যিলকদ ১৪৪৪   ||   জুন ২০২৩

খবর ... অতপর ...

* গরিব সেজে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সিকদার গ্রুপ, বিপাকে এফএসআইবিএল ব্যাংক

আমাদের বার্তা, ১০ এপ্রিল ২০২৩

# নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন ন্যাশনাল ব্যাংক তো শেষ করেছেই; মাঝে আলআরাফার ঊর্ধ্বতন অফিসারকে হুমকি-ধমকির জন্য মামলার কথাও শোনা গিয়েছিল। এখন আবার ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। সরকারি দলের এমপি পরিবারের লোক বলে কথা। আর হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েও যারা নতুন করে ঋণের মুহতাজ হয় তারা গরিব নয় তো কী?

 

* যেভাবে ধর্মের নামে ১১৩ বছরের পুরোনো লাইব্রেরি পুড়িয়ে দেওয়া হয়

ভারতের ওই পাঠাগারে হাতে লেখা বহু প্রাচীন আড়াই শ পাণ্ডুলিপি এবং অনেক ক্যালিগ্রাফি ছিল।

ছাই, গুলির ক্ষত বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা দেয়াল, পোড়া আসবাব আর পোড়া বইয়ের পাতা। ভারতে ১১৩ বছরের পুরোনো একটি মাদ্রাসা পাঠাগারের বর্তমান চিত্র এটি। যেখানে একসময় সাড়ে চার হাজারের বেশি বই ছিল। যেগুলোর মধ্যে ছিল প্রাচীন পাণ্ডুলিপি এবং ইসলামের পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থের দারুণ সুন্দর ক্যালিগ্রাফি।

বিবিসি জানায়, এই পাঠাগারটি ছিল ভারতের পূর্বের বিহার রাজ্যের শহর বিহার শরিফের বিখ্যাত ধর্মীয় স্কুল মাদ্রাসা আজিজিয়ার অংশ। গত ৩১ মার্চ একদল উন্মত্ত দাঙ্গাবাজ ওই পাঠাগারটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব রাম নবমীর দিন আগুন লাগার ওই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা বিবিসিকে বলেন, দাঙ্গাবাজ দলটির হাতে লাঠি, পাথর এবং পেট্রোল বোমা ছিল এবং পাঠাগারে হামলার আগে তারা বিভিন্ন ধর্মীয় উত্তেজক শ্লোগান দিয়েছিল।

ওইদিন শহরে আরও বেশ কিছু হামলার ঘটনা ঘটে। অনেকে আহত হন এবং যানবাহন ও দোকানপাট ভাংচুর করা হয়।

সাম্প্রদায়িক ওই দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে, যে ঘটনা নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে।

পাঠাগারে হামলার বর্ণনায় কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, শতাধিক দাঙ্গাবাজের দলটি প্রথমে মাদ্রাসার তালা এবং সামনের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে, তারপর ভাংচুর চালায়। কেউ কেউ শ্রেণিকক্ষ এবং পাঠাগারে পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারে।

মাদ্রাসার একজন রাঁধুনী বলেন, হঠাৎ করেই আমি ধোঁয়ার গন্ধ পাই। যখন আমি দরজা খুলি তখন অফিস কক্ষের কাছে প্রচুর হট্টগোল দেখতে পাই। তারা ছাত্রাবাসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। ভয়ে আমি বিছানার তলায় লুকিয়ে পড়ি।

আগুন পুরো পাঠাগারে ছড়িয়ে পড়ে। সব বই তখন ভেতরেই ছিল। এমনকি সেখানে হাতে লেখা আড়াইশ বই, ঐতিহাসিক বিভিন্ন নথি এবং প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী আসবাব ছিল। পাঠগারটি মূলত মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করত। ওই মাদ্রাসায় প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। যাদের মধ্যে প্রায় ১০০ জন ছাত্রাবাসে থাকে। কিন্তু ঘটনার দিন শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় উপস্থিত ছিল না। রমযান মাস শুরু হয়ে যাওয়ার কারণে মাদ্রাসা ছুটি ছিল।

