত টাকা যে তারা পাচার করেছে, সেগুলো যত বেশি তদন্ত হতে থাকবে, ততই তথ্য বের হতে থাকবে। প্রয়োজন হল সঠিক তথ্যপ্রমাণসহ এগুলো জনসম্মুখে আনা। সেইসাথে বিচারের আওতাভুক্ত করা।

 

r সংবিধান কবর দেয়ার কথা বললে কষ্ট লাগে : মির্জা আব্বাস

সময়ের আলো, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

l যত দিন যাচ্ছে এদেশের মানুষ আসলে বিএনপির নতুন নতুন রূপ দেখছে এবং তাদের সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে। আগেও একবার দেখা গিয়েছিল, কোনো কোনো সময় বিএনপি দেশের জনগণের প্রতি আস্থা না রেখে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিদেশিদেরকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছে। তারা কিন্তু ব্যর্থ হয়েছিল। এখন তারা খুব বড় বড় কথা বলছে, জুলাই বিপ্লবে তাদের নাকি বড় অবদান ছিল, তারা নাকি বিপ্লব তৈরি করেছিল। আমরা তাদের অবদান অগ্রাহ্য করছি না। আমরা বলছি না যে, বিপ্লবের পক্ষে তাদের কোনো অবদান ছিল না। এটা যেহেতু একটা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ছিল, সেই হিসেবে জনগণের ভেতরে বিএনপিও ছিল; কিন্তু বিগত এক দশক থেকে কোনো প্রকার সক্রিয় ভূমিকায় তাদের দেখা যায়নি। তারা বরং জনগণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বিদেশিদের ওপর নির্ভর করে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছে। বর্তমানেও দেখা যাচ্ছে, জনগণকে এড়িয়ে আগের সেই পুরোনো নোংরা পথে হাঁটা ধরেছে।

বর্তমানে যে সংবিধানের কথা তারা বারবার বলে যাচ্ছে, মনে হয় যেন এটি কোনো সোনার হরিণ! ভাবটা এমন, যেন এ সংবিধান বাংলাদেশের জনগণকে অনেক কিছু দিয়েছে। যদিও বিএনপিতে  দক্ষ লোকজনও আছে, কিন্তু তাদের রাজনীতিবিদরা এত বছর ক্ষমতার বাইরে থেকে অনেকটা খেই হারিয়ে ফেলেছে। তারা বুঝতে পারছে না, এই সংবিধান দিয়েই তাদেরকে দমন করা হয়েছিল। যে সংবিধান নিয়ে এত মাতামাতি, সে সংবিধান তাদের এবং জনগণের কী কাজে আসবে এটার ব্যাখ্যা কিন্তু তারা দিতে পারেনি। এছাড়া পতিত ফ্যাসিবাদের লোকদের বিচারের বিষয়ে, তাদের দোষত্রুটি উন্মোচনের ব্যাপারে বিএনপি এবং আরেকটি ইসলামের নামধারী দলের অনীহা দেখা যাচ্ছে। অথচ এখানে বড় ভূমিকা তাদের রাখা দরকার ছিল। উঁচু গলায় তাদেরই আওয়াজ তোলা উচিত ছিল। এই সরকারের আমলেই বিচার হওয়া দরকার। যেটা বিএনপির জন্য সামনে রাজনৈতিক দিক থেকেও অনেক লাভজনক হবে বলে অনেকে মনে করেন। তারা সেটা না করে শুধু নির্বাচন, ক্ষমতা এবং বিগত ফ্যাসিবাদের বিষয়ে নমনীয়তা প্রদর্শন করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। অর্থাৎ যে পথে হেঁটে জনগণের কাছে যাওয়া দরকার, জনগণের ভাষা বোঝা দরকার, জনগণের সুখ-দুঃখ বুঝে এদেশের রাজনীতি করা দরকার, সেটা না করে বরং হিংসুক প্রতিবেশী দেশের সাথে কম্প্রোমাইজ করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়, বৃহত্তর শক্তির সাথে তাল মিলিয়ে কীভাবে ক্ষমতায় বসা যায়, এই চিন্তাই বিএনপির মধ্যে পরিলক্ষিত হচ্ছে বেশি।

আগে বহুবার বলা হয়েছে, বিএনপিকে বুঝতে হবে, বিদেশি প্রভু তুষ্ট করার পথটি নিরাপদ ও আস্থাপূর্ণ নয়, কিন্তু জনগণের কাছে যাওয়া এবং মনজয়ের প্রচেষ্টার পথটি আস্থা রাখার মতো। তারা বিদেশিদের কতটুকু সুবিধা দেবে এবং দেওয়ার পর বিদেশিরা কতটা নমনীয় হবে, সেটাও ভাবনার বিষয়। এসবের মাধ্যমে নিজের এবং দেশের ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই হবে না। শেষ পর্যন্ত তো এমনও হতে পারে, অন্য এক দল এসে বলবে, আরো বেশি দেব, দাসত্বে বিএনপিকে ছাড়িয়ে যাবে, তখন প্রভুরা বিএনপিকে ফেলে দেবে। এদিকে পতিত ফ্যাসিবাদের  বিদেশিদের সঙ্গে এমন দরদামের বেশ অভিজ্ঞতা রয়েছে। তারা যদি আরো বেশি ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে, তখন বিএনপি কী করবে?

