সূরাসমূহের নামের অর্থ
(পূর্ব প্রকাশের পর)
৩৬। সূরা ইয়া-সীন : يٰسٓ (ইয়া-সীন)-এর অর্থ আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন। এগুলো আলহুরুফুল মুকাত্তাআত। সূরাটির প্রথমেই يٰسٓ শব্দ রয়েছে। সূরার শুরুতে ইরশাদ হয়েছে—
يٰسٓ، وَ الْقُرْاٰنِ الْحَكِيْمِ، اِنَّكَ لَمِنَ الْمُرْسَلِيْنَ، عَلٰي صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ.
ইয়া-সীন। হেকমতপূর্ণ কুরআনের শপথ! নিশ্চয়ই তুমি রাসূলগণের একজন। সরল পথে প্রতিষ্ঠিত। —আয়াত : ১-৪
এ সূরা সম্পর্কে এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে—
مَنْ قَرَأَ يٰسٓ فِي لَيْلَةٍ ابْتِغَاءَ وَجْهِ اللهِ غُفِرَ لَهٗ.
যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রাতে সূরা ইয়া-সীন পড়বে, তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। —সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ২৫৭৪
প্রথম আয়াতে উল্লেখিত ইয়া-সীন (يٰسٓ) শব্দ থেকেই সূরাটির নামকরণ হয়েছে ‘সূরা ইয়া-সীন’।
৩৭। সূরা সাফ্ফাত : ‘সাফ্ফাত’ (الصّٰٓفّٰت) শব্দটি সাফ্ফাতুন (صَافَّةٌ) শব্দের বহুবচন। অর্থ ‘সারিবদ্ধ হয়ে দণ্ডায়মান’। সূরাটির প্রথম আয়াতেই শব্দটি রয়েছে। তাতে ইরশাদ হয়েছে—
وَ الصّٰٓفّٰتِ صَفًّا، فَالزّٰجِرٰتِ زَجْرًا، فَالتّٰلِيٰتِ ذِكْرًا ، اِنَّ اِلٰهَكُمْ لَوَاحِدٌ، رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ وَ مَا بَيْنَهُمَا وَ رَبُّ الْمَشَارِقِ.
শপথ তাদের, যারা সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়। তারপর তাদের, যারা কঠোরভাবে বাধা প্রদান করে। তারপর তাদের, যারা ‘যিক্র’-এর তিলাওয়াত করে। নিশ্চয়ই তোমাদের মাবূদ একজনই। যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী এবং এর মধ্যবর্তী সমস্ত কিছুর মালিক এবং তিনি মালিক নক্ষত্ররাজি উদয়স্থলেরও। —আয়াত : ১-৫
উক্ত আয়াতসমূহে শপথ করা হয়েছে ফেরেশতাদের এবং তাদেরই গুণাবলি বর্ণনা করা হয়েছে। তারপরে আল্লাহ তাআলা মানুষকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, নিশ্চয়ই তোমাদের মাবূদ একজনই, যিনি আকাশমণ্ডলী ও যমীনসহ সবকিছুর মালিক।
প্রথম আয়াতে উল্লেখিত সাফ্ফাত (الصّٰٓفّٰت) শব্দ থেকেই সূরাটির নামকরণ হয়েছে ‘সূরা সাফ্ফাত’।
৩৮। সূরা ছদ : এ সূরার প্রথম আয়াতের শুরুতে صٓ (ছদ) হরফটি রয়েছে, এর অর্থ আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন। সূরার শুরুতে ইরশাদ হয়েছে—
صٓ وَ الْقُرْاٰنِ ذِي الذِّكْرِ، بَلِ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا فِيْ عِزَّةٍ وَّ شِقَاقٍ.
ছদ, কসম উপদেশপূর্ণ কুরআনের। যারা কুফর অবলম্বন করেছে, তারা কেবল (এ কারণেই তা অবলম্বন করেছে যে, তারা) আত্মম্ভরিতা ও হঠকারিতায় লিপ্ত রয়েছে। —আয়াত : ১-২
সূরার সূচনা-হরফ থেকেই সূরাটির নামকরণ হয়েছে ‘সূরা ছদ’।
৩৯। সূরা যুমার : ‘যুমার’ শব্দের অর্থ ‘দলসমূহ’। সূরাটির ৭১ ও ৭৩ নম্বর আয়াতে ‘যুমার’ শব্দটি এসেছে। ৭১ নম্বর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে-
وَ سِيْقَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْۤا اِلٰي جَهَنَّمَ زُمَرًا .
