রবিউল আখির ১৪২৮   ||   মে ২০০৭

তাঁদের প্রিয় কিতাব (৩য় কিস্তি)

হযরত মাওলানা মুফতি তকী উছমানী

কয়েক বছর আগে হাযরাতুল উস্তাযের একটি প্রবন্ধ সংকলন নুকূশে রফতেগাঁ নামে প্রকাশিত হয়েছে। গুরুত্বের সাথে এসেছে, ওই কিতাবগুলো থেকে কয়েকটি নির্বাচিত কিতাবের সংক্ষিপ্ত আলোচনা এই ওই কিতাবেও বিভিন্ন ব্যক্তি ও ব্যক্তিত্বের আলোচনা প্রসঙ্গে তাঁদের রচিত বিভিন্ন কিতাবের কথা আমরা পেশ করতে চাই, কিতাবগুলো সম্পর্কে হযরত মাওলানার মতামত ও মন্তব্য ও আমরা উল্লেখ করব ইনশাআল্লাহ।

১। ইলাউস সুনান

(তিনটি মুকাদ্দিমাসহ) আল্লামা যফর আহমদ উসমানী (১৩৯৪ হি.) এটি ইলমে হাদীসে (আহকাম বিষয়ক হাদীসের ক্ষেত্রে) সম্ভবত এ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় কীর্তি। ইনডেক্সসহ মোট বাইশ খ-ে কিতাবটি মুদ্রিত হয়েছে এবং সহজলভ্য, এর মতনও স্বতন্ত্র ভাবে... নামে প্রকাশিত হয়েছে। এই মতনটি মিশকাত ও দাওরায়ে হাদীসের  ছাত্রদের অধ্যয়নে থাকা উচিত।

২। কাইফিয়্যাত

জনাব মুহাম্মদ যাকী কাইফী ইবনে মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ শফী (১৩৯৫ হি.)-এর কাব্য সংকলন। তিনি (কাইফী মারহুম) চিন্তা চেতনায় ও সৃজনশীলতায় সমকালের হাতেগোনা কজন কবির অন্তর্ভূক্ত ছিলেন। উর্দু ভাষাকে তিনি অনেক কিছু দিয়েছেন। তিনি কাব্য চর্চায় সনাতন ধারার বাইরে  নতুনের অন্বেষণ করেছেন।

৩। উলামায়ে হিন্দা কা শানদার মাযী.

৪।  তাহরীকে শাইখুল হিন্দ.

মাওলানা মুহাম্মদ মিয়া (১৩৯৫ হি.)

মাওলানা মুহাম্মদ মিয়া ইলম ও ফযলে উচুঁ মাকামের অধিকারী ছিলেন। তার রচনাশৈলী ছিল আলিম সুলভ তদুপরি প্রাঞ্চল ও সাবলীল। উলামেয়ে হিন্দকা শানদার মাযী হল তার বিশিষ্ট কীর্তি। এ গ্রন্থে তিনি আকবরী যুগ থেকে দেশ বিভাগ পযর্ন্ত উলামায়ে উম্মতের দাওয়াত ও জিহাদের ইতিহাস অত্যন্ত পরিশ্রম করে আকর্ষণীয় আঙ্গিকে পরিবেশন করেছেন। হযরত শাইখুল হিন্দ রহ.-এর রেশমী রূমাল আন্দোলন প্রসঙ্গে  তিনি এমন অনেক তথ্য উন্মোচন করেছেন যা এতদিন চাপা পড়ে ছিল। এছাড়া অন্যান্য বিষয়েও তাঁর রচানাবলি অতি মূল্যবান।