এজন্য বিএনপি ভবিষ্যতে কিছু করতে চাইলে কেন্দ্রীয়ভাবে নতুন করে চিন্তা করতে হবে। জনগণের ভাষা বুঝতে হবে। এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের মনের ভাষা উপলব্ধি করতে হবে। আজকাল বিএনপি নেতারা নিজেদেরকে খুব সেক্যুলার হিসেবে উপস্থাপন করছেন। এভাবে সেক্যুলার হওয়ার ভাব ধরা বিএনপির জন্য ভোট পাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো কাজে আসবে বলে মনে হয় না। বিএনপির মনে রাখা উচিত, ইতিমধ্যেই তাদের তৃণমূলের অনেক তথাকথিত নেতা বিভ্রান্ত এবং পারস্পরিক দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়ে আছে। অনেকের ব্যাাপারে তো চাঁদাবাজির অভিযোগও আছে। সেগুলো জনগণের সামনে এসেছেও। এতে করে নিজেদের ভাবমূর্তির সংকট আগেই তৈরি করে ফেলছে। বিগত সময়ে রাষ্ট্রপতি ও সংবিধান ইস্যুতে এবং ফ্যাসিবাদের বিচারের ব্যাপারে বিএনপির ইউটার্ন, কোনো ক্ষেত্রে নমনীয়তা; সেইসাথে ধর্মপ্রাণ জনগণের কথা না বলা, নিজেদের সেক্যুলার ভাব দেখানোর কারণে বিএনপির লাভের বদলে ক্ষতিই বেশি হতে পারে বলে অভিজ্ঞরা মনে করেন।

 

r তিন ব্যাংক পেল ১২,৫০০ কোটি টাকা, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ ধার

ইসলামী ব্যাংককে দেওয়া হয়েছে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা।

ন্যাশনাল ব্যাংক পেয়েছে ৬ হাজার কোটি টাকা।

এবি ব্যাংক পেয়েছে ১ হাজার কোটি টাকার বিশেষ ধার।

বিদায়ী বছরের আর্থিক হিসাব ভালো দেখাতে বেসরকারি খাতের তিন ব্যাংককে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক তিনটি হল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও এবি ব্যাংক। এই টাকা দিয়ে ব্যাংকগুলো গত সোমবার বছরের শেষ দিনের চলতি হিসাবের ঘাটতি পূরণ করেছে। এর ফলে ব্যাংক তিনটির চলতি হিসাব উদ্বৃত্ত দেখানো হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আর্থিক হিসাবের সুবিধার জন্য তিন ব্যাংককে দেওয়া ধারের এই টাকা আজ বুধবার ফেরত নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ছাড়া ধারের বাইরে আলাদা করে তারল্য সহায়তা হিসেবে এবি ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রথম আলো, ১ জানুয়ারি ২০২৪

l বছর শেষে যাতে দুর্বল হয়ে যাওয়া ব্যাংকগুলো নিজেদের শক্তিশালী বোঝাতে পারে, সেজন্য তাদেরকে এ ধরনের ধার দিয়ে থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যদিও সহযোগিতার জন্য ধার দেওয়া হয়, কিন্তু এটার বিরূপ প্রভাবও পড়ে। জনগণের কাছে ভুল বার্তা যায় এর মাধ্যমে। যারা বাস্তবতা জানেন, তারা তো বোঝেন আসল কাহিনী। যারা জানেন না, তারা তো ভুল তথ্য লালন করেন যে, এই ব্যাংকে অনেক টাকা রয়েছে। অথচ যেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব হল জনগণের পক্ষে অবস্থান নেওয়া এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছতে সহযোগিতা করা, সেখানে তারা এ ধরনের ধার দেওয়ার কারণে একদিক থেকে তো স্বয়ংক্রিয়ভাবেই দুর্নীতিগ্রস্তদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিক থেকে জনগণও ধোঁকার মধ্যে পড়ে থাকে। এ ধরনের কার্যক্রম জনগণের স্বার্থ পরিপন্থী বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করে থাকেন।

 

r ইসলামী ব্যাংকে আবার অনিয়ম, পদ হারালেন নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান

