শাবান ১৪৪৬   ||   ফেব্রুয়ারি ২০২৫

শক্তির তারতম্য ॥
লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল : পৃথিবীর অবোধ ও অবিশ্বাসীরা যদি বুঝত!

আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যকে হুমকি দিলেন, হামাসের হাতে বন্দি থাকা ইসরাইলী জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া না হলে মধ্যপ্রাচ্যকে জাহান্নামে পরিণত করা হবে। অন্যদিকে আমেরিকার অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলের খবরটিও প্রায় একই সময় গণমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববাসী তা দেখেছে। কারো কারো কাছে ব্যাপারটি নিতান্তই কাকতালীয়। তারা হয়তো ভিন্নভাবে এ দাবানলকে বিশ্লেষণ করবেন। লস অ্যাঞ্জেলেস হলিউডের কেন্দ্র হওয়াতে এটি শুধু আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ শহর নয়; বরং বিশ্বের একশ্রেণির মানুষের কাছেও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই গুরুত্বপূর্ণ শহরটি বর্তমানে দাবানলে ভস্মীভূত। হাজার হাজার বাড়িঘর, প্রতিষ্ঠান ছাই হয়ে গেছে। হতাহত হয়েছে অনেক মানুষ।

মানুষ যে ধর্ম বা অঞ্চলেরই হোক, মানুষ হওয়ার খাতিরে তার আকস্মিক সমস্যা বা বিপদে আনন্দিত হওয়া সমীচীন নয়। দুশমন হলেও তার আকস্মিক বিপদে উল্লসিত হওয়া অনুচিত। এক্ষেত্রে শিক্ষা নেওয়াই কর্তব্য। কুরআন কারীমেও এমন শিক্ষণীয় দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় উপস্থাপন করা হয়েছে এমন বহু জাতি ও জনপদের শেষ পরিণাম; যাদেরকে তাদের জুলুমের ফলে এমনভাবে মূলোৎপাটন করা হয়েছিল যে, তাদের কোনো চিহ্ন পর্যন্ত অবশিষ্ট থাকেনি। আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন দুষ্টু জাতির অপকর্মের ফলে তাদের ওপর আপতিত শাস্তির বিবরণ দেওয়ার পর কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন বাক্য ব্যবহার করেছেন। যেমন আদ জাতিকে ধ্বংস করার পর বলেছেন

كَاَنَّهُمْ اَعْجَازُ نَخْلٍ مُّنْقَعِرٍ.

যেন তারা উৎপাটিত খেজুর গাছের কাণ্ড। সূরা কমার (৫৪) : ২০

ছামূদ জাতিকে ধ্বংস করার পর বলেছেন

فَكَانُوْا كَهَشِیْمِ الْمُحْتَظِرِ.

তারা হয়ে গেল খোয়াড় প্রস্তুতকারীর শুষ্ক বিচূর্ণ কাঁটার মতো। সূরা কমার (৫৪) : ৩১

বাগানওয়ালাদের ধ্বংস করার পর বলেছেন

فَاَصْبَحَتْ كَالصَّرِیْمِ.

ফলে ভোরবেলা তা হয়ে গেল ফসলহীন কাটা ক্ষেতের মতো। সূরা কলাম (৬৮) : ২০

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত লস অ্যাঞ্জেলেসের বর্তমান ছবিগুলো দেখলে অনেকটা এমনই মনে হবে, যেন কোনো অস্তিত্বই ছিল না।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন যাবৎ দম্ভ ফলিয়ে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে অন্যান্য দেশের মানুষের ওপর জুলুম করছে। আধিপত্য বিস্তার করছে। জালেমদের সর্বাত্মক সমর্থন করার মাধ্যমে নিজেদের অপকর্ম অব্যাহত রেখে চলেছে। তাদের ভাবটা এমন যেন আমরা বিশাল ক্ষমতাধর। সামরিক দিক থেকে আমরা বিশ্বসেরা। প্রযুক্তির দিক থেকে আমরা বিশ্বের এক নম্বর। সুতরাং কেউ আমাদের কিচ্ছু করতে পারবে না।