৫-১২। মাওলানা আনওয়ারুল হাসান শীরকুটি (১৩৯৬ হি.) এর কিছু  কিতাব।

উলামায়ে দেওবন্দের জীবনী ছিল মাওলানা শীরকুটির বিশেষ আগ্রহের বিষয়। আকাবিরে দেওবন্দের বিশিষ্ট কয়েক জনের জীবনী তিনি প্রচুর অধ্যাবসায় ও পরিশ্রম সহকারে লিপিবদ্ধ করেছেন। ওই গ্রন্থগুলোর মধ্যে হায়াতে ইমদাদ সীরাতে ইয়াকুর ও মামলূ এবং আনওয়ারে ক্বাসেমী  প্রকাশিত হয়েছে এবং হায়াতে যুলফাকার যন্ত্রস্থ রয়েছে। বিশেষত শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাব্বীর আহমদ উসমানী রাহ.-এর প্রতি তার গভীর অনুরাগ ছিল। তাঁর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে তিনি তিনটি দীর্ঘ গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর বিভিন্ন ইলমী অবদানের আলোচনা তাজাল্লিয়াতে উসমানী নামে এবং তার চিঠিপত্রের সংকলন আনওয়ারে উসমানী নামে প্রকাশিত হয়েছে। তৃতীয় গ্রন্থ হায়াতে উসমানী তে তিনি  আল্লামা উসমানী রাহ.-এর বিস্তারিত জীবনী লিপিবদ্ধ করেছেন। তাছাড়া তিনি হযরত মাওলানা কাসিম নানুতবী রাহ.-এর ইলমী চিঠিপত্র কাসিমুল উলুম নামে সংকলন করেছেন এবং উর্দু অনুবাদ ও ব্যাখ্যাসহ প্রকাশ করে একটি মূল্যবান কাজ সম্পন্ন করেছেন।

১৩। তাফসীরে মাজিদী (উর্দু)

১৪। তাফসীরে মাজিদী (ইংরেজী)

উর্দু ও ইংরেজী ভাষায় মাওলানা আব্দুল মাজিদ দরয়াবাদী রহ. (১৩৯৭ হি.) এর তাফসীরগ্রন্থ বেশ সমাদৃত হয়েছে এবং মানুষ এর দ্বারা যথেষ্ট উপকৃত হয়েছে। তবে যেহেতু  তিনি দ্বীনী ইলম অনেকটাই ব্যক্তিগত অধ্যয়নের মাধ্যমে অর্জন করেছেন তাই কিছু বিষয়ে তিনি মূলধারার আলিম ও মুফাসসিরগণের সিদ্ধান্ত থেকে  সরে গেছেন। এ বিষয়টা ছাড়া  সার্বিক বিচারে এটি একটি উপকারী তাফসীর গ্রস্থ।  এতে আধুনিক বিষয়াদি সম্পর্কেও প্রচুর তথ্য রয়েছে, বিশেষত খৃস্টধর্ম বিষয়ক আলোচনা তো অতুলনীয়।

এই তাফসীর গ্রন্থদ্বয়ের ওই সংস্করণের  উপরই নির্ভর করা উচিত যা স্বয়ং গ্রস্থকার কর্তৃক সম্পাদিত ও মজলিসে তাহকীকাত ওয়া নাশরিয়াতে ইসলাম, নদওয়াতুল উলামা, লাখনৌ থেকে প্রাকশিত।

উর্দু তাফসীরে মাজিদীর উপর একটি বিস্তারিত আলোচনা হযরতুল উস্তাযের কলমে আলবালাগ রমজানুল মুবারক ১৩৮৮ হি. সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। পরে তাঁর  তাবছেরে নামক গ্রন্থের ১৭৭ - ১৮৫ পৃষ্ঠায় তা সংকলিত হয়েছে। এ প্রবন্ধটি অবশ্যই পড়া উচিত।

১৫। মাআরিফুস সুনান।

১৬। ইয়াতিমাতুল বায়ান ফী শাইইম মিন উলূমিল কুরআন।

১৭। নাফহাতুল আম্বার ফী হায়াতি ইমামিল আছর  আশশাইখুল আনওয়ার।

উপরোক্ত গ্রন্থগুলোর প্রণেতা আল্লামা সাইয়েদ ইউসুফ বানুরী রহ. (১৩৯৭)

এ যুগের ইলমী ও দ্বীনী খিদমতের জন্য আল্লাহ তায়ালা হযরত বানূরী রহ.কে নির্বাচন করেছিলেন এবং তার কাজে অসাধারণ বরকত দান করেছিলেন, ইলমী অঙ্গনে তার সবচেয়ে বড় কীর্তি হল- জামে তিরমিযীর ভাষ্যগ্রন্থ মাআরিফুস সুনান। প্রায় তিনহাজার  পৃষ্ঠা সম্বলিত এই গ্রন্থটি ছয় খ-ে প্রকাশিত হয়েছে। বিগত সাত বছর যাবৎ দারুল উলুম করাচীতে জামে তিরমিযীর দরস অধমের যিম্মায় থাকায় এ কিতাব  অধ্যয়নের সুবর্ণ সুযোগ হয়েছে এবং এ কথা বললে সম্ভবত অতিরঞ্জন  হবে না যে, এ গ্রন্থের প্রতিটি পৃষ্ঠা পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। তাই আমি পূর্ণ আস্থার সাথেই এ কথা বলতে পারি যে, আল্লামা আনওয়ার শাহ কাশ্মীরী রহ.-এর মুহাদ্দিছানা রুচির ঝলক কোনো কিতাবে থাকলে তা হল- মাআরিফুস সুনান। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার, ইলমের এই খাযানা অপূর্ণই রয়ে গেছে এবং কিতাবুল হজ্ব -এরপর তা আর অগ্রসর হয়নি।