সোহরা ট্রাস্টের অধীনে ওই মাদ্রাসাটি পরিচালিত হয়। ট্রাস্টের প্রেসিডেন্ট এবং আলেম সৈয়দ সাইফুদ্দিন ফেরদৌসী বিবিসিকে বলেন, আগুনে ভবন এবং আসবাবপত্রের যে ক্ষতি হয়েছে, সেগুলো আবার ঠিক করে নেওয়া যাবে। কিন্তু জ্ঞান ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের চিরস্থায়ী ক্ষতি হয়েছে গেছে।

তিনি জানান, এর আগে ২০১৭ সালেও ওই ভবনে হামলা হয়েছিল। যে কারণে প্রায় এক বছর সেখানে পুলিশি পাহারা ছিল।

বিবি সোহরা নামে একজন মহীয়সী নারী তার স্বামী আব্দুল আজিজের স্মৃতি স্মারক হিসেবে ওই মাদ্রাসা নির্মাণ করেছিলেন। ১৮৯৬ সালে পাটনায় এই মাদ্রাসার যাত্রা শুরু হলেও পরে স্থানান্তর করে বিহার শরিফে আনা হয়।

মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য বিবি সোহরা ট্রাস্ট গঠনের মাধ্যমে তার সম্পত্তি দান করে গিয়েছিলেন। যার মধ্যে ১৪ হাজার একর জমিও ছিল। তিনি তার ট্রাস্টের মাধ্যমে গরীব মানুষদের শিক্ষা ও অন্যান্য সহায়তা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন। এই ট্রাস্টের অর্থ থেকে বিহারজুড়ে বহু স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল এবং ছাত্রাবাস নির্মাণ করা হয়েছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, ২৩ এপ্রিল ২০২৩

# নরেন্দ্র মোদির চরম হিন্দুত্ববাদ ভারতকে আর কোথায় নিয়ে দাঁড় করাবে। যত দিন যাচ্ছে মুসলমানদের পিঠ ক্রমেই দেয়ালে ঠেকিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

 

* পদ্মা সেতুতে সপরিবারে ছবি তুললেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন

ঢাকাটাইমস, ২৬ এপ্রিল ২০২৩

# রাস্তায় যানজট তৈরি করে এবং সেতু বন্ধ করে এভাবে ছবি তোলার আইনগত সুযোগ আছে কি না এসব প্রশ্ন কেবল সাধারণ লোকদের জন্য। রাষ্ট্রপতি কি এসবের মধ্যে পড়বেন!

 

* বিপুল ব্যয়ে ভবন নির্মাণ করে ফেলে রাখার উন্নয়ন মডেল

প্রথম আলো, ২৯ এপ্রিল ২০২৩

# ওই লেখায় বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীনরা রাস্তা-ঘাট ভবন ইত্যাদি উন্নয়নের প্রতি বেশি জোর দেন। একদিকে এগুলো দ্রুত দৃশ্যমান করা যায়। অন্যদিকে এগুলোর মাধ্যমে গোষ্ঠীগত সুবিধা বণ্টন করা সহজ। যেহেতু এসব প্রকল্প হাতে নেওয়া হয় তাই অনেক ক্ষেত্রেই যেসব উদ্দেশ্যের কথা বলে এসব অবকাঠামোগত উন্নয়ন চালানো হয় সেগুলো বাস্তবায়িত হয় না।

এরপর আর মন্তব্যের প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।

 

* দেশের এক-তৃতীয়াংশ পরিবার ঋণগ্রস্ত

গ্রামের মানুষের চেয়ে শহরের মানুষই বেশি টাকা ধার করেছেন

ইত্তেফাক, ২৯ এপ্রিল ২০২৩

# অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। কেউ আর এই দেশকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না। বিশ্বের জন্য উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ। এসবের একটি ছোট্ট নমুনামাত্র। বলে রাখা দরকার, দেশের মানুষের ঋণী হয়ে যাওয়ার হার বৃদ্ধি পাওয়া বিষয়ক উক্ত পরিসংখ্যানটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের করা। নিরপেক্ষ কেউ করলে হয়তো পরিমাণ আরও বেশি দেখা যেত।

