খেলাধুলা মুমিনের জীবন হতে পারে না
যেকোনো জাতি বা জনগোষ্ঠীর সফলতার জন্য তিনটি বিষয় অপরিহার্য : ঈমান, আমানতদারি ও আমন অর্থাৎ নিরাপত্তা। যে জাতি পাপাচার ও অদূরদর্শিতার কারণে এইসব গুণাবলি হারিয়ে ফেলে তারা উন্নতি অন্বেষণ করে অবনতির পথে। সফলতা অন্বেষণ করে ব্যর্থতার পথে এবং শান্তি ও নিরাপত্তা অন্বেষণ করে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলার পথে। যারা ঈমানের পথের পথিক নয়, তাদের কাছে উন্নতি ও সফলতার অর্থই বদলে যায়। তারা জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণে ভুল করে। এটাই এখন এখন আমাদের অবস্থা। খেলাধুলাই জীবনের পরম লক্ষ্য। পরিমিত খেলাধুলাও তো বিনোদনমাত্র এটা জীবনের লক্ষ্য ও গর্বের বস্ত্ত কীভাবে হতে পারে? যে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শিক্ষা এই যে,
لست من دد ولا دد مني لست من دد ولا دد مني
যাঁর শরীয়তে আনন্দ ও বিনোদনসহ সকল বিষয় একটি সুনির্দিষ্ট নীতি ও আসমানী হেদায়েত অনুযায়ী একটি নির্ধারিত মাকসাদ ও উদ্দেশ্যের জন্যই নিবেদিত এবং এই মূলনীতির সাথেই যাঁর সকল বিধান সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা সকল বাড়াবাড়ি ও শিথিলতা এবং সকল প্রকার প্রান্তিকতা থেকে মুক্ত। সেই নবীর উম্মত ও সেই শরীয়তের অনুসারী হয়েও আমরা যদি বিধর্মীদের পিছনে পিছনে চলি তো এর চেয়ে দুর্ভাগ্যের কথা আর কী হতে পারে!
আমরা চিন্তা করি না যে, আমাদের প্রতিপক্ষ অতি দূরদর্শী। তারা শুধু আমাদেরকে খেলাধুলার মাঝেই মগ্ন করে না; বরং খেলাধুলার ছূঁতায় আমাদের তাহযীব ও সংস্কৃতিকেও বরবাদ করে। তাদের নগ্নতা ও অশ্লীলতার বিস্তার ঘটায় এবং আমাদের ভিতর-বাহিরের সকল সম্পদ লুণ্ঠন করে। যে জাতির হাতে সকল জাতি ও গোষ্ঠীর নেতৃত্বের ভার তারা যখন নিজেদের আদর্শ পরিত্যাগ করে তখন এটাই হয় তাদের পরিণতি!
হায়! আমরা যদি বুঝতাম। এগুলো প্রতিযোগিতার বিষয় নয়, প্রতিযোগিতার বিষয় হল, ঈমান ও নেক আমল, আমন ও আমান তথা শান্তি ও নিরাপত্তার উপায়-উপকরণ ও গুণাবলি অর্জন এবং জীবনের লক্ষ্য সম্পর্কে সচেতন হয়ে তাতে সফল হওয়ার সাধনায় আত্মনিয়োগ এবং আত্মপরিচয় ও রবের পরিচয় লাভের সৌভাগ্য অর্জন।