দলীল জেনে নিন
ভবিষ্যতের বিষয়ে ‘ইনশাআল্লাহ’ বলা
আগামীকে ঘিরে থাকে মানুষের বহু স্বপ্ন, আকাক্সক্ষা ও নানা পরিকল্পনা। এসব নিয়েই বেঁচে থাকে মানুষ। এজন্য ভবিষ্যতকে সুন্দর ও সুখময় করতে মানুষ লেগে থাকে দিবারাত্রি। হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে যায় অবিরাম। কিন্তু তার পরও ভবিষ্যতের সবকিছু ঝুলতে থাকে অনিশ্চয়তার দোলাচালে।
এই দ্বিধা-শঙ্কার আপদ থেকে উদ্ধারকর্তা তো একমাত্র আল্লাহ তাআলা। তিনি চাইলেই সবকিছুর সুন্দর ব্যবস্থা হতে পারে। তাঁর ইচ্ছাতেই হতে পারে আগামীর মসৃণ পথচলা। এজন্য তিনিই মুমিনের একমাত্র ভরসা। এটা যেমন দিলের বিশ্বাসে, তেমনি যবানের প্রকাশ ও উচ্চারণেও। স্বয়ং আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নির্দেশনা দিয়ে বলছেনÑ
وَ لَا تَقُوْلَنَّ لِشَايْءٍ اِنِّيْ فَاعِلٌ ذٰلِكَ غَدًا، اِلَّاۤ اَنْ يَّشَآءَ اللهُ وَ اذْكُرْ رَّبَّكَ اِذَا نَسِيْتَ وَ قُلْ عَسٰۤي اَنْ يَّهْدِيَنِ رَبِّيْ لِاَقْرَبَ مِنْ هٰذَا رَشَدًا.
(হে নবী!) ‘ইনশাআল্লাহ’ বলা ছাড়া কোনো বিষয়েই কখনো বলো না, আমি আগামীতে তা করব। আর কখনো ভুলে গেলে নিজ প্রতিপালককে স্মরণ কর এবং বল, আমি আশা করি আমার প্রতিপালক এমন কোনো বিষয়ের প্রতি আমাকে পথনির্দেশ করবেন, যা এর চেয়েও হেদায়েতের বেশি নিকটবর্তী। Ñসূরা কাহফ (১৮) : ২৩-২৪
তাই মুসলিমমাত্রেরই ভবিষ্যতের বিষয়ে ‘ইনশাআল্লাহ’ বলতে অভ্যস্ত হওয়া উচিত। ভবিষ্যতের সকল কাজে একমাত্র আল্লাহ তাআলার ওপর পূর্ণ আস্থা ও ভরসা রেখে অগ্রসর হওয়া মুমিনের জন্য বাঞ্ছনীয়।
আল্লাহ তাআলাই তাওফীকদাতা।