রজব ১৪৪৬   ||   জানুয়ারি ২০২৫

খবর... অতঃপর...

r ৩৭ সাংবাদিকের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য পদ স্থগিত

জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গণহত্যায় উস্কানি প্রদান এবং পতিত সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করার দায়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৩৭ জন সদস্যের সদস্য পদ স্থগিত করা হলো। গত ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নোটিশে জানানো হয়।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের যাদের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছে এই তালিকায় সিনিয়র অনেক সাংবাদিকের নাম রয়েছে। তারা হলেননূরুল আমিন প্রভাষ, জায়েদুল আহসান পিন্টু, মোজাম্মেল বাবু, আশীষ সৈকত, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সোহেল হায়দার চৌধুরী, ফারজানা রুপা, অশোক চৌধুরী, আজমল হক হেলাল, আবুল খায়ের, মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, প্রণব সাহা, নঈম নিজাম, খায়রুল আলম, আবেদ খান, সুভাষ চন্দ বাদল।

এই তালিকায় আরও আছেন জহিরুল ইসলাম মামুন (জ.ই মামুন), জাফর ওয়াজেদ, সাইফুল ইসলাম কল্লোল, পাভেল রহমান, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, শাবান মাহমুদ, মুহম্মদ শফিকুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, শ্যামল সরকার, অজয় দাশগুপ্ত, আলমগীর হোসেন, রমাপ্রসাদ সরকার বাবু, সঞ্জয় সাহা পিয়াল, ফারাজি আজমল হোসেন, আনিসুল রহমান, নাঈমুল ইসলাম খান, মো. আশরাফ আলী, ইখতিয়ার উদ্দিন ও আবু জাফর সূর্য।

ইত্তেফাক, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

l প্রকৃত সাংবাদিক হলে তো সদস্য পদ স্থগিতের কাজটা নিন্দনীয় বলা হত। কিন্তু যাদেরটা স্থগিত করা হয়েছে, তারা কি আসলে সাংবাদিক, না সাংবাদিক নামের কলঙ্ক; না অবৈধ সুবিধাভোগী? এদের অনেকেই তো পতিত ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারকে তাদের অবৈধ ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে হরেক রকমের সহযোগিতা করেছে। মিথ্যাকে সত্য, চুরি-ডাকাতিকে উন্নয়ন এবং ধ্বংসযজ্ঞকে নির্মাণ বলে প্রচার করেছে। কোনো সংবাদ সম্মেলন আসলে তারা তাদের মনিবদের জটিল ও প্রয়োজনীয় প্রশ্ন করার বদলে তাদের গুণগান গেয়ে প্রশংসায় ভাসিয়ে তুলত। এমন প্রশ্নই করত, যেগুলো তাদের জবাব দেওয়া সহজ হয়। তো এদেরকে সাংবাদিক মনে করা কতটুকু শোভন?

সুতরাং এইসকল সাংবাদিকদের প্রেস ক্লাবের সদস্যপদ স্থগিত নয়, বরং পুরোপুরি বাতিল করে এদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা দরকার। ফ্যাসিবাদের তল্পিবাহক হয়ে তারা যেসকল অবৈধ ও অন্যায্য সুবিধা ভোগ করেছে, সেগুলো জাতির সামনে আনা দরকার এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার।

 

r ভারতের বদলে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেশি এখন যুক্তরাষ্ট্রে

প্রথম আলো, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

l তদন্ত করে দেখা দরকার এ ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের দুর্নীতিবাজরা আছে কি না। সেখানে তারা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করবে আর বাংলাদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা খসাবেএমনটি হতে দেওয়া উচিত নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত বিষয়টি খতিয়ে দেখা। এমন লোক পাওয়া গেলে তাদের ক্রেডিট কার্ড ব্লক করে দেওয়া।

 

r অপ্রাপ্ত বয়স্কদের হাতে মোটরসাইকেল, বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল

সময় নিউজ, ২২ নভেম্বর ২০২৪

l শুধু অপ্রাপ্ত বয়স্ক নয় এবং এটা শুধু শরীয়তপুরের সমস্যাই নয়; বরং পুরো দেশেই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি হতাহতের শিকার হয় মোটরসাইকেল আরোহীরা। অনেক জায়গায় তাদের দ্বারা অনেক সাধারণ পথচারী হতাহত হয়। এ বাহনটি বহুত কম লোকই নিয়ম মেনে নিয়ন্ত্রিতভাবে চালিয়ে থাকে। এর সাথে যদি সেটি যায় উঠতি বয়সের অবুুঝ কারো হাতে, তাহলে তো বিষয়টি আরো ভয়ংকর হয়ে ওঠে। তারপর আবার রয়েছে বর্তমানে হাজার হাজার অটো চালক, যাদের নিজেদের না আছে কোনো প্রশিক্ষণ, না আছে তাদের গাড়িতে কোনো নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। অথচ তারা বড় বড় গাড়িগুলোর সাথে গতি টেক্কা দিয়ে চলে। যার দরুন হর-হামেশাই ঘটে যাচ্ছে অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা। ঝরে যাচ্ছে অনেক বনী আদমের প্রাণ। বাড়ছে কান্নার মিছিল। তাই এসব বিষয়ে অভিভাবক, সমাজ ও রাষ্ট্রের জরুরি ভিত্তিতে ভাবা দরকার। অন্যান্য যানবাহনের মতো মোটরসাইকেল ও অটোওয়ালাদেরকেও কঠোর নীতিমালার আওতায় আনা দরকার।

 

r যে কারণে বাংলাদেশকে লাখ লাখ ডলার জরিমানা দিতে হচ্ছে

বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘদিন দেরির কারণে বাংলাদেশকে কমিটমেন্ট ফি বাবদ লক্ষ লক্ষ ডলার গুনতে হচ্ছে। ঋণদাতাদের কাছ থেকে ছাড় না হওয়া অর্থের জন্য এ মাশুল দিতে হয়। কমিটমেন্ট ফি এমন একটি চার্জ, যা ঋণদাতার কাছ থেকে ক্রেডিট লাইন খোলা রাখতে বা ভবিষ্যতে ঋণের নিশ্চয়তা পেতে ঋণগ্রহীতাকে দিতে হয়।

যেমন, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ২০১১ সালে পাওয়ার সিস্টেম ইফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের জন্য ৩০০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন করেছিল, যা ২০১৭ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্পটি চার বার মেয়াদ বাড়িয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ছয় বছরের প্রকল্পটি এখন ১৩ বছর ধরে চলছে।

এর ফলে বাংলাদেশকে ঋণের আকারের ০.৯৪ শতাংশ বা ২.৭৩ মিলিয়ন ডলার কমিটমেন্ট ফি দিতে হবে বলে সাম্প্রতিক এক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে জানিয়েছে এডিবি।

ইত্তেফাক, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

l পুঁজিবাদী অর্থনীতি এবং সুদি ব্যবস্থা যে অধঃপতনের বড় কারণএগুলো তারই সামান্য নমুনা। আপনি ঋণ নিয়েও সুদ দেবেন, ঋণ গ্রহণ না করেও সুদ দেবেন। বিদ্যুৎ ব্যবহার করেও মূল্য দেবেন। আবার উৎপাদনকারী বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেও শুধু তার ক্যাপাসিটির জন্য আপনার কাছ থেকে চার্জ নেবে। অভিশপ্ত পুঁজিবাদ শুধু শক্তিমানের পক্ষেই কথা বলে।

 

r বিয়ের নয় দিন পর টাকা-পয়সা নিয়ে উধাও নববধূ

দেশ রূপান্তর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

l এধরনের খবর এখন মাঝে মাঝেই আসছে, সাধারণ মানুষ তো বটেই, জল্লাদ শাহজাহানের সাথেও নাকি এমন ঘটনা ঘটেছিল। মোবাইল ফোনের অপব্যবহার এবং সমাজে ছড়িয়ে পড়া বেহায়াপনা ও অপসংস্কৃতির প্রভাবে এখন অনেক মেয়ে (বিবাহিত-অবিবাহিত) নিজের স্বামীর ঘরে থেকে, নিজের স্বামীর টাকা-পয়সা-সুবিধা ভোগ করে ব্যবহৃত হয় অন্যের জন্য। এসব বন্ধ করতে হলে সমাজের অবক্ষয়গুলোকে মেরামত করে নিজেদের সভ্যতা-সংস্কৃতি আঁকড়ে ধরতে হবে।

 

r আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যা করল ইসকন সদস্যরা

চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে ইসকন (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) সদস্যদের হামলায় এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। ওই আইনজীবীর নাম সাইফুল ইসলাম আলিফ। তার বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলায়।...

