যিলকদ ১৪৪৪   ||   জুন ২০২৩

রজব তায়্যিব এরদোগান
তাবৎ পৃথিবীর ইসলামবিদ্বেষী ও সাম্রাজ্যবাদের এজেন্টদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জেতার অপেক্ষায়

মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ

আজ ১৫ মে ২০২৩। গতকাল তুর্কিয়াতে ছিল জাতীয় নির্বাচনের দিন। একইসাথে পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছে সেখানে। সঙ্গত কারণেই পুরো পৃথিবীর মিডিয়ার নজর ছিল সেদিকে এবং এখনো পর্যন্ত তা অব্যাহত আছে। এ আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন তুর্কিয়ার প্রেসিডেন্ট এরদোগান। কেউ আশা করছেন তিনি এবারের চ্যালেঞ্জেও উতরে যাবেন। আর সা¤্রাজ্যবাদী পৃথিবী, তাদের অর্থে পালিত মিডিয়া এবং তাদের এজেন্ট-দোসররা অপেক্ষার প্রহর গুনছে কখন শুনতে পাবে এরদোগান হেরে গেছেন।

১৪ তারিখ বিকেল পাঁচটায় ভোটের সময় শেষ হওয়ার পর থেকে ফলাফলের অপেক্ষা। এখনো বেসরকারি ফলাফল আসছে। তবে ৯৯ ভাগের বেশি ব্যালট বক্স ইতিমধ্যেই গণনা শেষ হয়েছে। এতে দেখা গেছে পার্লামেন্ট নির্বাচনে ৬০০ আসনের মধ্যে এরদোগানের দল ও জোট শোয়া তিন শর বেশি আসন পেয়েছে। অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি পদে এরদোগান তার সকল প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে বেশ এগিয়ে রয়েছেন। তবে তুরস্কের আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য এতটুকু যথেষ্ট নয়; বরং বিজয়ী প্রার্থীকে মোট ভোটের কমপক্ষে পঞ্চাশ শতাংশ পেতে হবে। আর এরদোগান এ পর্যন্ত পেয়েছেন ঊনপঞ্চাশ দশমিক একান্ন পার্সেন্ট ভোট। অর্থাৎ এখনো তিনি কাক্সিক্ষত ফলাফল থেকে ০.৪৯ পার্সেন্ট ভোট পিছিয়ে আছেন। সকল ভোট গণনার পর যদি তিনি এ সংখ্যা উতরে না যান (গণনার বাকি ভোটের সংখ্যা কম থাকায় সে সম্ভাবনা কম) তাহলে সে দেশের সংবিধান অনুযায়ী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে রান অফ বা পুনরায় ভোট হবে। যা হোক এ লেখা যখন আলকাউসারের পাঠক বন্ধুদের হাতে যাবে, ততদিনে আশা করা যায় এরদোগান দ্বিতীয় দফার ভোটে উতরে গিয়ে পুনরায় রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হবেন ইনশাআল্লাহ।

তুর্কিয়া এবং রজব তায়্যিব এরদোগানকে নিয়ে আলকাউসারের পাতায় আরও দুয়েকবার কিছু লেখা হয়েছিল। আজকের এ সংক্ষিপ্ত নিবন্ধ একটি ভিন্ন প্রসঙ্গ কেন্দ্র করে আরজ করা হচ্ছে। এ লেখার মূল কথা তুরস্কের নির্বাচন বা এরদোগানের জয়-পরাজয় নয়; বরং এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশ্ব মিডিয়া ও আমাদের মতো দেশে তাদের দোসর গণমাধ্যমগুলোর প্রচারণা ও প্রতিক্রিয়া নিয়ে দু-চারটি কথা বলার উদ্দেশ্যেই এ লেখার অবতারণা করা হয়েছে।