অধমের পিতা হযরত মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ শফী রহ. কতবার মাওলানা রহ.কে এই কিতাব সমাপ্ত করার অনুরোধ করেছেন! কিন্তু মাওলানা রহ.-এর ব্যস্ততা এত বেড়ে গিয়েছিল যে, তিনি আব্বাজীর এই ইচ্ছাটি পূর্ণ করে যেতে পারেননি। এখন এই কিতাব সমাপ্ত করার সাহসই বা কে করবে? আর তা করলেও হযরত শাহ সাহেব রহ. এর ইলমী ফায়যান এবং আল্লামা বানূরী রহ. এর আদাবী বায়ানই বা কোথায় পাবে?

আল্লাহ তায়ালা মাওলানাকে আরবী ভাষায় বলা ও লেখার এমন যোগ্যতা দান করেছিলেন, যা আজমীদের মধ্যে খুব অল্পসংখ্যক মানুষেরই নসীব হয়ে থাকে। তার আরবী রচনা এতটাই প্রাঞ্জল ও গতিশীল ছিল যে, রুচিশীল মানুষ তার স্বাদ আস্বাদন করেন। বিশেষত প্রাচীন ও আধুনিক ভাষারীতির এমন সহজ সুন্দর মিশ্রণ ঘটেছিল যে পাঠক এতে যুগপৎ প্রাজ্ঞতা ও প্রাঞ্জলতার স্বাদ অনুভব করেন। মাওলানার রচনায় আরবী ভাষাভাষীদের বিভিন্ন প্রবাদ-প্রবচন, উপমা-উৎপ্রেক্ষা অত্যন্ত সহজ সাবলীলভাবে ব্যবহৃত হয়েছে, যা অনেক আরব লেখকের লেখাতেও পাওয়া যায় না। নাফহাতুল আম্বার তো এক হিসাবে খালিস সাহিত্য-রচনা কিন্তু মাআরিফুস সুনানইয়াতীমাতুল বায়ান-এর মত শাস্ত্রীয় ও গবেষণামূলক রচনাতেও আরবী সাহিত্যের মিষ্টতা যুক্ত হওয়ায় এগুলোও অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী ও উপভোগ্য কিতাবে পরিণত হয়েছে।

১৮। ফারান তাওহীদ সংখ্যা করাচী, পাকিস্তান

শ্রদ্ধেয় জনাব মাহির আলকাদেরী মরহুম মূলত একজন কবি ও সাহিত্যসেবী ছিলেন। কাব্য ও সাহিত্যে তিনি যে সুনাম কুড়িয়েছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না । কিছু এক পর্যায়ে আল্লাহ তাকে ঈর্ষণীয় দ্বীনী জযবা দান করেন। ফলে তার সম্পাদিত ফারান প্রথমে নিছক সাহিত্য পত্রিকা হলেও ধীরে ধীরে ধর্মীয় চরিত্র অর্জণ করেছে।

প্রথমদিকে মাহির সাহেব তার পারিপার্শিবকতার প্রভাবে বেরলভী মাছলাকের অনুসারী ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে দ্বীনী অধ্যয়নের বরকতে বিদআতের এমন দুশমনে পরিণত হলেন যে, তার পত্রিকা দীর্ঘদিন বিদআতের বিরুদ্ধে জিহাদে নিয়োজিত ছিল। এই পত্রিকার সম্ভবত একটিই বিশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। তা হল তাওহীদ সংখ্যা।

১৯। আপবীতী শাইখুল হাদীস যাকারিয়া কান্দলোবী  (১৪০২ হি.)