 

* কেন আমি নতুন গাড়ি কিনি না : পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধনী ওয়ারেন বাফেট 

বাফেট গাড়িকে আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে নয়, বরং নিজের প্রয়োজন মেটানোর পণ্য হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন।

দ্যা বিজনেস ইনসাইডার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩

# আভিজাত্য সম্মান যে দামি দামি পণ্য প্রদর্শনের সাথে সম্পৃক্ত নয়, তার একটি নমুনা এটি। দেশে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট থাকা সত্ত্বেও যারা দামি দামি ব্রান্ডের অনেকগুলো গাড়ি গ্যারেজে না রাখলে স্বস্তি বোধ করেন না, তারা কি এ খবরগুলো পড়েন?

 

* পদ্মাসেতু রেল সংযোগের পরামর্শক ব্যয় বাড়ছে ৩০১ কোটি টাকা

সমকাল, ০৩ মে ২০২৩

# শুনেছি, রেললাইন বসাবার কাজ তো প্রায় শেষ। এখনো পরামর্শকদের পেছনে টাকা ব্যয় হচ্ছেই। ৩০১ কোটি টাকা এখন বৃদ্ধি পেয়েছে। সেতু চালু হওয়ার পরও এধরনের পরামর্শ চলতে থাকলে তখন যে কী হাল হবে আল্লাহ্ই ভালো জানেন।

 

* কাঁধে দুই শতাধিক মামলা, ৫ মে কর্মসূচি নেই হেফাজতের

বাংলা ট্রিবিউন, ০৪ মে ২০২৩

# কর্মসূচি থাকবে কেন, হেফাজত ও হুকুমতে কি এখন কোনো তফাত আছে?

 

* ইসলামী ব্যাংকের ৬৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে সপরিবারে দুবাই পালালেন তিনি

ঢাকা পোস্ট, ০৭ মে ২০২৩

# ব্যাংক খুলে ও ইসলামের নাম ব্যবহার করে জনগণের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার এটি আরেক দৃষ্টান্ত। এখানে তো শুধু পালিয়ে যাওয়া রতন মিয়া দায়ী নয়, তাকে কোন্ যুক্তিতে এবং কীসের ভিত্তিতে এত টাকা লোন দেওয়া হল এবং কী মর্গেজ রেখে দেওয়া হল যে, লোকটি সব বিক্রি করে পালিয়ে যাওয়ার পর এখন ব্যাংক হাহুতাশ করছে। রিপোর্টে দেখলাম, ইসলামী ব্যাংক মাওনা শাখার ব্যবস্থাপক বলেছেন, তাকে কীভাবে এত টাকা ঋণ সুবিধা দেওয়া হয়েছে, কী কী অনিয়ম হয়েছেপুরো প্রক্রিয়াটি তদন্ত হচ্ছে।

এটি চোর পালানোর পর বুদ্ধি বেড়ে যাওয়ার কথা। সে যাই হোক, এসব ব্যাংক এখনো নিজেদেরকে ইসলামী বলে প্রচার করে থাকে। কিছু লোক তাদেরকে সার্টিফিকেটও দিয়ে থাকে।

 

* এয়ারবাসের উড়োজাহাজ কেনা বিমানের জন্য কতটা লাভজনক, প্রশ্ন বিশেষজ্ঞদের

দ্য ডেইলি স্টার, ৮ মে ২০২৩

# কোন্ বিশেষজ্ঞ? একশ্রেণির বিশেষজ্ঞ তো এসব কেনার পক্ষে ওকালতি করেন। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত বছর বিমান ২৮ হাজার টনের বেশি মালামাল বহন করেছে। যদিও প্রায় ৫ লাখ টন পরিবহণ সক্ষমতা ছিল। বর্তমান সক্ষমতার মাত্র ৬ শতাংশ ব্যবহার করা (এবং ৯৪ শতাংশ অব্যবহৃত থাকা) সত্ত্বেও এয়ার বাসের দুটি উড়োজাহাজ কেনার পরিকল্পনার কথা প্রকাশিত হল। এখানেও একই কথা প্রযোজ্য। তা হল, ব্যবসা, সেবা, মুনাফা এসবকিছুই একশ্রেণির লোকের ব্যক্তিস্বার্থ ও লুটপাটের কাছে গৌণ হয়ে আছে।