প্রথম আলো, ০৮ জানুয়ারি ২০২৫

l ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এবং অন্য আরো বেশ কয়েকটি ইসলামী নামধারী ব্যাংক, যেগুলোতে এস আলম গ্রুপের আধিপত্য ছিল, তারা দুর্নীতি করতে করতে, টাকা মেরে খেতে খেতে, একশ্রেণির ব্যবসায়ীদেরকে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা দিতে দিতে তাদের বদ অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। ফলে পরিষদ পরিবর্তন করে নতুন নেতৃত্ব আসা সত্ত্বেও সেই আগের বদঅভ্যাস এখনো বদলায়নি। কারণ দুর্নীতিগ্রস্ত যে অফিসাররা এতদিন সুযোগ-সুবিধা করে দিয়েছিল বিভিন্ন লুটেরাদেরকে, সেই  অফিসার ও লুটেরাদের অনেকেই তো এখনো দেশে রয়ে গেছে। নতুন পরিষদে যারা এসেছেন, তারাও একই পথে হাঁটতে দ্বিধাবোধ করছেন না। নিজেদের অপকর্মের সাইনবোর্ড হিসেবে ইসলামকে ব্যবহার করে তারা দুই ধরনের অন্যায় কাজ করেছে। একে তো তারা লুটেরাদের সুযোগ করে দিয়েছে। দ্বিতীয়ত ইসলামের নামে ধোঁকা দিয়ে আসছে দিনের পর দিন। ইসলামের নিয়ম-কানুন তো অবলম্বন মোটেও করা হয় না; বরং এর ধারে কাছেও তারা নেই। ইসলামী নিয়ম প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে নিয়মমাফিক আগে টাকা থাকতে হবে, অতঃপর সঠিক ব্যবসা হবে, তারপর গিয়ে যাচাই করা হবে ইসলাম আছে, নাকি নাই। যে ব্যাংক নিজেই অচল এবং সরকার থেকে সুদভিত্তিক টাকা নিয়ে জনগণকে বিনিয়োগ করছে। ইসলামের নাম ভাঙিয়ে তারা তো শুধু ধোঁকাই দিয়ে আসছে। এত করুণ পরিস্থিতি এত সহজে ঠিক হবে বলে মনে হয় না।

 

r কেন সস্তায় গরুর মাংস রপ্তানি করতে পারেনি ব্রাজিল, জানালেন দেশটির রাষ্ট্রদূত

ইত্তেফাক, ০৮ জানুয়ারি ২০২৪

l শুধু গরুর গোশত কেন, এরকম বহু স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়েই তারা একচেটিয়া নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখার জন্য জনগণকে অনেক কিছু সস্তায় পাওয়ার সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছিল। কোনোটি দলীয় লোকদের সিন্ডিকেট অথবা চাঁদাবাজির সুবিধা আদায়ের জন্য, কিংবা প্রতিবেশী প্রভু দেশ থেকে আমদানির সুবিধার জন্য অনেক ব্যবসা তারা এককেন্দ্রিক করে রেখেছে। এ দেশে গরুর গোশত নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড কম হয়নি। এর আগেও দেখা গেছে, ঢাকার এক কসাই কম দামে গরুর গোশত বিক্রি করার কারণে সবাই তার পেছনে লেগে গিয়েছিল। এখন তার নামও শোনা যায় না। তাকে সম্ভবত উৎখাত করে ছেড়েছে। কম দামে গরুর গোশত বিক্রি সম্ভব না হলে সে কীভাবে বিক্রি করেছে? তার কাছে ক্রেতার লাইন পড়ে থাকত। সে কি গরুর গোশত এমনিতেই দিয়ে দিত? সে তো গরু কিনেই বিক্রি করত। বর্তমান সরকার বা ভবিষ্যৎ সরকার যদি একই মানসিকতার হয়, তাহলে জনগণকে বেশি দামেই গরুর গোশত কিনে খেতে হবে। এখনকার মতো আরো বেশি লোকের নাগালেরই বাইরে চলে যাবে এটি।

এখানে আরেকটি বিষয় উল্লেখ্য, গরুর গোশতে হালাল ও হারামের প্রশ্ন জড়িত আছে। যেহেতু এটা প্রাণীর গোশত। মুরগি-খাসির মতোই। এগুলো হালাল হতে হলে নির্দিষ্ট পন্থায় জবাই হতে হবে। গোশত যে দেশ থেকেই আমদানি করা হোক, জবাই হালাল পন্থায় হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করতে হবে। সৌদি আরবের সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাসহ বিভিন্ন দেশের অনেক গোশত রফতানিকারী প্রতিষ্ঠান হালাল পন্থায় জবাই করার ওয়াদা করা সত্ত্বেও তা রক্ষা করে না। যে সরকারই এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবে, বিশ্বের যে কোনো দেশ মুসলিম হোক অমুসলিম হোক থেকেই আমদানি করুক আগে দক্ষ অভিজ্ঞ শরীয়া বিশেষজ্ঞ পাঠিয়ে সুনিশ্চিত হবে সেখানে হালাল পন্থায় জবাই হয় কি না। সেটা সুনিশ্চিত না হলে কোনোক্রমেই গোশত আমদানি করা যাবে না। এ দেশেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্যাকেটজাত গোশত বাজারে আনছে। তাদের বিষয়েও নজরদারি দরকার বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করেন।