দ্বীনের যে কাফেলা এই উপমহাদেশে দ্বীনের চেরাগ রওশন করার জন্য তাদের সর্বস্ব ওয়াকফ করেছিলেন এবং সাহসিকতার সাথে সময়ের ধূলিঝড় মুকাবেলা করেছিলেন তারই এক সদস্য ছিলেন হযরত শাইখুল হাদীস সাহেব রহ.। তিনি ইলম অর্জন ও দ্বীন-প্রচারের কাজে যে কষ্ট-ক্লেশ বরদাশ্ত করেছেন, যাদের সাহচর্য দ্বারা উপকৃত হয়েছেন এবং যাদের কর্ম-সাধনাকে নিজের কর্ম-জীবনে আদর্শরূপে গ্রহণ করেছেন তাদের আকর্ষণীয় ও শিক্ষনীয় আলোচনা তার আত্মজীবনী আপবীতী তে রয়েছে। গ্রন্থটি আমাদের জন্য শিক্ষা ও নসীহতের উপকরণে সমৃদ্ধ।

আপবীতী সম্পর্কে হাযরাতুল  উস্তাযের দীর্ঘ অনুভব-অনুভূতি আলকাউসারের আগামী সংখ্যায় আসবে ইনশাআল্লাহ।

২০-২২। শাইখুল হাদীস রহ. কৃত হাদীসের ভাষ্যগ্রস্থসমূহ ।

সর্বপ্রথম তিনি তার শায়খ হযরত মাওলানা খলীল আহমদ সাহারানপুরী রহ.-এর সহযোগী ও খাদিমরূপে আবু দাউদের শারহ বাযলুল মাজহুদ এর রচনায় কাজ করেছেন। এরপর মুয়াত্তা ইমাম মালিকের সুবিশাল ভাষ্যগ্রস্থ আওজাযুল মাসালিক রচনা করেছেন। গ্রন্থ এ শতাব্দীর শীর্ষস্থানীয় কীর্তী সমূহের অন্যতম। শুধু আহলে ইলমই এ রচনার প্রকৃত মূল্য অনুধাবন করতে পারেন।

তাছাড়া হযরত গাংগুহী রহ.-এর জামে তিরমিযীর দরসী আলোচনা  - আলকাউকাবুদ্দুররীর সঙ্গে হযরত মাওলানা যে টীকা সংযুক্ত করেছেন তা যেমন সুসংক্ষিপ্ত তেমনই সুসমৃদ্ধ। তাছাড়া হযরত গাংগুহী রহ. এর বুখারীর দরসী আলোচনা সংকলন- লামিউদ দারারীর  সঙ্গে তিনি যে বিস্তারিত টীকা সংযুক্ত করেছেন সহীহ বুখারীর কোনো তালিবে ইলম বা মুদাররিস তা থেকে  মুসতাগনী হতে পারে না।

উপরোক্ত প্রতিটি কাজই এমন যে , কোনো ব্যক্তি যদি সারা জীবনে ওই একটি কাজ সম্পন্ন করে তাহলে সেটাই তার ইলমী স্বীকৃতির জন্য যথেষ্ট।

২৩। মুঈনুল কুযাত ওয়াল মুফতীন।

২৪। শয়রী জাবিতায়ে দেওয়ানী।

মাওলানা শামসুল হক আফগানী রহ. (১৪০৩ হি.)

১৯৩৯ খৃ. কিল্লাতের পক্ষ থেকে তাঁকে কিলাতের শিক্ষামন্ত্রী পদে বরণ করা হয়, তিনি দারুল উলূম দেওবন্দের আকাবিরের পরামর্শক্রমে ওই পদ ও দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। সেসময় কিলাতে ইসলামী বিচার-ব্যবস্থা কার্যকর ছিল এবং তা শিক্ষামন্ত্রণালয়ের  অধীনে ছিল। হযরত মাওলানা এ ব্যবস্থাতে গতি সঞ্চার করেছিলেন। ফলে গোটা অঞ্চলে মামলা-মুকাদ্দামার ফায়সালা শরীয়তের ভিত্তিতে সম্পন্ন হত। এই বিচার-ব্যবস্থায়  সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি  ছিলেন হযরত মাওলানা নিজেই। ফলে শরীয়তী বিচার বিষয়ে তার বহু বরের বাস্তব অভিজ্ঞা ছিল। এ সময়ে তিনি ইসলামী আইন ও শরয়ী বিচার-পদ্ধতি প্রসঙ্গে একাধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন। এই গ্রন্থগুলোর মধ্যে মঈনুল কুযাত ওয়াল মুফতীন আরবী ভাষায় রচিত। কিতাবটি বিভিন্ন আরব দেশেও প্রসিদ্ধ ও সমাদৃত হয়েছে। এছাড়া শরয়ী জাবিতায়ে দেওয়ানী নামে তিনি ইসলামের দেওয়ানী আইনগুলোকে দফা আকারে বিন্যস্ত করেছেন। ১৯৫৫ খৃ. যখন কিলাতের এই আদালতকে সেক্যুলার  আদালতের অধীন করে দেওয়া হয় তখন তিনি শিক্ষামন্ত্রণালয়ের  দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি গ্রহণ করেন। তবে এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, পাক-ভারত উপমহাদেশে শরীয়া অনুযায়ী বিচারকার্য পরিচালনার যে পরিমাণ অভিজ্ঞতা মাওলানার ছিল  তা এই উপমহাদেশের আর কারো ছিল না।