এমনিতে তো বিগত দুই দশক থেকে ক্ষমতায় থাকা তায়্যিব এরদোগানের পিছু ছাড়েনি কখনো এ মিডিয়া জগৎ। এরদোগানের সকল সফলতা, দেশের জনগণের তাঁর প্রতি অগাধ আস্থা ও ভালবাসাকেও বাঁকা চোখে দেখে এসেছে তারা। তাঁর কখন কী দোষ বের করা যায় সে পথ থেকে এতটুকুও সরেনি এ প্রচারমাধ্যমগুলো। তাঁর গায়ে বিভিন্ন তকমা লাগাতেও তারা ছিল সিদ্ধহস্ত। কখনো সুলতান এরদোগান, কখনো কট্টরপন্থী মুসলমান, কখনো চালাক কূটনীতিক, কখনো সেক্যুলার ব্যবস্থা ধ্বংসকারীএমন বহু খেতাব তারা এরদোগানকে দিয়েছে। তাঁর দোষ-ত্রুটি খুঁজতে গিয়ে তিনি কেন রাষ্ট্রের নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হিজাব পরার অধিকার ফিরিয়ে দিলেন সেটাকেও তালিকার উপরের দিকে নিয়ে এসেছে। এরপর আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে যখন তুরস্কের লিরার দাম কমতে শুরু করল তখন তো ওই মিডিয়াপাড়ায় রবরব শুরু হয়ে গেল। তারা অপেক্ষার প্রহর গুনতে শুরু করল এরদোগান গেল বলে। তার দিন শেষ। পুরো বিশ্বের অর্থনীতি এমনকি তাদের নিজের দেশের অর্থনীতির মন্দা নিয়ে তাদের মাথাব্যথা না থাকলেও তুরস্কের অর্থনীতির মন্দার খবর তাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেছে। তাই ২০২৩-এর মে মাসের এ নির্বাচন আসার বছরাধিক কাল আগ থেকেই তারা আশায় বুক বেঁধেছিল এবার এরদোগান হারবেনই। সে লক্ষ্যেই তারা অব্যাহত প্রচারণা চালিয়ে গিয়েছে।

এরই মাঝে গত ফেব্রুয়ারি মাসে তুর্কিয়াতে ঘটে যায় মহা বিপর্যয়। ভয়াবহ ভূমিকম্পে সেখানে অর্ধলক্ষাধিক লোকের প্রাণহানি ঘটে। গৃহহারা হন অগণিত মানুষ। তুর্কিয়া ও তার রাষ্ট্রপতি এরদোগানের জন্য এটি কল্পনাতীত পীড়াদায়ক বিষয় হলেও এরদোগান-বিরোধীরা মনে হয় এতে বহুত খুশিই হয়েছে। তারা এখন সামনের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার জন্য এটাকেই বড় কারণ হিসেবে ভাবা ও প্রচার করা শুরু করেছে। অনেকেই আবার মন্তব্য করেছে, ভূমিকম্পকে ওসিলা করে এরদোগান ভোট পিছিয়ে দেবেন। দেশে হয়তোবা জরুরি অবস্থা জারি করবেন। কিন্তু তাদেরকে হতাশ করে দিয়ে এরদোগান জানালেন, নির্বাচন যথাসময়েই হবে। শেষ পর্যন্ত তা-ই হল।

নির্বাচনের দুয়েক দিন আগে দেখলাম, বিশ্বের এরদোগানবিরোধীরা আশায় বুক বাঁধছে। একটি বড় সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছে, এরদোগানকে হারানোর স্বপ্ন দেখছে তুরস্কের বিরোধী দলগুলো। তাদের বিভিন্ন ভাষার ওয়েবসাইটগুলোতে অনূদিত হয়ে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে এ প্রতিবেদন। আবার তাদের দোসর অনেক সংবাদমাধ্যমও এটিকে প্রচার করেছে। তুরস্কের নির্বাচনের দিন অবশ্য আমাদের নজর সেদিকে ছিল না। কারণ বাংলাদেশে সেদিন আবহাওয়া অধিদপ্তরের খবর ছিল, বঙ্গোপসাগরে বড় ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে। তার কারণে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে তখন ১০ নম্বর মহা বিপদসংকেত। স্বাভাবিক কারণেই এদেশের মুসলমানরা তখন নিজেদের স্বদেশী ভাই-বোনদের জানমাল রক্ষার জন্য আল্লাহর দরবারে কায়মনোবাক্যে ফরিয়াদরত ছিলেন। যাইহোক, আল্লাহ তাআলার মেহেরবানীতে আশঙ্কার তুলনায় ক্ষয়-ক্ষতি অনেক কম হয়েছে। আল্লাহ তাআলা আমাদের রক্ষা করেছেন। সকল প্রশংসা মহান রাব্বুল আলামীনের।