 

r শতাধিক পণ্য ও সেবায় শুল্ক কর বাড়িয়ে অধ্যাদেশ জারি

যুগান্তর, ০৯ জানুয়ারি ২০২৫

l সন্দেহ নেই, এই সিদ্ধান্তের কারণে অন্তর্বর্তী সরকারের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়বে। মানুষ এটিকে ভালোভাবে নেবে না। সরকার বিষয়টি এড়াতে পারলেই ভালো হত। ভ্যাট ট্যাক্স না বাড়িয়ে অন্য কোনো পদ্ধতিও অবলম্বন করা যেত। যেমন বৃহৎ উন্নয়নমূলক কাজের গতি কমানো বা অন্য দিক থেকে কাটছাঁট করা যেত। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ বিভিন্ন কারণে জনগণের এমনিতেই নাজেহাল অবস্থা। তার ওপর ভোক্তা পর্যায়ে এখন ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। এতে মানুষের যেমন কষ্ট হয়, সরকারেরও জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ে। এই বিষয়টিতে সরকারের পুনঃবিবেচনা করা উচিত বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।

 

r কালের কণ্ঠ তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর ছিল : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান

জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র জনতার পাশে ছিলো কালের কণ্ঠ : শিবির সেক্রেটারি

কালের কণ্ঠের ফেসবুক পেইজ, ৯ জানুয়ারি ২০২৫

l এই খবর দেখে অনেকে তো হাসতে হাসতে লুটোপুটি খাচ্ছে। এখানে দুটি বিষয়, একটি হল পত্রিকার স্লোগানআংশিক নয় পুরো সত্য’। এই পত্রিকার মালিকের ফ্যাসিবাদ-প্রেম তো কারোরই অজানা নয়। ফ্যাসিবাদ বিদায়ের দুদিন আগে গণভবনে তার দেয়া আগ্রাসী বক্তব্যআপনি দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে যান’ ওই সময় যে গুম, খুন হচ্ছিল, সেগুলোর সপক্ষে যে এ পত্রিকার মালিক বক্তব্য দিয়েছে, সেটা যারা জানে এবং এই পত্রিকার রিপোর্ট এত বছর পর্যন্ত যারা পড়ে এসেছে তারা জানে, শব্দটাকে ঘুরিয়ে বললে বা আংশিক নয় পুরো ‘সত্যে’র জায়গায় যদি ‘মিথ্যা’ শব্দটি বসিয়ে দেয়, তাহলে সেটাই বেশি প্রাসঙ্গিক। সচেতন জনগণ অল্পস্বল্প যারা পড়তেন, তারা সেভাবেই এটিকে জানত এবং চিনত। আশ্চর্যের বিষয় হল, বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, বিগত সময়ে কালের কণ্ঠ প্রতিবাদমুখর ছিল! এই নেতা সাহেব কি খাঁচা থেকে বের হয়েছেন, নাকি আয়নাঘরে বন্দি ছিলেন। এমন তো কিছু শোনা যায়নি। তিনি কীভাবে জানলেন, এই পত্রিকা প্রতিবাদমুখর ছিল, না প্রশংসামুখর ছিল?

এটাই আসলে বিএনপির একশ্রেণির নেতাদের প্রতিচ্ছবি। তারা নিজেদের একটা মিডিয়া প্লাটফর্ম গড়ে তুলতে পারেনি। কিন্তু এই ধরনের মুখোশধারী গণমাধ্যমকে রীতিমতো সমর্থন ও প্রশ্রয় দিয়ে আসছে। বিএনপি নেতারা এই পত্রিকাকেও বাঁচানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। অথচ নিজেরা যথেষ্ট পরিমাণ মিডিয়া হাউজ বানাতে পারেনি। দু-একটা যাও হয়েছিল, সেগুলোর মধ্যেও ফ্যাসিবাদের গুণগান গাওয়া হত। নিজেদের এই দৈন্যদশায় বিএনপির একজন বড় মাপের নেতা বলছেন, কালের কণ্ঠ প্রতিবাদমুখর ছিল। জনগণ এগুলো শুনলে কী বলবে সেটার প্রতিও তাদের ভ্রুক্ষেপ আছে বলে মনে হয় না।

আর শিবির সেক্রেটারির কথার আর  কী-ইবা মন্তব্য করা যায়? তাদের অনেকেও নাকি এত বছর পর্যন্ত ছাত্রলীগ ছিল।