যদি বাহ্যিক শক্তি-সামর্থ্যই সবক্ষেত্রে পরিত্রাণ ও নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট হত, তাহলে তারা কেন সামান্য একটু আগুন নেভাতে পারছে না? এটি তো অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড বা অ্যামাজনের কোনো জঙ্গলের দাবানল নয়; বরং জীবনযাত্রার সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ একটি অত্যাধুনিক শহর। আর অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থার কত অত্যাধুনিক সরঞ্জামই তাদের রয়েছে। কোনো একটি ব্যবস্থা অকার্যকর হলে পরবর্তী কোন্ ব্যবস্থায় যেতে হবে, সেটিও তাদের অজানা নয়। তবুও কেন পুরো শহরটিই ছারখার হয়ে যাচ্ছে? পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত রাষ্ট্র নয়; বরং কোনো দরিদ্র রাষ্ট্রের পুরো শহরকে এভাবে জ্বলে ভস্মীভূত হতে এ যাবৎকালে কি কেউ দেখেছে? আসলে কেউ যদি অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখে, তাহলে বোঝার আছে অনেক কিছুই। তারা বলছে, প্রবল বাতাসের জন্য আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। শক্তির পার্থক্য আসলে এখানেই। তাদের হাতে যা কিছু নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে, সেগুলো তাদের প্রস্তুতকৃত। (যদিও তা আল্লাহর দেওয়া জ্ঞান ও তাঁরই দেওয়া বিভিন্ন দ্রব্য ও উপকরণ দিয়ে তৈরি করা।) অন্যদিকে যে শক্তির সাথে তারা পেরে উঠছে না অর্থাৎ সামান্য বাতাস, সেটি মহান রাব্বুল আলামীনের সরাসরি সৃষ্টি। এখন তারা বলছে, বাতাস কমে এলে এ দাবানল নিয়ন্ত্রণে আসবে। অর্থাৎ সুপার পাওয়ার (!) আমেরিকা মুখে না বললেও স্বীকার করে নিচ্ছে আল্লাহর সামান্য সৃষ্টির সাথে মোকাবেলা করার কোনো যোগ্যতা ও সামর্থ্যই আমাদের নেই।

আহ! যদি পৃথিবীর অবোধ ও অবিশ্বাসীরা তা বুঝত!

এতদিন হয়ে গেল, এখনো আগুন নেভার কোনো লক্ষণ নেই। দিনে দিনে আগুন বেড়েই চলেছে। বলা হচ্ছে, বাতাস না থামা পর্যন্ত আগুন নেভানো সম্ভব নয়।

এখান থেকেই আমরা শক্তির তারতম্য বুঝতে পারি। তাদের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র আছে, অত্যাধুনিক সাবমেরিন আছে, তারা দেশের পর দেশ ধ্বংস করে দিতে পারে, হিরোশিমা-নাগাসাকি ধ্বংস করে দিতে পারে, কিন্তু সামান্য বাতাস থামাতে পারে না। ফলে এত এত উপায়-উপকরণ, দমকল বাহিনীর সর্বাত্মক প্রচেষ্টায়ও আগুন নেভাতে ব্যর্থ হতে হচ্ছে। সামান্য বাতাস যারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, সামান্য আগুন যারা নেভাতে পারে না, তাদেরই দম্ভের কোনো অন্ত নেই!

শুধু নিরীহ মানুষের ওপর আমেরিকার জোর খাটানোর যোগ্যতা আছে। নতুবা তাদের বাস্তব অবস্থা হল, শুধুই লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস। ভিয়েতনামের মতো একটি গরিব-দুর্বল দেশ থেকে তারা নিরুপায় হয়ে লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে। আফগানসহ বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ বাঁধিয়ে, ধ্বংসের মুখে পতিত করে, স্থায়ী ক্ষতি করে সেখান থেকে লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে। ইরাকে ধ্বংসাত্মক রাসায়নিক অস্ত্র থাকার মিথ্যা দাবি করে দেশটিকে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে নিয়ে গিয়েছে। অথচ ইরাক-ইরান যুদ্ধ-পরবর্তী সময়েও সে দেশটি সমৃদ্ধ ও স্বাবলম্বী ছিল। দেশটিকে নিঃশেষ করে নতজানু হয়ে পলায়ন করেছে তারা। সেইসাথে বলতে বাধ্য হয়েছে, তারা কোনো ধ্বংসাত্মক অস্ত্র পায়নি।