যারা কুফর অবলম্বন করেছিল তাদেরকে জাহান্নামের দিকে হাঁকিয়ে নেওয়া হবে দলে দলে।
আর ৭৩ নম্বর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে—
وَ سِيْقَ الَّذِيْنَ اتَّقَوْا رَبَّهُمْ اِلَي الْجَنَّةِ زُمَرًا.
আর যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে চলেছে, তাদেরকে দলে দলে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে।
আয়াতদ্বয়ে উল্লেখিত যুমারা (زُمَرًا) শব্দ থেকেই সূরাটির নামকরণ হয়েছে সূরা যুমার।
৪০। সূরা গাফির বা সূরা মুমিন : সূরাটি উভয় নামেই পরিচিত। ‘গাফির’ শব্দের অর্থ ক্ষমাশীল। সূরার ৩য় আয়াতে গাফির শব্দটি রয়েছে। তাতে আল্লাহ তাআলার ব্যাপারে ইরশাদ হয়েছে—
غَافِرِ الذَّنْۢبِ وَ قَابِلِ التَّوْبِ شَدِيْدِ الْعِقَابِ ذِي الطَّوْلِ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ اِلَيْهِ الْمَصِيْرُ.
যিনি গুনাহ ক্ষমাকারী, তওবা কবুলকারী, কঠিন শাস্তিদাতা, অত্যন্ত শক্তিমান। তিনি ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত আর কেউ নেই। তাঁরই কাছে সকলকে ফিরে যেতে হবে।
এ থেকেই সূরাটির এক নাম সূরা গাফির।
আবার এ সূরার ২৮-৩৫ নম্বর পর্যন্ত আয়াতসমূহে ফেরাউনের সম্প্রদায়ের এক মুমিন বীরের বক্তব্য উদ্ধৃত হয়েছে, যিনি প্রথমদিকে নিজ ঈমান গোপন রেখেছিলেন, কিন্তু যখন হযরত মূসা আলাইহিস সালাম ও তার অনুসারীদের ওপর ফেরাউনের জুলুম-নির্যাতন বেড়ে গেল। তখন তিনি ফেরাউনের দরবারে মর্মস্পর্শী বক্তব্য দিলেন। সেই মুমিন বীরের আলোচনা-প্রসঙ্গেই এ সূরার আরেক নাম সূরা মুমিন।
৪১। সূরা হা-মীম-আসসাজদা বা সূরা ফুসসিলাত : সূরাটির প্রথম আয়াত حٰمٓ। আবার এ সূরার ৩৮ নম্বর আয়াতটি সিজদার আয়াত। তাতে ফেরেশতাগণের সিজদার কথা উল্লেখিত হয়েছে। সে হিসেবেই সূরাটির এক নাম সূরা ‘হা-মীম-আসসাজদা’।
এ সূরার আরেকটি নাম ‘ফুসসিলাত’। সূরাটির তৃতীয় আয়াতে فُصِّلَتْ শব্দটি রয়েছে। তাতে ইরশাদ হয়েছে—
كِتٰبٌ فُصِّلَتْ اٰيٰتُهٗ قُرْاٰنًا عَرَبِيًّا لِّقَوْمٍ يَّعْلَمُوْنَ.
আরবী কুরআনরূপে এটি এমন কিতাব, জ্ঞান অর্জনকারীদের জন্য যার আয়াতসমূহ বিশদভাবে বিবৃত হয়েছে।
এ হিসেবে সূরাটির আরেক নাম সূরা ফুসসিলাত।
৪২। সূরাতুশ শূরা : ‘শূরা’ (شُوْرٰى) অর্থ পরামর্শ করা। এ সূরার ৩৮ নম্বর আয়াতে মুসলমানদের গুণাবলি বর্ণনা-প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, তারা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পারস্পরিক পরামর্শক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। ইরশাদ হয়েছে—
وَ الَّذِيْنَ اسْتَجَابُوْا لِرَبِّهِمْ وَ اَقَامُوا الصَّلٰوةَ وَ اَمْرُهُمْ شُوْرٰي بَيْنَهُمْ وَ مِمَّا رَزَقْنٰهُمْ يُنْفِقُوْنَ.
