দলীল জেনে নিন
বিপদ-আপদে ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’
আল্লাহ তাআলা কুরআন কারীমে ধৈর্যশীল মুমিনদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন-
الَّذِيْنَ اِذَاۤ اَصَابَتْهُمْ مُّصِيْبَةٌ قَالُوْۤا اِنَّا لِلهِ وَ اِنَّاۤ اِلَيْهِ رٰجِعُوْنَ.
যারা তাদের কোনো মুসিবত দেখা দিলে বলে ওঠে- ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’- আমরা সকলে আল্লাহরই এবং আমাদেরকে তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে। -সূরা বাকারা (০২) : ১৫৬
আমরা অনেকে মনে করি, কারও মৃত্যুসংবাদ শুনলেই কেবল ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ বলতে হয়। আসলে বিষয়টি এমন নয়; বরং আয়াতের পূর্বাপর এবং বাচনভঙ্গি থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, ধৈর্যশীলদের উচিত যে কোনো বিপদ-আপদে ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ বলা। তাছাড়া দুআটির মর্ম তো হল, আল্লাহ-অভিমুখী হওয়া।
মুমিন তো সামান্য থেকে সামান্য পেরেশানীতেও আল্লাহ-অভিমুখী হবে। যেকোনো বিপদে মহান রবের কাছেই ধরনা দেবে। এজন্যই রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরাম রাযিয়াল্লাহু আনহুম যে কোনো মুসিবতে ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ পড়তেন।
উপরন্তু এ সকল ধৈর্যশীল বান্দাদের জন্য পুরস্কারের ঘোষণাএসেছে-
اُولٰٓىِٕكَ عَلَيْهِمْ صَلَوٰتٌ مِّنْ رَّبِّهِمْ وَ رَحْمَةٌ ۫ وَ اُولٰٓىِٕكَ هُمُ الْمُهْتَدُوْنَ.
তাদের জন্য রয়েছে তাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে প্রশান্তি ও রহমত। আর তারাই তো হেদায়েতপ্রাপ্ত। -সূরা বাকারা (০২) : ১৫৭