আজ ১৫ মে সকালে যখন তুর্কিয়ার নির্বাচনের ফলাফলের কথা স্মরণে এল তখন মনে হল, কাল পর্যন্ত যারা সরব ছিলেন তারা আজ অনেকটাই নীরব। তারপরও কিছু সংবাদ তো দিতেই হয়। শেষ পর্যন্ত লজ্জা ঢাকার চেষ্টা, খবরের শিরোনাম ঝুলে আছে এরদোগানের ভাগ্য, পঞ্চাশ পার্সেন্ট ভোট পাননি এরদোগান। এধরনের আরও কিছু দায়সারা গোছের কথাবার্তা। বিগত কয়েক বছর থেকেই আমার মনে হয়েছে, এরদোগানকে নিয়ে যতটুকু না মাথাব্যাথা তার দেশের জনগণের, তার চেয়ে বেশি মাথাব্যাথা এ শ্রেণির লোকজনের। তুরস্কের নির্বাচন যতটুকু না গুরুত্বপূর্ণ এরদোগান ও বিরোধীদের জন্য, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এদের জন্য। কিন্তু কেন? এ প্রশ্নের জবাব খুঁজেই আমরা এ নিবন্ধের ইতি টানব।

এরদোগানের কট্টর বিরোধীরাও স্বীকার করে, তাঁর হাত ধরে বিগত দুই দশকে তুরস্কের অসাধারণ উন্নয়ন হয়েছে। তুরস্কের অর্থনীতি পৌঁছেছে অনন্য উচ্চতায়। স্থাপিত হয়েছে হাজার হাজার স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে তিনি তুরস্কের পক্ষে ওকালতি করেছেন অগ্রভাগে থেকে। তুর্কি জাতির হারানো সম্মান ও ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনেছেন অনেকখানি। তারপরেও কেন এত এরদোগান-বিরোধিতা? এরদোগানের জনপ্রিয়তা ও বারবার বিজয় নিয়ে কেন এত গাত্রদাহ তাদের? এ প্রশ্নের জবাব খুবই স্পষ্ট। তা হচ্ছে, এটি মূলত এরদোগান-বিরোধিতা নয়, ইসলাম-বিরোধিতা। একসময়ের তুর্কিয়া যে কি না শত শত বছর নেতৃত্ব দিয়েছে আরব ও আজমের বিশাল বিস্তীর্ণ এলাকার। সে দেশটিকে গত শতাব্দীর প্রথমাংশে একেবারে মুসলিম চিহ্নবিহীন করে ফেলা হয়েছিল। ইসলাম, ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবকিছুর নাম মুছে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। দেশটির তুর্কি ভাষার বর্ণমালাও (আরবী সদৃশ্য) পরিবর্তন করা হয়েছিল। এমনকি আযানের শব্দও পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছিল। তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতার নামে মুসলমানদেরকে ব্যক্তিগতভাবেও তাদের ধর্ম পালন করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এরপর প্রায় আরও অর্ধশতাব্দী সে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের দোসর সেনাবাহিনী ও বিচারকেরা তাদের মনমতো অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে তুরস্কের জনগণের উপর। এবং একইসাথে ধ্বংসের মুখে পতিত করেছে দেশটির অর্থনীতিকে।

এমন একটি পরিস্থিতি থেকে তুরস্কের সংস্কারে হাত দিয়েছেন রজব তায়্যিব এরদোগান এবং তার পূর্বসূরিগণ। তাঁরা তুরস্কে ইসলামী আইন তো চালু করতে পারেননি; কিন্তু মুসলমানদের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অন্তত দিচ্ছেন। তাদেরকে ব্যক্তি পর্যায়ে দ্বীন শিক্ষা ও দ্বীন চর্চার সুযোগ করে দিচ্ছেন। কাগজে কলমে সেখানে এখনো সেক্যুলারিজম থাকলেও বিশ্ব সংস্থাগুলোতে তুরস্ক মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে দেশে দেশে নির্যাতিত মুসলমানদের পক্ষে। এখানেই আসলে ইসলামবিদ্বেষী বিশ্ব গণমাধ্যম এবং আমাদের মতো দেশে তাদের দোসর-দালালদের গাত্রদাহের মূল কারণ নিহিত।