২৫। আদিলানা দিফা (খিলাফত ও মূলূকিয়াতের জবাবে) 

মাওলানা নূরুল হাসান বুখারী (১৪০৪ হি.)

রচনাটির উপস্থাপনা ভঙ্গি-এবং কিছু আলোচনার সঙ্গে দ্বিমত পোষণের অবকাশ থাকলেও এই কিতাব মূল্যবান ইলমী তথ্যাদিতে সমৃদ্ধ, যা এই বিষয়ের পাঠক ও গবেষকদের অনেক কাজে আসতে পারে।

২৬। আসসদ্দীক, ইরছুল ইয়াতীম নম্বর

হযরত মাওলানা মুফতী আব্দুল্লাহ ছাহেব মুলতানী (১৪০৫ হি.)

হযরত মাওলানা মুফতী আব্দুল্লাহ ছাহেব মুলতানী থেকে যখন মাসিক আসসিদ্দীক প্রকাশ করতেন, তখন দীর্ঘদিন পর্যন্ত সম্ভবত এই একটি পত্রিকাই ছিল উলামায়ে দেওবন্দের মুখপাত্র। এর কিছু বিশেষ সংখ্যা বের হয়েছে যেগুলো খুব প্রশংসিত ও সমাদৃত হয়েছে।

যখন মুনকিরীনে হাদীসের কারসাজিতে পৌত্রের মীরাছ বিষয়টি আলোচনায় আসল এবং পাঞ্জাব এসেম্বলীতে এ সম্পর্কে একটি খসড়া আইন উপস্থাপিত হল, তখন পাকিস্তানের অনেক আলেম  এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রবন্ধ লিখেছেন। কিন্তু এ বিষয়ে সম্ভবত সবচেয়ে বিশদ ও প্রমাণসমৃদ্ধ আলোচনা আসসিদ্দীকের এই বিশেষ সংখ্যাটিতে প্রকাশিত হয়েছে।

২৭। হিফাযত ওয়া হজ্জিয়াতে হাদীস

মাওলানা ফাহীম উসমানী (১৪০৫ হি.)

হুজ্জিয়াতে হাদীস প্রসঙ্গে প্রায় ছয়শত প্রষ্ঠায় লিখিত এই কিতাবটিই সম্ভবত এ বিষয়ে উর্দুভাষার সমৃদ্ধতম গ্রন্থ। এ গ্রন্থে হাদীস অস্বীকার কারীদের সকল যুক্তি ও অপযুক্তি খ-ন করা হয়েছে।

২৮-৩৩। ডা. আব্দুল  হাই আরেফী রাহ.-এর কিছু কিতাব

ওয়াজ নসীহতের পাশাপাশি হযরত রচনা ও সংকলনের  কাজও করেছেন এবং কয়েক হাজার পৃষ্ঠায় রচনাবলির এমন এক খাযানা রেখে গেছেন যা সম্পূর্ণ স্বকীয় উপস্থাপনার অধিকারী এবং আল্লাহ-প্রেমিকদের জন্য ইনশাআল্লাহ কিয়ামত পর্যন্ত আলোকবর্তিকারূপে কাজ করবে।

উসওয়ায়ে রাসূলে আকরাম, মাআছিরে হাকীমুল উম্মত, বাছায়েবেমাআরিফে হাকীমুল উম্মত, ইসলাহুল মুসলিমীন এবং মামুলাতে ইয়াওমিয়াহ ইত্যাদি প্রত্যেক গ্রন্থই আমাদের প্রত্যেকের জন্য মূল্যবান পুঁজি এবং উলুম ও মাআরিফের অমূল্য খাযানা।

৩৪। ক্বওমী এসেম্বলী সে ইসলাম কা মারিকা

হযরত মাওলানা আব্দুল হক আকুরাহ খটক রহ.

 

 

advertisement