যারা তাদের প্রতিপালকের ডাকে সাড়া দিয়েছে, নামায কায়েম করেছে এবং যাদের কাজকর্ম পারস্পরিক পরামর্শক্রমে সম্পন্ন হয় এবং আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা থেকে (সৎকর্মে) ব্যয় করে।
আয়াতে উল্লেখিত ‘শূরা’ (شُوْرٰى) শব্দ থেকেই সূরাটির নামকরণ হয়েছে ‘সূরাতুশ শূরা’।
৪৩। সূরা যুখরুফ : ‘যুখরুফ’ (زخرف) অর্থ স্বর্ণ। এ সূরার ৩৫ নম্বর আয়াতে শব্দটি উল্লেখিত হয়েছে। সূরাটির ৩৩ থেকে ৩৫ নম্বর পর্যন্ত আয়াতসমূহে বলা হয়েছে, আল্লাহ তাআলা চাইলে কাফেরদের ঘরবাড়ি সোনা-রূপার বানিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু এসব পার্থিব সামগ্রী খুবই তুচ্ছ। আল্লাহ তাআলার কাছে এগুলোর কোনোই মূল্য নেই। আর আল্লাহ তাআলার কাছে মুত্তাকীদের জন্য রয়েছে আখেরাত।
৩৫ নম্বর আয়াতে উল্লেখিত যুখরুফ (زخرف) শব্দ থেকেই সূরাটির নামকরণ হয়েছে ‘সূরা যুখরুফ’।
৪৪। সূরা দুখান : ‘দুখান’ (دُخَان) অর্থ ধোঁয়া। সূরাটির ১০ নম্বর আয়াতে শব্দটি উল্লেখিত হয়েছে। তাতে ইরশাদ হয়েছে—
فَارْتَقِبْ يَوْمَ تَاْتِي السَّمَآءُ بِدُخَانٍ مُّبِيْنٍ، يَّغْشَي النَّاسَ هٰذَا عَذَابٌ اَلِيْمٌ.
সুতরাং সেই দিনের অপেক্ষা কর, যখন আকাশ স্পষ্ট ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে যাবে। যা মানুষকে আচ্ছন্ন করবে। এটা এক যন্ত্রণাময় শাস্তি। —আয়াত : ১০-১১
আয়াতে উল্লেখিত দুখান (دُخَان) শব্দ থেকেই সূরাটির নামকরণ হয়েছে ‘সূরা দুখান’।
৪৫। সূরা জাছিয়া : ‘জাছিয়া’ (جَاثِيَة) শব্দটি জুছুউউন (جُثُوٌّ) মাসদার বা ক্রিয়ামূল থেকে ইসমে ফায়েল বা কর্তৃবাচক পদ। جثو অর্থ হাঁটু ভেঙে বসা। সূরাটির ২৮ নম্বর আয়াতে জাছিয়া (جَاثِيَة) শব্দটি বর্ণিত হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে—
وَ تَرٰي كُلَّ اُمَّةٍ جَاثِيَةً كُلُّ اُمَّةٍ تُدْعٰۤي اِلٰي كِتٰبِهَا اَلْيَوْمَ تُجْزَوْنَ مَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ.
