দলীল জেনে নিন ॥
মাকামে ইবরাহীমে নামায
হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম পবিত্র কা‘বা ঘর পুনঃনির্মাণের সময় যে পাথরে দাঁড়িয়ে কাজ করেছিলেন, সে পাথরটিকে বলা হয় ‘মাকামে ইবরাহীম’। তাওয়াফ-পরবর্তী ওয়াজিব দুই রাকাত নামায এই মাকামে ইবরাহীমের পেছনে পড়া সুন্নত। আল্লাহ তাআলা কুরআন কারীমে ইরশাদ করেন-
وَ اتَّخِذُوْا مِنْ مَّقَامِ اِبْرٰهٖمَ مُصَلًّي.
তোমরা ‘মাকামে ইবরাহীম’কে সালাতের স্থান হিসেবে গ্রহণ করো। -সূরা বাকারা (২) : ১২৫
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে উমর রা. বললেন, আপনি যদি মাকামে ইবরাহীমকে নামাযের স্থান বানাতেন! তারপরে আল্লাহ তাআলা উক্ত আয়াত নাযিল করেন। (দ্র. সহীহ বুখারী, হাদীস ৪০২, ৪৪৮৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৩৯৯; জামে তিরমিযী, হাদীস ২৯৫৯, ২৯৬০)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজ্বের সময় তাওয়াফের পরে এই মাকামে ইবরাহীমের পেছনে কা‘বার দিকে মুখ করে এভাবে দাঁড়িয়ে নামায পড়েছেন যে, তাঁর এবং কা‘বা শরীফের মাঝে মাকামে ইবরাহীম ছিল। (দ্র. সহীহ বুখারী, হাদীস ৩৯৫, ১৬২৩, ১৬২৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১২১৮, ১২৩৪; জামে তিরমিযী, হাদীস ৮৫৬, ৮৬২, ২৯৬৭)
তাওয়াফের পরে দুই রাকাত নামায আদায় করা ওয়াজিব। এ দুই রাকাত মাকামে ইবরাহীমের পেছনে আদায় করা সবচেয়ে উত্তম। যদি কোনো কারণে তা সম্ভব না হয়, তাহলে মসজিদে হারামের যেকোনো জায়গায় আদায় করলেই হবে। তা-ও যদি সম্ভব না হয়, তাহলে হারামের এলাকার ভেতরে আদায় করে নেবে। হারামের সীমানার বাইরে আদায় করা মাকরূহে তানযীহী। (দ্র. সংশ্লিষ্ট আয়াতের তাফসীর, আহকামুল কুরআন, জাস্সাস; তাফসীরে ইবনে কাসীর; মানাসিকে মোল্লা আলী কারী, পৃষ্ঠা ১৫৫-১৫৭; গুনইয়াতুন নাসিক, পৃষ্ঠা ১১৬-১১৭; ইলাউস সুনান ১০/৭৫-৮১)