জুমাদাল আখিরাহ ১৪৪৪   ||   জানুয়ারি ২০২৩

আমেরিকার মেকি বিরোধিতা
কেন এই কপটতা

মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথা আমেরিকা কিছুদিন যাবৎ আবার এদেশের রাজনীতিবিদদের মুখের বুলি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের সাথে যোগ দিয়েছেন চিহ্নিত বুদ্ধিজীবী ও অতি পরিচিত বিশিষ্টজনেরাএটি নতুন নয়। কয়েক বছর পর পরই এমনটি দেখা যায়। নতুন করে এটি শুরু হয়েছে বিএনপির জনসভা ও আন্দোলন কেন্দ্রিক বিধি-নিষেধ ও ধরপাকড় বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের বিবৃতিকে কেন্দ্র করে। এর সাথে যোগ হয়েছে, বিএনপির গুম হয়ে যাওয়া একজন নেতার বাড়িতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের গমনকে কেন্দ্র করে। সেখানে মায়ের কান্না নামে একটি সংগঠনের লোকজন তাকে কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে ঘেরাও করলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে ওঠে। পরে রাষ্ট্রদূত নিজে এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তাদের এম্বাসেডরের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে।

পত্র-পত্রিকা ও অন্যান্য গণমাধ্যমের কল্যাণে এসব খবর এখন প্রায় সকলেই জেনে গেছেন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরকারের কিছু মন্ত্রীর বক্তব্য আমেরিকা এবং আমেরিকান রাষ্ট্রদূতের বিরোধিতা ও বদনাম গেয়ে যাওয়া এখনো অব্যাহতভাবে চলছে। এটি নতুন কিছু নয়। এর আগেও যখনই আমেরিকান সরকার এদেশের নির্বাচন বা মানবাধিকার নিয়ে কোনো কথা বলেছে তখনই সরকারের উচ্চপদস্থ মন্ত্রী ও দলের নেতারা বিভিন্ন জনসভায় কঠোর ভাষায় এর প্রতিবাদ করেছেন। আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত সৈয়দ আশরাফ তো একবার তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনাকে ইঙ্গিতপূর্ণ ভাষায় কাজের মেয়ে মর্জিনাও আখ্যা দিয়েছিলেন। আর এটি তো বেশিদিন আগের কথা নয়- বাংলাদেশের র‌্যাব বাহিনী এবং এর বর্তমান ও সাবেক কিছু অফিসারের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হলে এর প্রতিবাদে মেতে ওঠেন আওয়ামীলীগ দলীয় সিনিয়র নেতা ও সরকারের উচ্চপদস্থ মন্ত্রীরা। এখনো সরকারের মন্ত্রী ও দলের সিনিয়র নেতারা বিভিন্নভাবে আমেরিকাকে তুলোধোনা করে যাচ্ছেন এই বলে- আমেরিকার মানবাধিকার পরিস্থিতি আরও বেশি খারাপ। সেখানে আরও বেশি গুমখুন হয়। সুতারাং আমাদের বিষয়ে তাদের নাক গলানোর কোনো অধিকার নেই। বেশি বাড়াবাড়ি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিদেশী রাষ্ট্রদূতদেরকে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। এসব কথা এখন নেতা-নেত্রীদের মুখ থেকে পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত শোভা পাচ্ছে।

আজকের এ সংক্ষিপ্ত নিবন্ধে আমরা এসব বিষয়ে দুয়েকটি কথা আরজ করতে চাই। প্রথমেই বলে নেওয়া দরকার, আমরা যারা মুসলমান, যারা একমাত্র আল্লাহকে সার্বভৌম ও পরাক্রমশলী বলে বিশ্বাস করি তাদের কাছে পৃথিবীতে সুপার পাওয়ার বলে দাবিদাররা অত্যন্ত বোকা। যারা তাদেরকে মহাক্ষমতাধর ভেবে আনুগত্য করে তারাও এজন্য করে যে, মহাপরাক্রমশালী রাব্বুল আলামীনের প্রতি তাদের আস্থা দুর্বল। সুতরাং কোনো মুসলমান রাষ্ট্র, মুসলিম রাষ্ট্রের সরকার, মুসলিম জনগণ আমেরিকা বা অন্য কোনো পরাশক্তির দাবিদারের কাছে মাথা নত করুক, তাদেরকে নিজেদের বিষয়ে নাক গলানোর সুযোগ দিক- আমাদের মতো সাধারণ মুসলিমরা এটা অন্তত চায় না। সে হিসেবে তো আমাদের দেশ এবং আমাদের দেশের মতো মুসলিম দেশের  ক্ষমতাবানেরা মাঝে মাঝে যখন আমেরিকা বা দুনিয়াবি কোনো শক্তিধর দেশের বিরুদ্ধে মেতে ওঠে তখন আমাদের মতো সাধারণ মুসলমানদের আন্দোলিত হওয়ারই তো কথা।

