পাঠকের পাতা
নোবেল, নোবেল, নোবেল !
সম্প্রতি চা-স্টল থেকে শুরু করে বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে আসন্ন নির্বাচনী আলোচনা ছাড়াও যে আলোচনা সবার মুখে মুখে ফিরছে তা হল, ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তি। সর্বত্র ও সবার মুখে মুখে আলোচিত হওয়ার কারণও আছে। নানা সমস্যায় জর্জরিত এ দেশের একজন নাগরিকের নোবেল প্রাপ্তি বাহ্যত ‘গরিবের ঘরে হাতির পা’র মতো ব্যাপার হওয়ায় তাতে অনেকেই বেশ উদ্বেলিত। কিন্তু ভাবা প্রয়োজন দুর্দশাগ্রস্ত এ দেশটির জন্য এ পুরস্কার গোঁফের উপর বিষ ফোড়ার মতো কিছু নয় তো?
সন্দেহ নেই বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় পুরস্কার নোবেল। প্রতি বছর চিকিৎসা, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য ও শান্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নোবেল কমিটি পুরস্কারে পুরস্কৃত করে আসছে।
আজ পর্যন্ত যাদেরকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে তাদের অধিকাংশই ইহুদ—নাসারা, যাদের বাহ্যিক অবদান জনহিতকর হলেও এ পুরস্কার প্রাপ্তির নেপথ্য কারণ ইসলামের চরম ক্ষতি সাধন। আর একই কারণে কিছু নামধারী মুসলমানকেও এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। পুরস্কার প্রাপ্তির বাহ্যিক কারণ যাই হোক, মূল কারণ ইসলাম বিদ্বেষ, শুধু বিদ্বেষই যথেষ্ট নয়; বরং ইসলাম ও ইসলামী শিক্ষার বিরুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখতে পারলেই এ পুরস্কার সহজলভ্য হয়। উদাহরণ স্বরূপ এবছর সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী তুরস্কের ওরহান পামুককেই দেখুন। তার নোবেল প্রাপ্তির কারণ হিসেবে যদিও তার সাহিত্য কর্মকে উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু শুধু সাহিত্যের জোরে তিনি নোবেল পেয়ে গেছেন এমন ভাবা ভুল হবে। এ প্রাপ্তির আরেকটু যোগ্যতাও বিবেচিত হয়েছে। যোগ্যতাটা হল, মিস্টার সালমান রুশদীর ‘সাহিত্য কর্মের জন্য যখন সকল মানুষ সোচ্চার হয়ে ওঠেছিল তখন এই পামুকই ছিলেন এমন মুসলিম সাহিত্যিক যিনি রুশদীর পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন।
আজকের বাংলাদেশের ড. ইউনূসের কথা তো বলাই বাহুল্য। তার গ্রামীণ ব্যাংকের কল্যাণে একটি জঘন্য হারাম ‘সুদ’ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। ইসলামী শিক্ষা ও মূল্যবোধ থেকে গ্রামীণ সহজ সরল মুসলমানদেরকে সরিয়ে আনা নিশ্চয়ই শান্তির পথে অনেক বড় ‘অবদান’! তাছাড়া এসব দরিদ্র মানুষের রক্তচুষে নিয়ে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মেদ বৃদ্ধির যে আয়োজন ড. ইউনূসের মাধ্যমে হয়েছে তাকে ‘শান্তি’ না বলে উপায় কি?
আরেক নোবেল বিজয়ী হলেন পাকিস্তানের ড. আব্দুস সালাম। এও একজন পাকা কাদিয়ানী। আরও জানা দরকার নোবেল প্রাপ্তির মতো সম্ভাব্য নোবেল বিজয়ীদের তালিকাও এখানে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। এ তালিকার একটি নাম হল তসলিমা নাসরীন, যার প্রতিটা লেখাই মানুষকে অমানুষ বানানোর জন্য যথেষ্ট।
বাংলা সাহিত্যে কালজয়ী প্রতিভার অভাব নেই। নজরুল, ফররুখ এরাও তো সাহিত্যিক ছিলেন। তারা তো নোবেল জেতেননি বা তার জন্য মনোনীতও হননি।
আমি আমার সামান্য জানাশোনা থেকে দু—চারটি দৃষ্টান্ত দিলাম। বিজ্ঞ পাঠক এর চেয়েও অনেক বেশি জানেন। আমার কথা হল, এই নোবেল যারা পেয়েছে বা পায়, তাদের সঠিক মূল্যায়নের জন্য এ বিষয়টিও আমাদের সামনে থাকা জরুরি। আমরা যেন ‘হুজুগে বাঙ্গালী’ কথাটির সত্যতা প্রমাণ না করি।
মুহা. শফিকুল ইসলাম মারুফ
আলিমপুর দারুল উলূম ইসলামিয়া মাদরাসা
বাগবাটি, সিরাজগঞ্জ
কৃতজ্ঞতা ও আবেদন
মাসিক আলকাউসারের সকলের প্রতি আমার সালাম ও মুবারকবাদ। বর্তমান সময়ে যখন বিভিন্ন ভ্রান্ত ফের্কার লোকেরা নানা মিথ্যাচারের মাধ্যমে সরলমনা মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করছে তখনই আল্লাহর সৈনিকগণ আরম্ভ করেছেন এক ব্যতিক্রমধর্মী কলমী জিহাদ। বেশি দিন হয়নি আলকাউসারের সাথে আমার পরিচয়, কিন্তু ঈমান বিধ্বংসী বিভিন্ন বিভ্রান্তির খণ্ডন এবং পূর্ববর্তী বুযুর্গানের পথ নির্দেশনা সমৃদ্ধ লেখাগুলো আমার মন কেড়েছে।
স¤প্রতি বিভিন্ন ভ্রান্ত দলের দাওয়াত পেয়ে আমি সঠিক পথ হারাতে বসেছিলাম। মার্চ—০৭ ইং সংখ্যায় মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক সাহেবের ‘মওলুদ খানী : হক আদায়ের নাহক পন্থা’ শীর্ষক লেখা পড়ে ভ্রান্ত দলগুলোর অপকৌশল বুঝতে পারি। এজন্য অন্তরের অন্ত:স্থল থেকে মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট শুকরিয়া আদায় করছি। অবশেষে আপনাদের কাছে আমি একটি আবেদন করছি।
কথিত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত (বাংলাদেশ)—এর মুখপত্র “মাসিক সুন্নীবার্তা” ফেব্রুয়ারি—০৭ ইং সংখ্যায় হক্কানী ওলামায়ে দেওবন্দ এবং তাবলীগ জামাতের নামে কিছু ভ্রান্ত আকিদা ছাপানো হয়েছে। সরলমনা পাঠক সেগুলো পড়লে সহজেই বিশ্বাস করবে। কারণ তাতে ওই সমস্ত ওলামায়ে কেরামের কিতাবাদির উদ্ধৃতি রয়েছে। তবে আমি পত্রিকাটিতে উল্লেখিত ওই সমস্ত ব্যক্তিদের অনুসারী কোনো হক্কানী আলেমের মুখে এসব কথা শুনিনি। প্রবন্ধটির ফটোকপি আপনাদের কাছে পাঠালাম। আশা করি, আগামী কোনো সংখ্যায় আল্লাহকে হাজির মনে করে প্রকৃত সত্য তুলে ধরে আমাকে এবং অসংখ্য বিপথগামীদেরকে সঠিক তথ্য ও পথ নির্দেশনা দান করবেন।
মুহাম্মাদ রেজাউল আলম
(ছাত্র) ফেনী সরকারি কলেজ, ফেনী