তুমি প্রত্যেক দলকে দেখবে হাঁটু ভেঙে পড়ে আছে এবং প্রত্যেক দলকে তাদের আমলনামার দিকে ডাকা হবে (এবং বলা হবে,) আজ তোমাদেরকে তোমাদের কৃতকর্মের বদলা দেওয়া হবে।
আয়াতে উল্লেখিত জাছিয়া (جَاثِيَةً) শব্দ থেকেই সূরাটির নামকরণ হয়েছে ‘সূরা জাছিয়া’।
৪৬। সূরা আহকাফ : ‘আহকাফ’ (اَحْقَاف) শব্দটি ‘হিকফুন’ (حِقْفٌ) শব্দের বহুবচন। অর্থ বালুকাময় টিলা। এ সূরার ২১ নম্বর আয়াতে ‘আহকাফ’ শব্দটি রয়েছে। সূরাটির ২১ থেকে ২৬ নম্বর পর্যন্ত আয়াতসমূহে হযরত হূদ আলাইহিস সালাম ও তার সম্প্রদায় আদ জাতির কথা বর্ণিত হয়েছে। তাতে তাদের আবাসভূমি সম্পর্কে আহকাফ (اَحْقَاف) (বালুকাময় টিলা) শব্দটি উল্লেখ করা হয়েছে। এ থেকেই সূরাটির নাম ‘সূরা আহকাফ’।
৪৭। সূরা মুহাম্মাদ : শেষনবী হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বরকতময় নামানুসারেই সূরাটির নামকরণ হয়েছে। সূরাটির দ্বিতীয় আয়াতেই তাঁর নাম উল্লেখিত হয়েছে। তাতে ইরশাদ হয়েছে—
وَ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَ اٰمَنُوْا بِمَا نُزِّلَ عَلٰي مُحَمَّدٍ وَّ هُوَ الْحَقُّ مِنْ رَّبِّهِمْ كَفَّرَ عَنْهُمْ سَيِّاٰتِهِمْ وَ اَصْلَحَ بَالَهُمْ.
আর যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর প্রতি যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছে —আর সেটাই তো তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে আগত সত্য– তা আন্তরিকভাবে মেনে নিয়েছে, আল্লাহ তাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং তাদের অবস্থা সংশোধন করে দিয়েছেন।
এ হিসেবেই সূরাটির নাম ‘সূরা মুহাম্মাদ’।
৪৮। সূরা ফাত্হ : ‘ফাত্হ’ (فَتْح) অর্থ বিজয়। সূরার প্রথম আয়াতেই শব্দটি রয়েছে। তাতে ইরশাদ হয়েছে—
اِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُّبِيْنًا.
(হে রাসূল!) নিশ্চয়ই আমি তোমাকে প্রকাশ্য বিজয় দান করেছি।
৬ষ্ঠ হিজরীতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে কুরাইশের একটি সন্ধিচুক্তি হয়েছিল, যা হুদাইবিয়ার সন্ধি নামে পরিচিত। এ ঘটনা-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় এ সূরায় বর্ণিত হয়েছে। সূরাটির প্রথম আয়াতে ‘ফাতহে মুবীন বা প্রকাশ্য বিজয়’ দ্বারা হুদাইবিয়ার সন্ধির দিকেই ইশারা করা হয়েছে। কারণ হুদাইবিয়ার সন্ধির মাধ্যমেই মক্কা বিজয়ের পথ সুগম হয়েছিল। এ হিসেবেই সূরাটির নামকরণ হয়েছে ‘সূরা ফাত্হ’।
৪৯। সূরা হুজুরাত : ‘হুজুরাত’ (حُجُرٰت) শব্দটি হুজরাতুন (حُجُرَة) শব্দের বহুবচন। অর্থ কক্ষ, কামরা, ঘর ইত্যাদি। সূরাটির চতুর্থ আয়াতে শব্দটি উল্লেখিত হয়েছে। চতুর্থ ও পঞ্চম আয়াতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তাঁর ঘরে থাকা অবস্থায় বাইরে থেকে ডাকাডাকি না করে বরং তাঁর বেরিয়ে আসার জন্য অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে—
اِنَّ الَّذِيْنَ يُنَادُوْنَكَ مِنْ وَّرَآءِ الْحُجُرٰتِ اَكْثَرُهُمْ لَا يَعْقِلُوْنَ، وَلَوْاَنَّهُمْ صَبَرُوْا حَتّٰي تَخْرُجَ اِلَيْهِمْ لَكَانَ خَيْرًا لَّهُمْ وَاللهُ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ.
(হে রাসূল!) তোমাকে যারা হুজরার বাইরে থেকে ডাকে, তাদের অধিকাংশেরই বুদ্ধি নেই। তুমি নিজেই বাইরে বের হয়ে তাদের কাছে আসা পর্যন্ত যদি তারা ধৈর্যধারণ করত, সেটাই তাদের জন্য শ্রেয় হত। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। —আয়াত : ৪-৫
চতুর্থ আয়াতে উল্লেখিত হুজুরাত (حُجُرٰت) শব্দ থেকেই সূরাটির নামকরণ হয়েছে ‘সূরা হুজুরাত’।