মুসলিম দেশের শাসকগণ যদি ঈমানী বলে বলিয়ান হতেন, যদি ইহুদী-নাসারাদের প্রভাবে প্রভাবিত না হতেন, যদি তাদেরকে নিজেদের জনগণ ও রাষ্ট্রের ওপরে প্রভাব খাটাতে না দিতেন, তাহলে তো মুসলিমবিশ্বের চেহারা অনেক আগেই উজ্জ্বল হয়ে যেত। অনেক আগেই অধঃপতন থেকে মুক্তি পেত মুসলিম জাতি ও সমাজ। কিন্তু আসলে কি তাঁরা তা করছেন। তাবৎ মুসলিম দুনিয়ার ক্ষমতাসীনগণ এবং পশ্চিমের শিক্ষায় শিক্ষিত একশ্রেণির শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, গণমাধ্যমকর্মী তো বরং উঠতে বসতে চলতে ফিরতে তাদেরই জয়গান গেয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা-দীক্ষা, সভ্যতা, সংস্কৃতি, রাষ্ট্র পরিচালনা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা- সবকিছুতেই তো তাদের অন্ধ অনুসরণ করে যাচ্ছে। শুধু কি তাই, মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সরকার (তৃতীয় বিশ্বের অমুসলিম রাষ্ট্রগুলোরও) সারকারি দল বলেন, বিরোধী দল বলেন, উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক আমলা বলেন, তথাকথিত বুদ্ধিজীবী বা বড় বড় সাংবাদিকের কথা বলেন- প্রায় সবাই তো তলে তলে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশের একটুখানি কৃপা পাওয়ার আশায় সবকিছু বিসর্জন দিয়ে থাকে। নিজেদের স্বাতন্ত্র্য স্বকীয়তা ধর্ম দর্শন সভ্যতা সংস্কৃতি সবকিছু জলাঞ্জলি দিতেও দ্বিধা করে না। এটি তো অত্যন্ত ওপেন সিক্রেট বিষয় যে, এসব দেশের ক্ষমতাসীনরা এমনকি বিরোধী দলের লোকেরাও আমেরিকার সরকার ও আমেরিকার পার্লামেন্ট ও থিংকট্যাঙ্কের আনুকূল্য লাভের জন্য কোটি কোটি ডলার খরচ করে পেশাদার লবিস্টও নিয়োগ দিয়ে থাকে।

আর কারো কারো তো সহধর্মিণীও বাছাই করতে হয় সে সব দেশ থেকে।

আওয়ামীলীগের প্রয়াত সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলীল জাতীয় সংসদে কান্নাকাটি করে একবার বলেছিলেন, এখানকার অনেকেই বড় বড় দূতাবাসগুলোর পেইড এজেন্ট অর্থাৎ ওপরে যতই মুখে এটা সেটা বলুক তলে তলে অনেকেই ওই দূতাবাসগুলোর আর্থিক প্রণোদনা নিয়ে তাদের পক্ষে কাজ করে থাকে। সংসদের ভেতরে বা বাইরে তার কথার কেউ প্রতিবাদ করার সাহস দেখিয়েছেন বলে শুনিনি। বড় বড় দলগুলোর নেতা-নেত্রী, সরকারে মন্ত্রী, সাংসদ ও উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের ব্যক্তি জীবনের কথা না হয় না-ই বললাম। যদি জরিপ করা হয়, এই শ্রেণির লোকের কতজনের স্ত্রী-সন্তান দেশে থাকেন? কতজনের সন্তান দেশে লেখাপড়া করেন? তারা এবং তাদের পরিবারের কয়জন এ দেশের চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেন? এ শ্রেণির লোকদের কয়জন আছেন, যারা নিজের বা নিজের পরিবারের জন্য আমেরিকা, কানাডা বা এজাতীয় দেশের অভিবাসন গ্রহণ করেননি বা করার প্রক্রিয়াতে নেই- তাহলে নিঃসন্দেহে সে সংখ্যা হবে খুবই কম।

এই যখন আমাদের অবস্থা, তাহলে আমরা মাঝে মাঝে আমেরিকা বিরোধিতার ভান করি কেন? আসলে আমি শুধু স্বদেশ নিয়ে বলছি না, মুসলিমবিশ্বের অন্য অনেক রাষ্ট্রের অবস্থাও ব্যতিক্রম কিছু নয়। গতকাল (২১-১২-২০২২ ঈ.) পড়লাম সৌদি আরবের দৈনিক পত্রিকা আররিয়াদ-এর একটি উপসম্পাদকীয় নিবন্ধ। শিরোনাম হল-

مَاذا لو ضَعُفتْ أميركا؟-কী হবে যদি আমেরিকা দুর্বল হয়ে যায়?