সিরিয়াতে এত বছর যাবৎ যুদ্ধ বাঁধিয়ে রেখে হাজার হাজার মানুষ হত্যার সহযোগী হয়েছে। তারপর সেখানকার বিদ্রোহীরা যখন ক্ষমতায় এল, তারা বলতে শুরু করল, আমরা তোমাদের সাথেই আছি। তোমাদের সমর্থন করি। যার মাথার দাম তারা ঘোষণা করেছিল লক্ষ লক্ষ ডলার! তাকেই তারা এখন সমর্থন দিচ্ছে! অর্থাৎ সেখানেও তারা নতুন কোনো ফন্দি আঁটছে। লিবিয়ার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। সমৃদ্ধ একটি দেশ ছিল; কিন্তু পশ্চিমাদের পোষা বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে লেলিয়ে দিয়ে নিজেদের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়েছে। স্বার্থ ও সুবিধার জন্য একসময় তারা একনায়ক সাদ্দাম হোসেন ও গাদ্দাফিকে সমর্থন ও সহযোগিতা  দিয়েছিল। পরবর্তীতে নিজেদের স্বার্থে আবার তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। তারা নিজেদের ইতিহাস মনে রাখে না। অবশ্য ইতিহাস মনে রাখার জন্য সামান্য হলেও লজ্জা থাকতে হয়।

দিন শেষে তাদের ইতিহাস, লেজ গুটিয়ে পালানোর ইতিহাস। বর্তমানে তারা মধ্যপ্রাচ্যকে হুমকি দিচ্ছে। ট্রাম্প নির্বাচিত হয়েছেন। এখনো ক্ষমতায় বসেননি। এই মাসেই (২০ জানুয়ারি ২০২৫) বসবেন। কিন্তু তাঁর যেন তর সইছে না হুমকি দেওয়ার জন্য। তিনি হুমকি দিচ্ছেন। ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন। অথচ এ ধরনের দাপুটেরা সামান্য বাতাসও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।

এখানে সকলের জন্যই শিক্ষার উপকরণ রয়েছে। আমেরিকা মনে করে, সে কাউকে ধ্বংস করলে তার পক্ষে আর উঠে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। ব্যাপারটা তেমন নয়। ভিয়েতনামকে তারা ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছিল, কিন্তু ভিয়েতনাম ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আফগানিস্তান ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। হিরোশিমা-নাগাসাকি পৃথিবীর একমাত্র শহর, যেখানে পরমাণু হামলা হয়েছে। সেই জাপান আবার নিজেকে সমৃদ্ধ করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং মুসলিম রাষ্ট্রগুলো যদি নিজেদের নীতি-নৈতিকতা, কুরআনের শিক্ষা ও আদর্শ গ্রহণ করে আর অত্যাচারীদের চাপে পড়েও যদি তাদের হুঁশ আসে, সেইসাথে আমরা সকলে যদি ফিরে আসি, যদি সত্যিকারের মুসলিম নিজেদের বানাতে পারি; তাহলে চূড়ান্ত পরাজয় তাদেরই হবে, যারা লেজ গুটিয়ে পালায়। এর মধ্য দিয়েই আমরা ফিরে পাব আমাদের হারানো ঐতিহ্য।

قُلْ جَآءَ الْحَقُّ وَ زَهَقَ الْبَاطِلُ اِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوْقًا.