 

r থানা থেকে পালালেন গ্রেফতার হওয়া সাবেক ওসি শাহ আলম

ইনকিলাব, ১০ জানুয়ারি ২০২৫

l একজন গুরুত্বপূর্ণ আসামি থানা থেকে পালিয়ে যাওয়া মানে বোঝা যাচ্ছে, থানার মধ্যে ওসি শাহ আলমদের মতো আরো লোকেরা রয়েছে, যারা তাদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করছে। শুধু থানাতেই নয়; ওরা সরকারের মূল জায়গা অর্থাৎ সচিবালয় থেকে নিয়ে বিভিন্ন স্তরেই সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চাচ্ছে। ফ্যাসিবাদের যত অপকর্ম ছিল, সেগুলোর ফাইলপত্র গায়েব করে দেওয়ার পেছনে তাদের তৎপরতা এখনো বহাল রয়েছে বলে জনশ্রুতি আছে। একটি থানা থেকে গুরুত্বপূর্ণ আসামি পালিয়ে যাওয়া জনশ্রুতির সত্যতাকেই প্রমাণ করে।

 

r মাল্টায় ২ দফা নাগরিকত্ব চেয়ে পাননি তারেক সিদ্দিকের (সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমদ সিদ্দীক) স্ত্রী-মেয়ে

ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি ওয়েব, ১০ জানুয়ারি ২০২৫

l তবুও তো ভালো, মাল্টা দেশটি নাগরিকত্ব দেওয়ার আগে দুর্নীতির বিষয়টি বিবেচনা করেছে। না হলে আমরা তো দেখি, তথাকথিত উন্নত গণতান্ত্রিক, মানবাধিকারের ধ্বজাধারী রাষ্ট্রগুলোর নৈতিকতা ও অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা ইত্যাদির যত আইন-কানুন সব তাদের নিজ দেশের জন্য। কিন্তু বিদেশিরা যখন দুর্নীতি করে, টাকার বস্তা ওখানে নিয়ে যায়, সেটা তারা যাচাই করার দরকার মনে করে না। এমন না হলে তো সুইজারল্যান্ড, ইংল্যান্ড, কানাডায় একেকজন টাকার বস্তা নিয়ে ঠাঁই পেত না। এ সকল লোক নিজ দেশের রিজার্ভ খালি করে, ব্যাংক লুটে আরেক দেশে আশ্রয় পেয়ে যায়। বিপরীতে তারা যদি যাচাই করত, খোঁজ-খবর নিত, তারা এত টাকা কোথায় পেয়েছে, এত টাকার উৎস কোথা থেকে, কোন্ পন্থায় এই টাকা সে আত্মসাৎ করেছে, তাহলে গরিব দেশগুলো আরো গরিব হত না। কিন্তু জবাবদিহিতার এই পর্বটি না থাকায় তৃতীয় বিশ্বে এই চোরেরা খুব সুযোগ পেয়েছে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে মাল্টা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। একটি দুর্নীতিবাজ পরিবারকে নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকার করে শিরোনামে আসতে পেরেছে।

 

r জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক নেই : প্রেস সচিব

যুগান্তর, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরি করবে সরকার : প্রেস সচিব

ইনকিলাব, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

জুলাই ঘোষণাপত্র সরকার দেবে না, সহায়তা করবে : মাহফুজ আলম

প্রথম আলো, ১০ জানুয়ারি ২০২৪

l এ ধরনের সংবাদ জনগণের সামনে আসা সরকারের জন্য অবশ্যই বিব্রতকর। জনগণ এসব ভালো চোখে দেখে না। ব্যাপারটি সরকারের বোঝা উচিত। সরকার প্রধান যদি একা সিদ্ধান্ত নিতে না চান, তাহলে তার একটি বিশেষ কমিটি থাকুক, যারা এগুলো নিয়ে কাজ করবে। সেইসাথে নীতি নির্ধারণী ব্যাপারটিকেও গুরুত্ব দেওয়া উচিত; এমন যাতে না হয়, কোনো প্রকার নীতি নির্ধারণ ছাড়া ধুমধাম করে একটা তথ্য বা সংবাদ প্রচার করে দেওয়া হল! এসবের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। বিপ্লবীদের প্রতিনিধি তো সরকারে আছেই, সেই হিসেবে তাদের সম্মতিক্রমে একটি যথাযথ সিদ্ধান্ত সামনে আসা দরকার।

জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের সাথে সরকার তো সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারে না কখনো। অথচ প্রথমবারেই কীভাবে বলে দেওয়া হল, এটার সাথে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। এই সরকার তো জুলাই বিপ্লবেরই ফসল এবং পুরো সরকার জুলাই বিপ্লবের সুবিধাভোগী। তাদের কোনো অস্তিত্বই ছিল না। তারা তো কোনো নির্বাচিত সরকারও নয়। ছাত্ররা বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে তাদেরকে এনে বসিয়েছে। তো যে বিপ্লবের ফসল তারা, সে বিপ্লবকে অস্বীকার করে তারা থাকবে কী করে? সেটার নৈতিক অধিকারই তো তাদের নেই।

আর নিজেদের কর্মপদ্ধতি এবং কর্মপন্থা সম্পর্কে এত কথা বলার তো প্রয়োজন নেই। কাজ তারা নিজেরা করবে, নাকি অন্যরা করবে এগুলো তো বলে বেড়ানোর বিষয় নয়। এ ধরনের ছোটখাটো বিষয় যদি তারা না বোঝেন এবং অহেতুক বকবক করে সরকারকে বিব্রত করে যান, সরকারের জন্য বিষয়টি তো ভালো হবেই না, জনগণের জন্যও পীড়াদায়ক বিবেচিত হবে। এসব বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। সেইসাথে অবশ্যই জুলাই বিপ্লবের মূল কথাগুলো ইশতিহার আকারে আসা দরকার এবং সরকারি মাধ্যমে প্রচার করাও অবশ্যকর্তব্য।

জনগণের সামনে এ বিষয়টি স্পষ্ট করা দরকার, এই বিপ্লব কেন সংঘটিত হয়েছিল এবং কেন অনিবার্য ছিল এই বিপ্লব। বিগত বছরগুলোতে কী হয়েছিল, সব কিছুই জনগণের সামনে স্বচ্ছতার সাথে আসা দরকার। বিপ্লবকে ঘিরে সরকারের বিভ্রান্তিকর কথা বলা, একেকবার একেক কথা বলার উদ্দেশ্য কী? সরকার কি বিপ্লব কেন্দ্রিক বিষয়গুলো দমিয়ে রাখতে কিংবা বিকৃত করতে চান!? সরকারের মিডিয়া প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে আরো সুচিন্তিত হওয়া দরকার বলে মানুষ মনে করে।

 

r জুলাই বিপ্লবে শহীদ পাঁচ সাংবাদিক পরিবারকে কোটি টাকা সহায়তা বসুন্ধরা গ্রুপের

বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১০ জানুয়ারি ২০২৫

উর্দূ কবি বলেছেন

پہلے خود کانٹے بچھائے اہل دل کے راہ ميں

ہو گئے زخمي تو ان پر پھول برسائے گئے

সজ্জনদের পথে প্রথমে নিজেই কাঁটা বিছিয়েছে

কাঁটায় ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পর তাদের ওপর ফুল ছিটানো হয়েছে।

বাংলায় বললে, সর্প হইয়া দংশন করি, ওঝা হইয়া ঝাড়ি।

 

r ওসি পরিচয়ে বাবা-ছেলেকে জিম্মি করে টাকা দাবি, ছাত্রদল নেতাকে গণধোলাই

যুগান্তর, ১১ জানুয়ারি ২০২৫

l এখনো তো ক্ষমতায় যেতে পারেনি, অথচ ছাত্রদলের একশ্রেণির দুষ্টরা যা শুরু করেছে, বিএনপি যদি এখনই তাদের না দমায়, তাহলে পরিস্থিতি বেগতিক হতে পারে। একথা ভালোভাবে স্মরণে রাখা উচিত যে, জুলাই বিপ্লবের পর সেই ফ্যাসিবাদ ফিরিয়ে আনা এত সহজ হবে না; এখন মানুষ প্রতিবাদ প্রতিরোধ করতে শিখেছে। এ ধরনের লোকদের জনগণই ধোলাই করবে। যাকে ইস্তিরি করা দরকার, তাকে ইস্তিরি করবে। জনগণ এসবে খুব অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে; সুতরাং সাধু সাবধান।

 

প্রতিবেশী রাষ্ট্র

r ক্ষমতাচ্যুত হাসিনার বক্তব্য সমর্থন করে না ভারত : বিক্রম মিশ্রি

মানবজমিন, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

l ভারত মুখে তো বলছে তারা সমর্থন করে না; কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে, হাসিনা সেখানে বসে কীভাবে বক্তব্য দিচ্ছেন। ভারত তাকে আশ্রয় দিয়েছে সেটাও কিন্তু বাংলাদেশ ভালোভাবে নিতে পারছে না। তার ওপর ভারতের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছিল, যেন হাসিনাকে এ দেশে সোপর্দ করা হয়। সেটাও ভারত করছে না। আশ্রয়ে থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়ার অধিকার হাসিনা কোথা থেকে পায়। বক্তব্য দেওয়ার পর এখন বলছে সমর্থন করে না। সমর্থন করা তো পরের বিষয়; ইতিমধ্যেই যার পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে, সে ভারতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে এবং তা মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারিতও হচ্ছে, এসব বিষয়ে তো উচিত ছিল ভারত সরকারকে নোটিশ দেওয়া। এত এত সুবিধা দেওয়ার পর ‘সমর্থন করি না’ এই কথা বলার মাধ্যমে তো ভারত সরকার দায়িত্ব এড়াতে পারবে না।