সাধারণত এ শিরোনাম দেখলে ইসলামী চিন্তাধারার অনেকে হয়তো খুশি হয়ে উঠবেন যে, আমেরিকা দুর্বল হওয়ার কিচ্ছা বলা হচ্ছে। হয়তো মুসলিমবিশ্ব আবার শক্তিশালী হয়ে উঠবে। কিন্তু যেহেতু সৌদি সরকারের একনিষ্ঠ সমর্থক এ পত্রিকা, এর কলামিস্টদের সম্পর্কে পূর্বধারণা রয়েছে, তাই শিরোনাম দেখেই বুঝে ফেলেছি ভেতরে কী লেখা থাকবে। তবুও ওই ডক্টরের লেখা পড়লাম। যা ভেবেছি তাই। ওই বুদ্ধিজীবী লেখক তার মতো করে দলীল-প্রমাণ দিয়ে এটা বোঝাতে চেয়েছেন যে, বর্তমান সময়ে আমেরিকা দুর্বল হলে পুরো বিশ্বের জন্যই মহা ক্ষতির কারণ হবে।

এই তো কয়েক মাস আগে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলে উঠলেন, তার সরকারকে আমেরিকা ষড়যন্ত্র করে নামিয়েছে এবং তার নিজস্ব স্টাইলে ভাষণ দিয়ে, তত্ত্ব দাঁড় করিয়ে পুরো পাকিস্তানের জনগণকে আমেরিকা-বিরোধী হিসেবে তার সমর্থক বানিয়ে নেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে উপনির্বাচনগুলোতেও অসাধারণ সফলতা পান। পাকিস্তানের জনগণ তো খুশি। আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে আমেরিকা সরিয়ে দিয়েছে। তিনি তো অনেক ভালো মানুষ। পাক্কা মুসলিম। আমেরিকা-বিরোধী। কিন্তু কদিন পরেই তথ্যপ্রমাণ বের হয়ে এল, ইমরান খানের দল আমেরিকান সরকারকে হাত করার জন্য মোটা অংকের মাশোহারায় সেখানে বড় বড় লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছে।

কিন্তু এসব লবিস্ট, এলিট শ্রেণি এবং তাদের পরিবারের সুপ্ত বিদেশপ্রেম তো খুব কম সাধারণ লোকই বোঝেন। তাই দেশে দেশে ক্ষমতাসীনরা ভেতরে ভেতরে যতই পাক্কা গোলামী করুক মাঝে মাঝে জনসমর্থনের জন্য অথবা জনরোষ থেকে বাঁচার জন্য আমেরিকার বিরোধিতার ভান করে থাকেন। ওই যে বছর খানেক আগে আমাদের দেশের এলিট ফোর্স র‌্যাব এবং র‌্যাবের কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিল তখন তো আমাদের পুরো মিশনারী উঠেপড়ে লেগে গিয়েছিল সেটা প্রত্যাহার করাতে এবং এসব কর্মকর্তা যেন আমেরিকার ভিসা পায় সে ব্যবস্থা করতে। বিভিন্ন মন্ত্রী তো যা বলার বলেছেনই, এমনকি দেশের প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, র‌্যাব বানিয়েছে আমেরিকা, প্রশিক্ষণও তারা দিয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, যারা এ খেলাগুলো খেলে, একবার গড়ে আবার ভাঙে, একবার আপনার পক্ষে কাজ করে আরেকবার আপনার বিপক্ষে কাজ করে, যারা যেখানে সেখানে মোড়লগিরি করতে চায় আমরা কি তাদেরকে পরিত্যাগ করার ব্যাপারে আন্তরিক? তাদের নীতি-আদর্শ ছেড়ে আমরা কি আমাদের কালজয়ী শিক্ষা, সভ্যতা, সংস্কৃতি ও অর্থনীতিক ব্যবস্থার পথে অগ্রসর হওয়ার চিন্তা করি? যদি তাই না হবে, বরং আমাদের শাসক শ্রেণি, বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা, উচ্চপদস্থ আমলা ও চিহ্নিত বুদ্ধিজীবিসহ এলিট শ্রেণির লোকেরা তাদের এবং তাদের পরিবারের জন্য এ দেশ থেকে ওসব দেশকেই বেশি পছন্দ করে থাকেন, তাদের অর্থ-সম্পদও এদেশের তুলনায় ভিনদেশেই নিরাপদ মনে করে পাচার করে দেন- ওই প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর একটু আনুকূল্য লাভের জন্য উন্মুখ হয়ে থাকেন, এমনকি টাকা-পয়সা বিনিয়োগ করে লবিস্টও নিয়োগ করে থাকেন তাহলে এ কপটতা কেন? কয়দিন পরপর এসব মুনাফেকী না করলে কি হয় না? আর এই যে বিএনপি এখন বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তা নিয়ে সোচ্চার এবং তাদের আনুকূল্য লাভের জন্য উদগ্রীব, তারাও তো একই পথে হাঁটছে। মির্জা ফখরুলরা কি ভেবে নিয়েছেন, এই বিদেশীরা তাদেরকের উঠিয়ে নিয়ে ক্ষমতার তখতে বসিয়ে দেবেন? মনে রাখতে হবে, বিদেশীদের গোলামী করে ক্ষমতায় যাওয়া বা থাকার বিষয় হলে তাদের থেকে আরও যোগ্য দল ও লোকেরা এ দেশে রয়েছে। সুতরাং ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা করতে হলে সঠিক পথে জনগণের মনের কথা বুঝতে হবে। তাদের দুঃখ-কষ্টগুলোর সমাধানে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করতে হবে। এবং ভয়-ভীতি ও জাগতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জনসেবায় নিবেদিত হতে হবে।