বল, সত্য এসে গেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে, নিশ্চয়ই মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই। সূরা ইসরা (১৭) : ৮১

 

 

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি  <br>

অবশেষে ইসরাইল বুঝল হামাসকে নিশ্চিহ্ন করা এত সহজ নয়

অবশেষে জায়নবাদী ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে হামাস কর্তৃক তূফানুল আকসা অভিযানে ইসরাইলে অতর্কিত ব্যাপক হামলা ও হতাহতের ঘটনার পর ইসরাইল গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করে। নিরস্ত্র, নিরীহ বেসামরিক লোকদের তারা হত্যা করে যচ্ছিল। অসংখ্য হাসপাতাল ধ্বংস করেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো গুড়িয়ে দিয়েছে। তাদের ধ্বংসযজ্ঞ কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছিল না। অবশেষে দীর্ঘ ১৫ মাস পর ইসরাইল হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে যেতে বাধ্য হয়েছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে যে শর্তগুলো দেখা যাচ্ছে, তাতে আপাতদৃষ্টিতে হয়তো হামাসের পরিপূর্ণ বিজয় বলা যাবে না। কারণ ইসরাইলী সৈন্যরা পুরো গাজা এলাকা ছেড়ে যাচ্ছে না। ইসরাইলী সৈন্যরা একেবারে গাজা ছেড়ে চলে গেলে এটিকে পরিপূর্ণ বিজয়ই বলা যেত। নেতানিয়াহুর যুদ্ধবাজ সরকার, তার সমর্থক মোড়ল আমেরিকা এতদিন বলে আসছিল, হামাসকে নিশ্চিহ্ন করেই তারা দম নেবে। সেই হামাসের সাথেই তারা এখন যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে বাধ্য হয়েছে। এই চুক্তি কতটা সফল হবে এবং ফিলিস্তিনীদের মাঝে কতটা শান্তি বয়ে আনবে, তা ভবিষ্যৎই বলে দেবে।

আপাতত যে কথাটি বলা যায়, যদি কোনো জাতি নিজেদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে দাঁড়িয়ে যায়, মৃত্যুকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করে। মৃত্যুর ব্যাপারে নির্ভীক হয়ে যায়, তাহলে সে জাতিকে ধ্বংস করা এত সহজ না। আর গাজাবাসীর তো আছে ঈমানী শক্তি। ফলে ঈমানদীপ্ত শাহাদাতের চেতনা এবং নিজেদের জাতিসত্তাকে ধরে রাখার প্রেরণা বহু গুণ সাহস বাড়িয়েছে গাজাবাসীর। এই ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে দাঁড়িয়েই তারা পৃথিবীর অন্যতম প্রধান সামরিক শক্তির মোকাবেলা করে গেছে প্রায় দেড় বছর। এজন্য ইসরাইল বাধ্য হয়েছে, হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতিতে আসতে।

এখানে শর্তগুলো মুখ্য বিষয় নয়। আমরা বিষয়টাকে এভাবে দেখতে চাই, ফিলিস্তিনী জাতি তাদের মান রেখেছে। যার ফলে আজ অন্তত এই সফলতা এসেছে। বহু প্রাণের বিনিময়ে হলেও ইসরাইল মেনে নিয়েছে, হামাসের সাথেও তাদের চুক্তিতে যেতে হবে। নিজেদের জিম্মিদের মুক্ত করতে হলে চুক্তি করতেই হবে। যেহেতু পৃথিবীর অধিকাংশ প্রচার মাধ্যম তাদের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত, তাই একতরফাভাবে সবাই শুধু গাজাবাসীর ক্ষতির সংবাদ পাচ্ছিল, কিন্তু ইসরাইলের যে কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, কত সৈন্য মারা গিয়েছে, মিডিয়ায় সেসব তথ্য পুুরোপুরি আসেনি। কারণ মিডিয়া তো একতরফা ইসরাইলের প্রচার করে। পুরো বিশ্বের মিডিয়ার কেন্দ্রগুলো তাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়া সত্ত্বেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে ইসরাইলের ক্ষয়ক্ষতির বিবরণও মানুষের সামনে চলে আসে। ফলে ইসরাইলের যুদ্ধবাজ সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত ছিল। তাই বাধ্য হয়ে হামাসের সাথে চুক্তি করেছে। সুতরাং আপাতদৃষ্টিতে মুসলিম বিশ্বের জন্য এই যুদ্ধবিরতি স্বস্তিদায়ক।

আল্লাহ তাআলা গাজাবাসীকে, ফিলিস্তিনবাসীকে পরিপূর্ণ স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব দান করুন। দখলদারদের কব্জা থেকে মুসলমানদের প্রথম কেবলাকে ফিরিয়ে আনুন আমীন। 

 

 

advertisement