 

r মুহূর্তেই আওরঙ্গজেবের বাসভবন গুড়িয়ে দিলো ভারত

জনকণ্ঠ, ৭ জানুয়ারি ২০২৫

l ইসলাম ও মুসলিমদের ঘিরে ভারতের এই আক্রমণাত্মক নীতি শুধু মুসলিম ব্যক্তিত্ব আওরঙ্গজেবকে কেন্দ্র করে নয়, ইতিমধ্যে ভারত ইতিহাস বিকৃতি এবং ভারতে যারা সভ্যতা এনেছেন, যারা শত শত বছর থেকে ভারতকে সমৃদ্ধ করে গিয়েছেন, যে মুঘলরা ভারতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নমুনা রেখে গিয়েছেন, ইতিহাস থেকে তাদের মুছে ফেলার জন্য, তাদের ব্যাপারে কুৎসা রটানোর ক্ষেত্রে ভারতের হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার যা কিছু করে যাচ্ছে সেগুলোরই একটি চিত্রমাত্র। বেশ কয়েক বছর আগে ভারতের ভেলুরে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে দেখেছি, টিপু সুলতানের যে ঐতিহাসিক স্থান ও অবস্থান রয়েছে, সেগুলোতে মোদি তার বাহিনী নিয়োগ দিয়ে রেখেছে। ওগুলোর কাছেও যেতে দেয় না। পর্যটকদের রীতিমতো চোখ রাঙানো হচ্ছে। মুসলিম ঐতিহ্য মুছে ফেলতে তারা অনেক ঐতিহাসিক স্থান গুড়িয়ে দিয়েছে। বিভিন্ন রাজ্য ও শহরের নাম পর্যন্ত বদলে ফেলেছে। কিন্তু যত কিছুই করুক না কেন, নাম নিশানা যতই নিশ্চিহ্ন করার পাঁয়তারা করুক না কেন, ইতিহাস থেকে তো কারো অবদান, কারো মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান মুছে দেওয়া যায় না। কারণ ইতিহাস শুধু নাম ও স্থাপনার মধ্যে সংরক্ষিত থাকে না। ঠিক একইভাবে কারো নামে বড় বড় মূর্তি বানালে, ভাস্কর্য তৈরি করলে তার নামে বইপত্র, সিনেমা ইত্যাদি বানালেই সে ইতিহাসে জায়গা করে নিতে পারে না। সাময়িকভাবে ঠাঁই পেলেও পরবর্তীতে সত্য সামনে চলেই আসে। সত্যকে বেশিদিন দমিয়ে রাখা যায় না। ভারত এখন যা করছে, তার জন্য একটা সময় অবশ্যই চড়া মূল্য গুনতে হবে। দিনশেষে আবার সত্যই প্রতিষ্ঠিত হবে।

 

r ভারত সীমান্তে জয় শ্রী-রামের জবাবে আল্লাহু আকবার, কী ঘটেছিল?

ইত্তেফাক, ১০ জানুয়ারি ২০২৫

l শুধু সীমান্তেই নয়, পুরো ভারতবর্ষেই তাকবীরের বদলে জয় শ্রী-রাম বলতে অস্বীকার করায় কত মুসলিমকেই যে হত্যা করা হয়েছে তার কোনো হিসাব নেই। কিন্তু মুসলমানরা তাদের ঈমান ও তাওহীদের ওপর অটল ছিল এবং আছে। এটা শুধু সীমান্তের দৃশ্য নয়, বরং ভারতের ভেতরের অবস্থাও এমনই। প্রতিটি পদক্ষেপেই মুসলিমরা তাদের ঈমানী দৃঢ়তার প্রমাণ রেখে যাচ্ছে।

 

r মানুষ আমি দেবতা নই, আমারও ভুল হয় : নরেন্দ্র মোদি

ইনকিলাব, ১১ জানুয়ারি ২০২৫

l অবশ্য তিনি নিজেকে একবার সৃষ্টিকর্তার অবতার দাবি করেছিলেন। নির্বাচনের আগে অনেকে ভেবেছিলেন যে, নির্বাচনে যদি দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যান, তাহলে তিনি নিজেকে দেবতাই দাবি করে বসবেন। সেই মোদি যখন নিজেকে মানুষের পর্যায়ে নামাতে পেরেছেন এটা কম কিছু নয়। এটা অবশ্যই সেসব জনগণের অবদান বলতে হবে, যারা বিগত নির্বাচনে মোদির দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ক্ষেত্রে বাধা হয়েছিলেন।