আসলে তারা মুখে যাই বলুক, তাদের অন্তরের কথা হচ্ছে, কেন তুর্কিয়া আবার বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে। উসমানী সালতানাতের মতো আবার কিছু ফিরে আসবে না তো? কেন সেখানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের হিজাব পরার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে? কেন তাদের দাড়ি রাখার ইজাযত দেওয়া হচ্ছে? আয়া সোফিয়ার মসজিদের রূপ কেন আবার ফিরিয়ে দেওয়া হল? তুর্কি প্রেসিডেন্ট কেন কাশ্মির, ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলেন। আরও এজাতীয় অন্যান্য বিষয়গুলো। সেগুলো হয়তো অনেক ক্ষেত্রে তারা সরাসরি বলতে পারে না। তখন অন্য প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে আসে। যেমন তুরস্কের অর্থনীতি এখন খুব খারাপ যাচ্ছে। কিন্তু সে প্রতিবেদনে স্বীকার করা হয় না সে দেশের অর্থনীতি ভালো হয়েছিল কার হাত ধরে? এবং কতটুকু ভালো হওয়ার পর কতটুকু খারাপ হয়েছে?

বাংলাদেশের একটি খবরের কাগজের কর্তাব্যক্তিদের হালচাল দেখলে তো করুণাই হয়। নির্বাচনের আগের লেখালেখিতে কত রোনাজারি। ভাবটা এমন যে, তাদের লেখালেখির দ্বারা তুরস্কের জনগণ এরদোগান-বিরোধী ভোট দিয়ে দেবে। যাদের নিজ দেশের রাজনীতি, ভোটনীতি, অর্থনীতি ইত্যাদি নিয়ে খোলামেলা কথা বলার মুরোদ নেই, তারা কি না ভিনদেশের রাষ্ট্রপতি পরিবর্তনের চেষ্টায় মগ্ন। সেই পত্রিকার এক সাহেব তো হাত ফস্কে লিখে ফেললেন, এরদোয়ানকে মুরসির মতো বিচারের কাঠগড়ায় তুলতে সফল হবে বিরোধীরা? আচ্ছা ওই মহা ভদ্রলোক কি মুরসি সম্পর্কে কিছু জানেন। মুরসিকে কি আসলে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছিল, না এই লেখকদের প্রভুরা একত্রিত হয়ে একজন জেনারেলের মাধ্যমে তাকে তিলে তিলে হত্যা করেছে? মিসরের ইতিহাসে প্রথম নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ন্যূনতম কি কোনো যুক্তি ছিল? এই লেখকের বয়স কি তখন বছর দশেক হয়নি। নাকি লেখক তখন অন্ধ-বধির ছিলেন? আসলে এদেরকে যে খেতাবে ভূষিত করবেন শব্দ এবং কালি দুটোই নষ্ট হবে। তাই তাদের লেখাগুলো মন্তব্যহীনই থাকুক। পরে শুনেছি, অনলাইনের পাঠকদের ধাক্কা সামলাতে না পেরে লেখাটির শিরোনাম পাল্টে দেওয়া হয়েছে।

ওই পত্রিকা এবং তার কর্তাদের জন্য মাঝে মাঝেই আমার হাসি পায় আর করুণা তো হয়ই। মনে পড়ে, সেই আলপিন-কাণ্ডের পর বাইতুল মোকাররমের খতীব সাহেবের কাছে গিয়ে তাওবা-ইস্তিগফার পড়া, বিভিন্ন সময়ে আদালতে গিয়ে বারবার ক্ষমা প্রার্থনা, জেলে যাওয়া থেকে বাঁচার জন্য পদ্মা সেতু নিয়ে সিরিজ প্রতিবেদন প্রকাশসহ আরও অনেক কিছু!

যা হোক, মনে হচ্ছে এবারও বিশ্বের ইসলামবিদ্বেষী শক্তি ও দেশে দেশে তাদের দোসরদের আশা পূরণ হচ্ছে না। এরদোগান আবার রাষ্ট্রপতি পদে বহালই থেকে যাচ্ছেন। আল্লাহ তাঁর সামনের দিনগুলো ইসলাম ও মুসলমানদের পক্ষে এবং তুর্কিয়ার উন্নয়ন ও হারানো মর্যাদা ফিরে পাওয়ার ক্ষেত্রে আরও বেশি কামিয়াব করুন। এতেই শত্রুর মুখে ছাই পড়তে থাকবে। তাদেরকে আলাদা করে বকা বা গালি দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।

 

 

advertisement