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সরওয়ার হোসেন লাভলু আমাদের সময়কে বলেন, ইসকন সদস্যরা আদালতে তাণ্ডব চালিয়েছে। তারা এক আইনজীবীকে কুপিয়ে ও পাথর মেরে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও দ্রুত ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে রাষ্টদ্রোহ মামলায় ইসকনের বহিস্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন। শুনানির পর ইসকন নেতাকে বহনকারী পুলিশের প্রিজনভ্যান আড়াই ঘণ্টা আটকে রেখে বিক্ষোভ করেন ইসকন সদস্যরা। পরে ২টা ৪৫ মিনিটে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

পরে ইসকন সদস্যরা বিভিন্ন গলিতে প্রবেশ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। তারা আদালতের কেন্দ্রীয় মসজিদের জানালার কাচ ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ করেন মুসল্লিরা। এ ছাড়া আইনজীবীদের তিনটি প্রাইভেট কার ও পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। আদালত চত্বর এলাকায় রঙ্গন কমিউনিটি সেন্টার হলের গলিতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে ইসকন সদস্যরা। পরে তার মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আমাদের সময়, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

আইনজীবী সাইফুলের জানাযায় লাখো জনতার ঢল

ইত্তেফাক, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

ইসকনের মতো উগ্রবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান সব সময় সোচ্চার থাকবে : সারজিস

প্রথম আলো, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

l বিগত বছরগুলোতে ভারতের হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার শুধু সে দেশেই মুসলিম সংখ্যালঘুদের নিধন ও নির্যাতন করে থেমে থাকেনি; বরং পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশেও তাদের তল্পিবাহক ও দোসর হাসিনাদের মাধ্যমে হিন্দুত্ববাদকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে। তারা যে কতটা আগ্রাসী হয়ে উঠেছে এবং চিন্ময় ও ইসকনদের স্পর্ধা যে কতটা বেড়ে গেছে, তার একটি নমুনা হল, চিন্ময়ের অনুসারীদের হাতে একজন নিরীহ আইনজীবীর নৃশংস হত্যাকাণ্ড। এদের অন্যায় ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ যে কতটুকু অতিষ্ট, তার প্রমাণ তারা দিয়েছে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাযায় অংশগ্রহণ করে। মরহুম আলিফ তো এ উগ্রবাদীদের হাতে জান দিয়ে অমর হয়ে গেলেন; কিন্তু তার আত্মদানের ফলে ইসকনের মতো সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদী সংগঠনগুলো এবং চিন্ময়ের মতো লোকদের নিয়ন্ত্রণ ও আইনের আওতায় আনা হবে তো? সেটাই এখন জাতি দেখতে চাইবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে।

 

r একজন তারেক রহমান রাজনীতিতে নতুন সম্ভাবনার বার্তা

কালের কণ্ঠ, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

l ঠিক কালের কণ্ঠ তো? যারা ৫ আগস্ট পর্যন্ত এ পত্রিকা এবং এ গ্রুপের অন্যান্য পত্রিকা দেখেছেন এবং যারা পতিত হাসিনা কর্তৃক এক দফা আন্দোলন দমানোর জন্য ব্যবসায়ীদের সম্মেলনে এ পত্রিকার মালিকের উসকানিমূলক বক্তব্য শুনেছেনে, তারা একই পত্রিকার উপ-বার্তা সম্পাদক কর্তৃক তারেক রহমানের এত গুণগান কীভাবে দেখবেন? আসলে এইসব সংবাদ মাধ্যমের মালিকেরা কারো নয়; তারা শুধুই এই ধান্দায় থাকে যে, নিজেরা কীভাবে ক্ষমতাবানদের এবং ভবিষ্যতের যারা ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা আছে, তাদের তেল দিয়ে এবং অবৈধ হরেক-রকম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে নিজেরা টাকার পাহাড় গড়তে পারে এবং রাষ্ট্র থেকে অন্যায় ও অন্যায্য সুযোগ-সুবিধা নিতে পারে। এটিই তাদের মূল কাজ ও আসল যোগ্যতা।

 

r সয়াবিন তেলের দাম বাড়ালো সরকার

সময় নিউজ, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

l পুরোনো পথেই হাঁটল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গুটি কতক ব্যবসায়ী কর্তৃক বাজারে তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি, সেই পুরোনো পন্থায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়ানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করা এবং একসময় সরকারের অসহায় আত্মসমর্পণ ও মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা! এভাবেই যুগ যুগ থেকে গুটিকতক ব্যবসায়ী হাতিয়ে নিচ্ছে সাধারণ জনগণের কষ্টার্জিত অর্থ এবং নিজেরা মালিক হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকার।

 

r রাজনৈতিক বিরোধিতাকে সন্ত্রাসবাদ বলে চালিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন

প্রথম আলো, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

l এখন বলে লাভ কী? তখন সময়মতো কি যুক্তরাষ্ট্র সরব হয়েছিল? শুধু মুখে দু-চার শব্দ বলা ছাড়া বাস্তবে কি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তারা কোনো ব্যবস্থা নিয়েছিল? এখন জনগণের হাতে স্বৈরাচারের পতনের পর তাদের এ প্রতিবেদনে কী বা আসবে যাবে?