মূলকথায় ফিরে আসি, আমরা মুসলমান। মুসলমান একমাত্র আল্লাহকেই ভয় করে। তাঁর কাছেই মাথা নত করে। আল্লাহর দেওয়া ব্যক্তি, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তরাষ্ট্রীয় বিধানাবলিই আমাদের বিধান। মুসলমান কারো গোলামী করে না। আল্লাহ ছাড়া কারও কাছে মাথা নত করে না। দেশে দেশে আমরা মুসলিমরা এবং আমাদের ক্ষমতাবানেরা এই নীতির ওপরে যত দ্রুত দাঁড়াতে পারব ততই আমাদের মুক্তির পথ সুগম হবে। তখন পৃথিবীর কোনো শক্তি আমাদেরকে রক্তচক্ষু দেখানোর সাহস পাবে না। আমাদেরকে নীতিবাক্য শোনাতে গিয়ে দ্বিধা করতে বাধ্য হবে। আর যদি আমরা সে ঈমানী বলে বলিয়ান হতে না পারি তাহলে নিজেদের জনসমর্থন ধরে রাখা বা জনগণকে বোকা বানানোর জন্য ওপরে ওপরে বিদেশীদের বিরোধীতা করলেও তলে তলে গোলামিই করে যেতে হবে।

وہ سجدہ ہے لائق احترام /کہ ہو جس سے ہر سجدہ تجھپر حرام

সে সিজদাই সম্মান পাওয়ার যোগ্য/যে সিজদা অন্য সব সিজদাকে তোমার জন্য হারাম করে।

یہ ایک سجدہ جسے تو گراں سمجھتا ہے/ہزار سجدے سے دیتا ہے آدمی کو نجات

 যে এক সিজদাকে তুমি কঠিন মনে করো/সে সিজদাই হাজারো সিজদা থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়।

اسی تھکے ہوئے دست طلب سے مانگتے ہیں/جو مانگتے  نہیں رب سے وہ سب سے مانگتے ہیں

বিভিন্ন দরজায় ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত শ্রান্ত হাতে প্রার্থনা করছি/যে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে না,সে সবার কাছে হাত পাতে।

সুতরাং অন্যদের নাকগলানি ও হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হলে প্রথমে প্রকাশ্যে বা তলে তলে তাদের দাসত্ব ত্যাগ করতে হবে। ফিরে যেতে হবে মহান সৃষ্টিকর্তার   দেখানো রাস্তা সীরাতে মুস্তাকীমে-

رفعتوں کی جستجو میں ٹھوکریں تو کھا چکے/آستان یار پر اب سر جھکا کر دیکھئے

উন্নতির সন্ধানে অনেক ঠোকরই তুমি খেয়েছ,/এবার বন্ধুর আস্তানায় মাথা ঝুঁকিয়ে দেখ।

মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমরা সাধারণ মুসলমান এবং আমাদের ক্ষমতাবানসহ সকলকে সুমতি দান করুন। নিজেদের এবং নিজেদের জাতিসত্তার মর্যাদা অনুধাবনের তাওফীক দিন।

 

 

advertisement