 

* বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন

দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে শ্রীলঙ্কার পরেই বাংলাদেশ

প্রথম আলো, ১৩ মে ২০২৩

# প্রভাবশালী কতৃর্ক জনগণের সম্পদ লুটেপুটে খাওয়ার জ¦লন্ত উদাহরণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা। যা আগের বছরের থেকে ১৭ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা বেশি। এটা অবশ্য শুধু খেলাপি ঋণের হিসাব। কিন্তু প্রকৃত অর্থে পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠন করা ঋণ আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে খেলাপি দেখানো যাচ্ছে না এমন ঋণ হিসাবে আনলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে তিন লাখ কোটি টাকা। আইএমএফ-ও এ ঋণগুলো হিসেবে আনার কথা বলছে। যা হোক, এভাবে লুটপাট চলতে থাকলে ভবিষ্যতে কোথাকার পানি কোথায় গিয়ে গড়ায় তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে বৈ কি।

 

* চিত্রনায়ক ফারুক মারা গেছেন

প্রথম আলো, ১৫ মে ২০২৩

# জনশ্রুতি আছে, তিনি ৫ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ রেখে গেছেন। তবে প্রথম আলোর ১৬ মে ২০২৩-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী তার ঋণ ৫ হাজার কোটি নয়; বরং ১০১ কোটি টাকা। তার ছেলে জানাযাপূর্ব বক্তব্যে সবাইকে অনুরোধ করেছেন, আমার বাবার প্রতি আপনাদের কারও কোনো দাবি-দাওয়া রাখবেন না।

কয়েক বছর আগে নায়ক ফারুক বলেছিলেন, ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনি।

ইসলাম তো আর ঋণ নিয়ে মেরে দেওয়ার সুযোগ দেয় না। আর একজন আশরাফুল মাখলুকাতকে গান-বাদ্য, হৈ-হুল্লোড় ও বেহায়াপনাকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার সুযোগও দেয় না। যে ব্যক্তির এত কোটি টাকা খেলাপি ঋণ রয়েছে, সে কেন ইসলাম প্রতিষ্ঠার পক্ষে যাবে? তাদের হাতেই যখন দেশের নেতৃত্ব তখন ইসলামের নাম শুনলে গাত্রদাহ শুরু হবে এতে আর অবাক হওয়ার কী আছে?

 

* জন্মহার বাড়াতে এশিয়ার কিছু দেশ বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করছে

বিবিসি বাংলা, ১৮ মে ২০২৩

# আল্লাহর বিধান ছেড়ে মানুষ মনগড়া পন্থায় শাসন ক্ষমতা পরিচালিত করলে এবং আল্লাহর বাতানো স্বভাবজাত পন্থা থেকে সরে গেলে যা হয়।

প্রথমে বিলিয়ন বিলিয়ন খরচ করে জন্মহার কমানো, মানুষকে বিপথে পরিচালিত করা, সন্তান জন্ম ও পরিবারের সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অযথা ভয়-ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যম বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষকে সন্তান জন্মদানে নিরুৎসাহিত করা। এরপর যখন দেখা গেল নিজেরাই নিজেদের পায়ে কুঠারাঘাত করেছে তখন আবার জন্মহার বাড়ানোর জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করা। ভারসাম্যহীন ও অবিবেচনাপ্রসূত এই সমাজব্যবস্থার দশা তো এমনই হবে।

 

গ্রন্থনা : মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ খান

 

 

advertisement