 

r ব্যাংক ঋণের বন্ধকি সম্পত্তি ইসকনকে দান করে আত্মগোপন

আজকের পত্রিকা, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

l আহ কত বড় পুণ্যের কাজ! ব্যাংকের (বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের টাকা) সম্পদ নিজেদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দান!

 

প্রতিবেশী রাষ্ট্র

r বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণ উদ্বেগের : জয় শংকর

প্রথম আলো, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

l ভারতের গণমাধ্যম এবং সরকার তো প্রায় এক সুরে এই কথা বলছে। এ নিয়ে নতুন করে বলারও কিছু নেই। তাদের মিথ্যাচারের কথা এখন পুরো পৃথিবীর লোকেরা জানে। কিন্তু এখানে ভিন্ন একটি বিষয় দেখার মতো আছে, তা হচ্ছে, ভারতীয় সরকার তো মনগড়া খবরাদির ওপর ভিত্তি করে এদেশের হিন্দুদের পক্ষে বক্তব্য দিচ্ছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কি বাংলাদেশের কোনো সরকার বা সরকারের নেতা বিগত দেড় দশক থেকে ভারতে চলা মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর হত্যা, নির্যাতন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে একটি বাক্যও উচ্চারণ করেছেন?!

 

আন্তর্জাতিক

r সৌদিতে ফ্যাশন শোতে কাবার আদলে মঞ্চ, চলছে খোলামেলা নাচ

যায়যায়দিন, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

বিশ্ব চলচিত্রে নেতৃত্ব দিতে চায় সৌদি আরব

যায়যায়দিন, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

l বাদশাহ সালমান ও তার ছেলে সৌদি বংশের রাজত্বকে যে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাচ্ছে, এগুলো তার আলামত। যেভাবে তারা নাচ-গান, বেহায়াপনা, খেলা-ধূলা ও ইসলাম বিদ্বেষী অন্যান্য কাজকর্মে মেতে উঠছে এবং নিজেদের গায়ে হারামাইন শরীফাইনের খাদেম হওয়ার তকমা লাগিয়ে শরীয়া পরিপন্থী কাজ-কর্মের মাধ্যমে আরব বিশ্ব ও পুরো বিশ্বের মুসলমানদের দিলে আঘাত দিয়ে যাচ্ছে, তাতে এরা নিজেদের ধ্বংস অনিবার্য করে তুলছে বলেই অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। বেশ কয়েকটি আরব দেশের একনায়কদের পতন তো তাদের চোখের সামনেই হল। তারপরও তারা সোজা পথ ছেড়ে উল্টো দিকেই হাঁটছে।

 

r সিরিয়ার সেদনায়া কারাগারে প্রাণ গেছে কত মানুষের

প্রথম আলো, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

l পৃথিবীর ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের হোতাদের চরিত্র ও কর্মপন্থা একই রকম থাকে। পার্থক্য শুধু স্থান ও চেহারার। কোথাও হাসিনা ও আয়নাঘর আবার কোথাও  বাশার আলআসাদ ও সেদনায়া কারাগার। কিন্তু এসবের কোনো কিছুর দ্বারাই তাদের শেষ রক্ষা হয় না।

 

r হোয়াইট হাউসে ব্রিফিং

সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা অত্যন্ত জরুরি : বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্নে জন কারবি

প্রথম আলো, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

l খুবই হক কথা এবং বাংলাদেশের মানুষ সেটা করেও আসছে। এখানকার সংখ্যালঘুরা অনেক ক্ষেত্রেই তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বেশি ভোগ করছে। কিন্তু সে তালীম আপনাদের দিতে হবে না। আপনারা যারা টেরা ও কানা চোখ দিয়ে বিশ্বকে দেখেন, পৃথিবীর দেশে দেশে মুসলমানদের ওপর যাদের নির্যাতন-নিপীড়ন চোখে পড়ে না; তাদের জন্য বাংলাদেশের জনগণকে সংখ্যালঘু সুরক্ষার তালীম দেওয়া মানায় না।

 

গ্রন্থনা : ওয়ালিউল্লাহ খান

 

 

advertisement