 

rসীমান্তের আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করছে ভারত’ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি ওয়েব১২ জানুয়ারি ২০২৫

l এটা তো ভারত করেই যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। ভারত আসলে আন্তর্জাতিক আইনের পরোয়া করে না। প্রতিবেশীদের প্রতি বরাবরই বৈষম্যপূর্ণ আচরণ করে আসছে। কোনো প্রতিবেশীর সঙ্গেই তার আচরণ সুবিধাজনক নয়। শুধু কাঁটাতারের বেড়াই নয়, বরং তাদের কাঁটাতার বহু মরদেহের সাক্ষীও ইতিমধ্যে হয়েছে।

 

আন্তর্জাতিক

r বৃটিশ মন্ত্রী পরিষদ থেকে টিউলিপ সিদ্দীক (শেখ হাসিনার ভাগ্নি ও শেখ রেহানার মেয়ে) পদত্যাগ করেছেন।

বিবিসি, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫

l এগুলো তো মাত্র সামান্য কিছু ঘটনা। টিউলিপ যেহেতু ওখানকার মন্ত্রী বা দায়িত্বশীল ছিলেন, এজন্য তার নাম প্রচারিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতারা তাকে ফ্ল্যাট দিয়ে তার মা খালাদের থেকে সুবিধা নিয়েছে। টিউলিপ যেহেতু প্রভাবশালী একটি দেশের রাজনীতিবিদ তাই তার ব্যাপারটি প্রচার হয়েছে। এছাড়া পুরো বিশ্বে এরকম আরো কত জায়গায় দুর্নীতিবাজ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী রয়েছে। যথাযথ তদন্ত হলে এমন আরো অনেক কিছুই বের হবে। এমনিতেই তো এ দেশের রিজার্ভ, ব্যাংক খালি হয়নি। লক্ষ কোটি টাকা ব্যাংক থেকে গায়েব হয়ে যায়নি। বলা হচ্ছে এস আলম গ্রুপ, সামিট গ্রুপ এবং অন্য আরো বিভিন্ন  গ্রুপ এখন দেশের টাকা বিদেশে নিয়ে বিদেশি নাগরিকত্বের ভয় দেখায়। এই দেশে তাদের নামে যেন কোনো মামলা-মোকাদ্দমা না চলে। তারা একা তো আর এমন করেনি। বিভিন্ন প্রভাবশালী তাদের জন্য, তাদের গোষ্ঠীর জন্য এরকম সুযোগ করে দিয়েছিল পুরো বিশ্বে। এ বাস্তবতা বুঝতে যদি অসুবিধা হয়, তাহলে একটি জিনিস খেয়াল করুন, তাদের দলের বড় বড় অধিকাংশ নেতা বিদেশে অবস্থান করছে। রাজার হালতে জীবন-যাপন করছে। যেখানে দু-চার দিনের জন্য বাইরে ঘুরতে গেলে আর্থিক দিক থেকে নাজেহাল অবস্থায় পড়তে হয়। সেখানে তারা মাসের পর মাস বাইরে আছে এবং শাহী জীবন-যাপন করছে। এ টাকা কোথায় পায়? এগুলো তো দুর্নীতির টাকাই। আসলে টিউলিপের বিষয়টা দিয়ে শুধু টিউলিপকে যাচাই করা উচিত নয়, বরং দলের অন্য লোকদেরও এভাবেই বিবেচনা করা উচিত। যদি ঠিকমতো দেশে দেশে এসবের তদন্ত হয়, তাহলে এমন বহু টিউলিপ দেশে এবং দেশের বাইরে বেরিয়ে আসবে।

 

r ঘুমন্ত অবস্থায় এআই ব্যবহার করে ১০০০ চাকরিতে আবেদন

মানবজমিন, ১০ জানুয়ারি ২০২৫

l এআই যে ভবিষ্যতে আরো কত খেল দেখাবে! এ তো মাত্র শুরু। এআইয়ের অবাধ ব্যবহারে আরো কত আজগুবি বিষয়, কত বিপদ ও বিপর্যয় সামনে আসবে, সেগুলো তো দেখা বাকি রয়েছে।

 

r ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করায় শ্রীলঙ্কার এক সন্ন্যাসীর জেল

মানবজমিন, ১০ জানুয়ারি ২০২৫

l এধরনের দুয়েকটি রায় এবং কিছু ইতিবাচক কাজের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কা যদি বুদ্ধ-ভিক্ষুগণ কর্তৃক অতীতে মুসলিমদের ওপর কৃত নির্যাতন-নিপীড়নের বদনাম কিছুটা হলেও ঘোচাতে পারে।

 

গ্রন্থনা : ওয়ালিউল্লাহ খান

 

 

advertisement